দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানো গেছে।

জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ৮১ পয়সা। আর এককভাবে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ৭৫ পয়সা।

একই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২১ টাকা ৬৯ পয়সা। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩১ মে।

বিএসইসি’র যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: আইপিওর শেয়ারে প্রথম কার্যদিবসে সার্কিট ব্রেকার: পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পায়। সেই দর বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে এবার সার্কিট ব্রেকারে দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তন আনলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ এ বিষয়ে বিএসইসির জারিকৃত নির্দেশনায় জানানো হয়, বর্তমানে পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর আইপিও শেয়ার প্রথম দুই দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়তে পারতো। সেটা পরিবর্তন করে এখন থেকে আইপিও শেয়ারের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত শেয়ারের মতই প্রথম দিন থেকে ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হব।

এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আইপিও শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে প্রথম দুই দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে সার্কিট ব্রেকার ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে আইপিও শেয়ার লেনদেনে শুরু করার প্রথম দিন থেকেই অন্যান্য শেয়ারের মত ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করা থাকবে।

ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান বলছেন, পুঁজিবাজার ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দূরদর্শি সিদ্ধান্তে সাধারন বিনিয়োগকারীদের মাঝে ধীরে ধীরে আস্থা ফিরছে। মুলত আইপিও শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে প্রথম দুই দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে সার্কিট ব্রেকার ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে আইপিও শেয়ার লেনদেনে শুরু করার প্রথম দিন থেকেই অন্যান্য শেয়ারের মত ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তটি যুগান্তকারী বলে তিনি মনে করেন।

প্রসঙ্গত, নতুন তালিকাভুক্ত হয়ে শেয়ার লেনদেনের প্রথম দুই দিন কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকে না। তাই যৌক্তিক দরের থেকেও কয়েকগুন দর বাড়ে নতুন শেয়ারের। অবশ্য কিছুদিন পরেই শেয়ারের দর কমে যায় এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ কারণে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭০৪ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেনদেনের প্রথম দিকে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ারের উচ্চ মূল্য থাকায় এনআরবি (অনিবাসী বাংলাদেশী) কোটাসহ বিনিয়োগকারীরা লটারিতে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীরা প্রাথমিক শেয়ার উচ্চমূল্যে বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ার তার প্রথম দিনের উচ্চ মূল্য ধরে রাখতে পারে না।

ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েও বাজার তার স্বাভাবিক গতি হারায়। এ অবস্থায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকারের আওতায় থাকবে।  এক্ষেত্রে প্রথম দিন ইস্যুমূল্যের ৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দিন লেনদেন হওয়া শেয়ারের রেফারেন্স মূল্য কিংবা আগের দিনের সমাপনী মূল্য কিংবা সমন্বিত প্রারম্ভিক মূল্যের উপর ৫০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। তবে তৃতীয় দিন থেকে স্বাভাবিক সময়ের মত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে।

করোনায় ভালো মুনাফা করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেক্সটাইলস: চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জুলাই-মার্চ) ভালো ব্যবসা করেছে স্কয়ার গ্রুপের তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড। এ সময়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৯ শতাংশ এবং স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ। পাশপাশি এ সময়ে কোম্পানি দুটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফায়ও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলসের পর্ষদ। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ২২ কোটি টাকা।

এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৩৬৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ১২ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৮৫ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৫ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৩৬১ কোটি টাকা।

এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩৬ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৮ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৪৩ পয়সায়।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি হয়েছে ৯৪০ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৭৮১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ । আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা।

যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ২৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি হয়েছে ৩৯৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২৪৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৬০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

যেখানে এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে তিন গুণ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১৩ পয়সায়।

জানতে চাইলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলসের হিসাব এবং অর্থ বিভাগের প্রধান মো. কবীর রেজা বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবসায় বরাবরের মতোই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে টেক্সটাইলসের ব্যবসা গত বছর খারাপ থাকলে এবার ভালো করেছে।

এর কারণ হচ্ছে গত বছর কভিডের জন্য মার্চে ব্যবসা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার আমাদের ব্যবসা হয়েছে। তাছাড়া গতবারের চেয়ে এবার বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। বিএমআরইর কারণে আমাদের সক্ষমতা ও উৎপাদন দুটোই বেড়েছে। সব মিলিয়েই চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে আমাদের টেক্সটাইল খাতে ভালো ব্যবসা হয়েছে।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা। ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার টেক্সটাইলসের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৯৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫১৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিডি ফাইন্যান্সের মুনাফায় চমক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি ফাইন্যান্সের চলতি ২০২১ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি আয় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩৫ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ১৫ পয়সা বা ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। চলতি হিসাব বছরের ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৬ পয়সা।

১২ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২ কোম্পানি চলতি হিসাববছেরের জানুয়ারি-মার্চ’২১ প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।  কোম্পানিগুলো গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) সংশ্লিষ্ট বোর্ড সভায় আর্থিক প্রতিবেদনগুলো অনুমোদনের পর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করে।

কোম্পানিগুলো হলো: এপেক্স ফুডস লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড, ইষ্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ইবিএল, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, আজিজ পাইপস, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেড, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনুর কেমিক্যাল বাংলাদেশ লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন।

এপেক্স ফুডস লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৫৮ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১২০ টাকা ৩৪ পয়সা।

সিটি ব্যাংক লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৯৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৭৫ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) এককভাবে সিটি ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৮১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির একক ইপিএস হয়েছিল ৬৫ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৯ টাকা ৩৮ পয়সা।

এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৬৭ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫৫ টাকা ১৯ পয়সা।

ইষ্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল): চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইবিএলের সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৩ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) এককভাবে ইবিএলের ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির একক ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ২ পয়সা।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ২৪ পয়সা ছিল।আলোচিত প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৮৯ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা এক পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। যা গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ছিল ৩৩ টাকা ৪ পয়সা।

আজিজ পাইপস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আজিজ পাইপস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৫ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২৬ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য নেগেটিভ (এনএভি) ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা।

ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।

প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৩ টাকা ২২ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ৫ টাকা ৬২ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৭৪ পয়সা।

ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং ইন্ডাস্ট্রিজ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৪ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ২ পয়সা।

কোহিনুর কেমিক্যাল বাংলাদেশ লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি কোহিনুর কেমিক্যাল বাংলাদেশ লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ৫৪ পয়সা ছিল। অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে এক সাথে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ১৮ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫২ টাকা ২১ পয়সা।

স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত ‌শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৩৫ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ১৩ পয়সা।

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি পূবালী ব্যাংক লিমিটেড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ব্যাংকটির ‌শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের হিসাবছরের একই সময়ে ৮৬ পয়সা ছিল। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৮ টাকা ৬৫ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১১ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ১২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ১.২৭ টাকা বা ১১ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৮ পয়সা। এহিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.২৮ টাকা বা ৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৪৩ পয়সায়।

ডিএসই’র ২৩৬ ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখবে বিএসইসি: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ট্রেকহোল্ডারদের (ব্রোকারেজ হাউজ) অধিকাংশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে ২৩৬টি ট্রোকেহোল্ডারদের কর্মকান্ড যাচাই করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এই ২৩৬টি ব্রোকারেজ হাউজের কাছে বিগত ৩ বছরের কার্মকাণ্ডের তথ্য চেয়েছে। মূলত নিস্ক্রিয় ট্রেকহোল্ডার চিহ্নিত করে তারদেরকে সক্রিয় করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি ডিএসইর ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। ওই চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে ডিএসইতে সদস্যভুক্ত মোট ট্রেকহোল্ডারদের সংখ্যা ২৫০টি। এর মধ্যে ৪টি ট্রেকহোল্ডার শুরু থেকেই নিস্ক্রিয়। আর ১০টি ট্রেকহোল্ডার শেয়ারবোজারে লেনদেন করে না। বাকি ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে পুঁজিবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ২০টি। এছাড়া, বাকি ২১৬টি ট্রেকেহোল্ডারদের মধ্যে অনেকেই যাথাযথ দায়িত্ব পরিপালন করছে না।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব ট্রেকহোল্ডার সঠিকভাবে কাজ করছে না, তাদের বুঝিয়ে কাজে ফেরানো হবে। না হলে তাদেরকে বিকল্প চিন্তা করার কথা বলা হবে। তাই সব ট্রেকহোল্ডার কী কাজ করছে তা জানতেই, বিগত ৩ বছরের কর্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, ডিএসইতে নতুন ট্রেকের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের আবেদন পড়েছে। তাই নতুনদের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে পুরানোগুলোর কার্যক্রমের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপরই নতুন ট্রেকহোল্ডার অনুমোদন দেওয়া হবে।

এসব কার্যক্রম আগে করা হতো না। কিন্তু এখন কে কী করছে তা দেখার জন্য কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা নিয়মিত কাজের অংশ বলে জানিয়েছে বিএসইসি। বিশেষ করে গত তিন বছরে সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কী পরিমাণ শেয়ার কেনা-বেচা করেছে, এভারেজ ট্রেড ভলিউমের পরিমাণ কতসহ বিভিন্ন ফান্ডামেন্টাল ইনফরমেশন যাচাই করবে কমিশন।

৪ বীমা কোম্পানির দর কারণ ছাড়াই বেড়েছে: কোনো কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের চার কোম্পানি শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিগুলো। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানি চারটি হলো : সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

জানা গেছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে ৫ মে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ার দর এভাবে বেড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দর ছিল ২৩.১০ টাকায়। আর ০৫ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ২৮.৬০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৫০ টাকা বা ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ২৫ এপ্রিল ছিল ৫৫.২০ টাকায়। আর ০৫ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯.৬০ টাকায়। অর্থাৎ এই ১৩ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪.৪০ টাকা বা ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৮ এপ্রিল ছিল ৫৬ টাকায়। আর ০৫ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩.২০ টাকায়। অর্থাৎ এই ১৩ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৭.২০ টাকা বা ৩১ শতাংশ বেড়েছে।

সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৮ এপ্রিল ছিল ২৫ টাকায়। আর ০৫ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.৪০ টাকায়। অর্থাৎ এই ১৩ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৪০ টাকা বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে ৩ কোম্পানি: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৬ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৭৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার ১১২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৭৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১১ কোটি ৬৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ন্যাশনাল ফিড মিলের ১০ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের, চতুর্থ সর্বোচ্চ ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৬ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ ই-জেনারেশনের ৫ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকার এবং ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্কয়ার ফার্মার ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া আর ডি ফুডের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেডের ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৩ কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, এস এস স্টিলের ২ কোটি ৬২ লাখ ২৭ হাজার টাকার, ব্রাক ব্যাংকের ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, বেক্সিমকো লিমিটেডের ২ কোটি ৪৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, উনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার টাকার, ডেসকোর ১ কোটি ১০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৯৯ লাখ ৯ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফের ৮৯ লাখ ১০ হাজার টাকার,

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ৭৯ লাখ, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, স্টান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ৬২ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, এলআর গ্লোবাল মিচুয়াল ফান্ডের ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, শাহজালাল ২৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্সুরেন্সের ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার,

বার্জার পেইন্টসের ২৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২৫ লাখ টাকার, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ১৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার, ঢাকা ইন্সুরেন্সের ১০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, রূপালী লাইফের ৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকার,

এডিএন টেলিকমের ৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, সমতা লেদারের ৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ৮২ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, বিবিএস ক্যাবলসের ৫ লাখ টাকার এাবং কোহিনুর কেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।