দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি রহিমা ফুডের পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির ব্লক মার্কেটে শেয়ার ক্রয়-বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পরও ডিএসই’র লেনদেন চিত্রে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়নি।

জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির উদ্যোক্তা মিসেস রাফিয়া চৌধুরীরর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিশ্বজিত সাহা ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়ে জানান ওইদিনই ব্লক মার্কেটে শেয়ারগুলো বিক্রি করবেন। পক্ষান্তরে ওই কোম্পানির অপর উদ্যোক্তা পরিচালক মো. হাসান, মিস হামিদা এবং ফজলুর রহমান প্রত্যেকেই ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৬টি শেয়ার ব্লক মার্কেটে ওইদিনই ক্রয় করবেন।

কিন্ত ওইদিন ডিএসইর ওয়েবসাইটে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের লেনদেন ছিল না। এরপর আরও দুই কার্যদিবস ২ মে এবং ৩ মে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির লেনদেনের কোনো তথ্য দেখা যায় না। এ বিষয়ে একজন বিনিয়োগকারী কোম্পানিতে ফোন করে জানতে চাইলে সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করা ওই বিনিয়োগকারী।

‘এ’ ক্যাটাগরির রহিমা ফুড ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির পূঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৮৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ২০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ৪৫.২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২.৮২ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ৪.৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

চলতি অর্থবছরে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬ পয়সা। গত বছর একই সময় যার শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ৭৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর‘২০-ডিসেম্বর‘২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২২ পয়সা।

দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ৬ মাসে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৮ পয়সা। গত বছর একই সময় যার শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৯ টাকা ৬৫ পয়সা।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর আবারও লেনদেন চালু হয় রহিমা ফুড করপোরেশনের। এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে তা জানানোর জন্য চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে কমিশনকে জানাতে বলা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানির লেনদেন চালুর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়।

একই দিনে রহিমা ফুডের তালিকাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা ও সুপারিশ চেয়ে চিঠি দেয় বিএসইসি। চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানির স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে ডিএসইর বিস্তৃত কোনো পদ্ধতি আছে কি না? এছাড়া তালিকাচ্যুতির আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব সম্পর্কে জানাতে বলা হয়।

এছাড়া তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড ও কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের কোনো শর্ত পরিপালন না করায় কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছে কমিশন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশনকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুত করার পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করে রাখে।

তালিকাচ্যুত হওয়ার আগে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরণের পণ্য বিক্রি হয়নি। কিন্তু এ সময়ে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও কারখানা বাবদ ব্যয় বেড়েছে। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যয় ছিল ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

সেই সময় ৯ মাসে তা বেড়ে হয়েছে এক কোটি এক লাখ ৯৫ লাখ টাকা। সেই সময়ে বন্ধ থাকা এ প্রতিষ্ঠানটির ২০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ বিক্রি করা হয়, যা নিট মুনাফায় দেখানো হয়েছিল। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে তালিকাচ্যুত করা হয়।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে উদ্যোক্তা হতে পারবে বিদেশি কোম্পানি: বিদেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল সোমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে বিদেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশি যেকোনো পাবলিক বা প্রাইভেট কোম্পানি দেশীয় যোগ্য উদ্যোক্তার সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হতে পারবে। এক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানি একক বা যৌথভাবেও উদ্যোক্তা হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৮২ অনুযায়ী ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। এই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি কোম্পানি উদ্যোক্তা হিসেবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৫ শতাংশের বেশি মালিক হতে পারবে না।

পুঁজিবাজার ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন: শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠিত হচ্ছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ নিয়ে এ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ কারণে তহবিলটির আকার কমবেশি হতে পারে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আজ সোমবারের সভায় তহবিল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, আলোচিত ফান্ডের আম ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (Capital Market Stabilization Fund) ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’। শুরুতে এ তহবিলে যুক্ত হবে শেয়ারবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ। আইন করে এসব লভ্যাংশ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তহবিলে নিয়ে আসা হবে।

বর্তমানে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ রয়েছে। যার মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার। আর বোনাস লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।

এই তহবিল গঠনে নতুন একটি বিধি করেছে বিএসইসি। সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে শেয়ারবাজারের কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে বিনিয়োগকারী বা গ্রাহকের অর্থ তিন বছরের বেশি সময় ধরে অদাবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা নতুন এ তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে। তহবিলটির অর্থ শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তবে কখনো যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে কোনো বিনিয়োগকারী তার লভ্যাংশ দাবি করেন, তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে তা তহবিল থেকে নিষ্পত্তি করা হবে।

আজকের কমিশন সভায় আলোচিত ফান্ড পরিচালনা সংক্রান্ত বিধিমালা Bangladesh Securities and Exchange Commission (Capital Market Market Stabilization Fund) Rules, 2021 অনুমোদন করা হয়েছে্ কিছুদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ইউনাইটেড পাওয়ারের ইপিএসে চমক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশ অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্র মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি -মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩৩ পয়সা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৬৬ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৯০ পয়সা।

এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৮ টাকা ১৩ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৯৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৬ টাকা ২ পয়সা।

ডিএসই তিন কোম্পানির লেনদেনে উল্লম্ফন: পুঁজিবাজার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন কমেছে। তবে লেনদেন কমলেও তিন কোম্পানির লেনদেনে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। কোম্পানিগুলো ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়া। কোম্পানিগুলো হলো-রবি, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও বিডি ফাইন্যান্স। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবি: রেকর্ড ডেটের কারণে গত (রোববার) রবির লেনদেন বন্ধ ছিল। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১টি। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৮টি। লেনদেন বেড়েছে ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৫টি। আজ এটি ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৩য় স্থানে উঠে আসে।

গতকাল রবির দর ছিল ৪৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা হতে ৪৭ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে। ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সায়। আজ দর বেড়েছে ৯০ পয়সা বা ১.৯৮ শতাংশ।

লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স: আজ লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৪১টি। গতকাল লেনদেন হয়েছে ৭৮ লাখ ২১ হাজার ৪৫৪টি। লেনদেন বেড়েছে ৬৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮৭টি। আজ এটি ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৪র্থ স্থানে ছিল।

আগেরদিন লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা হতে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে। ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সা। আজ দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩.৩৬ শতাংশ।

বিডি ফাইন্যান্স: আজ বিডি ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৬টি। গতকাল লেনদেন হয়েছে ৫১ লাখ ৮৫ হাজার ২৮টি। লেনদেন বেড়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫০৮টি। আজ এটি ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৬ষ্ট স্থানে ছিল।

আগেরদিন বিডি ফাইন্যান্সের দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা হতে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে। ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সাং। আজ দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩.৬৬ শতাংশ।

কোম্পানি ৩টির মধ্যে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার গত এক সপ্তাহ যাবত অব্যাহত কমেছে। গত ২০ এপ্রিল কোম্পানিটির দর ছিল ৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়। গতকাল দর নেমে এসেছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। এক সপ্তাহে দর কমেছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা বা ১৩.০৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটি ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ছিল।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দাপটে দরপতন ঠেকল, পতনের নৈপথ্যে দুই খাত: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে শেয়ার বিক্রির প্রেসারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের নিন্মমুখী প্রবনতা শুরু হলেও ব্যাংক-আর্থিক খাতের দাপটে বড় দরপতন ঠেকল বাজারে। ফলে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, সূচক ও লেনদেন।তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সামান্য পতন হলেও লেনদেন কমেছে বড় ব্যবধানে।

আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১’শ ৫৯ কোটি টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ২’শ ৪৭ কোটি টাকা কম। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মূলত দুই খাতের কারণে আজ ডিএসইতে লেনদেনে পতন হয়েছে। খাত ২টি হলো-বিবিধ ও বিমা খাত।

আজ বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ২৪২ কোটি টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অন্যদিকে, আজ বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৩০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।

আজ লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া, আজ বড় খাতগুলোর মধ্যে জ্বালানি খাতে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও বস্ত্র খাতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন, মিউচুয়াল ফান্ড এবং প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমায় এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। আর তাতে টানা চার কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। বাজারের এই অবস্থানকে মূল্য সংশোধনে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। সোমবার সূচকের ওঠানামার মাধ্যমে দিনের লেনদেন শুরু হলেও পৌনে এক ঘণ্টা পর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে শুরু করে। এতে কমতে থাকে সূচক। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় বড় দরপতন থেকে রক্ষা পায় পুঁজিবাজার।

এদিন ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির শেয়ারের। আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির, কমেছে তিনটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের। এছাড়া বিমা খাতের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ২১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে চারটির শেয়ারের।

ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার বাজারটির প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে এবং বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ১৭৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৪৩ লাখ ১২হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে প্রায় দুইশ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ,স্ট্যান্ডার্ডস ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, হাইডলবার্গ সিমেন্ট, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইনেন্স লিমিটেড, নিটল ইন্স্যুরেন্স এবং ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল- বেক্সিমকো, লাফার্জহোলসিম, রবি আজিয়াটা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, বিডি ফাইনেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ম্যাকসন স্পিনিং, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং নিটল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১২৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৬২ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

ডিএসই তিন কোম্পানির লেনদেনে উল্লম্ফন: পুঁজিবাজার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন কমেছে। তবে লেনদেন কমলেও তিন কোম্পানির লেনদেনে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। কোম্পানিগুলো ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়া। কোম্পানিগুলো হলো-রবি, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও বিডি ফাইন্যান্স। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবি: রেকর্ড ডেটের কারণে গতকাল (রোববার) রবির লেনদেন বন্ধ ছিল। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১টি। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৮টি। লেনদেন বেড়েছে ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৫টি। আজ এটি ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৩য় স্থানে উঠে আসে।

গতকাল রবির দর ছিল ৪৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা হতে ৪৭ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে। ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সায়। আজ দর বেড়েছে ৯০ পয়সা বা ১.৯৮ শতাংশ।

লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স: আজ লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৪১টি। গতকাল লেনদেন হয়েছে ৭৮ লাখ ২১ হাজার ৪৫৪টি। লেনদেন বেড়েছে ৬৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮৭টি। আজ এটি ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৪র্থ স্থানে ছিল।

আগেরদিন লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা হতে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে। ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সা। আজ দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩.৩৬ শতাংশ।

বিডি ফাইন্যান্স: আজ বিডি ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৬টি। গতকাল লেনদেন হয়েছে ৫১ লাখ ৮৫ হাজার ২৮টি। লেনদেন বেড়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫০৮টি। আজ এটি ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ৬ষ্ট স্থানে ছিল।

আগেরদিন বিডি ফাইন্যান্সের দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা হতে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে। ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সাং। আজ দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩.৬৬ শতাংশ।

কোম্পানি ৩টির মধ্যে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার গত এক সপ্তাহ যাবত অব্যাহত কমেছে। গত ২০ এপ্রিল কোম্পানিটির দর ছিল ৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়। গতকাল দর নেমে এসেছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। এক সপ্তাহে দর কমেছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা বা ১৩.০৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটি ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ছিল।

ব্লক মার্কেটে চার কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬৪ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৭টি শেয়ার ৫৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬৪ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার ৯৯ হাজার টাকার প্রভাতী ইন্সুরেন্স এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের শেয়ার। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার।

এছাড়া ডেসকোর ২ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, ডেলটা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আলআরগ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড-১ এর ১ কোটি ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৯৩ লাখ ১২ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, আরডি ফুড ৩৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকার,

পপুলার লাইফের ১৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিং ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, কর্ণফুলি ইন্সুরেন্সের ৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, সিএপিএমআবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, এপোলো ইস্পাত ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার,

বীকন ফার্মার ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইনান্স ৫ লাখ ৭১ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৫ লাখ ২২ হাজার টাকার, অগ্রণী ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার, এসোসিয়েট অক্সিজেনের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার এবং ফাইন ফুডসের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

৮ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি। এগুলো হলো- আজিজ পাইপস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইউনাইটে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, কোহিনুর কেমিক্যাল এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজিজ পাইপস : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

কুইন সাউথ টেক্সটাইল : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

সিটি ব্যাংক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ইউনাইটে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হতে পারে।

কোহিনুর কেমিক্যাল : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ব্র্যাক ব্যাংক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

বিমা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হতে নতুন শর্ত: দেশের বীমা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানির পরিচালক নির্বাচন বিধিমালা ২০২১ প্রণয়ন করা হচ্ছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, বীমা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হতে ন্যূনতম একবছর শেয়ার ধারণ করতে হবে। নতুন বিধিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামী বুধবার (৫ মে) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বৈঠকে নতুন বিধিমালাসহ বীমা খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে আরও দুটি বিধি-প্রবিধি নিয়ে আলোচনা হবে।

আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন আজ একটি নিউজ পোর্টালকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, বীমা খাতের উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে বীমাকারীর পরিচালক নির্বাচন বিধিমালা, পরিদর্শন ও তথ্য চাইবার ক্ষমতা প্রবিধানমালা, ২০২১ এবং জীবন বীমাকারীর উদ্বৃত্ত বণ্টন প্রবিধানমালা-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছি। স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনার পর এগুলো গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবো।

আইডিআরএ সূত্র জানায়, বীমাকারীর পরিচালক নির্বাচন বিধিমালা, ২০২১ –তে পরিচালকদের শেয়ারধারণের সময় ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে ১ বছর করা হচ্ছে। এতে একজন শেয়ারহোল্ডারকে পরিচালক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে ন্যূনতম এক বছর বীমা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ধারণ করতে হবে।

অন্যদিকে জীবন বীমা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জীবন বীমাকারীর উদ্বৃত্ত বণ্টন প্রবিধানমালা ২০২১ –তে পলিসিহোল্ডার এবং শেয়ারহোল্ডার ফান্ড আলাদা করাসহ আরও বিভিন্ন প্রস্তাবনা প্রবিধানমালায় সংযোজন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য চাওয়ার এবং পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য প্রণয়ন করা হচ্ছে পরিদর্শন ও তথ্য চাহিবার ক্ষমতা প্রবিধানমালা, ২০২১। বীমা প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে তথ্য সরবরাহ না করলে অথবা পরিদর্শন কার্যক্রমে অসহযোগিতা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রবিধানে।

ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজে ৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ: ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ। শিল্পকারখানা ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের হ্যাঙ্গার, ব্যাটারি কন্টেইনার, সুতার কোন, ফলমূল বহনের ক্যারেট ও অ্যাডাপ্টর উৎপাদনকারী কোম্পানি হিসেবে পথচলা শুরু নব্বইয়ের দশকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারেনি কোম্পানিটি। লোকসান ও নিয়মভঙ্গের কারণে কোম্পানিটির ঠাঁই হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে। টিকে থাকতে পণ্যের ধরন পাল্টে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও এখনও রপ্তানির বাজার পাচ্ছে না ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ।

তথ্যমতে, ১৯৯১ সালে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ বাণিজ্যিক পথচলা শুরু করে। প্রায় ২৮ বছরের পথচলায় বেশিরভাগ সময়ই লোকসানের মধ্যে কাটিয়েছে কোম্পানিটি। ২০১২ সালের পর থেকে দৃশ্যত বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টির আড়ালে রয়েছে কোম্পানিটি। ওই বছরই সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেছে। আর ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের বিনিয়োগকারীরা ২০০২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছে। এর পর থেকে মূলত যন্ত্রপাতি চালু রাখার স্বার্থেই উৎপাদন করতে হচ্ছে।

এদিকে পুঁজিবাজারে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে কোম্পানিটিতে ৫ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। এর ফলে ১১ বছর পর কোম্পানিতে আটকে থাকা বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।

ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজে মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ রফিক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুমন দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিনহাজ ফেরদৌস, সাবেক ব্যাংকার (ন্যাশনাল ব্যাংক) এ কে এম দেলোয়ার হোসেন মালদার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেজুতি রহমান।

এছাড়া, ন্যূনতম দুই জন বা তার বেশি শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মনোনয়নের জন্য কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্য পরিচালকদের কাছে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিষয়টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রার ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) জানানো হয়েছে।

নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করবেন। কোম্পানিটি গতি ফিলে পেলে বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছে কমিশন।

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিভিন্ন দুর্বল কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বর্তমানে উৎপাদন কার্যক্রম নেই, এমন কোম্পানিগুলোতেও পর্যায়ক্রমে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।’

ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়ায় ২০০৯ সালের ওটিসি মার্কেটে স্থানান্তরিত হয়। এরপর দীর্ঘ ১১ বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উন্নতি হয়নি।

স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত থাকার পরও সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন করছে না কোম্পানিটি। বরং প্রতিনিয়তই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। দীর্ষ এ সময়ের মধ্যে আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ার পেছনে কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করে বিএসইসি।

এছাড়া, কোম্পানিটির ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের মাত্র ৮ শতাংশ রয়েছে একজন উদ্যোক্তা পরিচালক কামরুন নেছার হাতে। এছাড়া একজন বিদেশি উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে ওই উদ্যোক্তার কোম্পানি পরিচালনায় কোনো ভূমিকা নেই। আর দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না কোম্পানিটি। কোম্পানিটির ৯২ শতাংশ শেয়ারধারণ করা বিনিয়োগকারীরা গত ২১ বছরে কোনো ধরনের মুনাফা (রিটার্ন) পাননি।

এরই ধরাবাহিকতায় কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএসইসি কর্তৃক মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়াও ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা পরিপালনের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে থেকে নূন্যতম ২ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ার ধারণকারীদের নিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের সংখ্যা ন্যূনতম দুই জন বা তার অধিক হতে পারবে। ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের পুনর্গঠিত পর্ষদকে বিগত দিনের বার্ষিক সাধারণ সভাগুলো (এজিএম) সম্পন্ন করা জন্য আইনগত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।

আর কোম্পানিটির পুনর্গঠিত পর্ষদ স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেননেদেন শুরু করা জন্য প্রয়োজন পদক্ষেপ নেবে। প্রয়োজনবোধে এসএমই প্ল্যাটফর্ম থেকে তহবিল সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তাব দিতে পারে। পুনর্গঠিত পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির কোনো সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি করতে পারবে না। একইসঙ্গে তারা ঋণ বা অন্য কোনো দায়ের জন্য ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেবেন না। তারা এসব কোম্পানির জন্য ঋণখেলাপি হবেন না।

এছাড়া, সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার অবরোধমুক্ত রাখা হবে। আলোচ্য বিষয়গুলো পরিপালন সাপেক্ষে পুনর্গঠিত পর্ষদকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসিতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হতে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬১ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

গোল্ডেন হার্ভেস্টের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ‌শেয়ার প্রতি লোকসান (EPS) হয়েছে ০.২২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ০.০৪ পয়সা। কিন্তু চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২৯ পয়সা। সে হিসেবে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসানের পরিমান কমেছে।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা। ৩১ মার্চ,২০২১ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ১৫ পয়সা।

চমক লভ্যাংশ দিয়ে দরপতনের কবলে রেকিট বেনকিজার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। রেকর্ড ডিভিডেন্ড দিয়েও চাঙ্গা বাজারে কোম্পানিটির শেয়ার দরে পতন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সাড়ে ১২শ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল শেয়ারহোল্ডাদের। এবার তার চেয়ে দেড়শ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, যা তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ। অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে ১৪০ টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। তাতে কোম্পানির ৪৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ারধারী বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে ৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অথচ এমন খবরেও শেয়ারটির দাম কমেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার আগে অর্থাৎ গত ২৯ এপ্রিল এই কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৬১৩ টাকা দরে। সেখান থেকে ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা কমে রোববার (২ মে) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৩০ টাকা দরে।

যা শতাংশ হিসেবে কমেছে ১.৮২ শতাংশ। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১৩১ টাকা ৬ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা ৯৫ পয়সায়। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৪২ টাকা ৬৪ পয়সা।

বর্তমানে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার, সরকারের হাতে রয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার। ঘোষিত ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এমজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ মে।

চার বিমা কোম্পানির ২০ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার বিমা কোম্পানি ২০ কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৩ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, রুপালী ইন্স্যুরেন্স এবং পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিগুলো। রোববার (২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিটি জেনারেল শেয়ারহোল্ডাদের ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১২২ টাকা, পিপল ইন্স্যুরেন্সের ৪ কোটি ৬২ লাখ শেয়ারধারীদের ৫ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, রুপালী ইন্স্যুরেন্স ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪১২ টাকা এবং পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা শেয়ারধারীদের নগদ লভ্যাংশ হিসেবে দেবে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পিপল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরের জন্য নগদ ১১ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সেই হিসেবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪ কোটি ৬২ লাখ শেয়ারধারীদের ১ টাকা ১০ পয়সা করে মোট ৫ কোটি ৮ লাখ ২০ টাকার টাকা ডিভিডেন্ড দেবে কোম্পানিটি। এর আগের বছর শেয়ারহোল্ডাদের ৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল পিপল ইন্স্যুরেন্স। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে প্রতিটি শেয়ারে ৩০ পয়সা করে বেশি লভ্যাংশ দিচ্ছে।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড শেয়াহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এমজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ জুন। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ মে।

আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৭ টাকা ১৪ পয়সা।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও সমাপ্ত ২০২০ বছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সেই হিসেবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ১ টাকা করে মোট ৭ কোটি ৬৬ লাভ ৬৫ হাজার ৪১২ টাকা লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের দেবে কোম্পানিটি। এর আগের বছরের ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছিল রুপালী ইন্স্যুরেন্স।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়াহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এমজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ আগস্ট। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ জুন।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২১ টাকা ৬ পয়সা।

অন্যদিকে ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সও শেয়ারহোল্ডাদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে হিসেবে ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১২২ টাকার শেয়ারহোল্ডারদের নগদ দেবে কোম্পানিটি। এর আগের বছর শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ এবার দ্বিগুণ লভ্যাংশ দিচ্ছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়াহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এমজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ জুন। ওইদিন বেলা ১১টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ মে।

আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৫ টাকা ৬৮ পয়সা।

এছাড়া ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ কোম্পানির ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারহোল্ডারদের ২০ পয়সা করে মোট ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। ৩১ মার্চ ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৭ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো : পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, এসএস স্টিল লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, বিডি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মা এবং স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

বিডি ফিন্যান্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা পর্ষদ আগামী ৫ মে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ২৩ মে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০৮ পয়সা

এসএস স্টিল লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৪ মে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা

স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৪ টাকা ১৮ পয়সা

স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৬ মে দুপুর ১টায় ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

নিয়াকো অ্যালুসের আইপিও আবেদন শুরু ১৬ মে: পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা প্রথম এসএমই কোম্পানি নিয়াকো অ্যালুস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে আগামী ১৬ মে (রোববার)। চলবে ২০ মে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, নিয়াকো অ্যালুস ১০ টাকা মূল্যে ৭৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মুলধন সংগ্রহ করবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে কোম্পানিটি যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এই টাকা সংগ্রহ করবে। সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) নিয়াকো অ্যালুস লিমিটেডকে এসএমই সেক্টরে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের লক্ষ্যে অনুমোদন দিয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হলো ৯১ পয়সা। এই সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১২ টাকা ৪৩ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

করোনা মহামারীতে বেক্সিমকো দুই কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন: নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় পর্যুদস্ত পুরো বিশ্ব। স্বাভাবিকভাবেই করোনার চিকিৎসায় ব্যবহূত ওষুধ, ভ্যাকসিন ও সুরক্ষাসামগ্রীর চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। দেশের অন্যতম কনগ্লোমারেট বেক্সিমকো গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেড করোনা প্রতিরোধে ব্যবহূত ওষুধ, ভ্যাকসিন ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন করছে। আর এর সুবাদে কোম্পানি দুটির ব্যবসা ও মুনাফায় ঈর্ষণীয় উল্লম্ফন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেডের চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কোম্পানি দুটির পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানি দুটির ব্যবসা ও মুনাফায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আয় প্রায় ৪১ শতাংশ এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় ৬৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের নিট মুনাফা ৬১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের নিট মুনাফা ২০ গুণ বেড়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ বলেন, করোনার চিকিৎসায় ব্যবহূত বেশ কয়েকটি ওষুধ আমরা উৎপাদন করছি। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এসব ওষুধের ভালো চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন থেকেও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কমিশন বাবদ কিছু আয় হয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী পিপিইর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পাশপাশি গার্মেন্ট পণ্যের চাহিদা বাড়ার সুবাদে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় বেড়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আয় হয়েছে ৭৩৬ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৬৬১ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৫ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪৬ কোটি ৮৯ টাকা।

আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৭ টাকা ৮৮ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৬৫ কোটি টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২৬২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১০৭ কোটি টাকা।

চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় হয়েছে ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৭১২ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১৮ কোটি টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা।

বস্ত্র খাতের রিং সাইন ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল উৎপাদনে ফিরছে: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পূণ:গঠিত পর্ষদ রিং সাইন ও আল-হাজ্ব টেক্সটাইলকে উৎপাদনে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কমিশনের মাইলফলক সফলতা অর্জন হতে যাচ্ছে। জানা গেছে কমিশন গত কয়েক মাসে আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, রিং সাইন টেক্সটাইল, সিএন্ডএ টেক্সটাইল, এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বিডি ওয়েল্ডিং, ফ্যামিলিটেক্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, অগ্নি সিস্টেমস ও এপেক্স ওয়েভিং।

উৎপাদন শুরুর বিষয়ে রিং সাইন টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এখনও আমাদের কিছু ক্রয় আদেশ আছে। তবে নতুন করে উৎপাদন শুরুর ক্ষেত্রে চলতি মূলধনের ঘাটতিসহ কিছু সমস্যা আছে। সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। গত সপ্তাহেও পর্ষদ সভা হয়েছে। লকডাউন না থাকলে এরইমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়ে যেত।

তবে চলতি মূলধনের ঘাটতি মেটাতে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসেবে আইপিওর ১০০ কোটি টাকা রয়েছে। যা এখন কমিশন ফ্রিজ করে রেখেছে। তবে কোম্পানিটির উৎপাদন শুরুতে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেবে কমিশন।

একই বিষয়ে আল-হাজ্ব টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, কোম্পানিটির উৎপাদন শুরু করতে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তারা। প্রথমত কোম্পানির যন্ত্রপাতির সিংহভাগই বেশ পুরোনো। অনেক যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করতে হবে। এর ওপর চলতি মূলধনে ঘাটতি আছে। সমস্যার মধ্যেও সীমিত আকারে হলেও উৎপাদনে শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। উৎপাদনে ফেরার পর বিএমআরই হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, জেড ক্যাটাগরিভুক্ত যেসব কোম্পানি থেকে বিনিয়োগকারী বহু বছর কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না, সেগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করছে বিএসইসি। গত জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন হলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন পর্ষদ তেমন কোনো কাজ করতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।