দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৬ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৯৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৩টি শেয়ার ৯০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৯৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ৯৬ হাজার টাকার বেক্সিমকো লিমিটেডের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের।

এছাড়া ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ৩ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, এস এস স্টিলের ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফের ২ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৯০ লাখ ১৫ হাজার টাকার, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৬৮ লাখ ১২ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার,

রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার, এল আর গ্লোবাল মিচুয়াল ফান্ড-১ এর ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ লাখ টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, প্রাইম ব্যাংকের ২৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সী পার্ল হোটেলের ১৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকার,

জেনেক্স ইনফোসিসের ১৭ লাখ ২ হাজার টাকার, উত্তরা ব্যাংকের ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ১৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৯ লাখ ২ হাজার টাকার, এসসিএমএলএফবিএসএল ফান্ডের এর ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার,

আমান ফিডের ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকার, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৬ লাখ ৪ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকার, বিজিআইসির ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, বিচ হ্যাচারির ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার এবং মুন্নু সিরামিকের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

৯ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ৯ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। আজ (০৫ মে) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর হলো : এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, মেট্রো স্পিনিং, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা স্পিনার্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড: আগেরদিন মঙ্গলবার মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড : আগেরদিন মঙ্গলবার এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ৯ টাকায়। আজ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন শুরু হয়েছে ৯.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির ইউনিট দর ০.৯০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা স্পিনার্স : আগেরদিন মঙ্গলবার ডেল্টা স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৭০ টাকা বা ৯.৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : আগেরদিন মঙ্গলবার প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ১৮.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন শুরু হয়েছে ১৮.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন হয়েছে ২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির ইউনিট দর ১.৮০ টাকা বা ৯.৮৯ শতাংশ বেড়েছে।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স : আগেরদিন মঙ্গলবার রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৩.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭০.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৩০ টাকা বা ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স : আগেরদিন মঙ্গলবার পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৪.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৬.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৪০ টাকা বা ৯.৮৩ শতাংশ বেড়েছে।

ওরিয়ন ফার্মা : আগেরদিন মঙ্গলবার ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৬.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৯.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৬০ টাকা বা ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স: আগেরদিন মঙ্গলবার সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা বা ৯.৭০ শতাংশ বেড়েছে।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড : আগেরদিন মঙ্গলবার এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ৮.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন শুরু হয়েছে ৮.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৯.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির ইউনিট দর ০.৮০ টাকা বা ৯.৪১ শতাংশ বেড়েছে।

৮ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো: রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, র্কণফুলী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট লিমিটেড, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করবে কোম্পানিটি।

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ২০ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হতে পারে।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১৮ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষতি আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা হবে।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১০ মে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

প্রিময়ার সিমেন্ট লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

দুই বীমা কোম্পানির কারণ ছাড়াই দর বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের দুই কোম্পানির শেয়ার দর কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্ত নোটিশের জবাবে এমনটিই জানিয়েছে কোম্পানি দুইটি। কোম্পানিগুলো হলো- মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, উল্লেখিত ২ কোম্পানি শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই নোটিশ পাঠায়। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানি দুইটির পক্ষ থেকে জানিয়েছে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

এদিকে, গত ২৬ এপ্রিল মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দর ছিল ৩৯.১০ টাকায়। আর ০৪ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭.৮০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৭০ টাকা বা ২২ শতাংশ বেড়েছে।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৮ এপ্রিল ছিল ৬৬.৭০ টাকায়। আর ০৪ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬.৭০ টাকায়। অর্থাৎ এই ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০ টাকা বা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

কভিড-১৯ টিকা উৎপাদন করতে চায় ওরিয়ন ফার্মা: দেশেই কভিড-১৯ টিকা উৎপাদন করতে চায় অন্যতম ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ণ খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বরাবর আজ পাঠানো এক চিঠিতে এ আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরিন করিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, জাতিকে সেবা করার জন্য এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সংকট বিবেচনায় ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড দেশেই কভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি নতুন ওষুধ পণ্যের জন্য চার তলা ভবন নির্মিত হয়েছে। ভবনের দ্বিতীয় তলার উৎপাদন ক্ষেত্রটি কভিড-১৯ টিকার জন্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

আমরা ইতোমধ্যে “দি রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড(আরডিআইএফ)” এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কভিড- ১৯ টিকা স্পুটনিক ভি সরবরাহের বিষয়ে, কিন্ত এই মুহুর্তে তারা সরকারি পর্যায়ে সরবরাহ করছে এ তথ্য জানিয়ে চিঠিতে বলা হয় কভিড- ১৯ টিকা উৎপাদনের জন্য যেহেতু আমাদের নতুন নির্মিত একটি ফ্যাসিলিটি আছে, আমরা প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়েও এগিয়েছি। তারা কভিড- ১৯ টিকা উৎপাদনের বিস্তারিত পদ্ধতি আমাদেরকে জানিয়েছে। পদ্ধতি বিশ্লেষনের পর আমরা সিদ্ধান্তে পৌছেছি যে কভিড- ১৯ উৎপাদন চক্রের যে কোন ধাপ অনুসরণে আমরা সক্ষম।

আরডিআইএফ’র প্রয়োজনমতো টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়াগুলো জানাতে ধারাবাহিক যোগাযোগ রাখার বিষয়টি জানিয়ে চিঠিতে চিঠিতে বলা হয়, আরডিআইএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফিল ফিনিশ ধাপ থেকে আমরা উৎপাদন শুরু করবো। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কাল্টিভেশন ধাপ থেকে টিকা উৎপাদনে যাবো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটির বিষয়টি ঔষধ প্রশাসনকে অবহিত করেছি। জটিল পরিস্থিতিতে দেশকে সেবা দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছি। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সংকট মেটানোর লক্ষ্যে নিজস্ব সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করে সরকারকে সহযোগীতা করতে চাই আমরা। আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাই আমাদের প্রোডাকশন প্লান্টে কভিড- ১৯ টিকা উৎপাদনে।

সাফকো স্পিনিংয়ের নো ডিভিডেন্ড, পর্ষদকে বিএসইসিতে তলব: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড টানা দুই বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড না দেওয়া ও ক্রমাগত লোকসানের কারণ জানতে পরিচালনা পর্ষদসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

২০১৯ ও ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন আলোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি সাফকো স্পিনিং মিলস। এছাড়া কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে কখনো শেয়ারহোল্ডারদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়নি। ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ার কারণে তালিকাভুক্তর পর থেকে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ফলে কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ক্রমাগত লোকসানের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তাই সাফকো স্পিনিং মিলস কেন ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না, সে বিষয়টি জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে ডেকেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও সচিবকেও ডাকা হয়েছে। আর ডিভিডেন্ড না দেওয়া-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পরিচালনা পর্ষদকে সঙ্গে আনাতে বলেছে বিএসইসি।

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে দুপুর ১টার দিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে তলব করা হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সাফকো স্পিনিং মিলস। তালিকাভুক্তি ওই বছর থেকে টাকা ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের ওপর বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

তবে ২০১৫ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানি অবারও শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস-ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে কোম্পানিটির ঘোষিত বোনাস-ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ায় কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬-তে।

সর্বশেষ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ৩৭ পয়সা। আর দুই প্রান্তিক মিলে আর্থাৎ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।