দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘রূপকল্প ২০৪১‘ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশের অর্থনীতিকে আরো বেগবান করতে হবে। দেশের অর্থনীতি তখনই সমৃদ্ধ হবে, যখন কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যবসার ধরণ এবং কর্মসম্পাদন পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।

অন্যান্য খাতগুলোর মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই অবকাঠামো খাতে বেশ কিছু বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

বেশ কিছু প্রকল্প ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করা যায়। প্রথম প্রকল্পটি ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং দ্বিতীয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন (পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে। ফলে, সেতুটির মূল কাঠামো পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে।

যদিও এটি এখনো যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হয়নি)। দ্রুত গতির এ সুপার মহাসড়কটি ঢাকা শহরের সাথে পুরো খুলনা ও বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অংশের যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

অন্যদিকে, পদ্মা সেতু যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলে এই সেতুটি যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে মানুষের ও পণ্যের যাতায়াতের সময় বাঁচিয়ে দিবে। পণ্য পরিবহন সহজ হলে অনেকে ওই এলাকায় গিয়ে বিনিয়োগ করবেন। দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেতুটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অবকাঠামোগত ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, রাজধানী ঢাকাতে বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঢাকার বাইরে থেকে আসে। যদি পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হয় তাহলে বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষিজীবী মোহাম্মদ আলীম তার পণ্য খুব সহজেই রাজধানীতে পৌঁছে দিতে পারবেন। পণ্য পরিবহনের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। এ যানবাহনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ একটু বেশি। তাই, পণ্যে পরিবহনে বেশি অর্থ খরচ হয়। ফলে, পণ্যের দামও বেড়ে যায়।

দেখা গেছে, পণ্য পরিবহনের জন্য এই যানবাহনগুলোর বিপরীতে জেএসি ট্রাক ও পিকআপগুলো দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তুলনামূলক কম খরচে পণ্য পরিবহন করছে। বেশ কিছু কারণে এই ট্রাক ও পিকআপগুলো কম খরচে পণ্য পরিবহন করতে পারছে।