দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: বরিশাল আদালত ভবন এবং মডেল মসজিদের নির্মাণকাজের প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক নিয়ে ২ ঠিকাদারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১১ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পলি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী আকবরুজ্জামানের সঙ্গে অংশীদারী ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমনের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বিভিন্ন মাধ্যম জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পলি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী আকবরুজ্জামানের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে দীর্ঘদিন গণপূর্ত দপ্তরের কাজ করে আসছিলেন ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমন। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে সম্পন্ন হওয়া কাজের চেক নিয়ে ২ পক্ষে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে রোববার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল গণপূর্ত দপ্তরে ঠিকাদার আকবরুজ্জামান বহিরাগতদের নিয়ে চেক নিতে আসলে বাধা দেন সুমন।

গণপূর্তের একটি সূত্র জানায়, আকবরুজ্জামান ৪টি চেক নিতে এসেছিলেন। ওই চেকের জন্যই কিছুদিন আগে সুমনও এসেছিলেন। এ কারণে দুইজনকে সমঝোতা করে আসার জন্য চেকগুলো স্থগিত রেখেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা দেখিয়ে যদি কোনো পক্ষ চেক নিতে চায় তা হতে দেওয়া যাবে না।’

ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আকবরুজ্জামানের সঙ্গে তিনি অংশীদারের ভিত্তিতে ঠিকাদারি কাজ করতেন। তার লাইসেন্সে ২৩টি ঠিকাদারি কাজ করেছেন। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার ফোন দিয়ে আড়াই কোটি টাকা সমমূল্যের চেক নেওয়ার চেষ্টা করেন।

রোববার বহিরাগতদের সঙ্গে এনে ওই চেক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আকবরুজ্জামান। এ সময় তিনি বাধা দিয়ে আর্থিক হিসাব-নিকাশ মেটাতে বলেন। কিন্তু তা কর্ণপাত করেননি।

পলি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, তার কোম্পানির প্রধান আকবরুজ্জামানের সঙ্গে গণপূর্তে যান। এ সময় মোট আড়াই কোটি টাকা সমমানের ৪টি চেক গ্রহণের জন্য আকবরুজ্জামানের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর কথা হয়। এর একপর্যায়ে সেখানে ঠিকাদার সুমন এসে বাধা দেয়। তার লোকজন আমাকে ধাক্কা দেয় এবং ভয়ভীতি দেখায়।

এ ব্যাপারে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে অংশীদারিত্ব নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তার দপ্তরে একটি সভা চলাকালে তিনি হট্টগোল শুনতে পান। এ ঘটনা পুলিশকে জানালে তারা বহিরাগতদের বের করে দেয়।