দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, আরডি ফুড লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং ও বিডি সার্ভিস লিমিটেড।

এস্কয়ার নিট কম্পোজিট :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এস্কয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আরডি ফুড লিমিটেড:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি আরডি ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

মোজাফফর হোসেন স্পিনিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

বিডি সার্ভিস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের বিডি সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

বস্ত্র খাতে সুবাতাস, বিমা খাতে ধস: পুঁজিবাজারে খাত ধরে উত্থানের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে এবার যোগ হয়েছে বস্ত্র খাত। এক দিনে এই খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর বৃদ্ধির ঘটনা ঘটল। এর আগে টানা এক মাস বিমা খাত, পরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে একাধিক দিন এই চিত্র দেখা গেছে। মাঝে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারগুলোর দরও দল বেঁধে বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে।

রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচ দিন দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ৪৩টির দর। বাকি আটটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর এক বছরের বেশি সময় ধরেই এই খাতের শেয়ারগুলো নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। বহু শেয়ার লেনদেন হচ্ছে অভিহিত মূল্যের নিচে বা আশেপাশে। এই অবস্থায় এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়ও হয়ে গেছে।

আবার করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, বেশির ভাগ কোম্পানির ক্ষেত্রেই তা সত্য প্রমাণ হয়নি। পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি প্রান্তিক প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির আয়ই কমার বদলে বেড়েছে।

বস্ত্রের মতো অত ভালো না করলেও ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই দর ধরে রাখতে পেরেছে। বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার দরও বেড়েছে। বড় মূলধনী খাতে দর বাড়ার প্রভাবে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। শেয়ার কেনায় বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ বেড়েছে, সেটি লেনদেনের চিত্রই বলে দেয়। টানা নয় দিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।

চাঙ্গা বাজারে আগের দুই কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বড় পতন দেখল বিমা খাত। গত এক মাসে বিমা খাতের প্রায় সবকটি কোম্পানির নূন্যতম ৫০ শতাংশ ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে। দর বাড়ছে দেখে যারা বিমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে কিংবা আরও দাম বাড়বে বেড়ে ধরে রেখেছে তারা গত দুইদিনে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৮ টাকা শেয়ার প্রতি লোকসান করেছেন। রোববার সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই বিমা খাতের।

সর্বাধিক দর বৃদ্ধি তালিকার প্রায় বস্ত্র খাতের আধিক্য: সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির পাঁচটি এবং ২০টি কোম্পানির ১১টিই ছিল বস্ত্র খাতের। গত এক বছরে এই চিত্র দেখা যায়নি। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সিমটেক্সের দর। ১০ শতাংশ বেড়ে ১৪ টাকার শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়। ভিএফএস থ্রেড ডাইং কোম্পানির, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে এখন লেনদেন হচ্ছে ২০ টাকা ৩০ পয়সা। লোকসানি কোম্পানি তাল্লু স্পিনিং এর দামও বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। ৪ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার আজ লেনদেন শেষ করেছে চার টাকা ৫০ পয়সায়। প্রাইম টেক্স স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।

মোফাজ্জল হোসেন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। এইচ আর টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ১ টাকা ৭০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা থেকে ২৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

সাউথ বাংলা ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন: সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস (এসবিএসি) ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) । রোববার বিএসইসির ৭৭৩তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সাউথ বাংলা ব্যাংক শেয়ারবাজার ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।

২ সিকিউরিটিজ হাউজকে ৩ বুথ খোলার অনুমোদন: কবির সিকিউরিটিজ ও আর বি রিচ লিমিটেডকে ৩টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। রোববার ৭৭৩তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কবির সিকিউরিটিজকে চট্টগ্রামের নাজিরহাট ও খাতুনগঞ্জে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর বি রিচ লিমিটেডকে সিলেট শহরের উত্তর ধূপার দিঘীর পার এলাকায় ১টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১২২ কোটি ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। ৫৯ কোটি ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে শেষ স্থানে উঠে এসেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা ও ম্যাকসন স্পিনিং।

ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে সিমটেক্স: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সিমটেক্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ১৩৯ বারে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তালিকায় ২য় স্থানে থাকা ই-জেনারেশনের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। কোম্পানিটি ২৩২ বারে ৭ লাখ ৫৩ হাজার৩৭১টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

তালিকার ৩য় স্থানে থাকা লুব-রেফের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কোম্পানিটি ৪ হাজার ৭৫৬ বারে ৪৩ লাখ ৯৬৪ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ, এপোলো ইস্পাতের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, জাহিন স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, এনআরবিসি ব্যাংকের ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের শেয়ার দর ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।

নিয়ালকোর হাত ধরে পুঁজিবাজারে উন্মোচিত হচ্ছে এসএমই প্লাটফর্ম: ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) আকারের কোম্পানিগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য একটি স্বতন্ত্র প্লাটফর্মের উদ্বোধন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। উদ্বোধনের দুই বছর পর এসএমই প্লাটফর্মটিতে প্রথম কোম্পানির তালিকাভুক্তি হতে যাচ্ছে নিয়ালকো এলয়স লিমিটেড। সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৭০তম কমিশন সভায় নিয়ালকো এলয়স লিমিটেডের এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

এদিকে এশিয়ার বড় বড় পুঁজিবাজার ভারত, চীন ইত্যাদি মার্কেটের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশেও নিয়্যালকো এলোয়েস লিমিটেডের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এসএমই প্লাটফর্মের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী ১৬-২০ মে পর্যন্ত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরদের আবেদনের মধ্যে নিয়ালকো এলয়সের কিউআইও পর্ব শেষ হবে। এরপর এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হবে।

কোম্পানিটি নিবন্ধন পায় ২০১১ সালের ২১ জুন, কাজ শুরু করে ২০১৫ সালে ৫ জুলাই। নিয়ালকো এলয়সের চেয়ারম্যান গাজী মোকার্রম আলী চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহামেদ। ২০১৬ সালে মুনাফা করেছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার, ২০১৭ সালে ৭ লাখ ৭ হাজার , ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৭০ হাজার, ২০১৯ সালে ১ কোটি ৯৬ লাখ এবং ২০২০ সালে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

এ কোম্পানির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী (সিএফও) জানান, নিয়ালকো এলয়স শতভাগ রপ্তানিমুখি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বর্ণ প্রদক প্রাপ্ত। তাই কোম্পানিটির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। কোম্পানিটি ব্রোঞ্জ গান মেটাল, ফসফরাস ব্রোঞ্জ, লিডেড ব্রোঞ্জ, অ্যালুমিনিয়াম ব্রোঞ্জ, ম্যাঙ্গানিজ ব্রোঞ্জ, স্যান্ড কাস্ট ব্রাস (এসসিবি), হাই টেনসিল ব্রাস (এইচটিবি), ডাই কাস্ট ব্রাস (ডিসিবি), মাস্টার এলোয়েস, ফসফরাস কপার ইত্যাদি পণ্য তৈরি করে। আর কোম্পানির উৎপাদিন পণ্য জার্মান, জাপান, চীন, ভিয়েতননামাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি হয়।

এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে এ আইনে। বুক বিল্ডিং ও ফিক্সড প্রাইস দুই পদ্ধতিতেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি ও কেবল এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে এমন ব্যক্তি কিনতে পারবেন এসব শেয়ার। এদিকে, স্বল্পমূলধনী কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এসএমই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এসএমই রুল-রেগুলেশন তৈরি করা হয়েছে। এটার মাধ্যমে আমরা ২০১৮ সাল থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবিক কিছু কারণে তখন আবেদনগুলো অনুমোদন করতে পারিনি। এসএমই খাতকে সহযোগিতা করতে যত ধরনে যা কিছু করতে হয়, তা বিএসইসির করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে নিয়ালকো এলয়স এসএমই প্লাটফর্ম প্রথম তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৭৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এতে আবেদনে করবেন কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা। যেমন: মার্চেন্ট ব্যাংক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজার, মিউচুয়াল ফান্ডস অ্যান্ড কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমস (সিআইএস), স্টক-ডিলারস, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটস, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডস, এমন বিদেশি বিনিয়োগকারী যাদের কমিশনের আওতাধীন যে কোনো সিকিউরিটিতে একাউন্ট রয়েছে, অনুমোদিত প্রভিডেন্ট ফান্ড। এছাড়া যেসব ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর তালিকাভু্ক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ১ কোটি বিনিয়োগ রয়েছে তারা নিয়্যালকোর আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৯১ পয়সা। এই সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১২ টাকা ৪৩ পয়সা।

আশিক রহমানকে সিআরও পদে নিয়োগ দিল ডিএসই: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ এম আশিক রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তবে তিনি যোগ্য না হওয়ায় সেই নিয়োগে অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু এবার এক ধাপ নিচে নেমে প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) পদে আবেদন করেন এবং আগের ধারাবাহিকতায় এবারও ডিএসইর পর্ষদের অনুমোদন পেয়েছেন।

এর আগে গত ৪ মে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় আশিককে সিআরও পদে নিয়োগ দিয়েছে। এরপরে ৬ মে তার অনুমোদন চেয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছে। তবে বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের স্বার্থে আশিক রহমানকে গতবার এমডি পদে নিয়োগ দেয়নি। বিএসইসি জানায়, ডিএসই চালানোর মতো পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই আশিক রহমানের। এছাড়া সে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারটি চালাতে অক্ষম বলে জানায়।

এছাড়া ওইসময় ডিএসইর এমডি পদে আবেদনকারীরা পূণ:রায় আবেদন করলে, তা গ্রহণ না করার জন্য ডিএসইকে মৌখিকভাবে বলে দেন কমিশন। এ হিসেবে ওই সময়ে আশিক রহমান আবেদন করায়, এবার তার আবেদন গ্রহণ না করার জন্য বলা হয়েছিল।

আশিক রহমানের যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ থাকলেও কাজী সানাউল হকের ন্যায় তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগে শক্ত ভূমিকা রাখেন একজন পরিচালক। তার নেতৃত্বেই আশিককে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডিএসইর পর্ষদ। সিআরও নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুপারিশে এনআরসি কমিটির সদস্যরা বলেছেন, যারা সিআরও পদে আবেদন করেছেন, তাদের যোগ্যতা হতাশাজনক। ডিএসই এমডি, সিআরও ও অন্যান্য পদে যোগ্য প্রার্থী পাচ্ছে না। এর কারন অনুসন্ধানে ডিএসইর বিষয়টি চিন্তা করা দরকার।

এতে আরও বলা হয়েছে, ডিএসইর এইচআরডি বিভাগের সিভি দিয়ে মূল্যায়ন প্রার্থীর যোগ্যতার প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে না। তাই প্রার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে ডিএসইর এমডিকে এইচআরডি বিভাগের প্রধান, সিওও/জিএম এর কাছে মূল্যায়িত রিপোর্টের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।

মূল্যায়িত রিপোর্ট অনুযায়ি, ডিএসইর সিআরও পদে ১৪ জন আবেদন করেন। এরমধ্যে আশিক রহমানের সঙ্গে রূপালি ব্যাংকের সিএফও ও জিএম শওকত জাহান খান (এফসিএমএ) ও আক্তারুজ্জামান (এফসিএমএ, এফসিএস) এর সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এরমধ্যে আশিক রহমান ও আক্তারুজ্জামানের শুধুমাত্র ‘ব্যাচেলর ইন বিজেনস, অর্থনীতি বা আইন ও ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা’ এবং ‘প্রফেশনাল ডিগ্রী’র মধ্যে ১টি শর্ত পরিপালন হয়। তবে রূপালি ব্যাংকের সিএফও ও জিএম শওকত জাহান খানের যোগ্যতা ঊভয় শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে।

তবে এই আশিক রহমানই এর আগে সিআরও পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাক্ষান করেন। এমডি পদে নিয়োগের আগে আশিক রহমান সিআরও পদে আবেদন করেছিলেন। যাকে ওইবারও ডিএসইর পর্ষদ নিয়োগ দিয়েছিল। তবে এমডি পদ খালি হতে যাওয়ার খবরে তিনি সিআরও পদে অনাগ্রহী হন। তিনিই আবার সিআরও পদে চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন।

এলআর গ্লোবাল পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ঝুঁকিও কম: এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের সিআইও বলেন, ‘আমাদের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক থাকতে পারে। আমাদের কাজই হচ্ছে বিনিয়োগ করা। আমাদের ভুল করতেই পারি। একটি কনস্ট্রাকটিভ পন্থায় এর সমাধান করতে চাই। এখন আমরা বিএসইসির সঙ্গে কাজ করছি। উনারা যেভাবে বলবেন আমরা সেভাবে কাজ করব।’

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির নিয়মবহির্ভূত বিনিয়োগের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলাম জানিয়েছেন, তারা বিষয়টির সমাধানে কাজ করছেন। রাজধানীর আমেরিকান চেম্বার অব কর্মাস ইন বাংলাদেশ কার্যালয়ে শনিবার এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের সিআইও বলেন, ‘আমাদের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক থাকতে পারে। আমাদের কাজই হচ্ছে বিনিয়োগ করা। আমাদের ভুল করতেই পারি। একটি কনস্ট্রাকটিভ পন্থায় এর সমাধান করতে চাই। এখন আমরা বিএসইসির সঙ্গে কাজ করছি। উনারা যেভাবে বলবেন আমরা সেভাবে কাজ করব। একটি উইন উইন অবস্থায় এর সমাধান করব।’

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিনিয়োগের বিষয়টি অনুসন্ধানে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি। বিএসইসির এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা লঙ্ঘন করে জনগণের অর্থ রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও প্রতারণার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।

বিনিয়োগের এই বিতর্কের মধ্যে সম্প্রতি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি দেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলআর ম্যানেজারস ইনভেস্টমেন্টসের গ্যাভিন উইলসন।

এলআর গ্লোবালের বিদেশি অংশীদার এলআর ম্যানেজারস ইনভেস্টমেন্টসের গ্যাভিন উইলসন গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিএসইসিকে পাঠানো এক চিঠিতে রিয়াজ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অনিয়মের অভিযোগ আনেন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এলআর গ্লোবাল কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে বহু বছর ধরে তারা অবগত নন।

গ্যাভিন উইলসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এলআর গ্লোবালের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশের অংশীদার নিউইয়র্কভিত্তিক এলআর ম্যানেজারস ইনভেস্টমেন্টস। বাকি ৫২ দশমিক ৩ শতাংশের অংশীদার রিয়াজ ইসলাম। তবে রিয়াজ তাদের সঙ্গে সব ধরনের তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের আর কোনো সম্পদ ব্যবস্থাপকের পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ড তা দিতে পারেনি বলে দাবি করেন ওয়াল স্ট্রিটে কাজ করে আসা রিয়াজ।তিনি বলেন, “এলআর গ্লোবাল পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যে শুধু ভালো মুনাফা দিয়েছে তা নয়, এখানে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিও কম।”

ফান্ডগুলো কোথায় কত বিনিয়োগ করেছে, তার একটি তালিকা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে এলআর গ্লোবাল পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ঝুঁকি ‘সবচয়ে কম ছিল’। তাদের হাতে থাকা ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। এ পর্যন্ত তারা মোট ৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তহবিলের আকারের ৫৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। এ পর্যন্ত ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে এ ফান্ডে, যা মোট তহবিলের ৩১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০১১ সালে তালিকাভুক্ত এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে ৫৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা তহবিলের আকারের ৫৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ২০১১ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে, যা মোট ফান্ডের আকারের ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড-১ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১১ সালে। ফান্ডটি থেকে ১২৫ কোটি ৩ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে, যা মোট ফান্ডের আকারের ৪১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১২ সালে। মোট ৫১ কোটি ২৭ লাখ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে এই ফান্ড, যা মোট তহবিলের ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ।