দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আগামী ৩ জুলাই কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ জুন।

৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। কোম্পানিগুলো তুলে ধরা হলো: তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, এনভয় টেক্সটাইল, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইভেন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড, আর্গন ডেনিমস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট লিমিটেড।এর মধ্যে ৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন কিছু ক্ষণ তুলে ধরা হবে।

তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানি সূত্র মতে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আগামী ৩ জুলাই কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ জুন।

এনভয় টেক্সটাইল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের এনভয় টেক্সটাইলের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) গত বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে । ০৮ মে অনুষ্টিত কোম্পানিটির বোর্ড সভায় প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৯১ পয়সাা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৭০ পয়সা।

এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে এক টাকা ৭৮ পয়সা। এদিকে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.৪৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৩৭.৯০ টাকা।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শনিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করে তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। গতবছর একই সময়ে এনএভি ছিলো ১৮ টাকা ১১ পয়সা।

ইভেন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভেন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শনিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করে তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ৪ পয়সা ছির।

অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১২ টাকা ৭৪ পয়সা।

আর্গন ডেনিমস : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আর্গন ডেনিমস তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শনিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করে তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ২৯ পয়সা ছির। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসই ৫ কোম্পানির লেনদেন ৩২ শতাংশ: গত সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৮০৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬২১ টাকা। এর মধ্যে ১০ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ২১২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। যা ডিএসই লেনদেনের ৩২.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে ১০ কোম্পানির কব্জায় ছিল ডিএসই মোট লেনদেনের ৩২.৫০ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ম্যাকসন স্পিনিং, বিডি ফাইন্যান্স এবং ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেনের প্রথম স্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮৫৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে এ কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ১২.৫৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ১৭৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইনান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬২টি শেয়ার। যার বাজার মূল্য ২১৯ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ৩.২৩ শতাংশ।

লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট লেনদেনের তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ১০৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০৫ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ৩.০২ শতাংশ।

চতুর্থ স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের লেনদেন হয়েছে ৯০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩০টি শেয়ার। যার বাজার মূল্য ছিল ১৭০ কোটি ১১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২.৫০ শতাংশ।

পঞ্চম স্থানে ছিল ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৭টি। যার বাজার মূল্য ১৬৩ কোটি ৩২ লাখ ২৭ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২.৪০ শতাংশ।

ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেনে অবদান রাখার অন্যান্য শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো: রবি আজিয়াটার ২.০৭ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১.৭৯ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১.৭৫ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ১.৬৪ শতাংশ, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ১.৫৩ শতাংশ।

আগামী ৯ দিনের মধ্যে সাত দিনই বন্ধ পুঁজিবাজার: আগামী ৯ দিনের মধ্যে ঈদুর ফিতর ও শবে কদরের ছুটির কারণে সাত দিনই ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারও। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের আগে আর মাত্র দুই দিন ব্যাংক খোলা। আগামী রবি ও মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে। ১৪ মে যদি ঈদ হয়, তাহলে বুধবার (১৩ মে) কেবল পোশাক শিল্প ও রফতানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন হয় এমন সব ব্যাংক শাখা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার (৭ মে ) থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৯ দিনের মধ্যে রবিবার (৯ মে) ব্যাংক খোলা। পরদিন সোমবার (১০ মে) পবিত্র শবে কদরের ছুটি। এরপর ঈদের আগে মঙ্গলবার (১১ মে) ব্যাংক খোলা থাকবে। এছাড়া বাকি সাত দিন ব্যাংক বন্ধ। তবে ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংক শাখা ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে, ব্যাংকের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। ব্যাংকের লেনদেনের সময় বাড়লে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়ও বাড়ে। আবার ব্যাংকের লেনদেন সময় কমলে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়ও কমে। অতএব, ব্যাংক বন্ধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে।

৩ জীবন বীমা কোম্পানির লেনদেনে উল্লম্ফন: গত সপ্তাহে সাধারণ বীমার পাশাপাশি ৩ জীবন বীমা কোম্পানির লেনদেনে উল্লম্ফন হয়েছে। তবে গত এক বছরে সাধারণ বীমার শেয়ারদর বেড়েছে কয়েকগুণ। কিছু কিছু কোম্পানির দর বেড়েছে ৮ থেকে ১০ গুণ। তবে এ সময়ে জীবন বীমার শেয়ারদর সেভাবে বাড়েনি। যদিও গত এক বছরে সাধারণ বীমার মুনাফায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে জীবন বীমার পারফরমেন্সেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে। গতবছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর হতে সাধারণ বীমার শেয়ারে উত্থান হয়। চলে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। তারপর সংশোধন। সম্প্রতি সাধারণ বীমার শেয়ার দরে আবারও উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা একে দ্বিতীয় ঢেউ বলে অভিহিত করছেন।

সাধারণ বীমার দেখাদেখি গত সপ্তাহে জীবন বীমার শেয়ারও ঝলক দিয়ে উঠে। গেল সপ্তাহে বেশিরভাগ জীবন বীমার শেয়ারদর যেমন বেড়েছে। এমনকি দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার জীবন বীমার শেয়ারও নড়েচড়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর লেনদেনও বেড়েছে। কিছু কিছু কোম্পানির লেনদেন রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-রূপালী লাইফ, মেঘনা লাইফ ও সন্ধানী লাইফ।

রূপালী লাইফ ইন্সরেন্স: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গেল সপ্তাহের আগ পর্যন্ত রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে দুই লাখের নিচে। গত ১৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার হঠাৎ লাফ দিয়েছিল। ওইদিন শেয়ারটি লেনদেন হয়েছিল ৮ লাখ ৯৪ হাজার শেয়ার। এরপর লেনদেন ফের ২ লাখের নিচেই থাকে। গত সপ্তাহের শুরু থেকে কোম্পানিটির লেনদেনে হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।

সপ্তাহের প্রথমদিন রোববার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ৬ লাখ ৬১ হাজার, সোমবার ১১ লাখ ৫৮ হাজার, বুধবার ৩৯ লাখ ২ হাজার এবং বৃহস্পতিবার ২০ লাখ ২৯ হাজারের বেশি শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ৮০ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। যা সপ্তাহভিত্তিক গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এখনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।

রূপালী লাইফ ইন্সরেন্সের শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার ৭২৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩২.০৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.০১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৩.৬৫ শতাংশ শেয়ার। গত এক বছরে রূপালী লাইফের সর্বোচ্চ দর ছিল ৭২ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দর হয়েছে ৬৬ টাকা ৯০ পয়সা।

মেঘনা লাইফ ইন্সরেন্স: চলতি বছরজুড়েই মেঘনা লাইফের লেনদেন হয়েছে সর্বোচ্চ ৪ লাখ। গত সপ্তাহে কোম্পানির লেনেদেনে হঠাৎ ঝলক দেখা দেয়। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ২ লাখ ৮০ হাজার, মঙ্গলবার ১৭ লাখ ২ হাজার, বুধবার ১৪ লাখ ৮ হাজার এবং বৃহস্পতিবার ১০ লাখ ১৩ হাজারের বেশি শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ৪৪ লাখের বেশি। যা সপ্তাহভিত্তিক গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এখনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।

মেঘনা লাইফ ইন্সরেন্সের শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার ৯১৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৪১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮.১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১.৪৯ শতাংশ শেয়ার। গত এক বছরে মেঘনা লাইফের সর্বোচ্চ দর ছিল ৭২ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দর হয়েছে ৬৮ টাকা ৭০ পয়সা।

সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স: চলতি বছরজুড়েই মেঘনা লাইফের লেনদেন হয়েছে ৩ লাখের নিচে। গত সপ্তাহে কোম্পানির লেনেদেনে হঠাৎ চমক দেখা দেয়। সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ২ লাখ ৯২ হাজার, বুধবার ৩৯ লাখ ২ হাজার এবং বৃহস্পতিবার ২০ লাখ ২৯ হাজারের বেশি শেয়ার। সপ্তাহের তিনদিনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ৬২ লাখের বেশি।

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এখনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। সন্ধানী লাইফ ইন্সরেন্সের শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৩টি।

এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩১.৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮.৩০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫০.১১ শতাংশ শেয়ার। গত এক বছরেসন্ধানী লাইফের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ১৮ টাকা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দর হয়েছে ৩২ টাকা ১০ পয়সা।

দুই বহুজাতিক কোম্পনির শেয়ারে ছন্দপতন: বিদায়ী সপ্তাহজুড়েই ছিল পুঁজিবাজারে চাঙ্গা প্রবণতা। আলোচ্য সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক, বেড়েছে লেনদেন, বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। কিন্তু চাঙ্গা প্রবণতার মধ্যেও বহুজাতিক ১২টি কোম্পনির মধ্যে দুই কোম্পনির ছন্দপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। যে দুই বহুজাতিক কোম্পানির ছন্দপতন হয়েছে, সে দুটি কোম্পানি হলো- লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট ও রেকিট বেনকিজার লিমিটেড।

লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট: আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লাফার্জ হোলসিমের ক্লোজিং দর ছিল ৬১ টাকা ৭০ পয়সা। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫.৭০ শতাংশ।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০) ইপিএস ছিল ৪৫ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ৯৭ শতাংশ। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইপিএসের গুঞ্জনে কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের থেকেই বড় উত্থানে থাকে। ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে যায় ২০ শতাংশের বেশি। এ কারণে বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির দর সংশোধন হয়েছে।

রেকিট বেনকিজার: আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে রেকিট বেনকিজারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৬১৩ টাকা ৯০ পয়সা। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস কোম্পানিটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৩২৩ টাকা ৯০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ২৯০ টাকা বা ৬.৩০ শতাংশ।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। যা পুঁজিবাজারে রেকর্ড ডিভিডেন্ড।৩১ মার্চ ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০) ইপিএস ছিল ২৪ টাকা ০৪ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ২২.২৫ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বড় ডিভিডেন্ডের আগাম খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর কিছুদিন যাবত বেশ উত্থানে ছিল। যার ফলে রেকর্ড ডিভিডেন্ডর ঘোষণা আসার পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তোলার প্রতিযোগিতায় ছিল। এ কারণে রেকর্ড ডিভিডেন্ডের খবরেও এর শেয়ার দর নেতিবাচক প্রবণতায় পড়ে। এছাড়াও বিদায়ী গ্রামীনফোনের দর কমেছে ৫ টাকা ৮০ পয়সা বা ১.৭ শতাংশ, লিন্ডেবিডির দর কমেছে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সা বা ২.৭ শতাংশ।

চলতি সপ্তাহে ২৭ কোম্পানির বোর্ড সভা ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৭ কোম্পানির বোর্ড সভার ঘোষণা আসছে চলতি সপ্তাহে। কোম্পানিগুলো হলো: পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, লুবরেফ বাংলাদেশ লিমিটেড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম মিউচ্যুয়াল ফান্ড,

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, আলহাজ টেক্সটাইল লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, খান ব্রাদার পিপি ওভেন লিমিটেড, গ্রিনডেল্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড, রিলায়ান্স ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এবং মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড: এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

লুবরেফ বাংলাদেশ লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ১২টায় ২ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড : এ ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

আলহাজ টেক্সটাইল লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

খানব্রাদার্সপিপি ওভেন লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

গ্রিনডেল্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১০ মে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১০ মে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে দুপুর ১টায় ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে দুপুর ২টায় ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

রিলায়ান্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড : এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে সন্ধ্যা ৭টায় ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করা হবে।

সপ্তাহজুড়ে ৪ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি গত সপ্তাহে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। এর মধ্যে দুটো ব্যাংক ও দুটো মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ও এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

সমাপ্ত অর্থবচরে সহযোগী কোম্পানির আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়স, আগের বছর এক সময় যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। আলোচিত সময়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৬৯ পয়সা।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী ২৯ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড : এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে। সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৮১ পয়সা।

অন্যদিকে, এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস (সলো ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর এক টাকা ৭১ পয়সা ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৩ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২২ টাকা ৫ পয়সা। অন্যদিকে, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২১ টাকা ৫৫ পয়সা।

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড: ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ১২.২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সমাপ্ত হিসাববছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। ফান্ডটির ডিভিডেন্ড মালিকানা নির্ধারণের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ১১.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সমাপ্ত হিসাববছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। ফান্ডটির ডিভিডেন্ড মালিকানা নির্ধারণের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে।

চলতি সপ্তাহে ৩ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানি চলতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত বোর্ড সভা করবে। কোম্পানিগুলো হলো: এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড: এ কোম্পানির বোর্ড সভা ৯ মে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: এ কোম্পানির বোর্ড সভা ১১ মে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

সপ্তাহজুড়ে মুনাফার শীর্ষে ৩ খাতের বিনিয়োগকারীরা: সপ্তাহজুড়ে মুনাফার শীর্ষে ছিল ৩ খাতের বিনিয়োগকারীরা। যদিও ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৩ খাতের বিনিয়োগকারীরা সর্ব্বোচ মুনাফা তুলছেন। গত সপ্তাহে ডিএসইর ২০ খাতের মধ্যে ১৫ খাতের শেয়ার দর বেড়েছে। দর বাড়াতে এই ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রির্টানে ভালো মুনাফা পেয়েছে। তারমধ্যে ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ মুনাফা পেয়েছে।

খাত ৫টি হলো: বস্ত্র, মিউচুয়াল ফান্ড, সার্ভিসেস এন্ড রিয়েল এস্টেট, লাইফ ইন্সুরেন্স ও ব্যাংক খাত। এই ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৫.৬০ শতাংশ থেকে ৯.৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেয়েছে বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা। এ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৯.৪০ শতাংশ। এখাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মেট্রো স্পিনিংয়ের ৪৫.৭৮ শতাংশ, মালেক স্পিনিংয়ের ৪০.১৪ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৩৪.৪৫ শতাংশ ও ডেল্টা স্পিনার্সের ৩০.১৬ শতাংশ। কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেট্রো স্পিনিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং ও মালেক স্পিনিং মার্জিনেবল শেয়ার হলেও ডেল্টা স্পিনার্স নন-মার্জিনেবল।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফার মুখ থেকে বঞ্চিত ছিল। এখাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমতে কমতে তলানিতে নেমে এসেছে। এবার কোম্পানিগুলোর দর উঠতে শুরু করেছে। এখাতের কোম্পানিগুলোর দর অনেক বাড়ার সুযোগ রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

এরপর মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৮.২ শতাংশ। এ খাতের এসইএমলেকচার মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ১৫.৪৭ এবং ফার্স্ট প্রাইম ফাইনান্স মিউচুয়াল ফান্ডের ১৩.৬৩ শতাংশ। এখন থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হতে পারবেন-এমন খবরে বিদায়ী সপ্তাহে মিউচুয়াল ফান্ড ছিল বেশ চাঙ্গা।

সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়ার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সার্ভিসেস এন্ড রিয়েল এস্টেট খাতের বিনিয়োগকারীরা। এখাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৬.৯০ শতাংশ। এখাতে সাইফ পাওয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে বেশি ৫.৮৫ শতাংশ।

এরপর লাইফ ইন্সুরেন্স খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৬.৭ শতাংশ। এ খাতের পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্সের দর বেড়েছে ৪২.৯ শতাংশ এবং রুপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ২৫.২৮ শতাংশ। গত ৮-৯ মাসে সাধারণ বীমার শেয়ারদর বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে জীবনা বীমার শেয়ারে নড়ছড় হয়নি। এবার বড় বিনিয়োগকারীদের নজর পড়েছে জীবন বীমার শেয়ারে- এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে সপ্তাহের শেষদিকে হঠাৎ করে জীবন বীমার শেয়ার দরে ও লেনেদেনে তেজিভাব দেখা দিয়েছে।

সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়ার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। অনেকদিন পর এখাতের বিনিযোগকারীরাও ভালো মুনাফা পেয়েছে। এখাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৫.৬০ শতাংশ। দীর্ঘদিন পর এখাতের শেয়ারও নড়েচড়ে উঠেছে। যদিও বড় মূলধনের কারণে ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম।

এছাড়া, আর্থিক খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে ৪.৭ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৪.৪ শতাংশ, ট্যানারী খাতে ২.৩ শতাংশ, তথ্য প্রযু্ক্তি খাতে ২.২ শতাংশ, বিবিধ খাতে ২.১ শতাংশ, জ্বালানি খাতে ১.৮ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ১.২ শতাংশ, খাদ্য খাতে ০.৬ শতাংশ, জেনারেল ইন্সুরেন্স খাতে ০.৪ শতাংশ ও ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.৩ শতাংশ।