দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নিউ ইয়র্কের ন্যাসডাক এক্সচেঞ্জে নাম লেখালো ক্রিপ্টোকারেন্সির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুদ্রা বিটকয়েন। আর, এর ঠিক আগমুহূর্তে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম উঠল বিটকয়েনের। ৬২ হাজার ৭৪১ ডলারে উঠেছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মুদ্রার দাম। বুধবার নিউ ইয়র্কের ন্যাসডাক এক্সচেঞ্জে নাম লেখানোর বিষয়টি ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থকদের জন্য বিশাল এক অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

জনপ্রিয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রম‍শ মূলধারার লেনদেনে জায়গা করে নিচ্ছে। মঙ্গলবারই এর দাম বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। আরেক ডিজিটাল মুদ্রা ইথেরিয়ামেরও দাম রেকর্ড পর্যায়ে গিয়েছে। এক ইথেরিয়ামের দাম এখন দুই হাজার দুইশ’ পাঁচ ডলার।

বিএনওয়াই মেলন, মাস্টারকার্ড এবং টেসলার মতো বড় প্রতিষ্ঠান এখন ডিজিটাল মুদ্রায় হয় বিনিয়োগ করেছে বা এই মুদ্রাবান্ধব অবস্থান নিয়েছে। গত মাসেই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন কেনে। ওই সময়েই বিটকয়েনের মূল্য প্রথমবারের মতো ৬০ হাজার ডলারের মাইলফলক পেরোয়। তবে, গত দুই সপ্তাহে এই মুদ্রার দামে তেমন হেরফের হয়নি।

বিটকয়েনের দাম যখনই নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় তখনই এই মুদ্রাভিত্তিক নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা তৈরি হয় এবং আমরা এক দফা লাভ অর্জনের সাক্ষী হই – বলেন কয়েনশেয়ারের ডিজিটাল সম্পদ ব্যবস্থাপক জেমস বাটারফিল।

৩ ব্যাংকের ৪০২ কোটি টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের তিন কোম্পানি সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৪০২ কোটি টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ব্যাংক ৩টি হলো- ইস্টার্ন ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড: সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৭.৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড।

ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৪২ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে। অবশিষ্ট ১২৫ কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে যাবে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৫ পয়সা।

৩৫ শতাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেবে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। অবশিষ্ট ১ টাকা ৫৫ পয়সা কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে যাবে। আগামী ৩০ মে, বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ মে।

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড: সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পূবালী ব্যাংক ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা। এরমধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেবে ১ টাকা ২৫ পয়সা। অবশিষ্ট ২ টাকা ৩৫ পয়সা কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে যাবে।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি মোট মুনাফা করেছে ৩৭০ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৮ টাকা। এরমধ্য ১২.৫০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১.২৫ টাকা হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেবে ১২৮ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭৩ টাকা। বাকি ২৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৪১৫ টাকা কোম্পানিটির রিজার্ভ ফান্ডে যাবে। ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ মে।

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড: সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। এরমধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড হিসাবে দেবে ১ টাকা ৫০ পয়সা। অবশিষ্ট ২ টাকা ৩৩ পয়সা কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে যাবে।

অর্থাৎ কোম্পানিটি অর্জিত মুনাফার শেয়ারহোল্ডারদের দেবে ১৩২ কোটি ৫৮ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৬ টাকা। অবশিষ্ট ৩০৮ কোটি ৯২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪৯ টাকা কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে যাবে। ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ মে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ মে।

নতুন বছরে ‘স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের’ প্রত্যাশা: অস্থিরতা নয়, নতুন বছরে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা করেন বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে বাংলা বর্ষের শেষ দিন ছিল চাঙ্গা পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা এক কার্যদিবস নয়, নতুন বছরের প্রতিটি কার্যদিবস পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকুক। কারন বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ধারাবাহিক স্থিতিশীলতা জরুরী। কারন বাজার কয়েক বার স্থিতিশীলতার আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত বাজার টিকেনি। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, নতুন বছরে তারা একটি স্থিতিশীল বাজারের পরিবেশ ফিরে পাবেন।

অন্যদিকে নতুন বছরে পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, চলতি বছর বাজার নিয়ে আরও কাজ করা হবে। এতে সম্প্রসারিত হবে পুঁজিবাজার। বাড়বে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। এতে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।

বাজার বিশ্লেষণ ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, গত বছর (বাংলা ১৪২৭) নানা চরাই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। বছরজুড়ে বেশিরভাগ সময়ই বাজারের নাজুক পরিস্থিতি দেখা গেছে। পাশাপাশি কভিড-১৯-এর কারণে এ সময় পুঁজিবাজার ৬৬ দিন বন্ধ থাকে। লেনদেনও কমে যায়। ফলে বাজার ভালো হবে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে যারা বাজারে এসেছিলেন, বছর শেষে তাদের বেশিরভাগ লোকসানের কাতারে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই বিনিয়োগকারীরা জানান, গত বছর বাজারে যে পরিস্থিতি ছিল, এ বছরও যদি তেমন হয় তাহলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, অতীতের সব কষ্ট, বেদনা ভুলে নতুন বছরে নতুন কিছুই করছি। আমাদের প্রত্যাশা একটি স্থিতিশীল বাজার। তিনি বলেন, ‘আমরা গত বছরের মতো দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। আমাদের স্বপ্ন একটি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার। আমার বিশ্বাস, নতুন বছরে আমাদের এই প্রত্যাশা পূরণ ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগোলে ভবিষ্যৎ ভালো যাবে বলা যায়। তিনি বলেন, সামনের দিনে নতুন নতুন ভলো প্রতিষ্ঠান বাজারে আসবে। এতে বিনিয়োগকারীরা আশান্বিত হবেন। সুতরাং হতাশ হওয়ার কিছু নেই, চড়াই-উতরাইয়ের পর অবশ্যই সম্ভাবনা আসবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, প্রথমেই সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বরং এখনই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে অনেকে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার কারণে বেশকিছু মৌলভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারের দামও অনেক নিচে নেমে গেছে। তাই ট্রেডিং না করে পুঁজিবাজারে এখনই বিনিয়োগ করার সময় যাচ্ছে। কমপক্ষে এক বছরের জন্য হলেও বিনিয়োগ করা উচিত। তাতে ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ কিন্তু ভালো মৌলভিত্তি শেয়ারে করা উচিত। বিশেষ করে অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে যেসব কোম্পানির অবস্থা মজবুত তাদের শেয়ারে বিনিয়োগ করলে আশানুরূপ গেইন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসতে পারে। কারণ তাদের অ্যানালাইসিসের আলাদা উইং রয়েছে। তারা যদি বাজারে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ করেন তাহলে বাজার টেকসই হবে।

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, নতুন বছরে বিনিয়োগকারী সহ বাজারসংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার। তবে কোভিড-১৯ মহামারি যখন অর্থনীতিতে আঘাত হানে তখন পুঁজিবাজারের কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে। ফের দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হলে পুঁজিবাজারের ক্ষতি হবে। এ সময় যাদের অর্থ আছে তারা ইচ্ছা করলে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে করতে পারে। কারন দীর্ঘমেয়াদে ভাল শেয়ার বিনিয়োগ করলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বিশেষ করে কিছু কিছু ব্যাংক এ বছর যে ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছে সে সকল ব্যাংকে বিনিয়োগ করার বিষয় তিনি উৎসাহিত করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করছি। আগামী বছর (চলতি) আমাদের কাজের পরিধি আরও বাড়বে। আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, যা নতুন বছরে বাস্তবায়িত হবে। এ বছর বাজারে নতুন বন্ডের সংখ্যাও বাড়বে। আইপিও মার্কেটও আরও বড় হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে আইপিওর সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে প্রাইমারি মার্কেট ভালো হবে। পাশাপাশি নতুন বছরে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে বলেও আমরা আশাবাদী। আর বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়লে পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হবে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্যও ভালো হবে।’

লকডাউনে বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলা: সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। বিএসইসির সরকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. সহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকার কারণে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রক্ষার স্বার্থে লেনদেন ও নগদ অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে কমিশনের অফিস সময়সূচী হবে সকাল সাড়ে ৯টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ সময়সূচি সমন্বয় করবে।

এতে আরো বলা হয়, অফিস চলাকালীন সময়ে ৫০ শতাংশ কর্মচারী অফিসে উপস্থিত থাকবে। কমিশনের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেওয়া করা হবে। এছাড়া কমিশনের চিকিৎসক সকলকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করবেন। স্ব স্ব বিভাগীয় প্রধানগণ তার বিভাগের কর্মচারীদের উপস্থিতির তালিকা নির্ধারণ করবেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ব্যাংক খোলা রাখার ঘোষণায় পুঁজিবাজারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অর্থসূচককে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সে সময় বলেন, ব্যাংক ছাড়া পুঁজিবাজারের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা চাইলেও ব্যাংক ছাড়া আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতাম না। এখন যেহেতু ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত এলো আমাদের পুঁজিবাজারের কার্যক্রমও চলবে।

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত দৈনিক ব্যাংকিং সময়সূচী সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে৷ যথারীতি প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ থাকবে৷ তবে ১৫ মিনিট (১২টা ৩০ মিনিটি – ১২টা ৪৫ মিনিট) পোষ্ট কোজিং সেশন চালু থাকবে৷

প্রসঙ্গত, ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্তের পর একসপ্তাহের জন্য পুঁজিবাজারও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলো নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কিন্তু এরপর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মঙ্গলবারের (১৩ এপ্রিল) চিঠির পর ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে মত বদলায় বিএসইসিও। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

অফিস আইডি মুভমেন্ট পাশ হিসাবে অনুমতি চায় বিএমবিএ: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সহ পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্ট সকলের অফিস আইডিকে মুভমেন্ট পাশ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবরে বুধবার (১৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেয় বিএমবিএ।

আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের মত লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ক্যাপিটাল মার্কেটের কার্যক্রম চালু থাকবে। এই কারণে কাল বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) থেকে ডিএসই, সিএসই, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক সহপুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাপিটাল মার্কেটের সকল অফিস, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে চলাচল করা ও অফিসে উপস্থিত হওয়া লাগবে। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অফিস আইডিকে মুভমেন্ট পাশ হিসেবে ব্যবহারের করার অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করা হলো।