দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চলমান লকডাউন আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে ব্যাংক লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ বুধবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ব্যাংকিং লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। আর আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন আরোপ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন দফায় দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

এর আগেও জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান এমনকি সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন দেয়া হলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে জরুরি সেবা হিসেবেই দেখার কথা জানিয়েছিল ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা:  পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অনিয়মে ঋণ বিতরণ ঠেকাতে নতুন করে ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন করে ঋণ দিতে হলে ব্যাংকটির আমানত বৃদ্ধি ও বিতরণ করা ঋণ আদায় বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া ব্যাংকটি নতুন কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পারবে না।

ন্যাশনাল ব্যাংককে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর বেশি কিছু এখন বলতে পারব না।

ন্যাশনাল ব্যাংকে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) ৮৭ শতাংশে না আসা পর্যন্ত ব্যাংকটি কোনো ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। বর্তমানে ব্যাংকটির এডিআর অনুপাত ৯২ শতাংশ। ব্যাংকটির আমানত প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা ও ঋণ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তাই নতুন ঋণ বিতরণ করতে হলে ব্যাংকটির আমানত বৃদ্ধি ও বিতরণ করা ঋণ আদায় বাড়াতে হবে। এদিকে ব্যাংকটির বড় অঙ্কের ঋণ ও একক ঋণসীমা বা সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট নতুন করে নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এ হিসাবে পরিশোধিত মূলধনের ৫ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১৫৩ কোটি টাকার মত বড় অঙ্কের ঋণ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর একক গ্রাহক ঋণসীমা হবে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ বা ৩০৬ কোটি টাকা। এই সীমা নগদ ঋণ (ফান্ডেড) ও ঋণ সুবিধা (নন-ফান্ডেড) ঋণসহ। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ অধিগ্রহণ বা কিনতে পারবে না।

ব্যাংকটির শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতার ঋণ আদায়ের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, ব্যাংকটির শীর্ষ ২০ গ্রাহকের মধ্যে অন্যতম হলো এস আলম গ্রুপ, মায়শা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, সাদ মুসা, নাফ ট্রেডিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এফএমসি ডকইয়ার্ড, প্রাণ-আরএফএল, ব্লুম সাকসেস ইন্টারন্যাশনাল, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক উপদেষ্টা, পরামর্শক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিম্নতর দুই পদে নিয়োগ দিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। এর ফলে ব্যাংকটিতে শীর্ষ পর্যায়ে পছন্দের ব্যক্তি চাইলেই নিয়োগ দিতে পারবে না।

এদিকে ঋণ বিতরণে অনিয়ম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) না থাকা, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিচালনা পর্ষদে শুরু হয় বিবাদ- সব মিলিয়ে অস্থির অবস্থায় ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকটিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে স্থায়ী এমডি নিয়োগের সময় বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময় এমডি নিয়োগ না দিলে আইন অনুযায়ী প্রশাসক বসানো হবে জানিয়েছিল।

পরে জরুরি বোর্ড সভা ডেকে শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেয় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সৈয়দ আব্দুল বারীকে তিন মাসের জন্য অনাপত্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি এসময় ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন। আর ব্যাংকের পর্ষদ আগামী তিন মাসের মধ্যে স্থায়ী এমডি নির্বাচন করবে। এর আগে দীর্ঘদিন ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি এ এস এম বুলবুল এমডির চলতি দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে সরিয়ে দিতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক চলছে অনেকটা সিকদার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে। দীর্ঘদিন এর চেয়ারম্যান ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার। এরপর কোনো পর্ষদ সভা হয়নি। কিন্তু ঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখা হয়েছে, যেখানে বেশকিছু অনিয়মের ইঙ্গিত পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক (সাধারণত বড় ঋণ বোর্ড সভায় অনুমোদিত হতে হয়)।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জয়নুল হক সিকদারের মৃত্যুর পর ব্যাংকটি নিজেদের একক নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছেন পরিচালক রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার। তারা দুজনই জয়নুল হক সিকদারের ছেলে। তবে মেয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) পারভীন হক সিকদারসহ অন্য পরিচালকরা চাইছেন নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে। অনিয়ম করে ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ব্যাংকটির পরিচালকদের মধ্যে দুটি পক্ষ হওয়ায় পর্ষদে বিবাদ শুরু হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের এসব ঘটনা নজরে এলে গত ৫ এপ্রিল বেশকিছু তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া ঋণ বিতরণ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া রংধনু বিল্ডার্স, দেশ টিভি, রূপায়ণ ও শান্তা এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে দেওয়া সব ঋণের দলিলাদি (ঋণ আবেদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত) এবং ঋণের পূর্ণাঙ্গ হিসাব বিবরণীর কপি পাঠাতে বলা হয়। যদিও বিতরণ করা অনেক ঋণের নথি দেখাতে পারছে না ন্যাশনাল ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকটি নতুন করে ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ১১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ঋণের ওপর প্রথম প্রান্তিকে সুদ যুক্ত হয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ২১৩ কোটি টাকা।

তবে তিন মাসে আমানত বেড়েছে মাত্র ৫২১ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটির ৪০টি শাখা লোকসানে রয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দীর্ঘ দিন ধরে ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপটে পুঁজিবাজারে বড় উত্থানে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিমা খাতের পর এবার ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দাপটে বড় উত্থানে শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন। টানা সাত কার্যদিবস দাম বাড়ার পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৫ মে) বিমার শেয়ারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। তবে এদিনও মিউচ্যুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারকে চাঙা রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

দীর্ঘদিন ধরে অলস পড়ে থাকা বিনিয়োগকারীদের ২১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড শিগগিরই পুঁজিবাজারে আসছে। পাশাপাশি এখন থেকে বন্ডে বিদেশিরাও বিনিয়োগ করতে পারবেন, এ দুটি সুখবরে বুধবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়।

মাত্র আড়াই ঘণ্টার লেনদেনের মধ্যে প্রথম এক ঘণ্টা ৮ মিনিট উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। এরপর বিমা কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচকের ওঠানামা, যা দিনের বাকি সময় অব্যাহত ছিল।

দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৫৩ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৫৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে তালিকাভুক্ত ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ইউনিটের শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে দুটির, অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি শেয়ারের দাম। একইভাবে দাম বেড়েছে আর্থিক খাত ও বিদ্যুৎ জালানি খাতের শেয়ারের। আর সেই ধাক্কায় বড় উত্থান হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে এবং বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩২ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ১০০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৫৬ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

আজ ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল- বেক্সিমকো, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস, রবি আজিয়াটা, পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী লাইফ, বিডি ফাইন্যান্স, ম্যাকসন স্পিনিং, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং লাফার্জ হোলসিম লিমিটেড। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ৮৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬২ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

৯ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ৯ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। আজ (০৫ মে) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর হলো : এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, মেট্রো স্পিনিং, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা স্পিনার্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড: আগেরদিন মঙ্গলবার মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড : আগেরদিন মঙ্গলবার এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ৯ টাকায়। আজ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন শুরু হয়েছে ৯.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির ইউনিট দর ০.৯০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা স্পিনার্স : আগেরদিন মঙ্গলবার ডেল্টা স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৭০ টাকা বা ৯.৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : আগেরদিন মঙ্গলবার প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ১৮.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন শুরু হয়েছে ১৮.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন হয়েছে ২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির ইউনিট দর ১.৮০ টাকা বা ৯.৮৯ শতাংশ বেড়েছে।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স : আগেরদিন মঙ্গলবার রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৩.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭০.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৩০ টাকা বা ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স : আগেরদিন মঙ্গলবার পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৪.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৬.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৪০ টাকা বা ৯.৮৩ শতাংশ বেড়েছে।

ওরিয়ন ফার্মা : আগেরদিন মঙ্গলবার ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৬.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৯.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৬০ টাকা বা ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স: আগেরদিন মঙ্গলবার সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা বা ৯.৭০ শতাংশ বেড়েছে।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড : আগেরদিন মঙ্গলবার এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ৮.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন শুরু হয়েছে ৮.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৯.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির ইউনিট দর ০.৮০ টাকা বা ৯.৪১ শতাংশ বেড়েছে।

৮ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো: রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, র্কণফুলী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট লিমিটেড, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করবে কোম্পানিটি।

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ২০ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হতে পারে।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১৮ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষতি আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা হবে।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১১ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ১০ মে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

প্রিময়ার সিমেন্ট লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ৮ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

দুই বীমা কোম্পানির কারণ ছাড়াই দর বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের দুই কোম্পানির শেয়ার দর কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্ত নোটিশের জবাবে এমনটিই জানিয়েছে কোম্পানি দুইটি। কোম্পানিগুলো হলো- মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, উল্লেখিত ২ কোম্পানি শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই নোটিশ পাঠায়। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানি দুইটির পক্ষ থেকে জানিয়েছে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

এদিকে, গত ২৬ এপ্রিল মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দর ছিল ৩৯.১০ টাকায়। আর ০৪ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭.৮০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৭০ টাকা বা ২২ শতাংশ বেড়েছে।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৮ এপ্রিল ছিল ৬৬.৭০ টাকায়। আর ০৪ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬.৭০ টাকায়। অর্থাৎ এই ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০ টাকা বা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

কভিড-১৯ টিকা উৎপাদন করতে চায় ওরিয়ন ফার্মা: দেশেই কভিড-১৯ টিকা উৎপাদন করতে চায় অন্যতম ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ণ খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বরাবর আজ পাঠানো এক চিঠিতে এ আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরিন করিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, জাতিকে সেবা করার জন্য এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সংকট বিবেচনায় ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড দেশেই কভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি নতুন ওষুধ পণ্যের জন্য চার তলা ভবন নির্মিত হয়েছে। ভবনের দ্বিতীয় তলার উৎপাদন ক্ষেত্রটি কভিড-১৯ টিকার জন্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

আমরা ইতোমধ্যে “দি রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড(আরডিআইএফ)” এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কভিড- ১৯ টিকা স্পুটনিক ভি সরবরাহের বিষয়ে, কিন্ত এই মুহুর্তে তারা সরকারি পর্যায়ে সরবরাহ করছে এ তথ্য জানিয়ে চিঠিতে বলা হয় কভিড- ১৯ টিকা উৎপাদনের জন্য যেহেতু আমাদের নতুন নির্মিত একটি ফ্যাসিলিটি আছে, আমরা প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়েও এগিয়েছি। তারা কভিড- ১৯ টিকা উৎপাদনের বিস্তারিত পদ্ধতি আমাদেরকে জানিয়েছে। পদ্ধতি বিশ্লেষনের পর আমরা সিদ্ধান্তে পৌছেছি যে কভিড- ১৯ উৎপাদন চক্রের যে কোন ধাপ অনুসরণে আমরা সক্ষম।

আরডিআইএফ’র প্রয়োজনমতো টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়াগুলো জানাতে ধারাবাহিক যোগাযোগ রাখার বিষয়টি জানিয়ে চিঠিতে চিঠিতে বলা হয়, আরডিআইএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফিল ফিনিশ ধাপ থেকে আমরা উৎপাদন শুরু করবো। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কাল্টিভেশন ধাপ থেকে টিকা উৎপাদনে যাবো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটির বিষয়টি ঔষধ প্রশাসনকে অবহিত করেছি। জটিল পরিস্থিতিতে দেশকে সেবা দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছি। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সংকট মেটানোর লক্ষ্যে নিজস্ব সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করে সরকারকে সহযোগীতা করতে চাই আমরা। আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাই আমাদের প্রোডাকশন প্লান্টে কভিড- ১৯ টিকা উৎপাদনে।

সাফকো স্পিনিংয়ের নো ডিভিডেন্ড, পর্ষদকে বিএসইসিতে তলব: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড টানা দুই বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড না দেওয়া ও ক্রমাগত লোকসানের কারণ জানতে পরিচালনা পর্ষদসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

২০১৯ ও ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন আলোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি সাফকো স্পিনিং মিলস। এছাড়া কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে কখনো শেয়ারহোল্ডারদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়নি। ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ার কারণে তালিকাভুক্তর পর থেকে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ফলে কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ক্রমাগত লোকসানের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তাই সাফকো স্পিনিং মিলস কেন ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না, সে বিষয়টি জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে ডেকেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও সচিবকেও ডাকা হয়েছে। আর ডিভিডেন্ড না দেওয়া-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পরিচালনা পর্ষদকে সঙ্গে আনাতে বলেছে বিএসইসি।

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে দুপুর ১টার দিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে তলব করা হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সাফকো স্পিনিং মিলস। তালিকাভুক্তি ওই বছর থেকে টাকা ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের ওপর বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

তবে ২০১৫ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানি অবারও শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস-ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে কোম্পানিটির ঘোষিত বোনাস-ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ায় কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬-তে।

সর্বশেষ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ৩৭ পয়সা। আর দুই প্রান্তিক মিলে আর্থাৎ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।