দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহজুড়ে তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছেন। মুলত বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে উত্থানে ছিল। বেড়েছে সূচক, বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রমতে, গেল সপ্তাহে ডিএসইর ২০ খাতের মধ্যে ১৩ খাতের শেয়ার দর বেড়েছে। দর বাড়াতে এই ১৩ খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রির্টানে ভালো মুনাফা পেয়েছে। তারমধ্যে তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছে। খাত ৩টি হলো- জেনারেল ইন্সুরেন্স, সিমেন্ট ও পাট খাত। এই তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেয়েছে জেনারেল ইন্সুরেন্সের বিনিয়োগকারীরা। এখাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৮.৪০ শতাংশ। প্রভাতী ইন্সুরেন্স, সিটি ইন্সুরেন্স, ফিনিক্স ইন্সুরেন্স, ঢাকা ইন্সুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স ও বিএনআইসিএল ইন্সুরেন্সের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। এরপর সিমেন্ট খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৫.৮০ শতাংশ। এখাতে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেয়েছে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের বিনিয়োগকারীরা।

সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়ার তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাট খাতের বিনিয়োগকারীরা। এখাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৫.৭০ শতাংশ। এখাতে বেশি মুনাফা পেয়েছে সোনালী আঁশের বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া, তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ১.৫০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১.৪০ শতাংশ, ট্যানারি খাতের ১.২০ শতাংশ, বিবিধ খাতের ১ শতাংশ, বস্ত্রখাতের ০.৯০ শতাংশ, ফার্মা ও রসায়ন খাতের ০.৯০ শতাংশ, লাইফ ইন্সুরেন্সের ০.৬০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ০.৪০ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ খাতের ০.২০ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতের ০.১০ শতাংশ।

করোনা মহামারীতে বেক্সিমকো দুই কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন: নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় পর্যুদস্ত পুরো বিশ্ব। স্বাভাবিকভাবেই করোনার চিকিৎসায় ব্যবহূত ওষুধ, ভ্যাকসিন ও সুরক্ষাসামগ্রীর চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। দেশের অন্যতম কনগ্লোমারেট বেক্সিমকো গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেড করোনা প্রতিরোধে ব্যবহূত ওষুধ, ভ্যাকসিন ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন করছে। আর এর সুবাদে কোম্পানি দুটির ব্যবসা ও মুনাফায় ঈর্ষণীয় উল্লম্ফন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেডের চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কোম্পানি দুটির পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানি দুটির ব্যবসা ও মুনাফায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আয় প্রায় ৪১ শতাংশ এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় ৬৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের নিট মুনাফা ৬১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের নিট মুনাফা ২০ গুণ বেড়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ বলেন, করোনার চিকিৎসায় ব্যবহূত বেশ কয়েকটি ওষুধ আমরা উৎপাদন করছি। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এসব ওষুধের ভালো চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন থেকেও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কমিশন বাবদ কিছু আয় হয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী পিপিইর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পাশপাশি গার্মেন্ট পণ্যের চাহিদা বাড়ার সুবাদে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় বেড়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আয় হয়েছে ৭৩৬ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৬৬১ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৫ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪৬ কোটি ৮৯ টাকা।

আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৭ টাকা ৮৮ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৬৫ কোটি টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২৬২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১০৭ কোটি টাকা।

চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় হয়েছে ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৭১২ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১৮ কোটি টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা।

বস্ত্র খাতের রিং সাইন ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল উৎপাদনে ফিরছে: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পূণ:গঠিত পর্ষদ রিং সাইন ও আল-হাজ্ব টেক্সটাইলকে উৎপাদনে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কমিশনের মাইলফলক সফলতা অর্জন হতে যাচ্ছে। জানা গেছে কমিশন গত কয়েক মাসে আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, রিং সাইন টেক্সটাইল, সিএন্ডএ টেক্সটাইল, এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বিডি ওয়েল্ডিং, ফ্যামিলিটেক্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, অগ্নি সিস্টেমস ও এপেক্স ওয়েভিং।

উৎপাদন শুরুর বিষয়ে রিং সাইন টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এখনও আমাদের কিছু ক্রয় আদেশ আছে। তবে নতুন করে উৎপাদন শুরুর ক্ষেত্রে চলতি মূলধনের ঘাটতিসহ কিছু সমস্যা আছে। সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। গত সপ্তাহেও পর্ষদ সভা হয়েছে। লকডাউন না থাকলে এরইমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়ে যেত।

তবে চলতি মূলধনের ঘাটতি মেটাতে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসেবে আইপিওর ১০০ কোটি টাকা রয়েছে। যা এখন কমিশন ফ্রিজ করে রেখেছে। তবে কোম্পানিটির উৎপাদন শুরুতে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেবে কমিশন।

একই বিষয়ে আল-হাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, কোম্পানিটির উৎপাদন শুরু করতে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তারা। প্রথমত কোম্পানির যন্ত্রপাতির সিংহভাগই বেশ পুরোনো। অনেক যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করতে হবে। এর ওপর চলতি মূলধনে ঘাটতি আছে। সমস্যার মধ্যেও সীমিত আকারে হলেও উৎপাদনে শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। উৎপাদনে ফেরার পর বিএমআরই হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, জেড ক্যাটাগরিভুক্ত যেসব কোম্পানি থেকে বিনিয়োগকারী বহু বছর কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না, সেগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করছে বিএসইসি। গত জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন হলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন পর্ষদ তেমন কোনো কাজ করতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সপ্তাহজুড়ে ১৩ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ব্যাংক ও চারটি বীমা কোম্পানি এবং ২টি বহুজাতিক কোম্পানি ও ১টি সিমেন্ট খাতের কোম্পানি রয়েছে।  কোম্পানিগুলো হলো: রেকিট বেনকিজার লিমিটেড, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, পিপলস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, রূপালী ইন্সুরেন্স লিমিটেড, এসআইবিএল ব্যাংক , এনআরবিসি ব্যাংক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ম্যারিকো ও এনসিসি ব্যাংক। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ অনুমোদন করে পর্ষদ।

রেকিট বেনকিজার লিমিটেড: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত রেকিট বেনকিজার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৪০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯০ টাকা ৫৭ পয়সা। আগামী ২২ জুন কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩৭ মে।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৭ টাকা ৩৩ পয়সা। আগামী ২৯ জুলাই কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ মে।

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৮৭ পয়সা।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। ঘোষিত লভ্যাংশের পুরোটাই নগদ। ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ঊচঝ) হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। আগামী ২৯ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মে।

রূপালী ইন্সুরেন্স লিমিটেড : বীমা খাতের কোম্পানি রূপালী ইন্সুরেন্স লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচিত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ৩০ পয়সা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩ আগস্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ জুন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এককভাবে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৬২ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯ টাকা ২৯ পয়সা। আগামী ৬ জুলাই কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ জুন।

এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৯৮ পয়সা। এককভাবে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৯৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা। আগামী ২৬ জুলাই কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩১ মে।

হাইডেলবার্গ সিমেন্ট: কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ২ দশমিক ৫০ বোনাস লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা।

এবি ব্যাংক: ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে এবি ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা।

ইসলামী ব্যাংক: ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দেয়। ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৮ পয়সা।

ম্যারিকো: কোম্পানিটি ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৭০০ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি ৯০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৮ টাকা ৬৯ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংক: ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদ। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা।

লকডাউনে পুঁজিবাজারে মূলধন বাড়লো সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা: মহামারি করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মাঝেও বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ার বাজার। গত তিন সপ্তাহে প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। শুধু গত সপ্তাহেই বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘লকডাউন শুরু হওয়ার আগে কিছুদিন বাজারে পতন হচ্ছিল। এখন ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে।’ লকডাউন উঠে যাওয়ার পর এই বাজার আরও গতিশীল হবে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

ডিএসই’র তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা।

আগের দুই সপ্তাহেও বড় অঙ্কের মূলধন বাড়ে বাজারটিতে। আগের দুই সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছিল ৯ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে লকডাউনের তিন সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন বাড়লো মোট ১১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট। আগের দুই সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ১৮০ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ, টানা তিন সপ্তাহের উত্থানে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ২২৪ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট। অবশ্য তার আগের চার সপ্তাহ টানা এই সূচকটি কমেছে। আগের চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩১৪ দশমিক শূন্য ৯ পয়েণ্টে।

প্রধান মূল্যসূচকরে পাশাপাশি লকডাউনের তিন সপ্তাহেই বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট। আগের দুই সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ৯৭ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। এ হিসাবে লকডাউনের তিন সপ্তাহে এই সূচকটি বাড়লো ১২০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।

এদিকে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও লকডাউনের তিন সপ্তাহেই বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ। আগের দুই সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। এ হিসাবে তিন সপ্তাহের টানা উত্থানে সূচকটি বাড়লো ৫২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৫টির। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২১২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, বা ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, বা ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

৯ কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় চমক: পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত ১২ কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় চমক দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোন কোন কোম্পানির মুনাফায় ১৩ শত গুন বেড়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যে কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকে ভালো মুনাফা করছে। এর মধ্যে ৯ কোম্পানির মুনাফার বড় চমক দেখিয়েছে। তেমনি ৩ কোম্পানির মুনাফায় ধারাবাহিকতা রয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো:ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, সী পার্ল, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ,  মালেক স্পিনিং, শাইনপুকুর সিরামিক, বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন, মতিন স্পিনিং, এইচআর টেক্সটাইল, এডিএন টেলিকম এবং এসোসিয়েটেড অক্সিজেন। কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৫১৯ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩৭.৬৯ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৬.০৯ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ৩১.৬০ টাকা বা ৫১৯ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩১.৮৯ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৩.৭১ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফাা ২৮.১৮ টাকা বা ৭৬০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১৩.১৪ টাকায়।

সী পার্ল: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সী পার্লের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২৪৩ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.২০ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৩৫ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৮৫ টাকা বা ২৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৬০ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.০৯ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৫১ টাকা বা ৫৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১.২১ টাকায়।

লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) মুনাফা ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৪৫ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস ০.৪৪ টাকা বা ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে কোম্পানিটির চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ১০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের বছরের একইসময়ে হয়েছিল ৫২ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ হিসেবে মুনাফা বেড়েছে ৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকার বা ৯৮ শতাংশ।

মালেক স্পিনিং: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মালেক স্পিনিংয়ের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৮০০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৮ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.২২ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ১.৭৬ টাকা বা ৮০০ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৯৯ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ০.৪৩ টাকা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪.৮৯ টাকায়।

শাইনপুকুর সিরামিক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাইনপুকুর সিরামিকের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১৩০০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.১৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.০১ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.১৩ টাকা বা ১৩০০ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ০.০৫ টাকা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০.১০ টাকায়।

বেক্সিমকো লিমিটেড: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের (জুলাই’২০-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩০ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৩৮ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.১২ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ২.২৬ টাকা বা ১৮৮৩ শতাংশ বেড়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪১ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮.২৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫.৮৪ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ২.৩৯ টাকা বা ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.২৮ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২.০২ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ১.২৬ টাকা বা ৬২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৭.৮৮ টাকায়।

ডরিন পাওয়ার জেনারেশন: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশনের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬.০২ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৩.৭৭ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ২.২৫ টাকা বা ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৭২ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.৭৬ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৯৬ টাকা বা ১২৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬.৩৪ টাকায়।

মতিন স্পিনিং: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মতিন স্পিনিংয়ের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.০৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১.৬৯ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ২.৩৪ টাকা বা ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৯২ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.৮৮ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ১.০৪ টাকা বা ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১.৫৪ টাকায়।

এইচআর টেক্সটাইল: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এইচআর টেক্সটাইলের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৪ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৩১ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৫৩ টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪.১৩ টাকায়।

এডিএন টেলিকম: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এডিএন টেলিকমের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৪২ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৬ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.২৪ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৫২ টাকা বা ৪২ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৬ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.৩৬ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.২০ টাকা বা ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫.৫৩ টাকায়।

এসোসিয়েটেড অক্সিজেন: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.২১ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৩৮ টাকা বা ৩১ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৪ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.৪৭ টাকা। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.০৭ টাকা বা ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭.৮৪ টাকায়।

১০ কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসানে: পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিগুলো লোকসান হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পিইটি,  সিভিও পেট্রো কেমিক্যালস লিমিটেড, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) লিমিটেড, অ্যাপেক্স ট্যানারি, ন্যাশনাল টিউবস, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং বেক্সিমকো সিনথেটিকস। ২৯ এপ্রিল কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২১ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা আয় হয়েছিল। প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪১ পয়সা আয় হয়েছিল।

মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লেকাসনা হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে এক টাকা ৪২ পয়সা ছিল। অন্যদিকে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৫ টাকা ২৭ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৫ টাকা ৪২ পয়সা ছিল।

মেঘনা পিইটি : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লেকাসনা হয়েছে ৬ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ৮ পয়সা ছিল।অন্যদিকে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ২০ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ২২ পয়সা ছিল।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যালস লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৬৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৪ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৭ পয়সা লোকসান হয়েছে।গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রি লোকসান হয়েছিল ৩৭ পয়সা।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার ১ টাকা ৮৩ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ২৫ পয়সা।

রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা লোকসান পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩৫ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।

বেক্সিমকো সিনথেটিকস: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৬৫ পয়সা। অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রি লোকসান ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা।

অ্যাপেক্স ট্যানারি: অ্যাপেক্স ট্যানারির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। তবে তিন প্রান্তিক মিলে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোনসানে নেমেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৬ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ০.১০ টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ০.২৬ টাকা বা ৭৬০ শতাংশ।

এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলে বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২০-মার্চ, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৪৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ০.৭৭ টাকা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬২.২২ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এনএভিপিএস ছিল ৬৩.৮৯ টাকা।

ন্যাশনাল টিউবস: শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টিউবসের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৯ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ০.০৩ টাকা। এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই, ২০২০-মার্চ, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.২৫ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.২৩ টাকা।

২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫২.৭৯ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ১৫৩.৫০ টাকা।

ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট: ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) অনিরক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১১ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.১৭ টাকা। এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলে অর্থাৎ ৯ মাসে কোম্পানিটির (জুলাই, ২০২০ থেকে মার্চ, ২০২১) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৯ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ১.১৯ টাকা।

২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৯.০৯ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এনএভিপিএস ছিল ৭৯.৬৮ টাকা।

বিদেশি বন্ড ছেড়ে ১৫০ কোটি ডলার তুলবে আইসিবি: রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বন্ড ছেড়ে বিদেশি মুদ্রায় ১৫০ কোটি ডলার ঋণ নিতে চায়। বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে আইসিবি ইতিপূর্বে নেওয়া উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধ করবে। এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে রাষ্ট্রীয় এই বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশি এই বন্ড ছাড়ার বিষয়ে গত মার্চে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইসিবি।

দশ বছর মেয়াদি এই বন্ডের কুপন রেট বার্ষিক ৩ শতাংশ। প্রথম দুই বছর গ্রেস পিরিয়ড। তৃতীয় বছর থেকে বার্ষিক ৮টি সমান কিস্তিতে এই ঋণের আসল টাকা পরিশোধ করবে আইসিবি। সুদ পরিশোধ করা হবে ষান্মাসিক ভিত্তিতে। গত বছর বিদেশি বন্ড ইস্যু করে ১০০ কোটি ডলার সংগ্রহের প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১৫০ কোটি ডলার সংগ্রহের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আইসিবির পরিচালনা পর্ষদ। এই বন্ড থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার উচ্চ সুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করবে আইসিবি। অবশিষ্ট অর্থের মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ ও পুঁজিবাজারে ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দেওয়া চিঠিতে আইসিবি জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তর থেকে স্বল্প সুদে তহবিল সংগ্রহের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া আগে সংগৃহীত মেয়াদি আমানত পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল জোগানোর জন্য বিদেশ থেকে স্বল্প সুদে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

তবে অর্থ মন্ত্রণালয় আইসিবিকে জানায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের বিষয়টি একটি নীতিগত বিষয়। সুতরাং প্রস্তাবিত বন্ডের আইনগত ও আর্থিক দিক, সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং অন্যান্য যৌক্তিকতাসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিশেষজ্ঞর মতামত এবং অবশ্যই আইসিবির পর্ষদের সিদ্ধান্তসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাতে বলা হয় আইসিবিকে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী, বিদেশি বন্ড ছাড়ার বিষয়ে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতামত সংগ্রহ করতে শুরু করেছে বলে জানান আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিএসইসি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকনির্দেশনা পেলে আমরা পূর্ণাঙ্গ একটি প্রস্তাব তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পাঠাব।’ এই তহবিল পেলে আইসিবির তারল্য প্রবাহ এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা করেন আইসিবি এমডি।

আইসিবির ক্রেডিট ডিভিশন থেকে পাঠানো ওই প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে ছয়টি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা ও আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি বিএসইসিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পুঁজিবাজারে তারল্যের জোগান বাড়াতে আইসিবির আন্তর্জাতিক বাজারে ১৫০ কোটি ডলার মূল্যের বন্ড ইস্যুর প্রাথমিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

চিঠিতে আইসিবি জানায়, ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে পুঁজিবাজারে অব্যাহত মন্দাভাব বিরাজ করায় বাজারের ওপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল আইসিবির আর্থিক সক্ষমতা অনেকাংশে কমে গেছে। উচ্চ সুদে প্রাতিষ্ঠানিক আমানত নিতে হয়েছে। তবে ২০১৭ সালের পর মেয়াদি আমানতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একক গ্রাহক ঋণসীমার কারণে আমানত সংগ্রহের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বল্পমেয়াদি আমানতের ওপর আইসিবির নির্ভরশীলতা কমাতে ২ হাজার কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যু করে। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল থেকে ৭৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে আইসিবি।

আইসিবি বলছে, বর্তমানে তাদের তহবিল ব্যয় (কস্ট অফ ফান্ড) প্রায় ৯ শতাংশ এবং প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ১০ থেকে ১১ শতাংশ সুদে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারের অবস্থা ভালো না হওয়ায় পুঁজি প্রত্যাহারের সুযোগ না পাওয়ায় ওই আমানত ফেরত দিতে পারছে না সংস্থাটি। গত ২৪ মার্চ আইসিবির পর্ষদের ৫৯৩তম সভায় বিদেশি বন্ড ছাড়ার বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া এই বন্ডের আইনগত ও আর্থিক ঝুঁকি এবং অন্যান্য যৌক্তিকতা নিরূপণে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।