এফ জাহান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনার প্রভাব বাড়ায় নতুন করে আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ছে বিনিয়োগকারীদের। বুঝে না বুঝে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস ৯৪ পয়েন্ট সূচক উধাও।
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় করোনা সংক্রমণ বাড়ায় আবারও নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে জোর দিচ্ছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যেখানে গণপরিবহনে আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, লোকসমাগম হয় এমন সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

২৯ মার্চ এ বিষয়ে সরকার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। মাঝে একদিন পবিত্র শবে বরাতের সরকারি বন্ধের পর পুঁজিবাজারে প্রথম কার্যদিবস শুরু হয়েছে বুধবার। এমন নির্দেশনার পর নেতিবাচক অবস্থা দেখা গেছে পুঁজিবাজারে। লেনদেনে আড়াই ঘণ্টায় প্রধান সূচক কমেছে ৭৯ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

এদিকে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে শুরুতে ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। তবে শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন। আর কমতে কমতে দেড় শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে। বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা সংকটে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও ভয় ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাজারে আরও বড় পতন হবে এমন আশঙ্কায় তারা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩০৮ কোটি ৫৫ লাখ ৫ হাজার টাকা। এ সময়ে তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২০৬ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার দুই পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ২৪৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১৩ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১৩৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের।