দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতি রোধে সমন্বিতভাবে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে মতামত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। এছাড়া আদালত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) এ তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্তে কমিটি পুর্নগঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। মঙ্গলবার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমানকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) অনিয়ম তদন্ত করতে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ৫ সদস্যের কমিটির তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেন। পরে আদালত কমিটিতে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমান অন্তর্ভুক্ত করে আদেশ দেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না হয়, এ জন্য পরামর্শ দেবে কমিটি।

তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনা খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে কমিটি। এছাড়া কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেকোনো বিভাগ, কর্মকর্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়।