তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা কয়েক কার্যদিবস দরপতনের পর আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। পাশাপাশি লেনদেনও রোববারের তুলনায় বাড়ছে। ফলে গতকালের বাজার পরিস্থিতিতে ইচিবাচক বাজার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমান বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন তারা।

কারন লেনদেনের পরিমান না বাড়লে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফিরবে না। কারন যেখানে লেনদেন ২৫ শত কোটি হয়েছে সেখানে লেনদেন ১৫ শত কোটির ঘরে থাকা স্বাভাবিক। তেমনি গতকাল সিংহভাগ শেয়ারের দর বাড়ায় সূচক বেড়েছে প্রায় শত পয়েন্ট। লেনদেন বেড়ে আবার ১ হাজার কোটি টাকার ওপরে উঠেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারকে আরও ভালো করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়াতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়লে পূর্ণতা পাবে পুঁজিবাজার।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইতে লেনদেনের এই চিত্র বিনিয়োগকারীদের আশান্বিত করে তুলেছে। বাজার সংশোধনের অবসান হয়ে আবার চাঙাভাবে ফিরবে এমন আশার কথা বলছেন তারা। এদিন লেনদেনে ২২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক, বিমা, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি যোগ হয়েছে সূচকে।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী কাজী হোসাইন আলী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার ভাল করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিরব আচরনে বাজার ঘুরে দাঁড়াতো পারছে না। বর্তমান বাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ডে ট্রেডারের ভুমিকায় রয়েছেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে হবে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘অল্প অল্প করে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। এটা ভালো। আর এখন যে উত্থান, সেটি যে কারণেই হোক না কেন এটি প্রত্যাশিত ছিল।’ ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা আগের তুলনায় অনেক উদ্যোগী। তাদের উদ্যোগের মধ্যেও যদি ক্রমাগত পুঁজিবাজারের পতন হয় তাহলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা বেড়ে যায়। এখন পুঁজিবাজার ভালো হচ্ছে, এতে নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি আস্থাও বাড়বে বিনিয়োগাকারীদের।’