দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনার সংক্রমণের হার এখনও বেশি। মৃত্যুর হারও রেকর্ড অতিক্রম করছে প্রতিদিন। এ অবস্থায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সরকারের কাছে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না হওয়ায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক দফা বাড়ছে।শনিবার দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে ফোনে লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা দেশে লকডাউন চলছে। সরকার সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এটা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি লকডাউন আরও বাড়ানো উচিত।’

জানা গেছে, আগামী ১৯ এপ্রিল সোমবার এ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভার মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। চলমান ৮ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ এপ্রিল রাত ১২ টায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, করোনার এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ সংক্রমণের হার তো কমছে না। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। মাঝপথে সবকিছু খুলে দিলে সরকারের সব উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। চরম হুমকিতে পড়বে মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা।

সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি ও সমাজ সচেতন মহল থেকে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ আছে। তবে সেটি হবে প্রকৃত লকডাউন। তা যদি বাস্তবায়ন করা যায় তবেই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে আগামী ২০ এপ্রিল তা জানা যাবে। একইদিন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্য়োগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, লকডাউন বাড়ছে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকার গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।

সর্বশেষ আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১০ হাজার ২৮৩ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি ভাইরাসটি ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৪৭৩ জনের শরীরে।এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন।এর আগে গত শুক্রবারও (১৬ এপ্রিল) ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

বরিশালে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মাকে নিয়ে ছেলে হাসপাতালে: অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। শরীরের সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে করে এক বয়স্ক নারী রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন এক ব্যক্তি। শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের সামনের এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ছবিতে দেখা গেছে, একজন মোটরসাইকেল চালক একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে বয়স্ক এক নারী আরোহীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটছেন হাসপাতালের দিকে। সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন আরও দুইজন আরোহী। বিকেল ৩টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া হিরন পয়েন্টে এই দৃশ্য দেখা যায়।

এ দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের বরিশাল প্রতিনিধি। বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সূর্যেখালী গ্রামের হাকিম মোল্লার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫৮) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এটা করোনা সংক্রমণের উপসর্গ। ফলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার। কিন্তু লকডাউনে যানবাহন বন্ধ। আবার জরুরিভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যাচ্ছিলো না।

তাই একটা উপায় বের করলেন তার ছেলে জিয়াউল হাসান টিটু। মোটরসাইকেল ও নিজের পিঠের সঙ্গে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। এরপর মাকে বসালেন। সিলিন্ডার থেকে মায়ের মুখে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। এরপর মোটরসাইকেল চালিয়ে শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এলেন। রেহেনা বেগমকে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

মোটরসাইকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসার একটি ছবি কেউ ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়। এমন ছবিটিকে অনেকে হৃদয়বিদারক বলে অভিহিত করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান জানান, বর্তমানে রেহেনা বেগমের অবস্থা ভালো। বৃদ্ধার ছেলে জিয়াউল হাসান টিটু বলেন, রেহেনা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে কষ্ট পাচ্ছিল। লকডাউনে যানবাহনও চলছে না। আর জরুরিভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সও না পাওয়া এই উপায় বের করেন। তবে রেহেনা বেগমকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে হাইফ্লোর মেশিনের সাহায্য নেওয়া হবে।’

সেখানে দায়িত্বরত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীকে ধরে রোগী নিজেই বসে ছিলেন। যিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি হেলমেট পরা ছিলেন। তার চেহারা আমরা দেখতে পারিনি বা দেখার চেষ্টাও করিনি। তাদের থামিয়ে হয়তো পরিচয় শনাক্ত করতে পারতাম, কিন্তু সেটি হতো অমানবিকতা। অক্সিজেন পরিহিত যে নারী ছিলেন তার বয়স দেখে মনে হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহীর মা হতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দিক থেকে মোটরসাইকেলটি আসছিল। প্রথমে মোটরসাইকেলটিকে থামানোর সিগন্যাল দেই, কিন্তু যখনই দেখি মোটরসাইকেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন মাস্ক পরে রোগী যাচ্ছেন তখন এক সেকেন্ডের জন্যও মোটরসাইকেলটি থামাইনি। বরং দ্রুত যেন চলে যায় সেই ব্যবস্থা করে দেই।

তৌহিদ টুটুল বলেন, রোগী বহনকারী মোটরসাইকেলটির পাশে আরেকটি মোটরসাইকেল ছিল। সেটিতে তাদের দুই স্বজন ছিল। মূলত রোগী যেন পড়ে না যান সেজন্য তারা পাশাপাশি চালিয়ে আসছিলেন। আমরা চেকপোস্ট অতিক্রম করিয়ে দিলে গাড়ি দুটো দ্রুত বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়।

ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই চেকপোস্টে দায়িত্বরত সার্জেন্ট টুটুলের প্রশংসা করছেন। এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এখন পর্যন্ত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির ওই রোগী ও স্বজনদের শনাক্ত করা যায়নি।

ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৪১ জনের মৃত্যু: প্রতিবেশী দেশ ভারতের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত তিন ধরেই দেশটিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২ লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিদিনই তা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুও লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্র: আনন্দবাজার।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৪১ জনের। একদিনে মৃত্যুর হিসাবে যা সর্বোচ্চ। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর মারা গিয়েছিল ১ হাজার ২৯০ জন। এই সংখ্যা এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শনিবার ছাপিয়ে দিল সেই সংখ্যাকে। করোনাভাইরাস ভারতে এখন পযর্ন্ত প্রাণ কেড়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জনের।

মহারাষ্ট্র ছাড়াও দেশটির বেশ কয়েক জায়গায় দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাব।’

করোনা সরাসরি ফুসফুসে ঢুকে যাচ্ছে, হচ্ছে না জ্বর-সর্দি: দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণের সংখ্যা ওঠানামা করলেও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, করোনায় গত ৭ এপ্রিল ৬৩ জন এবং ১০ এপ্রিল মারা যাওয়া ৭৭ জনের সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ৯৪ জনের মধ্যে ৯০ জন এবং বুধবার ৯৬ জনের মধ্যে ৯৪ জন হাসপাতালে মারা গেছেন। আর শুক্রবার ১০১ জনের মধ্যে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা বলছেন, অধিকাংশ রোগীই সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আসছেন। তাদের ফুসফুস দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। শুরুতে তেমন কোনো উপসর্গ না থাকা এবং রোগটির প্রতি মানুষের অবহেলাতেই এত মৃত্যু হচ্ছে বলে ধারণা করছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনেসথেশিয়া বিভাগের কনসালটেন্ট সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের ফুসফুস খুব দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে অল্প সময়ে ড্যামেজ (অকার্যকর) হচ্ছে। তাদের ফুসফুস ফুটবলের মতো হয়ে যায়। আমাদের এখানে যত রোগী আসছেন, প্রায় সবার একই অবস্থা। আমরা চেষ্টা করছি সবদিক দিয়ে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। অনেকে আবার প্রথমে লাইফ সাপোর্ট সুবিধা নিতে রাজি হন না।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা সাহানা বানু বলেন,‘নতুন ভ্যারিয়েন্ট ৭০ থেকে ৯০ ভাগ বেশি আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে এবং দ্রুত ছড়ায়। আগে যেমন নাকের ভেতরে গিয়ে সংখ্যা বৃদ্ধি করত, তারপর ফুসফুসে যেত। এখন তার আর দরকার পড়ে না। এটি এখন সরাসরি ফুসফুসে চলে যায় এবং ফুসফুসকে সংক্রমিত করে।

অর্থাৎ আগে ভাইরাসটি নাকে থাকলে সর্দি, কাশি ও জ্বর হতো; এখন সেগুলো হচ্ছে না। সরাসরি ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার পর সামান্য মাথাব্যথা, গা ব্যথা হয়। পরে সিটি স্ক্যানে দেখা যায় ফুসফুস ৩০ থেকে ৫০ ভাগ অকার্যকর হয়ে গেছে। ওদিকে করোনা পরীক্ষাতেও পজিটিভ না এসে বারবার নেগেটিভ আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে অবশ্যই অনেকগুলো ভ্যারিয়েন্ট এসেছে, যা আমরা প্রয়োজনীয় গবেষণার অভাবে শনাক্ত করতে পারিনি। যেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিপরীতে আমাদের কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই, সেহেতু ভাইরাসটি দ্রুত ছড়াবে। আর সামনে নতুন ভ্যারিয়েন্ট যেটি আসবে, সেটি আগের তুলনায় অনেক বেশি মারাত্মক হবে।’