দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া বীমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩০ মে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ৩ জুন পর্যন্ত।এর আগে গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালূ ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুন:মূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য যে, ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ার চাঁদা গ্রহণ শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চাশ কার্যদিবস শেষে চাঁদা প্রদানে ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারীদেগর মধ্যে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যৈ ন্যুনতম ৫০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য যোগী বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যুনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সোনালী লাইফের আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া বীমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩০ মে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ৩ জুন পর্যন্ত।এর আগে গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালূ ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুন:মূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য যে, ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ার চাঁদা গ্রহণ শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চাশ কার্যদিবস শেষে চাঁদা প্রদানে ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারীদেগর মধ্যে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যৈ ন্যুনতম ৫০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য যোগী বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যুনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ও ইপিএস আসছে বিকালে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানি ডিভিডেন্ড ও প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য আজ বিকালে বোর্ড সভায় বসছে। সভায় কোম্পানিগুলো সমাপ্ত হিসাব বছরে নীরিক্ষিত এবং চলতি হিসাব বছরের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসলামী ব্যাংক: কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

পদ্মা অয়েল লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা।

পদ্মা অয়েল লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে । সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

শমরিতা হসপিটাল লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রাতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা।

এবি ব্যাংক লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। ২০১৯ সাল কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এছাড়া, ম্যারিকোর বোর্ড সভা বিকাল ৪টায়, ন্যাশনাল টিউবসের বিকাল ৩টায়।

ডিএসই ৫ কোম্পানির বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বড় ধস নেমেছে। ধসের বাজারেও ৫ কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : ফিনিক্স ইন্সুরেন্স, অগ্রণী ইন্সুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স ও এমারেন্ড ওয়েল।

ফিনিক্স ইন্সুরেন্স: আগেরদিন সোমবার ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ৪৬ টাকা। আজ শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫০ টাকা ৬০ পয়সায়। সেই হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

অগ্রণী ইন্সুরেন্স: আগেরদিন অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ৫৭ টাকা ২০ পয়সা। আজ শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬২ টাকা ৯০ পয়সায়। সেই হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকা ইন্সুরেন্স: আগেরদিন ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ৬৫ টাকা ৮০ পয়সা। আজ শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭২ টাকা ৩০ পয়সায়। সেই হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স: আগেরদিন সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ২৭ টাকা ৯০ পয়সা। আজ শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সায়। সেই হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

এমারেন্ড ওয়েল: আগেরদিন এমারেন্ড ওয়েলের ক্লোজিং দর ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। আজ শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সায়। সেই হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৫৫ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর সূত্রে জানা গেছে, কোন কারণ ছাড়াই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়ছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে বড় পতন দেখা দিয়েছে। পতনের বাজারে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, এটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এসব শেয়ারের পেছনে অবশ্যই কারসাজি চক্রের হাত রয়েছে। এসব কোম্পানির লেনদেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

৮ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ, স্থগিত ১টি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানিগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানিগুলো নিম্নরূপ: এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ মাসে (জুলাই,২০-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৬৮ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬.৩৪ টাকা।

তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.১৬ টাকা। এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২.১৩ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ২৪৯.৯৫ টাকা।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স: প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার সংখ্যা ছিলো ২৪ কোটি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের পরে শেয়ার হয়েছে ৪০ কোটি। এরফলে আয় কমেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি।

সী পার্ল হোটেল: কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৯ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটি ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.২১ টাকায়।

ই-জেনারেশন: চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৪ পয়সা। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।

পেনিনসুলা চিটাগাং: চলত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৩৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০ টাকা ৩৩ পয়সা।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং: চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৫৯ পয়সা ছিল।

ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা। কন্টিনিউয়িং অপারেশন হিসেবে গত বছরের এই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৯৫ পয়সা। আর শুধু কোম্পানির হিসাবে গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৯৭ পয়সা।

আইএফআইসি ব্যাংক: হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ আইএফআইসি ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেডের বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র থেকে জানা যায়, আজ ২৬ এপ্রিল বেলা ২:৩৫টায় কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি আহবান করা হয়েছিল।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী চলতি বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। এই বোর্ড সভার নতুন তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানাে হবে।

দুই কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি দুটি হলো-ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স ও এনসিসি ব্যাংক। কোম্পানিগুলো সূত্রে ডিভিডেন্ড তথ্য জানা গেছে।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটিড: সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ‌শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৮ পয়সা। আগামী ১০ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ মে।

এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড: সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনএভি ছিল এনএভি ছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা। আগামী ৫ আগস্ট ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড ডে নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ জুন।

সাত কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা পরিদর্শন করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি পেয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা,উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম যাচাই করার জন্য সশরীরে এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ আলোচনা করে আলাদাভাবে কোম্পানিগুলো পরিদর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ‌্য জানা গেছে।

সাত কোম্পানি হলো- নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আমান ফিড লিমিটেড।

জানা গেছে, এই সাত কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা, উৎপাদন ও বিপনন কার্যক্রম নিয়ে পুঁজিবাজারে অনেক গুজব রয়েছে। ওই গুজবের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যই সশরীরে কোম্পানিগুলো পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিএসই ও সিএসই’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫-এর রেগুলেশন ৫৪(১) অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন কার্যক্রমে দেখভাল করা হবে। কোম্পানিগুলোর পরিদর্শন কার্যকম সম্পন্নের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পরিদর্শেনের অনুমতি পাওয়া সাত কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ২০১৬ সালের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে অবনতির পথে রয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানে পতিত হয়েছে।

এসব কোম্পানির মধ্যে আর্থিক অবস্থার দিক থেকে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা।

দুর্বলতার দিক থেকে নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার রয়েছে পরের অবস্থানে। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ দশমিক ৭৯ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪১ পয়সা।

খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক অবস্থা দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৯ পয়সা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৯ পয়সা। এছাড়া, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আমান ফিডের শেয়ারপ্রতি আয় ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭টি কোম্পানির ফ্যাক্টোরি বা অফিস সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সুবিধা মতো এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরিদর্শন শেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি হচ্ছেন সৈয়দ আব্দুল বারী: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার বিকেল তিনটায় ব্যাংকটির জরুরি পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। ভার্চুয়াল বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার। এ সময় অন্যান্য পরিচালকরাও যুক্ত ছিলেন।

সভায় এমডি নিয়োগের নির্ধারিত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সবার সম্মতিতে বর্তমানে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অনুমোদনের জন্য আজই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়।

১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজকল্যাণ বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী। তিনি ১৯৮৪ সালে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে তার ব্যাংকিং পেশা শুরু করেন। এরপর আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনের ১২ বছর শাখা ব্যাংকিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নেই ন্যাশনাল ব্যাংকে। বারবার বলার পরও টনক নড়ছে না ব্যাংকটির। এবার এমডি নিয়োগে চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে একজন স্থায়ী এমডি নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।