দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আড়াই ঘন্টার লেনদেন চলবে। ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্তের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, ‘ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে।’

এর আগে আজ দুপুরে ব্যাংক খোলার রাখার বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির পর ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএসইসি আগে থেকেই বলে আসছিল, ব্যাংক খোলা থাকলেই পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। সেই অনুযায়ী, ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহস্পতিবার থেকে লেনদেন সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে ব্যাংক কয়টা থেকে খোলা থাকবে, কোনো ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে তার ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের লেনদেন। ব্যাংক খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করেনি। তবে বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষপর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে শেয়ারবাজার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ধ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই আলোকে আমরাও পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পুঁজিবাজারের কার্যক্রম শুরু হবে।

এর আগে লকডাউনেও ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শাখা খোলা থাকবে। ব্যাংকের নিজস্ব কার্যক্রম পরিচারনার জন্য তিনটা পর্যন্ত শাখা খোলা রাখা যাবে। এর আগে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অধিশাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানানো হয়।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনায় সারাদেশে বৈদেশিক লেনদেন শাখা ছাড়া দেশের সব ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা আদেশের পর সারাদেশে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে সে কারনে, পুঁজিবাজারেও অনেকটা স্থবিরতা নেমে আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। বিশ্বের কোনও দেশেই লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ রাখার নজির না থাকলেও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে সমালোচনা বাড়তে থাকে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে এ সময়ে জেনারেল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা এডি শাখা ও নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকার শাখাগুলো খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, অথরাইজড ডিলার বা এডি শাখা ও নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকার শাখাগুলোর কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় শাখার আইটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোরে কার্যক্রম চলমান থাকবে। এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা, এই কয়দিন কী করা যাবে, বিশেষ ছাড়ে কী কী করা যাবে প্রজ্ঞাপনে তার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা আছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে করে মানুষকে ঘরে রাখা জরুরি। সবকিছু খোলা রেখে সেটা যেমন সম্ভব না, সব বন্ধ করলেও জীবন-যাপন ব্যাহত হবে। সে কারণেই প্রয়োজন বিষয়টিকে ফোকাস করা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া এসময় কোনওভাবেই ঘর ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কাল থেকে এক সপ্তাহের জন্য পুঁজিবাজার বন্ধের নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। সেই অনুযায়ী, বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা অনেকটা ছুটির আমেজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান।

বাসায় ফিরে দুপুরের পর আবার শুরু হয়েছে চিন্তা। সেই চিন্তা পুঁজিবাজার খুলবে কী, খুলবে না তা নিয়ে। আর সেই অপেক্ষার শেষ হয়েছে বিএসইসির পুঁজিবাজার খোলার রাখার সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে। তাতে আগামীকাল পয়লা বৈশাখের ছুটির পর পরশু থেকে আবার পুঁজিবাজার চালু হচ্ছে।

সাধারণ ছুটির আগে স্বস্তির পুঁজিবাজার, সূচক বেড়েছে ৭০ পয়েন্ট: করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরের সময়টায় আট দিনের জন্য ব্যাংকের পাশাপাশি বন্ধ হচ্ছে পুঁজিবাজার। এর আগে সবশেষ লেনদেনে দেখা গেল সূচকের উত্থান। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ এপ্রিলের পর আবার শুরু হবে পুঁজিবাজারের লেনদেন।  বন্ধের আগে দিন মঙ্গলবার আস্থার পরিচয় দিল বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনের শুরুতে সূচক পতনের ঠাক্কা লাগলেও তা টিকেনি। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সূচকসহ লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।

এর আগের বছর করোনা মহামারি বেড়ে যাওয়ায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল পুঁজিবাজারের লেনদেন। সে সময় পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার কয়েক কার্যদিবস আগে লেনদেন নেমে এসেছিল ৪৯ কোটি টাকায়। এছাড়া একশ থেকে সর্বোচ্চ চারশ কোটি টাকায় ছিল লেনদেন। একই ভাবে গত বছর পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার আগের দিন সূচক বেড়েছিল মাত্র ৩২ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছিল ৩৪৮ কোটি টাকা। কিন্ত এ বছর করোনা মহামারিতে পুঁজিবাজার বন্ধের আগের দিন সূচক বেড়েছে ৭০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫১১ কোটি টাকা।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭০.২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৮.৫০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫.৬০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৯৮.৫৭ পয়েন্টে এবং ১৯৯৭.৬৩ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৫১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৪৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ২২৮টির বা ৬৫.৭১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৬৩টির বা ১৮.১৫ শতাংশের এবং বাকি ৫৬টির বা ১৬.১৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৫.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৯৪.৪৫ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ ২১৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির আর ২৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

দুই বীমা কোম্পানির শেয়ার কারণ ছাড়াই দাম বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের দুই কোম্পানির শেয়ারের দরন বাড়ার কোন কারন নেই। কোম্পানিগুলো কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে শেয়ারের দর। এর মধ্যে একটি সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স ও পুরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স। শেয়ারের দর বাড়ার কারন নেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য মতে, কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ১২ এপ্রিল ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৪২.৮০ টাকা। আর ১২ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১.২০ টাকায়। ফলে ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮.৪০ টাকা বা ৪৩ শতাংশ।

পূরবী জেনারেল: কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে শেয়ারবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য মতে, কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ১১ এপ্রিল ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ২৪ টাকা। আর ১২ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকায়। ফলে ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা বা ৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ইন্দো-বাংলা ফার্মার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: শেয়ারবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ উৎপাদন এওবং বিপণনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে এখন থেকে কোম্পানিটি তাদের পণ্যের উৎপাদন এবং বিপণন করতে পারবে। এর আগে গত ২৩ মার্চ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ওষুধ উৎপাদন এবং বিপণনে নিষেধাজ্ঞার একটি চিঠি দিয়েছিল। ইন্দো-বাংলা ফার্মা ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে একটি রিট আবেদন করেছিল।

পূবালী ব্যাংকের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন: শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পূবালী ব্যাংক তাদের সম্পদ পুর্নমূল্যায়ন করেছে। এ সম্পদ পুর্নমূল্যায়নের প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, কোম্পানিটির জমি এবং সম্পদ পুর্নমূল্যায়েনের পর ৫২ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা কমেছে। পুনর্মূল্যায়নের আগে জমি এবং সম্পদের মূল্য ছিল ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৭ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৬ টাকা। এদিকে কোম্পানি জানিয়েছে, সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের রিপোর্ট ব্যালান্স শিটের রিজার্ভের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হলো ৩ কোম্পানি: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে নতুন তিনটি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানি তিনটি হলো, রবি আজিয়াটা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন এবং মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড। আগামী রোববার থেকে কোম্পানিগুলো ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হবে।

মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নগদ লভ্যাংশ প্রেরণ: শেয়ারবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালনি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে প্রেরণ করেছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।