দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফান্ডগুলো হলো: এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড : দ্বিতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৮৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছিল ৩৮ পয়সা।

অন্যদিকে, দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ৬ মাসে (অক্টোবর’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছিল ৭৮ পয়সা।

রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড : তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৪ পয়সা ছিল। অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৭৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ২২ পয়সা ছিল।

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড : তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৬১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ৪ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান এক টাকা ৬৩ পয়সা ছিল।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড : তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৩৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ৩৩ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান এক টাকা ১৩ পয়সা ছিল।

এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড : তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৪৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ৬ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে এক টাকা ৫৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৭ পয়সা ছিল।

এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড : প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৩৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছিল ১ পয়সা।

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো: গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, আলহাজ্ব টেক্সটাইল লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১০ মে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করবে কোম্পানিটি।

বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটে : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণাসহ প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ন্যাশনাল পলিমার : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

আলহাজ্ব টেক্সটাইল : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৬ পয়সা।

ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

উত্তরা ব্যাংক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় ইউনিয়ন ব্যাংক: নতুন প্রজন্মের ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ব্যাংকটি। ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে আসার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (পিবিআইএল) এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম মোকাম্মেল হক চোধুরী, পিবিআইএলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা খন্দকার রায়হান আলী এফসিএ, ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ রশিদ হুসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকটি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে পুঁজিবাজারে আসতে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। পরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করে আইপিও অনুমোদন নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। ইউনিয়ন ব্যাংক ছাড়াও আরও একটি ব্যাংক তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। এ দুটি ব্যাংক তালিকাভুক্ত হলে মোট ৩৩টি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। ৩১টি ব্যাংক বাজার মূলধনের দিক থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখছে।

আরএকে সিরামিকসের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি আরএকে সিরামিকস লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ৩৫ পয়সা ছিল। আলোচিত প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ০৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে টাকা ৫৯ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ৯১ পয়সা।

পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় দুই বীমা কোম্পানি: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী দুই বীমা কোম্পানি-সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে কোম্পানি দুটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন জমা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি টাকা। সর্বশেষ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২১ টাকা ৯ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

অন্যদিকে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি সংগ্রহ করতে চায় ১৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তখন পর্যন্ত লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের আকার ছিল ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ডিএসইতে টানা দর বাড়লে কমলেও লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির ১৫৮ কোটি ৭৯ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকার। ৪৯ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্সুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা, ম্যাকসন স্পিনিং, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স ও বিডি ফাইন্যান্স।

প্রাইম ইন্স্যুরেন্স লোকসান থেকে মুনাফায়: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়া, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১৭ টাকা ৬২ পয়সা।

গ্যামলারদের কম দরে শেয়ার হাতানোর কৌশল: বড় বিনিয়োগকারীরা যেমন বেশি দরে শেয়ার বিক্রি করার নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকেন, তেমনি কম দরে শেয়ার হাতিয়ে নেয়ারও নানা ফন্দি-ফিকির চালান। তেমনি এক ফন্দি-ফিকির দেখা গেল আজ (সোমবার) কম দরে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে।

আজ সোমবার (৩ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। একইভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বিডি ফাইন্যান্সের লেনদেনও শুরু হয়। আগেরদিন শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ শুরুতে ৩২ টাকা ৯০ পয়সায় শেয়ারটির ক্রেতা দেখা যায় এবং বিক্রেতা থাকে ৩৩ টাকা ১০ পয়সায়। লেনদেন শুর ৩৩ টাকা ১০ পয়সায়।

এরপর ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত উঠে। তারপরই শুর হয় ভয় দেখানো সেল প্রেসার। এক পর্যায়ে দেখা যায় ৩৩ টাকায় কোম্পানিটির ১০ লাখ ৭ হাজার ১৪৩টি শেয়ারের সেল অর্ডার এবং ৩২ টাকা ৯০ পয়সায় মাত্র ৬ হাজার ৭০৮টি শেয়ারের বাই অর্ডার। এভাবে পর্যায়ক্রমে বড় বড় সেল প্রেসার দিয়ে অন্যান্য দিনের মতো আজও কোম্পানিটির লেনদেন শেষ করা হয়।

আজ বিডি ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৬টি শেয়ার। গত এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি শেয়ার। প্রতিদিনই ডিএসই লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে কোম্পানিটি। আর প্রতিদিনই বড় বড় সেল প্রেসার দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত চলছে পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব। এ সময়ে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানিরই শেয়ার দর বেড়েছে। কিন্তু চাঙ্গাভাবের মধ্যেও এক সপ্তাহ যাবত টানা পতনে রয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার দর। গত ২০ এপ্রিল কোম্পানিটির দর ৪১ টাকায় উঠে। যদিও সেদিন নেতিবাচক প্রবণতায় শেয়ারটি ক্লোজিং হয় ৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

এরপর টানা পতনে গতকাল (রোববার) নেমে আসে ৩২ টাকা ৭০ পয়সায়। এই সময়ে কোম্পানিটির দর কমেছে ৮ টাকার বেশি বা ২০ শতাংশের বেশি। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ছিল।

পুঁজিবাজারের প্রবীণ বিনিয়োগকারী মো. আতাউর রহমান বলেন, কোন কোম্পানির শেয়ার বড় আকারে সেল করতে চাইলে সাধারণত বাই অর্ডার বেশি দেখানো হয়, সেল অর্ডার কম দেখিয়ে সেল করা হয়। বড় আকারে সেল অর্ডার দেখানো মানেই হলো কোন বড় বিনিয়োগকারী শেয়ারটি বাই করতে চান। সেজন্য বড় বড় সেল প্রেসার দেখিয়ে শেয়ারটি সংগ্রহ করছেন।

তিনি বলেন, “সম্প্রতি বিডি ফাইন্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশে অবকাঠামো খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের একটি চুক্তি করেছে। এরপর থেকেই বাজারে গুঞ্জন চলছে, কোম্পানির শেয়ার দর অনেক দুর যাবে। চুক্তির খবর আসার পর শেয়ারটির দর ঊর্ধ্বমুখীও হয়। কিন্তু বেশি দুর এগুতে পারেনি। ৪১ টাকা যাওয়ার দিনই আবার নিম্নগামী হয়। প্রতিদিনই কোম্পানিটির ৭০-৮০ লাখ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে। শেয়ারটির পেছনে মামুরা না থাকলে প্রতিদিন এতো বড় লেনদেন হতো না। মামুরা হয়তো কম দরে শেয়ারটি গুছিয়ে নিচ্ছে।”

আগামী ৫ মে কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০)কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৫ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৮.৮৩।

রহিমা ফুডের ব্লক মার্কেটে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ধোঁয়াশা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি রহিমা ফুডের পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির ব্লক মার্কেটে শেয়ার ক্রয়-বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পরও ডিএসই’র লেনদেন চিত্রে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়নি।

জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির উদ্যোক্তা মিসেস রাফিয়া চৌধুরীরর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিশ্বজিত সাহা ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়ে জানান ওইদিনই ব্লক মার্কেটে শেয়ারগুলো বিক্রি করবেন। পক্ষান্তরে ওই কোম্পানির অপর উদ্যোক্তা পরিচালক মো. হাসান, মিস হামিদা এবং ফজলুর রহমান প্রত্যেকেই ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৬টি শেয়ার ব্লক মার্কেটে ওইদিনই ক্রয় করবেন।

কিন্ত ওইদিন ডিএসইর ওয়েবসাইটে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের লেনদেন ছিল না। এরপর আরও দুই কার্যদিবস ২ মে এবং ৩ মে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির লেনদেনের কোনো তথ্য দেখা যায় না। এ বিষয়ে একজন বিনিয়োগকারী কোম্পানিতে ফোন করে জানতে চাইলে সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করা ওই বিনিয়োগকারী।

‘এ’ ক্যাটাগরির রহিমা ফুড ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির পূঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৮৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ২০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ৪৫.২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২.৮২ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ৪.৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

চলতি অর্থবছরে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬ পয়সা। গত বছর একই সময় যার শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ৭৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর‘২০-ডিসেম্বর‘২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২২ পয়সা।

দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ৬ মাসে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৮ পয়সা। গত বছর একই সময় যার শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৯ টাকা ৬৫ পয়সা।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর আবারও লেনদেন চালু হয় রহিমা ফুড করপোরেশনের। এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে তা জানানোর জন্য চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে কমিশনকে জানাতে বলা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানির লেনদেন চালুর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়।

একই দিনে রহিমা ফুডের তালিকাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা ও সুপারিশ চেয়ে চিঠি দেয় বিএসইসি। চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানির স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে ডিএসইর বিস্তৃত কোনো পদ্ধতি আছে কি না? এছাড়া তালিকাচ্যুতির আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব সম্পর্কে জানাতে বলা হয়।

এছাড়া তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড ও কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের কোনো শর্ত পরিপালন না করায় কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছে কমিশন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশনকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুত করার পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করে রাখে।

তালিকাচ্যুত হওয়ার আগে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরণের পণ্য বিক্রি হয়নি। কিন্তু এ সময়ে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও কারখানা বাবদ ব্যয় বেড়েছে। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যয় ছিল ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

সেই সময় ৯ মাসে তা বেড়ে হয়েছে এক কোটি এক লাখ ৯৫ লাখ টাকা। সেই সময়ে বন্ধ থাকা এ প্রতিষ্ঠানটির ২০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ বিক্রি করা হয়, যা নিট মুনাফায় দেখানো হয়েছিল। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে তালিকাচ্যুত করা হয়।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে উদ্যোক্তা হতে পারবে বিদেশি কোম্পানি: বিদেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল সোমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে বিদেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশি যেকোনো পাবলিক বা প্রাইভেট কোম্পানি দেশীয় যোগ্য উদ্যোক্তার সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হতে পারবে। এক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানি একক বা যৌথভাবেও উদ্যোক্তা হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৮২ অনুযায়ী ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। এই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি কোম্পানি উদ্যোক্তা হিসেবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৫ শতাংশের বেশি মালিক হতে পারবে না।

পুঁজিবাজার ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন: শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠিত হচ্ছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ নিয়ে এ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ কারণে তহবিলটির আকার কমবেশি হতে পারে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আজ সোমবারের সভায় তহবিল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, আলোচিত ফান্ডের আম ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (Capital Market Stabilization Fund) ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’। শুরুতে এ তহবিলে যুক্ত হবে শেয়ারবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ। আইন করে এসব লভ্যাংশ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তহবিলে নিয়ে আসা হবে।

বর্তমানে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ রয়েছে। যার মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার। আর বোনাস লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।

এই তহবিল গঠনে নতুন একটি বিধি করেছে বিএসইসি। সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে শেয়ারবাজারের কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে বিনিয়োগকারী বা গ্রাহকের অর্থ তিন বছরের বেশি সময় ধরে অদাবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা নতুন এ তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে। তহবিলটির অর্থ শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তবে কখনো যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে কোনো বিনিয়োগকারী তার লভ্যাংশ দাবি করেন, তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে তা তহবিল থেকে নিষ্পত্তি করা হবে।

আজকের কমিশন সভায় আলোচিত ফান্ড পরিচালনা সংক্রান্ত বিধিমালা Bangladesh Securities and Exchange Commission (Capital Market Market Stabilization Fund) Rules, 2021 অনুমোদন করা হয়েছে্ কিছুদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ইউনাইটেড পাওয়ারের ইপিএসে চমক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশ অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্র মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি -মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩৩ পয়সা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৬৬ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৯০ পয়সা।

এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৮ টাকা ১৩ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৯৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৬ টাকা ২ পয়সা।