দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বিডি ২০২০ সালের সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৫০০ শতাংশ ক্যাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছিল। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচিত বছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৭০ টাকা ৫৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮০ টাকা ৯৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫৪১ টাকা ৭০ পয়সা।

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও ৩ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি এ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। ২০১৯ সালেও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছিল। বিস্তারিত আসছে

দরপতনে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবু আহম্মেদ: পুঁজিবাজারে টানা তিন কার্যদিবসে বড় উত্থানের পর বৃহস্পতিবার দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন বিমা খাতের কোম্পানি বাদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। এতে ৮৩ পয়েন্ট প্রধান সূচক কমেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২১৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে। পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

তবে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ৬৬ কোম্পানির শেয়ারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে যে সব বিনিয়োগকারীরা শেয়ার আটকে রাখছেন তারা এখন ফোর্স আতঙ্কে রয়েছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ ধরনের সিদ্ধান্ত হঠকারী বলে মনে করেন কেউ কেউ। তবে বিএসইসি বড্ড অসময়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে বলে অনেকে সমালোচনাও করেছেন। বাজারে যখন লেনদেন ১৫০০-২০০০ কোটি হচ্ছিল এবং সূচকে তেজিভাব ছিল, ওইসময় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া যেত বলে অনেকে মনে করেন। আর এই মুহুর্তে তুলে নেওয়াটাকে খামখেয়ালি বলেই মনে করছেন অনেকে।

দীর্ঘ সময় ধরে একই দরে আটকে ছিল পুঁজিবাজারের শতাধিক কোম্পানি। এসব কোম্পানির শেয়ার দর মাঝে মাঝে কিছুটা বাড়লেও কমে আবারও আটকে থাকত ফ্লোর প্রাইসে। এর ফলে নির্ধারিত দরের নিচে লেনদেন হওয়ার সুযোগ ছিল না কোম্পানিগুলোর। সর্বশেষ বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়মিত সভায় উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন দর। বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা সহসাই উঠছে না।

তবে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত তৈরি করে ফ্লোর প্রাইস। যে কোম্পানি লেনদেন হওয়ার কথা, সেটি লেনদেন হচ্ছে না। আর হলেও সেই কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে না। এসব কোম্পানির শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে আছে তারা পারছেন না শেয়ার বিক্রি করতে। কারণ যে দরে ফ্লোর প্রাইস ধরা হয়েছে সে দরে কেউ কিনতে চান না।

তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়ায় সে কোম্পানিগুলোর এখন হয় শেয়ারের দর বাড়বে নাহয় কমবে। বিনিয়োগকারীরা স্বাধীনভাবে তাদের শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। লকডাউনের মধ্যে টানা তিন দিন সূচকের উত্থান হয়েছে। এক-দুই দিন কমবে। এটাই স্বাভাবিক। সূচক পতন হয়েছে বলে যেসব বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে আছেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

কেউ কেউ আবার কম সময়ে যা লেনদেন হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, লকডাউন আবার বাড়াবে কিনা এই ধরনের কিছু প্রশ্নের কারণে এ সপ্তাহে অনেকেই বাজারে আসেননি। তারা আগামী সপ্তাহ থেকে আবার যথারীতি মার্কেটে আসলে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ নিয়ে আতঙ্কিত বা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

সূত্রমতে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যা গতবছরের ১৯ মার্চ করোনা মহামারির কবলে পতনরোধে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ৪৪টি কোম্পানি সিকিউরিটিজ ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। যা সহসাই তোলা হবে না বলে বিশ্বস্তসূত্র দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে নিশ্চিত করেছে।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ৬৬ কোম্পানির শেয়ারে লন্ডভন্ড: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানা শঙ্কার মধ্যে বুধবার (০৭ এপ্রিল) ৬৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দর সীমা) প্রত্যাহার করে নেয়। যাতে প্রত্যাশিতভাবে লেনদেনের প্রথমদিনেই (বৃহস্পতিবার ০৮ এপ্রিল) সেগুলোর প্রায় সব কোম্পানির দরপতন হয়েছে। এরমধ্যে ব্যতিক্রম ছিল একমাত্র নাভানা সিএনজি। কোম্পানিটির দর বেড়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে বুধবার লেনদেন শেষে প্রায় ১১০টি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে ছিল। এরমধ্যে ৫০ টাকার নিচে অবস্থান করা ৬৬ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইস। যেগুলোর বাজার মূলধন ৫ শতাংশের কাছাকাছি। বিএসইসি ধারণা করেছিল, এ ৬৬ কোম্পানির দর পতন হলেও বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না। যার আলোকে কোম্পানিগুলো থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়।

কিন্তু ওইসব কোম্পানির দর পতনে অন্যসব কোম্পানির উপরেও যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটি কমিশন আমলে নেয়নি। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ৬৬টি কোম্পানির মধ্যে আজ লেননেদ হয়েছে ৬৩টি কোম্পানির। এরমধ্যে ৬১টির দর পতন হয়েছে। আর নাভানা সিএসজির দর বেড়েছে ও আরএন স্পিনিংয়ের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। বাকি ৩ কোম্পানির শেয়ার রেকর্ড ডেট ও স্থগিতাদেশের কারণে লেনদেন হয়নি।

লেনদেন না হওয়া ৩ কোম্পানির মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে গোল্ডেন হার্ভেস্টের লেনদেন আজ বন্ধ ছিল। এছাড়া বিডি সার্ভিসের শেয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিক্রেতা না থাকায় লেনদেন হয় না এবং পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে স্টক এক্সচেঞ্জ। বিনিয়োগকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করে বলছেন, বিএসইসি বড় অসময়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে। বাজারে যখন লেনদেন ১৫০০-২০০০ কোটি হচ্ছিল এবং সূচকে তেজিভাব ছিল, ওইসময় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া যেত বলে অনেকে মনে করেন। আর এই মুহুর্তে তুলে নেওয়াটাকে খামখেয়ালি বলেই মনে করছেন অনেকে।

তবে কমিশনের একটি সূত্রে জানা গেছে, কমিশন ধারণা করেছিল মূল্যসূচক ৫৯০০ থেকে নেমে কারেকশন হয়ে ৫৬০০ পয়েন্ট পর্যন্ত নামবে। এরপরে সূচক আবার উর্ধ্বমূখী হবে। ওইসময় ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হয়নি। সূচক ধারাবাহিক পতন হয়ে ৫ হাজার ১শ’র নিচে নেমে যায়। যে কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ি ফ্লোর প্রাইস তোলা সম্ভব হয়নি। এখন বাজার তেজিভাবে ফেরায় প্রতিষ্ঠানটি ফ্লোর প্রাইস তোলার উদ্যোগ নেয়।

দরপতন বিষয় নিয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত তৈরি করে ফ্লোর প্রাইস। যে কোম্পানি লেনদেন হওয়ার কথা, সেটি লেনদেন হচ্ছে না। আর হলেও সেই কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে না। এসব কোম্পানির শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে আছে তারা পারছেন না শেয়ার বিক্রি করতে। কারণ যে দরে ফ্লোর প্রাইস ধরা হয়েছে সে দরে কেউ কিনতে চান না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ায় সে কোম্পানিগুলোর এখন হয় শেয়ারের দর বাড়বে না হয় কমবে। বিনিয়োগকারীরা স্বাধীনভাবে তাদের শেয়ার লেনদেন করতে পারবে।’‘লকডাউনের মধ্যে টানা তিন দিন সূচকের উত্থান হয়েছে। এক-দুই দিন কমবে। এটাই স্বাভাবিক। ‘সূচক পতন হয়েছে বলে যেসব বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে তাদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।’

নিম্নে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া ৬৬ কোম্পানির তথ্য তুলে ধরা হল: পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিস, আর এন স্পিনিং মিলস, বাংলাদেশ সার্ভিসেস, আইএফআইসি ইসলামি মিউচুয়াল ফান্ড, জাহিন স্পিনিং, রিং সাইন টেক্সটাইল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, ইভেন্সি টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিম, মেট্রো স্পিনিং, কাট্টালী টেক্সটাইল, ফার কেমিক্যাল, দেশবন্ধু পলিমার, ইয়াকিন পলিমার, সাফকো স্পিনিং মিলস, ওয়েস্টান মেরিন শিপইয়ার্ড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল, বিচ হ্যাচারি, সীমটেক্স ইন্ডাস্ট্রি, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রি, হামিদ ফেব্রিক্স,

প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস, সায়হাম কটন, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, গোল্ডেন হারভেস্ট, এএফসি অ্যাগ্রো, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, বেঙ্গল ওয়েন্ডসন, এমএল ডাইং, প্যারামাউন্ড টেক্সটাইল, সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রি, দুলামিয়া কটন, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, উসমানিয়া গ্লাস শিট, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ইসলামি লাইফ, স্ট্যান্ডার্ন্ড ইন্স্যুরেন্স, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, ঢাকা ইলেকট্রনিক্স সাপ্লাই কোম্পানি, নাভানা সিএনজি, গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিকেল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, সোনারগাঁ টেক্সটাইল, সায়হাম টেক্সটাইল, রূপালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, কুইস সাউথ টেক্সটাইল মিলস, অ্যাডভান্ট ফার্মা, ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ইস্কিউ নিট, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রি, শাসা ডেনিম, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রি, আর্গন ডেনিম, ইন্দো বাংলা ফার্মা ও সালভো ফার্মা এবং ওয়াইমেক্স ইলেকট্রনিক্সস।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় দরপতন: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ৬৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দর সীমা) তুলে নেওয়ার নির্দেশনায় পুঁজিবাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটা গতকালকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরু থেকেই বাস্তবে প্রমাণ মিলে। যে সিদ্ধান্তের কারণে পুঁজিবাজার দেখল বড় পতন।

আগের কার্যদিবস বুধবার বিএসইসি ৬৬ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। যাতে স্বাভাবিকভাবেই ওইসব কোম্পানির দর পতন প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বাজারে ওই কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহন খুব কম হলেও এগুলোর পতন অন্য কোম্পানিগুলোর উপরে পড়ার আশঙ্কা ছিল। আজকের লেনদেনে সেই শঙ্কা বাস্তব হয়েও দেখা দিল। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৬৪টির দর পতন হয়েছে। দর বেড়েছে মাত্র ৪৭টির। বাকি ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

দর পতনে হওয়া ২৬৪টি কোম্পানির মধ্য ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ৬৬টি কোম্পানির সবগুলোই ছিল। ৬৬ কোম্পানির দরই বেশি পড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার বিভিন্ন চাপে রয়েছে। এ সময়ে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা সমীচীন হয়নি। যে কারণে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের চাপ নিতে পারেনি পুঁজিবাজার।

বিএসইসি বড্ড অসময়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে বলে অনেকে সমালোচনাও করেছেন। বাজারে যখন লেনদেন ১৫০০-২০০০ কোটি হচ্ছিল এবং সূচকে তেজিভাব ছিল, ওইসময় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া যেত বলে অনেকে মনে করেন। আর এই মুহুর্তে তুলে নেওয়াটাকে খামখেয়ালি বলেই মনে করছেন অনেকে।

জানা গেছে, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮২.৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৪.৭৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৫০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০.৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৯৭.৬৬ পয়েন্টে এবং ১৯৯০.৩৯ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৪৭৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৭.৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৩৭.০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২১৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৪টির আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইতে ৫০ কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই ৫০ কোম্পানির বেশি শেয়ারের ক্রেতা উধাও হয়ে যায়। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবগুলোই ৬৬টি কোম্পানির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত।

এদিকে, লেনদেন শুরু হতেই প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক পড়ে যায় ৬০ পয়েন্টের বেশি।

অথচ এর আগে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ-এর মধ্যে পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। বিধিনিষেধ আরোপের প্রথম তিন দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় আড়াইশ পয়েন্ট বেড়ে যায়। ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার কমিশন সভা করে তালিকাভুক্ত ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে এই কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি। বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের পর রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কড়া সমালোচনা করতে থাকেন।

পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এসব বিনিয়োগকারীরা পোস্ট দেন বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের কারণে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে। ফলে প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স-এ ৬০ পয়েন্ট পড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সূচকের পতন প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দাম কমার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।

সিঙ্গার বিডির পর্ষদ সভা ১৫ এপ্রিল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১৫ এপ্রিল বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

জনতা ইন্স্যুরেন্সের ডিভিডেন্ডের সভা ১৫ এপ্রিল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জনতা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১৫ এপ্রিল দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।