দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারকে আরও প্রসারিত করতে দেশে-বিদেশে ডিজিটাল বুথের অনুমোদন ও শাখা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এলক্ষ্যে নতুন ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যু করতে চায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের ডিএসইর ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় ডিএসই সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ, স্কীম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালার বিধানাবলী মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর প্রত্রিকায় ও ডিএসইর সাইটে আবেদন জমা দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে এর মেয়াদ দেওয়া হয় ১৮ মার্চ পর্যন্ত।

ওই সময়ে কাঙ্খিত আবেদন জমা না পড়ায় ২৮ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহনের সময় বাড়ানো হয়। এই সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠান ট্রেকের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন অযোগ্য বলে বাতিল করা হয়। যোগ্য ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ইতোমধ্যে বিএসইসিতে জমা দিয়েছে ডিএসই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রেক অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো তদবির বা লবিং কাজ করবে না। যারা যোগ্য সবাই ট্রেক পাবে। তবে কী কারণে একটি প্রতিষ্ঠানের আবেদেন বাতিল বা যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে; তার কারণসহ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ডিএসই আমাদের কাছে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছে। আমরা ডিএসইকে সময় দিয়েছি। সঠিক সময়ে ডিএসই জমা দিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।

আবেদন করা ৬৬টি প্রতিষ্ঠান হলো-কবির সিকিউরিটিজ, আমার সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, বেঙ্গ জিন জিউ টেক্সটাইল,আরএকে ক্যাপিটাল, ওয়িংস ফাইন, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিং, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, স্নিকদা ইক্যুইটিস, বিরিচ, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটজ,৩আই সিকিউরিটজ,ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, ফারইস্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ,

কোলম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, সোনালী সিকিউরিটজ,টি.এ মার্চেন্টডাইজিং,রাহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট,ফারিহা নিট টেক্সটাইল, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, আল হারমাইন সিকিউরিটজ, মির সিকিউরিটজ, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, এনসি সিকিউরিটজ,ইসলামিক ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, টি.কে. শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, এমকেএম সিকিউরিটজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ,জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ), এন ওয়াই ট্রেডিং, এসবিএসি ব্যাংক সিকিউরিটজ, আমায়া সিকিউরিটজ, প্রোটেন্সিয়াল ক্যাপিটাল,

তাকাফুল ইসলামি সিকিউরিটজ,এইচএসবি সিকিউরিটজ, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, ইনোভা সিকিউরিটজ, বিএনবি সিকিউরিটজ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটজ, মাহিদ সিকিউরিটজ,গিবসন সিকিউরিটজ, সিভিসি সিকিউরিটজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটজ, বিনিময় সিকিউরিটজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, এএনসি সিকিউরিটজ,

এসএফআইএল সিকিউরিটজ, তাসিয়া সিকিউরিটজ, ডেনিস্টি সিকিউরিটজ,এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, ইম্পিরোর সিকিউরিটজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট মিরপুর সিকিউরিটজ, ক্লিসটাল সিকিউরিটজ, ট্রেড এক্স সিকিউরিটজ, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ,এসএমই ইনফরমেটিকস এবং বাংলাদেশ এসএমই কর্পোরেশন এবং ডিপি৭ লিমিটেড।

বাতিল হওয়া ১৫ আবেদন হলো: ট্রেকর জন্য আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫টি আবেদন বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে। এগুলো হলো-অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট,ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ,টি.এ মার্চেন্টডাইজিং,ফারিহা নিট টেক্সটাইল, ইসলামিক ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ), এন ওয়াই ট্রেডিং,গিবসন সিকিউরিটজ, সিভিসি সিকিউরিটজ,

বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ,এসএমই ইনফরমেটিকস এবং বাংলাদেশ এসএমই কর্পোরেশন লিমিটেড।

জানা যায়, প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে বলা হয়েছে-কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়া দেশী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্রেক নিতে চাইলে তাদের পরিশোধিত মূলধন লাগবে ৫ কোটি টাকা। একই সাথে জামানত হিসেবে রাখতে হবে আরও ৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে ট্রেক নিতে চাইলে তাদের মূলধন লাগবে ৮ কোটি টাকা। জামানত হিসেবে রাখতে হবে ৪ কোটি টাকা।

বিদেশী প্রতিষ্ঠান এককভাবে নিতে চাইলে তার পরিশোধিত মূলধন লাগবে ১০ কোটি টাকা। জামানত রাখতে হবে ৫ কোটি টাকা।একই সাথে সার্বক্ষনিক নীট সম্পদের পরিমাণ পরিশোধিত মূল ধণের ৭৫ শতাংশের বেশি হবে না। অন্যদিকে ট্রেক নেওয়ার জন্য ডিএসইতে আবেদন করতে হবে ১ লাখ টাকা দিয়ে। এই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের বরাবর ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত হলে তাকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ দিতে হবে আরও ৫ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, ট্রেক পাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, ট্রেক পেতে আবেদন করা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা হতে হবে। এছাড়া ট্রেক পেতে আবেদন করা ফরমের মূল্য ১০ লাখ টাকা,নিবন্ধন ফি দুই কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলো ডিএসই।

গত ২৪ মার্চ “ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০” খসড়া করে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য মতামত চায় বিএসইসি। এ খসড়া চূড়ান্ত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়। চুড়ান্ত আইনে এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউস) পাওয়ার অধিকার রাখেন।

লকডাউনের মধ্যে টানা কয়েক দিন বাজার ভালো থাকার কারণে এ সময়ে যারা শেয়ার কিনেছেন তাদের বেশিরভাগ রয়েছেন মুনাফায়। এ কারণে প্রায় সব খাত থেকে মুনাফা তুলতে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর পর থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। বৃহস্পতিবারও উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারের।

আজকের উত্থান নিয়ে টানা আট কার্যদিবস উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারের। আজ উভয় পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৫.০৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াাহ সূচক ৩.৯০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.০৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩৭.৩৯ পয়েন্টে এবং ২০৮৭.৫৫ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। আগের দিনি লেনদেন হয়েছিল ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে আজ ৩৫৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪০.৪০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৩৫টির বা ৩৮.১৩ শতাংশের এবং বাকি ৭৬টির বা ২১.৪৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৩.৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২৪৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির আর ৫১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

২৬ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৬ কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ সংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো :

রংপুর ফাউন্ডারি : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রংপুর ফাউন্ডারি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ১ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

রেকিট বেনকিজার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেকিট বেনকিজার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা ২৯ এপ্রিল দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের এক হাজার ২৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ব্যাংক এশিয়া: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

এইচ.আর টেক্সটাইল লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এইচ.আর টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ এপ্রিল বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫৩ পয়সা।

রেনেটা লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনেটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১১ টাকা ৯৩ পয়সা।

বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ২৬ পয়সা।

অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫৫ পয়সা।

সী পার্ল হোটেল লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা খাতের কোম্পানি সী পার্ল হোটেল লিমিটেড বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৬ এপ্রিল বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৮ এপ্রিল বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

অ্যাপেক্স ট্যানারি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেড বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৮ এপ্রিল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৯২ পয়সা।

বেক্সিমকো গ্রুপের চার কোম্পানি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের চার কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি চারটি হলো: বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো সিনথেটিকস এবং শাইনপুকুর সিরামিক।

কোম্পানিগুলোর বোর্ড সভা ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি চারটির মধ্যে ওই দিন বেক্সিমকোর বিকাল ৩টায়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের দুপুর ২.৩০টায়, বেক্সিমকো সিনথেটিকসের বিকাল ৪টায় এবং শাইনপুকুর সিরামিকের বোর্ড সভা বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি চারটির বোর্ড সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ সমাপ্ত ৯ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

বিডি ফাইন্যান্সের গায়েবি দর ৪১ টাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বিডি ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার আজ (বুধবার) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪১ টাকায় উঠেছে। তবে কখন, কিভাবে এবং ওই দরে কতো শেয়ার লেনদেন হয়েছে, তা কেউ বলতে পারেননি।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার বিডি ফাইন্যান্সের ক্লোজিং দর ছিল ৩৭ টাকা ৬০ পয়সা। আজ শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় ৩৭ টাকা ৫০ পয়সায়। এক পর্যায়ে শেয়ারটির দর ৪১ টাকায় উঠে যায়। যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা রকম আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ডিএসইর লেনদেন তালিকায় দেখা যায়, কোম্পানিটির শেয়ার আজ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৪১ টাকায় এবং সর্বনিম্ন লেনদেন ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায়। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫০টি। যার বাজার মূল্য মোট ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এতে দেখা যায়, প্রতিটি শেয়ারের গড় দর দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৮৭ পয়সায়।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোম্পানিটির শেয়ার কখন যে ৪১ টাকায় উঠে গেল, তা তারা টেরই পাননি। শেয়ারটি আজ তারা সর্বোচ্চ ৩৮ টাকায় লেনদেন হতে দেখেছেন। ৩৬ টাকার উপরে যারা শেয়ারটি সেল দিয়েছিলেন, তাদের শেয়ার সেল হয়নি। কিন্তু ডিএসইর রেকর্ড বলছে, শেয়ারটি লেনদেনের কোন এক পর্যায়ে ৪১ টাকায় উঠেছে। তবে বিষয়টিতে ডিএসইর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বিডি ফাইন্যান্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এসআইজি নামক একটি গ্লোবাল বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। প্রতিষ্ঠানটি বিডি ফাইন্যান্সের ৪ শতাংশ শেয়ার বাজার থেকে কিনে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হবে। সে কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনিই কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর লেনদেন শীর্ষ তালিকায় উঠে আসছে।

মনিরুজ্জামান নামের একটি বিনিয়োগকারী বলেন, দেশের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিদেশি একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে-এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। তিনি ঠাট্টার ছলে বলেন, শেয়ারটির দর হয়তো শিগগির ৪১ টাকা অতিক্রম করবে, সেটি ডিএসইসি আগাম জানান দিল।

পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারই বিনিয়োগ অনুকূলে: পুঁজিবাজারে টানা সপ্তম দিনের মতো উত্থানে শেষ হলো লেনদেন। তবে বাজারে ঘুরে ফিরে সব খাতের শেয়ারের দর বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগ আগ্রহ তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ে মঙ্গলবার ডিএসইতে গত তিন মাসের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারের এমন অবস্থায় নতুন করে বিনিয়োগ আগ্রহী হতে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের।

চলমান লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ২১ এপ্রিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন বর্তমান নিয়মেই পরিচালিত হবে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়। করোনার এই সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের ব্রোকার হাউজে না গিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেন। ফলে গত ৫ এপ্রিল থেকে অদ্যবধি বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল প্লাট ফর্মে লেনদেন করে আসছেন।

এছাড়া লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিনিয়োগকারীরা ডিজিটার প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করে আসছেন। বুধবার অতিরিক্ত লেনদেন চাপে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ যথাযথভাবে কাজ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার কেনা বেচার জন্য অর্ডার দেয়া হলেও তা ছিল ধীরগতির। অনেক অর্ডার কার্যকর হয়নি বলেও বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ থেকে অভিযোগ এসেছে। একই সঙ্গে ব্রোকার হাউজগুলো থেকে শেয়ার ক্রয়ের লিমিট নেয়ার ক্ষেত্রেও জটিলতা হয়েছে।

এ বিষয়ে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, এ সংক্রান্ত কিছুটা জটিলতা হচ্ছে। করোনার এই সময়ে যেহেতু ডিএসইর প্রি ওপেনিং সেশন নেই, তাই ব্রোকার হাউজগুলোকে আগের দিন লিমিট নেয়া উচিত। লেনদেন শুরু হওয়ার পর লিমিট নিতে গেলে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এবং তা কার্যকর হতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে।

তিনি বলেন, মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন হচ্ছে। ফলে লেনদেন সংখ্যা বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যাতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি অর্ডার দিতে পারে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে টানা সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এ ছাড়া সামনে রমজানের ঈদের কারণে এমন বাজারে নতুন বিনিয়োগ করলে মুনাফা পাবে, প্রত্যাশায় বিনিয়োগে যাচ্ছে। লকডাউনের শুরুতে বিনিয়োগকারীরা এতটা আশ্বস্ত হতে পারেনি। কিন্তু যখন দেখছে পুঁজিবাজার স্বাভাবিকভাবে লেনদেন চলছে তখনই নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দরই এখন বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি যেসব কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে সেগুলোকে ফান্ডামেন্টালি বিবেচনা করা যায় না। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে দর বাড়ছে দেখে শেয়ার না কেনা। বরং এ সময়ে ভালো মানের শেয়ার কেনা। তাহলে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগেও লাভবান হবে। আর দর কমে গেলেও খারাপ কোম্পানির মতো বড় অংকের লোকসান দিতে হবে না।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অধিকাংশ শেয়ারে বিনিয়োগ উপযোগী। বিনিয়োগকারীরা বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। আমাদের দেশে অনেকগুলো মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো করছে। কিন্ত যেগুলো খারাপ করছে সেটিকেই বিনিয়োগকারীরা উদাহরণ হিসাবে নিয়ে আসে। এই জায়গাটিকে ঠিক করতে হবে। আর আছে বন্ড মার্কেট। এখানে অনেকে বন্ড ছেড়ে টাকা সংগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমি বলতে চাই, যারা বন্ড ছাড়তে আগ্রহী তাদের কী কী সম্পদ আছে সেটি আগে যাচাই করতে হবে। তা না হলে নানাভাবে বন্ড মার্কেটও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শুধু ব্যাংক বা মিউচুয়াল ফান্ডেরই নয়, এখন পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ শেয়ারই ক্রয়যোগ্য অবস্থানে রয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অনেক কম। এখান থেকে দেখেশুনে বিনিয়োগ করলে ইনভেস্টরদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের বিনিয়োগ করতে হবে ধৈর্য ধারণ করে। দ্রুত মুনাফা তুলব তাদের এমন প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে বিনিয়োগযোগ্য শেয়ার বা ইউনিটের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। বর্তমানে এ খাতের ইউনিটের গড় মূল্য আয় অনুপাত অবস্থান করছে দুই পয়েন্টে। মূলত ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের ধসের পর মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর ক্রমেই কমতে থাকে, যার জের ধরে কমতে থাকে ফান্ডগুলোর পিই-রেশিও বা ইউনিটের মূল্য আয় অনুপাত। সম্প্রতি এ খাতের ইউনিটদর কিছুটা বাড়লেও এখনও ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩১টির ইউনিটদর অভিহিত দরের নিচে রয়েছে, যার জের ধরে ফান্ডগুলোর মূল্য আয় অনুপাত নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। নিয়মানুযায়ী এ ধরনের পিই-রেশিওধারী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে খুব অল্প সময়ে মুনাফা করা সম্ভব।

বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। বর্তমানে এর পিই-রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫০ পয়েন্টে। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেন, ২০১০ সালের ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা। কারণ ওইসব শেয়ারের দর সবচেয়ে বেশি কমে গিয়েছিল। অথচ দুটি খাতই পুঁজিবাজারের শক্তিশালী খাত। অনেক আগেই এসব শেয়ার ও ইউনিট বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে চলে এসেছে। আর সম্প্রতি পতনে দরে আরও কমে গেছে। এই অবস্থান থেকে শেয়ার ক্রয় করলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তারা বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজার বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৩.২২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৮৬ পয়েন্ট বাড়লেও শরিয়াহ সূচক ০.০৪ পয়েন্ট কমেছে।

ডিএসইতে ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৫২৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। আগের দিনি লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টির বা ৩৬.৭২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৫৭টির বা ৪৪.৩৫ শতাংশের এবং বাকি ৬৭টির বা ১৮.৯৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১১.২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২৪২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৬টির আর ৪৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শর্ত সাময়িক শিথিল: লকডাউনের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়ার শর্ত সাময়িক শিথিল করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো আর্থিক প্রতিবেদন ও বিভিন্ন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগামী ২৫ মে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১১ এপ্রিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) কোম্পানির নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়ার শর্ত শিথিল করার আবেদন জানিয়েছিল।

বিএপিএলসি-র আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএসইসি কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় জমা দেওয়ার শর্ত সাময়িক শিথিল করেছে। বিএপিএলসি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ও ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনের কারণে বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে এই আবেদন করে।

পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আর্থিক বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। আইন অনুসারে পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে এসব কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষা শেষ করা এবং এর পরের ১৪ দিনের মধ্যে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের কপি বিএসইসিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সেই হিসেবে আগামী ১৪ মের মধ্যে আলোচিত কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেও এবং সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে এরই মধ্যে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টিম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে নিরীক্ষা শেষ করা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এর কপি জমা দেওয়া অনেকটা দুঃসাধ্য।

অন্যদিকে ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআই ও বহুজাতিক কোম্পানি ব্যাতিত অন্য কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিক ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে এদের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।