দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ব্যাটবিসির বড় লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীদের মাঝে হঠাৎ আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। আজ ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে ছিল ব্যাটবিসির লভ্যাংশের কথা। ব্যাটবিসির ঘোষিত লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির প্রকাশ করছেন।

২০০ শতাংশ বোনাস ও ৬০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (বেটবিসি) শেয়ার বিক্রি হয়েছে ২৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫০ টাকার। পিপিই পার্ক উদ্বোধন করার পরদিন গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লেনদেনে শীর্ষস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৮৬ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন হলেও ১১ কার্যদিবস পর লেনদেন ফিরেছে হাজার কোটি টাকার ঘরে। অবশ্য এই লেনদেনের প্রায় ৪৫ শতাংশই হয়েছে দুটি কোম্পানির শেয়ারে। ২০০ শতাংশ বোনাস ও ৬০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (বেটবিসি) শেয়ার বিক্রি হয়েছে ২৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫০ টাকার।

আর পিপিই পার্ক উদ্বোধন করার পরদিন গত এক মাসেরও বেশি সময় লেনদেনে শীর্ষস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৮৬ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার। এর মধ্যে লেনদেনে শীর্ষে থাকা দুই কোম্পানিরই অবদান ৪৫৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৮৬ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

এই হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি বেড়েছে। তবে লেনদেন বাড়ার দিনে পড়ে গেছে সূচক। পড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত বাজারে ঊর্ধ্বগতির পর দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যে মূল্য সংশোধন চলছে, সেটি আর কত দীর্ঘায়িত হয়, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আছে বিনিয়োগকারীরা।

তবে এত দিন যারা পর্যবেক্ষণে ছিলেন, তারা যে সক্রিয় হচ্ছেন, সেটা কিছুটা হলেও বোঝা গেছে। তবে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর লভ্যাংশ ঘিরে এই কোম্পানি নিয়ে যে চিত্র, সেটির প্রভাব বাজারে সামগ্রিকভাবে পড়বে কি না, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাব আগামীতে পাওয়া যাবে।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। এর আগে কোম্পানিটি ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা এরই মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত লভ্যাংশ নিয়ে কোম্পানিটির ঘোষিত মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬০০ শতাংশ এবং মোট লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে ৮০০ শতাংশ।

এই লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে শেয়ারটির প্রতি আজ বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। সর্বোচ্চ পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারের দরও বেড়েছে। বেলা ১১টা নাগাদ গতকালের চেয়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ২৪০ টাকা ৬০ পয়সা।

সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয় ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগামী ২৮ মার্চ কোম্পানিটির ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মার্চ।