দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার ৪০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের শেয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার টাকার সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের শেয়ার।

এছাড়া রবি আজিয়াটা ৯৫ লাখ ৬০ হাজার, জেনেক্সিল ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার, ব্র্যাক ব্যাংক ৪২ লাখ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২৭ লাখ ২৫ হাজার, বেক্সিমকো লিমিটেড ২০ লাখ ১৯ হাজার, বিবিএস ক্যাবলস ১৫ লাখ ৩৪ হাজার, কোহিনুর কেমিক্যাল ১৩ লাখ ৬৯ হাজার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৩ লাখ ১৩ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ১১ লাখ ৯৭ হাজার,

মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড ৯ লাখ ৯৮ হাজার, পাওয়ার গ্রিড ৭ লাখ ২৯ হাজার, মালেক স্পিন ৬ লাখ ৩৪ হাজার, এসইএমলেকচার মিউচুয়াল ফান্ড ৫ লাখ ৯২ হাজার, এসকে ট্রিমস ৫ লাখ ৬৫ হাজার, ন্যাশনাল টিউবস ৫ লাখ ৩৯ হাজার এবং অ্যাপোলো ইস্পাত ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপের বিভ্রাটে বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি: লকডাউনের সময়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মোবাইল অ্যাপসই প্রধান নির্ভরতা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জও লকডাউনে বিনিয়োগকারীদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু ডিএসইর মোবাইল অ্যাপের লেনদেনে বিভ্রাট যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ (বুধবার) লেনদেনের শুরু থেকেই মোবাইল অ্যাপের বিভ্রাটে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। দিনভরই তারা মোবাইল অ্যাপের বিভ্রাটে থাকেন। এতে স্বাভাবিক লেনদেনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে তারা সমূহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

বিনিয়োগকারা অভিযোগ করেছেন, মোবাইল অ্যাপে শেয়ার কেনার জন্য ব্রোকার হাউজগুলোকে যে লিমিট দেয়, সেটিও আজ কাজ করেনি। এসব কারণে বুধবার পুঁজিবাজারের লেনদেনে শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি বাড়ে, লেনদেনে নেমে আসে ধীরগতি। ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে জানা যায়, অ্যাপে কাজ না করা এবং লিমিট না দিতে পারার বিষয়টি ডিএসইর ব্রোকার হাউজগুলো থেকেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে জানানো হয়েছে।

বিএসইসি সুত্রে জানা গেছে, মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন হচ্ছে। ফলে লেনদেন সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যাতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি অর্ডার দিতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম জানান, এ সংক্রান্ত কিছুটা জটিলতা হচ্ছে। করোনার এই সময়ে যেহেতু ডিএসইর প্রি ওপেনিং সেশন নেই, তাই ব্রোকার হাউজগুলোকে আগের দিন লিমিট নেয়া উচিত। লেনদেন শুরু হওয়ার পর লিমিট নিতে গেলে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তা কার্যকর হতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে।

তিনি বলেন, “মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন হচ্ছে। ফলে লেনদেন সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যাতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি অর্ডার দিতে পারে।”

মশিউর সিকিউরিটিজ বিনিয়োগকারী আবুল কালাম বলেন, “আজ লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি মোবাইল অ্যাপের ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম। আজ আমি কী সেল করেছি, কী বাই করেছি, তা ঠিকমতো বুঝতে পারিনি। বার বার ব্রোকারেজ হাউজে ফোন করে কনফার্ম হতে হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ অ্যাপসে আজ বার বার লগ আউট হয়েছি। লগইন করতে গেলে বার বার ডিনাইড ম্যাসেজ আসে ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আবার পরক্ষণে লকইন করা গেছে। এভাবেই আজ অনেক ঝামেলার মধ্যে ট্রেড করতে হয়েছে।”

তিনি বলেন, মোবাইল অ্যাপে এভাবে বিভ্রাট হলে ট্রেড করা যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলোর খামখেয়ালির কারণেই আমাদের এভাবে ভোগান্তি হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

পুঁজিবাজারে ৪ লাখেরও বেশি বিও বছরে অব্যবহৃত থাকে: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে প্রয়োজন হয় বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব। বিভিন্ন সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে হলে প্রথমেই কোনো ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে বিও হিসাব খুলতে হয়। প্রতি বছরই লাখ লাখ বিও হিসাব খোলা হয়। তবে এরমধ্যে লেনদেনযোগ্য অন্তত ১৫ শতাংশ বা প্রায় ৪ লাখ বিও হিসাব কখনোই ব্যবহার হয় না। অথচ অব্যবহৃত এসব বিও খুলতে অন্তত ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেন বিনিয়োগকারীরা। সিকিউরিটিজ রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিডিবিএলের গত ছয় বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রতি বছর যত বিও হিসাব থাকে তার মধ্যে অন্তত ৪ লাখ বিও হিসাব কখনোই ব্যবহৃত হয় না। কোনো কোনো বছর অব্যবহৃত বিও হিসাবের পরিমাণ আরও বেশি থাকে। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সিডিবিএলে বিও হিসাবের পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১১টি, যার মধ্যে কখনোই ব্যবহার হয়নি এমন হিসাবের সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৪২৫টি। আগের বছর ২০১৯ সালে অব্যবহৃত বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৭টি।

ঝোঁকের বশে কিংবা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিও হিসাব খোলা হলেও পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ কারণে বিও হিসাব খুললেও পরে এর ব্যবহার হয় না। ২০১৬ সালে সিডিবিএলে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৫৫ হাজার, যার মধ্যে অব্যবহৃত বিও ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার। পরের বছর প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার বিও অব্যবহৃত থেকে যায়।

২০১৮ সালে ব্যবহার হয়নি ৪ লাখ ২৪ হাজার বিও। ২০১৫ সালে ৪ লাখ ৮৪ হাজার বিও ব্যবহার করেননি বিনিয়োগকারীরা। গত এক দশকে বিও হিসাব সবচেয়ে বেশি অব্যবহৃত ছিল ২০১১ সালে, সাড়ে ৬ লাখ। আর ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের বছরে অব্যবহৃত বিও হিসাব ছিল সাড়ে ৯ লাখেরও বেশি।

ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে একটি বিও হিসাব খুলতে অন্তত ৫০০ টাকা ফি দিতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাজার টাকা কিংবা কারও বেশি লাগে। জানা গেছে, প্রাইমারি মার্কেট চাঙ্গা থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী একাধিক বিও হিসাব খুলে থাকেন।

কেউ কেউ একাধিক বিও চালিয়ে নিতে পারলেও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আবার অনেক ব্যক্তি প্রভাবিত হয়ে বিও হিসাব খুললেও পরে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন। বিও হিসাব অব্যবহৃত থাকার এটি একটি বড় কারণ।

এদিকে অব্যবহৃত বিও হিসাবের চেয়ে কোনো সিকিউরিটিজ না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি বছর সিডিবিএল যে পরিমাণের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করে, তার অধিকাংশই হয় শূন্য ব্যালেন্স কিংবা অব্যবহৃত থাকছে। ২০২০ সালে এমন ৯ লাখ ৫ হাজার বিও ছিল যেগুলোতে কোনো সিকিউরিটিজ ছিল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব বিও খোলা হয় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার পাওয়ার জন্য।

যদি কখনো এসব হিসাবের মাধ্যমে শেয়ার পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লেনদেন শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই তা বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ সময়ই এসব বিও শূন্য ব্যালেন্সে থাকে। তবে সব বিওতে শেয়ারপ্রাপ্তিও ভাগ্যের বিষয়। গত কয়েক বছরে যেসব আইপিও এসেছে, তার সবগুলোতেই আবেদনের পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মার্কেট লটের চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে।

২০১৯ সালে শূন্য ব্যালেন্স থাকা বিওর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৪০ হাজার। এর আগের চার বছরও শূন্য ব্যালেন্স থাকা বিও হিসাবের পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখেরও বেশি ছিল। ২০১৮ সালের পর থেকে পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে শেয়ার থাকা বিও হিসাবের সংখ্যাও।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক দশকের মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে কম বিও ছিল। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিও ছিল ২০১৫ সালে, ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২টি। পরের বছর থেকে বিও ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করে, যা ২০২০ সালের জুনে এসে ২৫ লাখ ৫৫ হাজারে নামে। এ সময় শেয়ার থাকা বিওর পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ লাখ ৪২ হাজারে। এটিও গত এক দশকে সর্বনিম্ন।

ডিএসইতে টানা লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২ লাখ টাকার। ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিডি ফাইনান্স।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে -রবি আজিয়াটা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট, এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, সামিট পাওয়ার ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ডিএসইতে টানা লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ২ লাখ টাকার। ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিডি ফাইনান্স।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে -রবি আজিয়াটা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট, এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, সামিট পাওয়ার ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ব্লক মার্কেটে ৩ বিমা কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার ৪০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের শেয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার টাকার সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের শেয়ার।

এছাড়া রবি আজিয়াটা ৯৫ লাখ ৬০ হাজার, জেনেক্সিল ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার, ব্র্যাক ব্যাংক ৪২ লাখ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২৭ লাখ ২৫ হাজার, বেক্সিমকো লিমিটেড ২০ লাখ ১৯ হাজার, বিবিএস ক্যাবলস ১৫ লাখ ৩৪ হাজার, কোহিনুর কেমিক্যাল ১৩ লাখ ৬৯ হাজার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৩ লাখ ১৩ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ১১ লাখ ৯৭ হাজার,

মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড ৯ লাখ ৯৮ হাজার, পাওয়ার গ্রিড ৭ লাখ ২৯ হাজার, মালেক স্পিন ৬ লাখ ৩৪ হাজার, এসইএমলেকচার মিউচুয়াল ফান্ড ৫ লাখ ৯২ হাজার, এসকে ট্রিমস ৫ লাখ ৬৫ হাজার, ন্যাশনাল টিউবস ৫ লাখ ৩৯ হাজার এবং অ্যাপোলো ইস্পাত ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিমা খাতের শেয়ারে আবারও ঝলক: আগের দিন পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছিল। বড় উত্থানের দিনেও বিমা খাতের শেয়ারে ছিল বগ পতন। একদিন পর আজ (বুধবার) আবারও বিমা খাতের শেয়ারে ঝলক দেখা দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগেরদিন সোমবার বিমা খাতের শেয়ারে বড় চমক ছিল। ওইদিন ৫০টি বিমার মধ্যে সব কয়টর দরই বেড়েছিল। ওইদিন ডিএসতে ২২টি দর বৃদ্ধির কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল বিমা কোম্পানি। পরেরদিন (মঙ্গলবার) বড় উত্থানের বাজারে ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ২২ কোম্পানির মধ্যে ২০টিই ছিল বিমা কোম্পানি।

আজ (বুধবার) পুঁজিবাজারে আবারও বিমা কোম্পানির শেয়ারে ঝলক দেখা গেছে। এদিন খাতটির ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির। এ খাতের আজ দর বেড়েছে ৭৮ শতাংশ শেয়ারের এবং দর কমেছে ১৬ শতাংশ শেয়ারের।

আজ ডিএসইর দর বৃ্দ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় বিমা খাতের কোম্পানি রয়েছে ৫টি। আর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে বিমা খাতের শেয়ার রয়েছে ১২টি। দর বৃদ্ধির মধ্যে অন্যতম ছিল- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী ইন্সুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ, রুপালী ইন্সুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্সুরেন্স, মেঘনা লাইফ,

মার্কেনটাইল ইন্সুরেন্স, ফনিক্স ইন্সুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ, পূরবী জেনারেল, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ পদ্মা লাইফ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্সুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স, জনতা ইন্সুরেন্স, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, গ্ৰীন ডেল্টা লাইফ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, ক্রিষ্টাল ইন্সুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্সুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স।

আর দর পতনের মধ্যে ছিল- স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, বিজিআইসি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স, ডেল্টা লাইফ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, অপরিবর্তিত ছিল- প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স, প্রগতি ইন্সুরেন্স, পপুলার লাইফের দর।