দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে মারধর ও পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আসামির পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে আসামি কাশেম বেপারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সুমন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ২২।

মামলায় কাশেম বেপারীকে (৪৫) ও বশির বেপারীর স্ত্রী হাসিনা বেগমসহ (৩৫) মোট ১০ জনের নামোল্লেখ করে এবং ৮ থেকে ৯ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে অন্যতম আসামি হাসিনা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, ভোলার চরফ্যাশনের একটি জিআর-২৫৬/৯৯ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি কাশেম গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে অবস্থান করছেন। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে কাশেমকে গ্রেফতার করেন।

এসময় কাশেমের বাড়ির নারী-পুরুষ চিৎকার দিয়ে সবাই একত্রিত হয়। পুলিশ কিছু বুঝেওঠার আগেই মরিচের গুঁড়া নিয়ে ছুটে এসে হাসিনা বেগম। তারাসহ থানার এএসআই সুমনসহ অন্যান্য সদস্যদের চোখে ছিটিয়ে দেয়। এসময় জড়ো হওয়া ১০-১২ জন মিলে পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন। মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে রক্ষা না পাওয়ায় প্রধান আসামি কাশেম সুপারি কাটার ‘ছরতা’ দিয়ে এএসআই সুমনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত এএসআই সুমন এখনও চিকিৎসাধীন। পলাতক প্রধান আসামি কাশেমকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান ওসি ।