দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: গত ২৬ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকার। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার। টানা ছয় দিনের মতো সূচকের উত্থানে শেষ হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন। বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। মঙ্গলবার গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হাজার কোটি টাকা লেনদেন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলমান লকডাউনে হাজার কোটি টাকা লেনদেন নতুন আস্থার পরিচয় দিল পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীরা এ সময়ে আতঙ্কিত না হয়ে শেয়ার বিক্রির চেয়ে শেয়ার ক্রয় বা বাজার পর্যবেক্ষণে মনোযোগী ছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাজার কোটি টাকার লেনদেনে পৌঁছাল পুঁজিবাজার। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকার। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার।

কয়েকদিন ধরেই বিমাখাতের শেয়ারে বেশ তেজিভাব ছিল পুঁজিবাজারে। তবে এর মধ্যে লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে থাকলেও মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের বেশ উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন এক হাজার ২০০ কোটির টাকার গণ্ডি ছাড়িয়েছে। যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে।

ডিএসই ওয়েব সাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৬০২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার। গত ২৫ জানুয়ারি ডিএসইতে এক হাজার ৫৪৫ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইতে এক হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ডিএসইতে এক হাজার ৫৪৫ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪২১ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ৩৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৫৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৩টির, দর কমেছে ৯৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টি কোম্পানির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেনের বড় উত্থান ছিল। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৪২ পয়েন্ট। সূচকটি ১৫ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার।

সিএসইতে মোট ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, দর কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।

৭১ পয়েন্ট সূচক উর্ধ্বমুখীতে বীমা খাতে ধস: টানা ছয় দিনের মতো সূচকের উত্থানে শেষ হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন। বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। মঙ্গলবার গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হাজার কোটি টাকা লেনদেন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বীমা খাতের শেয়ারে ধস নেমেছে। অীধকাংশ বীমা খাতের শেয়ার দরপতনের শীর্ষে।

পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৬১১ বারে ৩ লাখ ৩ হাজার ৩২৩ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ২ হাজার ১৪৫ বারে ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ১০৫ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ১ হাজার ৩৫৪ বারে ১০ লাখ ৫১ হাজার ১৫০ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে- ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ ও গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ উধাও: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির শেয়ার দর কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানি ৩টি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানি তিনটি হলো : অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্ট।

সম্প্রতি ডিএসই শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানি তিনটিকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানি তিনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ৪ এপ্রিল ছিল ৩৫ টাকায়। আর ২০ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ৭০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ১১ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ টাকা ৭০ পয়সা বা ৩১ শতাংশ বেড়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ৫ এপ্রিল ছিল ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা। আর ২০ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ১০ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ টাকা ১০ পয়সা বা ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ার দর গত ৪ এপ্রিল ছিল ১৬২ টাকা ৬০ পয়সা। আর ২০ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ২৩৩ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ এই ১১ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭১ টাকা বা ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।

নর্দার্ণ জুটের শেয়ার কারসাজিতে সাড়ে ৪ কোটি টাকা জরিমানা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাট খাতের কোম্পানি নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি গত ৭ মার্চ অভিযুক্ত ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু ওই ১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান কারসাজির মাধ্যমে মুনাফা করেছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা কোম্পানিটির ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার কারসাজি তদন্তে গঠিত কমিটির রিপোর্টে প্রমাণ হয় এবং অভিযুক্তদেরকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এই শাস্তি প্রদানের আগে সবাইকে শুনানিতে নিজেদের পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় বিএসইসি। কিন্তু তাদের কারও বক্তব্য কমিশনের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়নি বলে অভিযুক্তদেরকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করে কমিশন।

জানা যায়, নর্দার্ণ জুটের এই কারসাজিতে ৪টি দল সক্রিয় ভূমিকা রাখে। যারা ওইসময় সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য শেয়ার কিনে বাজারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরী করে এবং দর বাড়ায়। এই ৪টি দলের নেতৃত্বে ছিলেন আমানত উল্লাহ, সালেক আহমেদ সিদ্দিকি, পরিমল চন্দ্র পাল ও শিউলী পাল।

আমানত উল্লাহর নেতৃত্বে ৮টি বিও হিসাব থেকে নর্দার্ণ জুটের শেয়ার কারসাজিতে ভূমিকা রাখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই সময়কালীন মোট লেনদেনের মধ্যে ৪ অক্টোবর ২০.৪৮%, ৮ অক্টোবর ১৬.৯৭%, ৯ অক্টোবর ২৮.৪৩%, ১০ অক্টোবর ৩২.০৮%, ১৭ অক্টোবর ১১.৮৪%, ২১ অক্টোবর ১০.০৪%, ২৪ অক্টোবর ২১.৭৫%, ১ নভেম্বর ১৮.৫৫%, ৫ নভেম্বর ১১.২২% ও ৭ নভেম্বর ২৮.০৬% শতাংশ শেয়ার কেনা হয়।

আমানত উল্লাহ, তার সেলফোন নাম্বার ও ইমেইল অ্যাড্রেসের সন্দীপ কর্পোরেশন ও হাল ইন্টারন্যাশনাল, আমানত উল্লাহর কন্যা সেতারা বেগম, হাল ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যানের ভাই প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) কারসাজির মাধ্যমে ১ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার রিয়েলাইজড ও ১০ কোটি ৮০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার আনরিয়েলাইজড গেইন করে।

এরমধ্যে আমানত উল্লাহ ২টি বিও থেকে ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার রিয়েলাইজড ও ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার আনরিয়েলাইজড, সন্দীপ কর্পোরেশন ৩টি বিও থেকে ৩৩ লাখ ৬ হাজার টাকার রিয়েলাইজড ও ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার আনরিয়েলাইজড, সেতারা বেগম ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার রিয়েলাইজড ও ৪ লাখ ১২ হাজার টাকার আনরিয়েলাইডজ, হাল ইন্টারন্যাশনাল ১৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার রিয়েলাইজড ও ১ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার আনরিয়েলা্ইজড এবং প্রশান্ত কুমার হালদার ২৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকার রিয়েলাইজড গেইন করে।

সালেক আহমেদ ও সহযোগি মনির হোসেন মিলে নর্দার্ণ জুটে কারসাজি করে ৬৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা গেইন করে। এরমধ্যে রিয়েলাইজড গেইন ৩৭ লাখ ৯০ হাজার এবং আনরিয়েলাজেইড ২৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

বিমা অফিস চালাতে হবে ২৫ শতাংশ জনবলে: করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে বিমা কোম্পানির অফিসও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে খোলা থাকলেও অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে ২৫ শতাংশ জনবল নিয়ে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। আইডিআরএর নির্বাহী পরিচালক এস এম শাকিল আখতারের সই করা সোমবারের এক নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিমা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলো খোলা থাকবে। তবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ রাখতে হবে অফিসে।

জীবন বিমার ক্ষেত্রে কোম্পানির মেয়াদপূর্তি ও মৃত্যু দাবি যথা সময়ে পরিশোধের জন্য কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি বিমা প্রতিষ্ঠানকে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার স্বল্প সময়ের জন্য খোলা রাখে সরকার। মঙ্গলবার কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে আরও সাত দিন চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআরএ) আইডিআরের কাছে সীমিত পরিসরে বিমা কোম্পানির অফিস খুলে রাখার আবেদন করে চিঠি দেয়।

চিঠিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের আদলে সব বিমা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ও সীমিত সময়ের জন্য খোলার অনুমোদন চেয়েছিল বিআইএ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিআরএ।