দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ৬৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দর সীমা) তুলে নেওয়ার নির্দেশনায় পুঁজিবাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটা গতকালকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরু থেকেই বাস্তবে প্রমাণ মিলে। যে সিদ্ধান্তের কারণে পুঁজিবাজার দেখল বড় পতন।

আগের কার্যদিবস বুধবার বিএসইসি ৬৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। যাতে স্বাভাবিকভাবেই ওইসব কোম্পানির দর পতন প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বাজারে ওই কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহন খুব কম হলেও এগুলোর পতন অন্য কোম্পানিগুলোর উপরে পড়ার আশঙ্কা ছিল। আজকের লেনদেনে সেই শঙ্কা বাস্তব হয়েও দেখা দিল। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৬৪টির দর পতন হয়েছে। দর বেড়েছে মাত্র ৪৭টির। বাকি ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

দর পতনে হওয়া ২৬৪টি কোম্পানির মধ্য ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ৬৬টি কোম্পানির সবগুলোই ছিল। ৬৬ কোম্পানির দরই বেশি পড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার বিভিন্ন চাপে রয়েছে। এ সময়ে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা সমীচীন হয়নি। যে কারণে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের চাপ নিতে পারেনি পুঁজিবাজার।

বিএসইসি বড্ড অসময়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে বলে অনেকে সমালোচনাও করেছেন। বাজারে যখন লেনদেন ১৫০০-২০০০ কোটি হচ্ছিল এবং সূচকে তেজিভাব ছিল, ওইসময় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া যেত বলে অনেকে মনে করেন। আর এই মুহুর্তে তুলে নেওয়াটাকে খামখেয়ালি বলেই মনে করছেন অনেকে।

জানা গেছে, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮২.৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৪.৭৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৫০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০.৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৯৭.৬৬ পয়েন্টে এবং ১৯৯০.৩৯ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৪৭৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৭.৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৩৭.০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২১৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৪টির আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।