দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জনগণের যেন ক্ষতি না হয়, সরকার সব সময় সেদিকে লক্ষ্য রাখছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই লকডাউন দেওয়া হয়েছে।’ বুধবার দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান। ‘

লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় আছে, তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে কি না’, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যে সব কারণে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখে ব্যবস্থা নেবেন। বিষয়টা আমার নয়, তাই সে বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় প্রণোদনা প্যাকেজগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সব প্যাকেজই প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ও পরিকল্পনায় হয়েছে। তিনিই সেসব করে দিয়েছেন। আমরা শুধু তার হয়ে কাজগুলো বাস্তবায়ন করেছি।’

বিশ্বব্যাংকের প্রজেকশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অথবা আইএমএফ বিভিন্ন দেশের জন্য প্রজেকশন করে থাকে, টাইম টু টাইম। বিশ্বব্যাংক আমাদের সম্পর্কে বেশ উচ্ছসিত ধারণা দিলো, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল আছে আমাদের? মূলত আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। আমাদের তাত্ত্বিক দিকে না গিয়ে বাস্তব অবস্থা ভাবতে হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন যেন আরও বেশি করতে পারি এবং আমাদের পলিসি পারসপেকটিভে আইডিয়া ছিল সেগুলো বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

বিদেশ থেকে চাল আমদানি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও গম কেনা হবে না। আমরা বেশি চাল কিনবো না। বেশি কিনলে আমাদের কৃষক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার গমও বাড়তি কিনবো না। যাতে আমাদের কনজিউমারদের সাফার করতে না হয়। এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা কাজগুলো করে থাকি।’

‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর অনেক বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই চাল কি ঠিকমতো দেশে ঢুকছে কি না?’, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চাল আমাদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ। কিন্তু সেখান থেকে যখন কোনো সাপ্লাইয়ার তা সময় মতো দিতে পারে না, তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে একদম ইন্টিগ্রিটেড ওয়েতে দেখে কী পরিমাণ চাল দরকার। এগুলো নির্ধারণ করা হয় আমাদের বর্তমান ও আগামীতে কী পরিমান প্রয়োজন হবে তা বিবেচনা করা হয়। আমাদের পরবর্তী ফসল কখন আসবে, সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের কাজটি করতে হয়।’