দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: গাজীপুরের শ্রীপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক উদ্বোধন করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল)। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এনার্জিপ্যাকের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ইপিজেএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হুমায়ুন রশিদ।

হুমায়ূন রশিদ বলেন, ‘আমরা গাজীপুরে এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক উদ্বোধন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ পার্ক আমাদের শুধুমাত্র কিছু পণ্যকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে না, এটি স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও আমাদের সহায়তা করবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি অটোমোটিভ এবং ইস্পাত নির্মাণের স্থানীয় উৎপাদন শিল্পকে শক্তিশালী করতে আমাদের সাহায্য করবে।’

তিনি আরো বলেন, এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং অর্থনীতির বিকাশ সাধন করবে। এ পার্কের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের পাশাপাশি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ব্যাপক অবদান রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই পার্কে দেড় মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড পরীক্ষা ও গ্ল্যাড ব্র্যান্ডের বার্ষিক ৫শ’ জেনারেটর তৈরি করতে সক্ষম এমন একটি বিশ্বমানের প্ল্যান্ট রয়েছে। যা ভবিষ্যতে ৩ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড পরীক্ষা করতে পারবে এবং প্ল্যান্টটি এক হাজার গ্ল্যাড জেনারেটর তৈরি করতে পারবে।

তাছাড়া, এনার্জিপ্যাক বিশ্বমানের ইলেকট্রিক ডিবি বক্স নির্মাণ এবং বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা করছে। পার্কটিতে জেএসি কমার্শিয়াল ভেহিকেলগুলোর জন্যও একটি অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর ১২০০ গাড়ি অ্যাসেম্বল করা যায়। এই সক্ষমতা ১৫শ’তে উন্নীত করবে এবং একটি বাস অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট ও বৈদ্যুতিক বাহন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এখানে ১৮ হাজার মেট্রিক টন বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিফেব্রিকেটেড স্টিল বিডিং তৈরির একটি প্ল্যান্ট রয়েছে। এছাড়া, এনার্জিপ্যাকের প্রি-ইঞ্জিনিয়ারিং লো-কস্ট হাউজ, নাট-বল্টু, ওয়্যার মেশ এবং প্রোফাইল শিট তৈরি এবং সেগুলোর বিপণনের পরিকল্পনা রয়েছে।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এছাড়াও, এতে অংশ নেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশিদ, চেয়ারম্যান ইঞ্জি. রবিউল আলম, পরিচালক এনামুল হক চৌধুরী, পরিচালক নুরুল আক্তার, পরিচালক রেজওয়ানুল কবির, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মিকাইল শিপার।