দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসি) লিমিটেড, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেড, জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড।

পূবালী ব্যাংক: পূবালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামীকাল ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এনসিসি ব্যাংক: আগামীকাল এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স: আগামীকাল বীমা খাতের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া একই পর্ষদ সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।

ব্র্যাক ব্যাংক: আগামীকাল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

লিবরা ইনফিউশনস: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

জনতা ইন্স্যুরেন্স: জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পর্ষদ সভা ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া একই সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।

সিঙ্গার বাংলাদেশ: সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পর্ষদ সভা ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেনের চমক ৩ কোম্পানির: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির ৯০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার ৫৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৯০ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭৩ কোটি ৯৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে যমুনা ব্যাংকের।

এছাড়া আর্গন ডেনিমসের ৫ লাখ টাকার, বিবিএস কেবলসের ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ১১ লাখ টাকার, ডিবিএইচের ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, আইএফআইসির ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার,

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, লিবরা ইনফিউশনের ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ১০ লাখ টাকার এবং উত্তরা ব্যাংকের ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের বিষয়ে ডিএসইর সতর্কবার্তা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাধারণ বীমা কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ ১১ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৫০ শতাংশের উপরে। আর ৮ কার্যদিবসে দর বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ বলছে, কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে অস্বাভাবিক বাড়ার কোন কারণ নেই। শেয়ারটির এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শঙ্কা জানিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে।

ডিএসই বলছে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণে ৮ এপ্রিল কোম্পানিটিকে নোটিশ করা হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দর বেড়েছে তার জন্য অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৫ কার্যদিবস যাবত কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে। গত ২১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ৬৪ টাকা। সেখান থেকে টানা বেড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৯৯ টাকায় উঠেছে।

শেয়ারের এমন দর বাড়া কোম্পানিটি ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তার আগে ২০১৮ সালেও ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল কোম্পানিটি। আর ২০১৭ ও ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় বীমা কোম্পানিটি।