দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে পারপিচ্যুয়াল বন্ডকে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার বাহিরে রাখা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। এ বিষয়ে বিএসইসি পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে শিগগির প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে তিনি জানান। আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) শীর্ষ ব্রোকার প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক পুঁজিবাজার নিয়ে এক আলোচনা সভায় এমনটি জানান বিএসইসির এ কমিশনার।

ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপত্তিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রায় ৩০টি ব্রোকার হাউজের সিইওরা অংশগ্রহন করেন।

সভার বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, আজকের আলোচনায় পাবলিক ইস্যু রুলস, মার্জিণ ঋণ, নেগেটিভ ইক্যুইটি, পারপিচ্যুয়াল বন্ড, লেনদেনের চার্জ, ডিএসইর অনলাইন সমস্যাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় ধীরে ধীরে লেনদেন বৃদ্ধির বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আগে প্রতি হাওলায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার লেনদেন হতো। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সেটা ৬০ হাজারে উন্নিত হয়েছে। যা গত ২ কার্যদিবসে ১ লাখে উন্নিত হয়েছে। এই লেনদেনের ধারাকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্রোকাররা লেনদেনকৃত অর্থের পরিবর্তে সিকিউরিটিজের উপর সিডিবিএল চার্জ নির্ধারনের জন্য অনুরোধ করেছে। এছাড়া মার্জিণ ঋণের নেগেটিভ ইক্যুইটির অ্যাকাউন্টে লেনদেনের যে সুযোগ দেওয়া আছে, তা বাড়ানোর জন্যও বলেছেন। কমিশন এ বিষয়ে যাচাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিন করোনার কারনে বিনিয়োগকারীরা অনলাইনে লেনদেন করতে গিয়ে ডিএসইর মোবাইল অ্যাপে সমস্যায় পড়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয় বলে জানান বিএসইসির এই নির্বাহি পরিচালক। যা সমাধানে ডিএসই কাজ করছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জটির এমডি জানিয়েছেন। এছাড়া অ্যাকাউন্টস যেনো নেগেটিভ না হয়, তার জন্য করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রেজাউল করিম।

৮ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ, স্থগিত ১টি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানিগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানিগুলো নিম্নরূপ: এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ মাসে (জুলাই,২০-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৬৮ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬.৩৪ টাকা।

তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.১৬ টাকা। এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২.১৩ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ২৪৯.৯৫ টাকা।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স: প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার সংখ্যা ছিলো ২৪ কোটি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের পরে শেয়ার হয়েছে ৪০ কোটি। এরফলে আয় কমেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি।

সী পার্ল হোটেল: কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৯ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.২১ টাকায়।

ই-জেনারেশন: চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৪ পয়সা। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।

পেনিনসুলা চিটাগাং: চলত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৩৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০ টাকা ৩৩ পয়সা।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং: চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৫৯ পয়সা ছিল।

ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা। কন্টিনিউয়িং অপারেশন হিসেবে গত বছরের এই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৯৫ পয়সা। আর শুধু কোম্পানির হিসাবে গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৯৭ পয়সা।

আইএফআইসি ব্যাংক: হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ আইএফআইসি ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেডের বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র থেকে জানা যায়, আজ ২৬ এপ্রিল বেলা ২:৩৫টায় কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি আহবান করা হয়েছিল।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী চলতি বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। এই বোর্ড সভার নতুন তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানাে হবে।

দুই কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি দুটি হলো-ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স ও এনসিসি ব্যাংক। কোম্পানিগুলো সূত্রে ডিভিডেন্ড তথ্য জানা গেছে।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটিড: সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ‌শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৮ পয়সা। আগামী ১০ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ মে।

এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড: সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনএভি ছিল এনএভি ছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা। আগামী ৫ আগস্ট ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড ডে নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ জুন।

সাত কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা পরিদর্শন করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি পেয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা,উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম যাচাই করার জন্য সশরীরে এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ আলোচনা করে আলাদাভাবে কোম্পানিগুলো পরিদর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ‌্য জানা গেছে।

সাত কোম্পানি হলো- নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আমান ফিড লিমিটেড।

জানা গেছে, এই সাত কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা, উৎপাদন ও বিপনন কার্যক্রম নিয়ে পুঁজিবাজারে অনেক গুজব রয়েছে। ওই গুজবের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যই সশরীরে কোম্পানিগুলো পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিএসই ও সিএসই’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫-এর রেগুলেশন ৫৪(১) অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন কার্যক্রমে দেখভাল করা হবে। কোম্পানিগুলোর পরিদর্শন কার্যকম সম্পন্নের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পরিদর্শেনের অনুমতি পাওয়া সাত কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ২০১৬ সালের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে অবনতির পথে রয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানে পতিত হয়েছে।

এসব কোম্পানির মধ্যে আর্থিক অবস্থার দিক থেকে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা।

দুর্বলতার দিক থেকে নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার রয়েছে পরের অবস্থানে। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ দশমিক ৭৯ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪১ পয়সা।

খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক অবস্থা দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৯ পয়সা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৯ পয়সা। এছাড়া, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আমান ফিডের শেয়ারপ্রতি আয় ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭টি কোম্পানির ফ্যাক্টোরি বা অফিস সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সুবিধা মতো এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরিদর্শন শেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

পুঁজিবাজরে আসতে ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকতে হবে ২০০ কোটি টাকা: নতুন কোন ব্যাংক যদি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের(আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায়, তাহলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকতে হবে ২০০ কোটি টাকা। যেসব ব্যাংক ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আইপিওতে আবেদন করেছে এবং ভবিষ্যতে আবেদন করবে, তাদেরকে এ শর্ত প্রতিপালন করতে হবে বলে শর্ত আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এদিকে গত ২১ এপ্রিল পুঁজিবাজারে ২০০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের হালনাগাদ তথ্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে বিএসইসি।

সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে (সিইও) এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই, সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অবহিত করেছে বিএসইসি।

বর্তমানে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩১টি ব্যাংক। আর অ-তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩০টি ব্যাংক। সব ব্যাংকের কাছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজারে তারল্য সমাধানের লক্ষ্যে প্রত্যেক তফসিলি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা ওই সার্কুলার অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে।

ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলো ওই বিশষ তহবিল থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে। তবে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের তথ্য প্রতিনিয়ত সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে, সেই তথ্য বিএসইসির কাছে নেই। চিঠিতে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ব্যাংকগুলোকে গঠিত বিশেষ তহবিল ও তার বিনিয়োগের তথ্য জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।