দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: আমরা নেটওয়ার্ক, আমরা টেকনোলোজিস, এটলাস বাংলাদেশ, সাফকো স্পিনিং, শাশা ডেনিমস, ওয়ালটন হাইটেক, জেমিনি সি ফুডস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, এস আলম কোল্ড রোল্ড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, আরামিট লিমিটেড, আরামিট সিমেন্ট, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, জিবিবি পাওয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল এবং সালভো কেমিক্যাল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আমরা নেটওয়ার্ক : এ কোম্পানির বোর্ড সভা আগামী ২৪ মে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আমরা টেকনোলোজিস : আগামী ২৪ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এটলাস বাংলাদেশ : আগামী ২৩ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

সাফকো স্পিনিং : আগামী ২৪ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

শাশা ডেনিমস : আগামী ২৫ মে বিকাল ৫টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ওয়ালটন হাইটেক : আগামী ২৩ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

জেমিনি সি ফুডস : আগামী ২৩ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস : আগামী ২৪ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এস আলম কোল্ড রোল্ড : আগামী ২৪ মে দুপুর ২টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক : আগামী ২২ মে সকাল ১০টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আরামিট : আগামী ২৫ মে বিকাল ৪টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আরামিট সিমেন্ট : আগামী ২৫ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক : আগামী ২৪ মে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

জিবিবি পাওয়ার : আগামী ২৫ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

প্রাইম টেক্সটাইল : আগামী ২৫ মে বিকাল পৌনে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

সালভো কেমিক্যাল : আগামী ২৪ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। সভায় ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ডিএসইতে ১০ কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার বিনিয়োগকারী না থাকায় হল্টেড হয়ে গেছে। সর্বশেষ পর্যন্ত এ সমস্ত কোম্পানি বিক্রেতা শুন্য ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার লিজিং, প্রভাতী ইন্সুরেন্স, ন্যাশনাল হাউজিং, খুলনা পাওয়ার, ইজেনারেশন, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস, এনসিসি ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংক।

সাউথইস্ট ব্যাংক: মঙ্গলবার সাউথইস্ট ব্যাংক ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৪.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৪০ টাকা বা ৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রিমিয়ার লিজিং: মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিজিং শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৭০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

প্রভাতী ইন্সুরেন্স: মঙ্গলবার প্রভাতী ইন্সুরেন্স শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬৭.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫১.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫১.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫.২০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ন্যাশনাল হাউজিং: মঙ্গলবার ন্যাশনাল হাউজিং শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪১.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৭.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪১.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৭০ টাকা বা ৯.৮৪ শতাংশ বেড়েছে।

খুলনা পাওয়ার: মঙ্গলবার খুলনা পাওয়ার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪২.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৮.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৮০ টাকা বা ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

ইজেনারেশন: মঙ্গলবার ইজেনারেশনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫১ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৯.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.১০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স : দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মঙ্গলবার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪২.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৩.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.২০ টাকা বা ৯.৯২ শতাংশ বেড়েছে।

জেনেক্স ইনফোসিস : মঙ্গলবার জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৪.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৬৬.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭১.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৪০ টাকা বা ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

এনসিসি ব্যাংক : মঙ্গলবার এনসিসি ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৫০ টাকা বা ৯.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।

এনআরবিসি ব্যাংক : মঙ্গলবার এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৫.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৮.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৫০ টাকা বা ৯.৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

 

৩ কোম্পানির লেনদেন স্থগিত: ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে আগামীকাল ২০ মে ৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও বন্ড লেনদেন স্থগিত থাকবে। এগুলো হলো: কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং আইবিবিএল মুদারাবা পারপেচ্যুয়াল বন্ড। এর আগে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও বন্ড ১৮ ও ১৯ মে স্পট মার্কেটে লেনদেন করে প্রতিষ্ঠানগুলো। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স : কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ ক্যাশ এবং ৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ জুন, বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা। গত বছরের একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪৬ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় এনএভি ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ কার্যকরি প্রবাহ হয়েছে এক টাকা ১৬ পয়সা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড : কোম্পানিটি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে আলোচিত বছরে এককভাবে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (সলো ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৩ টাকা ৩১ পয়সা ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৮ টাকা ৮৯ পয়সা।

ইসলামী ব্যাংক বন্ড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইবিবিএল মুদারাবা পারপেচ্যুয়াল বন্ডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭.৮৮ শতাংশ বার্ষিক প্রফিট ঘোষণা করেছে। ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ৩০ দিনের মধ্যে এই বন্ডের প্রফিট বিতরণ করা হবে। ইসলামী ব্যাংকের এজিএম আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

পুঁজিবাজারের গতি ও আস্থা ফেরানোর চ্যালেঞ্জে সফল বিএসইসি: ৫ ডিসেম্বর ২০১০। এ দিন দেশের পুঁজিবাজারের সাধারণ মূল্যসূচক ওঠে সর্বোচ্চে। রেকর্ড গড়ে লেনদেনেও। কিন্তু পরদিন থেকেই শুরু পতনের, এক পর্যায়ে যা রূপ নেয় মহাধসে। পুঁজি হারিয়ে রাজপথে নেমে আসেন বিনিয়োগকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু ১০ বছরে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হয়নি। বরং দিন দিন পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হতে থাকেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ভেঙে দেয়া হয় কমিশন। দায়িত্ব দেয়া হয় নতুন নেতৃত্বকে। অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বধীন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক বছর পার করলো । নতুন এই কমিশনের উদ্যোগী কর্মকাণ্ড ও কর্ম তৎপরতায় এক বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে আস্থা ও গতি ফিরে এসেছে। একইসঙ্গে হারোনো আস্থা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে নতুন কমিশন তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে।

নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে। আস্থা ফিরে পাওয়ায় বাজারে তারল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একাধিক বিনিয়োগকারী, স্টেকহোল্ডার অর্থনীতিবিদ দেশ প্রতিক্ষণের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানিয়েছেন। গত এক দশকে আগের কমিশন একাধিক পদক্ষেপ নিলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হননি। শুধু তাই নয় খাইরুল কমিশন বাজার মনিটরিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল না।

তবে নতুন কমিশন শুরু থেকেই বাজার স্থিতিশীলতায় শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা। তবে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বর্তমান কমিশনের আমলেই দেশের পুঁজিবাজার সারা বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চেয়ারম্যান হিসেবে বিএসইসিতে কাজে যোগদানের পর থেকেই তিনি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে গত বছরে ১৭ মে বিএসইসি তথা পুঁজিবাজারের হাল ধরেন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে বিএসইসিতে কাজ যোগদান করেন সাবেক শিল্প সচিব আব্দুল হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। এছাড়া তৎকালীন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন খোন্দকার কামালুজ্জামান।

পুঁজিবাজারের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রায় দেড়শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে নতুন কমিশন। তবে করোনা পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি ও বিভিন্ন পারিপার্শিক কারণে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে নতুন কমিশনকে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ সহযোগীতায় শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করে কমিশন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গত এক বছরে নতুন কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে: করোনা পরিস্থিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে শেয়ারবাজার খোলা রাখা, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবন্টন, আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণ, স্বচ্ছতা নিশ্চিতে একাধিক আইপিও বাতিল,

সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না থাকা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, জেড ক্যাটাগরি ও ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানির জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার ও সার্কিট ব্রেকার আরোপ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ, লভ্যাংশ না দেওয়া ও নামমাত্র লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ,

সকল তফসিলি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ, বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে ব্রোকার হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ, শেয়ারবাজারের ব্র্যান্ডিং ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশে রোড শো আয়োজন, বিএসইসিসহ স্টক এক্সচেঞ্জদ্বয়কে ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ, বন্ড মার্কেট শক্তিশালীকরণ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালীকরণ,

ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ট্রেক ইস্যুকরণ, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি এজিএম বা ইজিএম বা পর্ষদ সভা করার উদ্যোগ, স্মল ক্যাপ বোর্ডে নতুন কোম্পানির অনুমোদন, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ এবং শেয়ারবাজারে সুশাসন নিশ্চিতে বিভিন্ন আইন সংস্কার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উল্লেখযোগ্য।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন কমিশনের গত এক বছরের মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সকল সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে। আর গত বছরের ১৭ মে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৬০ পয়েন্টে। এই হিসেবে জানাচ্ছে এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১ হাজার ৭৬৯ পয়েন্ট বা ৪৩ শতাংশ।

এ সময় শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস অবস্থান করছে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে। গত বছরের ১৭ মে ডিএসইএস সূচক ছিল ৯৫১ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩৩০ পয়েন্ট বা ৩৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ব্ল চিপ নামে খ্যাত সূচক ডিএস৩০ অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। আর গত বছরের ১৭ মে ডিএস৩০ সূচক ছিল ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ৮২৯ পয়েন্ট বা ৬১ শতাংশ।

বর্তমান কমিশনের ১ বছরের কাজের সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যে কোন কাজ করতে গেলে সফলতা ব্যর্থতা থাকবে। তবে নতুন এ কমিশন কাজে যোগদানের পর থেকে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। তারা যথেষ্ট উদ্যোগী ও তৎপর। কিছু কিছু বিষয় কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলেও, তাদের উদ্দেশ্য ভালো ছিলো। বিশেষ করে তারা পাবলিক ইস্যু রুলসে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সমবন্টন সংক্রান্ত যে বিধান পরিবর্তন করেছে, যা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।

বিএসইসির কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এক কথায় এক্সিলেন্ট। শেয়ারবাজারকে ভালো রাখার জন্য কমিশন গত এক বছরে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কাজে যোগদানের শুরু থেকেই তাদের উদ্দেশ্য ছিল, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ কমিশন সেই পরীক্ষায় সফলও হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশনের ১ বছরের কার্যক্রমে অব্যশই সফল। পুঁজিবাজারের গতি ও আস্থা ফেরানোর চ্যালেঞ্জে সফল। কারন ২০১৬-১৭ সালে অনেক বিনিয়োগকারী বাজারে এসেছিল কিন্তু তারা ধোকা খেয়েছে। সে সময় কিছু দুর্বল কোম্পানি বাজারে আসায় তারা সেগুলোতে বিনিয়োগ করে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন। এতে করে আস্থার সংকট দেখা দেয় যেটা চলমান ছিল।

তবে নতুন কমিশনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ বিশেষ করে বড় কোম্পানিকে জরিমানা, ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, পরিচালকদের দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের টাইম দিয়ে দেওয়া এবং দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় বাজারে বিনিয়োগকারীরা আসছেন। একই সঙ্গে তারল্য বাড়ছে। আশা করি বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে বিনিয়োগকারীরা ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ধসের পর পুঁজিবাজারের অনেক কিছুরই উন্নতি হয়েছে। তবে এ সময়ে ওয়ালটন, রবির মতো বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইতিবাচক দিক। এ ছাড়াও, বেশ কিছু নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, এটা ভালো।‘ ‘আগের কমিশন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারেনি। তবে নতুন কমিশন আস্থা ফেরাতে যেভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন তাতে আমি আশাবাদী।’

একটি নিউজ পোর্টালকে দায়িত্বের এক বছরের কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে করোনা না থাকলে হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম। শেয়ারবাজার আরো গতি পেতো। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বাজারের উন্নয়নে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য সবার সম্মিলিত সহযোগীতা প্রয়োজন।’

ডিএসই ২ কোম্পানি স্পট মার্কেটে যাচ্ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২ কোম্পানি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল ও ২৩ মে স্পট মার্কেটে শেয়ার লেনদেন করবে। এগুলো হলো- নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পনি লিমিটেড এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। রেকর্ড ডেটের কারণে আগামী ২৪ মে এ দুই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত থাকবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ জুন, বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ জুন, বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরি প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) এক টাকা ২১ পয়সা।

৬ কোম্পানির বোর্ড সভা বিকালে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড এবং প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ সংক্রান্ত বোর্ড সভা আজ (১৯ মে) অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো : বিজিআইসি, স্টাইল ক্রাফট, ইস্টার্ন কেবলস, ফু-ওয়াং ফুড, আইটি কনসালটেন্টস এবং কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিজিআইসির বিকাল ৩টায়, স্টাইল ক্রাফটের বিকাল ৩টায়, ইস্টার্ন কেবলসের বিকাল ৩টায়, ফু-ওয়াং ফুডের বিকাল ৩টায়, আইটি কনসালটেন্টসের বিকাল ৩টায় এবং কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের বোর্ড সভা দুপুর ২.৪৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিজিআইসির বোর্ড সভায় ডিভিডেন্ড এবং স্টাইল ক্রাফট, ইস্টার্ন কেবলস, ফু-ওয়াং ফুড, আইটি কনসালটেন্টস ও কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের বোর্ড সভায় অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করা হবে।