দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা ছয় সপ্তাহ পতনের পর গত সপ্তাহে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। পতন কাটিয়ে বাজার ঊর্ধ্বমুখী ফেরার সপ্তাহে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ই-জেনারেশন। গেল সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষ স্থানে ছিল। এর ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে।

ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ২৪ টাকা ৭০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে কোম্পানিটি মুনাফা কমে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা ই-জেনারেশনের কর্তৃপক্ষ লেনদেন শুরুর আগে জানায়, ২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে দুই কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে মোট মুনাফা হয় তিন কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় ৫৩ পয়সা।

অপরদিকে জুলাই-ডিসেম্বর এই ছয় মাসে মোট মুনাফা হয়েছে চার কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে মোট মুনাফা হয় ছয় কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় ১ টাকা ৮ পয়সা।

ডিজিটাল প্লাটফর্ম সল্যুশন, নতুন বাজার উন্নয়ন, আইওটিভিত্তিক সল্যুশন এবং আইপিও খরচের জন্য ই-জেনারেশনকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়ে কোম্পানিটি আইপিওতে অভিহিত মূল্যে বা ১০ টাকা করে এক কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার বিক্রি করে। কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে পালন করে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

এদিকে গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদের শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি দুই লাখ তিন হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় ই-জেনারেশনের পরের দুটি স্থানেই রয়েছে পচা ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের শেয়ার দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। ইমারেল ওয়েলের দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৮ দশমিক ৩৬ শতংশ, জিবিবি পাওয়ারের ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ১৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ফ্যামেলি টেক্সের ১৬ শতাংশ এবং শ্যামপুর সুগার মিলের ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।