দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে গত দশ বছরের আস্থার সংকট দূর হয়েছে মাত্র এক বছরে। বিএসইসি চেয়ারম্যানের কারিশম্যাটিক নেতৃতে পুঁজিবাজার তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার একের পর এক চ্যালেঞ্জ সিদ্ধান্তে সাধারন বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফিরে এসেছে। যা বিগত দিনে দেশের পুঁজিবাজারে কল্পনাও করেনি কেউ।

যদিও গত বছরের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না পুঁজিবাজারের জন্য। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য সঙ্কটে ভুগতে থাকা পুঁজিবাজার মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে অনেকটাই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। পুঁজি হারানোর শঙ্কায় ভুগতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর কমিশনের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বাড়ছে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা, বাড়ছে লেনদেন।

এদিকে গত বছরের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে পুঁজিবাজার তলানিতে গিয়ে ঠেকে। আর সেই অবস্থায় অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়। যার নেতৃত্ব করোনা মহামারিকে দূরে সড়িয়ে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে নতুন কমিশনের বেশ কিছু কার্যকরি ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

করোনাভাইরাসের কারনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সেটা ভয়াবহ রূপ ধারন করে গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে। এরপরই বিনিয়োগকারীরা যার যার অবস্থান থেকে শুধু বিক্রি করার চেষ্টাই করে গেছেন। বাজারে দেখা দেয় ক্রেতার ভয়াবহ সংকট। তবে এখন করোনাভাইরাস নিয়ে সেই আতঙ্ক নেই। এছাড়া নতুন কমিশনের বেশ পদক্ষেপ বাড়তি আস্থা যুগিয়েছে। যাতে করে শেয়ারবাজার এগিয়ে যাচ্ছে।

দেখা গেছে, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকটি ৪৭৬৮ পয়েন্টে ছিল। যেটা করোনা আতঙ্কে কমতে কমতে ৮ মার্চ এসে দাড়াঁয় ৪২৮৭ পয়েন্ট। আর ওইদিন দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ৯ মার্চ একদিনেই ২৭৯ পয়েন্ট কমে যায়। যা ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ১ম রোগী মারা যাওয়ার দিন নেমে যায় ৩৬০৪ পয়েন্টে।

আতঙ্কিত পুঁজিবাজারের এমন পতন ঠেকাতে ১৯ মার্চ চালু করা হয় ফ্লোর প্রাইস। এই ফ্লোর প্রাইস চালুর পরে লেনদেন ও সূচকে ধীরগতি আসে। এরমধ্যে ওই বছরের ১৭ মে কমিশনে চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের যোগদানের মাধ্যমে পরিবর্তন আসে। এছাড়া ২০ মে কমিশনার হিসেবে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. মোঃ মিজানুর রহমান এবং ২ জুন মোঃ আব্দুল হালিম যোগদান করেন। কমিশনের এই পরিবর্তনের পরেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে শেয়ারবাজার গত বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত অনেকটা একইবৃত্তে ঘুরাফেরা করে।

এরপরে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ধীর গতিতে এগোয়। তবে ওইদিন মুদ্রানীতি ঘোষণার পরে ৩০ জুলাই থেকে বাজারে বড় গতি আসে। সুদ হার ও রেপো হার কমানোয় এই গতি আসে। এরসঙ্গে কমিশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে বড় আর্থিক জরিমানা ও কিছু কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিলসহ নানা পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়িয়েছে। আর ব্যাংকের সুদের হার তলানিতে নেমে আসায় শেয়ারবাজারে নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়েছে। যাতে করে পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক, বাজার মূলধন ও আর্থিক লেনদেনে বড় উন্নতি হয়েছে।

শিবলী কমিশনের নেতৃত্বাধীন গত ১ বছরের ব্যবধানে লেনদেন, মূল্যসূচক ও বাজার মূলধনে অনেক উন্নতি হয়েছে। এই সময়ের (২৩ মে পর্যন্ত) ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৪০৬০ থেকে বেড়ে ৫৭৮৮ পয়েন্টে, ১৪৩.২৯ কোটি টাকার লেনদেন ১৪৮৬ কোটিতে ও ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৭৬ কোটি টাকার বাজার মূলধন বেড়ে ৪ লাখ ৯১ হাজার ২২৫ কোটিতে উন্নিত হয়েছে। অর্থাৎ এই কমিশনের সময়ে মূল্যসূচক বেড়েছে ১৭২৮ পয়েন্ট বা ৪৩ শতাংশ। আর লেনদেন বেড়েছে ১৩৪২.৭১ কোটি বা ৯৩৭ শতাংশ এবং বাজার মূলধন বেড়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯ কোটি বা ৫৫ শতাংশ।

এই উত্থানের মাধ্যমে শিবলী কমিশন বিগত ১ বছরে শেয়ারবাজারকে যে করোনাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তবে দেশের শেয়ারবাজার এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে পারেনি। বর্তমানে সূচক ৫৮০০ পয়েন্টের কাছে থাকলেও ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বরেই স্বাভাবিক বাজারে ছিল ৬৩৩৬ পয়েন্টে। এরপরে গত সাড়ে ৩ বছরে অনেক কোম্পানি সূচকে যুক্ত হয়েছে।

যেগুলোর ইতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ২০১৭ সালের তুলনায় বর্তমান বাজারের সূচক অনেক তলানিতে। গত ১ বছরে বাজারের উন্নয়নের পেছনে বর্তমান কমিশনের বেশ কিছু পদক্ষেপের পাশাপাশি কালোটাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। এছাড়া আমদানি বন্ধ থাকায় মানুষের কাছে অলস অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। যা থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আসছে। এছাড়া কিছু ব্যাংকেরও তারল্য সারপ্লাস হয়ে গেছে। এখন আর আগের ন্যায় তারল্যের সংকট নেই।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, কমিশন একটি নতুন এবং দক্ষ নেতৃত্ব পেয়েছে। যারা বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপের মাধ্যমে দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছেন। যে কারনে সবাই তাদের প্রতি আশাবাদি। যাতে করে করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে দূরে সড়িয়ে শেয়ারবাজারে গতি ফিরেছে।

প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর গত বছরের ৩১ মে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হওয়ার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তারা বিভিন্ন অনিয়মের কারনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কোটি কোটি টাকা জরিমানা করেছে। এরমাধ্যমে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি বার্তা দিয়েছে।

ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএসইসির নতুন নেতৃত্ব কথার চেয়ে কাজ বেশি করছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ছে। তারা অনেকদিন ধরে আলোচনা হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরি সমাধানেও এই কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই কমিশন পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি অন্যায়কারীদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনছেন। যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি করছে।

শিবলীর কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা থেকে পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিয়েছে। গত বছরের ২ জুন কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় (২৬ মার্চ-৩০ মে) সময়ে কোন কোন সিকিউরিটিজের ইস্যুয়ার, কমিশনে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, ডিপজিটরি, স্টক এক্সচেঞ্জ বা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তি কমিশনে বা স্টক এক্সচেঞ্জে বা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট বিভিন্ন বিবরণী বা প্রতিবেদন বা রিটার্ন বা ডকুমেন্ট বা তথ্য জমাদানে, বা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ব্যতীত অন্য কোন নির্দেশনা বা আদেশ পরিপালনে, বা কোন সভা নির্ধারিত সময়ে করতে ব্যর্থ হয়েছে। উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত সময় গণনার ক্ষেত্রে উল্লিখিত সাধারণ ছুটির সময়টি বাদ দেন।

এই কমিশন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দূর্বল মৌল ভিত্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করতে বর্তমান কমিশন নতুন করে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যা কোম্পানিগুলোকে ব্যবসায় উন্নতি করতে সহযোগিতা করবে। এরমধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ধারনকৃত শেয়ারে বিক্রি, হস্তান্তর ও বন্ধকী দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া পর্ষদ পূণর্গঠন, বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ, পর্যবেক্ষক বসানো ও পয়তাল্লিশ কর্মদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বোর্ড পূনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে, বর্তমান পরিচালক ও উদ্যোক্তাদেরকে পুঁজিবাজারে কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে থাকার সুযোগ বন্ধ করেছে। কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির সংস্কারে কার্যকরি পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া শিবলীর নেতৃত্বাধীন কমিশন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের কঠোরতা আরোপ করেছে। তাদের গৃহিত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে:
# দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমান থাকা আইপিও আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি এবং মানহীন ও দূর্বল কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল।

# রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া।

# দূর্বল ভিত্তির ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক ও ব্যবসায়িক অবস্থা পর্যালোচনা করে কোম্পানিগুলোর অবস্থা উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া।

# যে সব কোম্পানির উদ্যোক্তারা লোকসান দেখিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন এবং বিনিয়োগকারীদেরকে ঠকাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।

# সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আইপিওতে অধিকতর অংশগ্রহণের জন্য সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করে আইপিও লটারি পদ্ধতি তুলে দেয়া।

# মার্জিণ ঋণ নিয়ে যেসব বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ করেছে, তাদের স্বার্থে শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রথমবারের মতো মার্জিন ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দেয়া।

# শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা অফিস খোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

# ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের বাইরে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।

# বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের (এনআরবি) জন্য দেশের বাইরে রোড-শো’র আয়োজন।

# পুঁজিবাজারে লেনদেনের জন্য অনলাইনে বিও হিসাব খোলার উদ্যোগ।

# পুঁজিবাজার উন্নয়নে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অবণ্ঠিত বা দাবিহীন লভ্যাংশ নিয়ে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল গঠন।

# দেশে প্রথমবারের মতো বিদেশি কোম্পানিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হিসেবে যুক্ত করার উদ্যোগ।

# দেশের প্রধান নেতৃত্বদানকারী স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সিকিউরিটিজ লেনদেন কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’ ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়া ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়ায় বেশ কিছু তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ফ্লোর প্রাইসে এসে আটকে ছিল। এতে বিনিয়োগকারীগণ লেনদেন করতে পারছিল না। বিনিয়োগারীদের স্বার্থে লেনদেনে ফিরিয়ে আনতে ওইসব কোম্পানিগুলোকর মধ্যে তালিকাভুক্ত ৬২ কোম্পানি এবং চারটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে ফ্লোর প্রাইস থেকে অব্যাহতি দেয় বর্তমান কমিশন। একই সাথে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেওয়া ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের দর পতনের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নির্ধারণ করে দেয়।

এই কমিশন ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর সাথে সমন্বয় রেখে বিনিয়োগকারীদেরর ঋণ সুবিধা প্রদান, ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসইর নাম ও লোগো ব্যবহার করে শেয়ার দরে গুজব রটালে সিকিউরিটিজ আইনের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার উদ্যোগ, সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ব্যাংকের সাথে সমন্বয় রেখে শেয়ারবাজার খোলা রাখার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। কমিশনের এসব উদ্যোগকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা বলে মনে করছে ডিএসই। এইসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ভিত্তি আগামীতে আরো বেশী শক্তিশালী হবে।

এসএমই বা স্বল্প মূলধনী কোম্পানির তালিকাভুক্তিকরণ ও লেনদেনের জন্য একটি পৃথক বোর্ড চূড়ান্তও করেছে শিবলী কমিশন। তারা সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনেদেন চালু, ডেরিভেটিভসের মত এডভান্সড প্রোডাক্ট চালুর জন্য কাজ করছে। এছাড়া ওটিসি মার্কেটের আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এই সকল কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

শিবলী কমিশনের গত ১ বছরের সাফল্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশন প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে স্বল্পতম সময়ে শেয়ারবাজার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সময়ে কমিশনের বেশকিছু উদ্যোগ বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের আস্থা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

আমরা ইতিমধ্যে কমিশনের অসামান্য এবং গতিশীল সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ারবাজারের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করছি। এই কমিশনের নিরলস প্রচেষ্টা সামনের দিনগুলোতে বাজারে আরও অধিকতর টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। বিগত ১ বছরে শিবলীর নেতৃত্বে আইনভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর যে শেয়ারবাজার গড়ে উঠেছে, তা বিনিয়োগকারীসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ বিশ্বাস করে।

পুঁজিবাজারে ২৭ ব্যাংকের ৩৫০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল: ২০২০ সালের শুরুতে পুঁজিবাজারের টানা দরপতন সামাল দিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বিশেষ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বিশেষ সুবিধায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের সুযোগ হয়। তবে বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক এখনো তহবিল গঠন করেনি। আবার ব্যাংকগুলোতে যে পরিমাণের তহবিল গঠন হয়েছে, তার মাত্র ৪০ শতাংশ বিনিয়োগে এসেছে। তহবিল গঠন ও বিনিয়োগ, দুটি ক্ষেত্রেই ধীরগতি লক্ষ করা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মে পর্যন্ত মোট ২৭টি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করেছে, যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তহবিল গঠন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ পরিমাণের বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। আবার ব্যাংকগুলো তহবিল গঠন করলেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করছে। এখন পর্যন্ত বিশেষ তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

গত ৭ মার্চ পর্যন্ত ২৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন করে, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর ওই তহবিল থেকে সে সময় পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করে ১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত আড়াই মাসে বিশেষ তহবিলের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আর এ সময়ে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা।

এক সময়ে পুঁজিবাজারে আইনিসীমা লঙ্ঘন করে ব্যাংকগুলো বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করলেও ২০১০ সালের ধসের পর তা ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করে। পরবর্তীকালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমাও কমিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে করে পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়ে। এক সময়ে মোট লেনদেনের ৩০ শতাংশের বেশি ব্যাংকের অংশগ্রহণ থাকলেও বর্তমানে তা ৫-৬ শতাংশে নেমে এসেছে। পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (এসইসি) উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকগুলোর পার্পিচুয়াল বন্ড অনুমোদনের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে এসইসি। এতে করে কিছু ব্যাংক বাধ্য হয়ে বিশেষ তহবিল গঠন করছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো সুবিধায় সহজ শর্তে তহবিল গঠনে ঋণ দেওয়ার সুযোগ দিলেও অধিকাংশ ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। মূলত ব্যাংকগুলোতে বাড়তি তারল্য থাকায় নিজস্ব উৎস থেকে তহবিল গঠন করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। জানা গেছে, সোনালী, জনতা, অগ্রণী, ওয়ান, ইউসিবি, এনসিসিবিএল, ইসলামী ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রতিটি ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়া এক্সিম, সিটি, রূপালী, পূবালীসহ ১৯ ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন করেছে।

জানা গেছে, বিশেষ তহবিল থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, আইএফআইসি, ইউসিবি ও রূপালী ব্যাংক। এই ছয়টি ব্যাংক বিশেষ তহবিল থেকে প্রায় শতকোটি টাকা করে বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া পূবালী ব্যাংক ৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর অধিকাংশই বিশেষ তহবিল থেকে নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করছে। নীতিমালা অনুযায়ী, বিশেষ তহবিলের ৬০ শতাংশ সাবসিডিয়ারিসহ ব্যাংক তার নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করতে পারে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারে। ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব উৎস থেকেও এমন তহবিল গঠন করতে পারে। ওই বিশেষ তহবিলের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ব্যবহার করতে পারবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠন করা বিশেষ তহবিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে ব্যাংক, যা পুঁজিবাজারে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বর্ণিত বিনিয়োগ গণনার বাইরে থাকবে।

তহবিলের অর্থ শুধু পুঁজিবাজারের ২১৭টি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে, যা পুঁজিবাজারে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বর্ণিত বিনিয়োগ গণনার বাইরে থাকবে। ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নিজস্ব নতুন পোর্টফোলিও গঠনের জন্য ঋণ হিসেবে তহবিলের ২০ শতাংশ দেওয়া যাবে।

অন্য ব্যাংকের বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজের নিজস্ব নতুন পোর্টফোলিওর জন্য ৩০ শতাংশ ও অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের নিজস্ব নতুন পোর্টফোলিও গঠনের জন্য তহবিলের ১০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দেওয়া যাবে। তবে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষ তহবিল থেকে কোনো ঋণ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পর্ষদের দ্বন্ধে বেতন-বোনাস আটকে গেছে: ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড পর্ষদের নেতৃত্ব নিয়ে টানাটানির কারণে নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না। গত এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মীর মাসিক বেতন আটকা পড়েছে। তাছাড়া বৈশাখী ভাতা ও রোজার ঈদের বোনাস ছাড়াই ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে ব্যাংক-বহির্ভূত এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টির একটি সুরাহা করতে চেষ্টা করছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা র্কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জারিয়াব বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য কাজ করছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি থাকায় কর্মীদের বেতন যেমন দেওয়া যাচ্ছে না, তেমনি আমানতকারীদের আমানতও ফেরত দেওয়া বন্ধ রয়েছে। দুটি বিষয়েই আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, কর্মীদের বেতন ছাড়া চলতে কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি। আমরা চেষ্টা করছি আগামী পর্ষদ সভায় বিষয়টি অনুমোদন করা হলে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আমাদের ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাতে পারব।’

ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শাখা দুটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এই শাখা দুটিতে প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মী বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। গত এপ্রিলে বেতন পাননি তারা। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এতে অনেকের ক্রেডিট কার্ডের ঋণের কিস্তি, ফ্ল্যাটের কিস্তিসহ অন্যান্য কিস্তি বকেয়া পড়েছে। এরমধ্যে আবার প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পদে নতুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনলাইন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মীর মধ্যে চাকরি ছাঁটাইয়ের আতঙ্ক কাজ করছে।

জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আগে থেকেই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পারার অভিযোগ রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সাল থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব হিসাব থেকে যাতে অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর করা না যায়, সেজন্য ব্যাংক হিসাবে স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। পাশাপাশি ফারইস্টের আর্থিক হিসাবসহ অন্যান্য বিষয় যাচাইয়ের জন্য বিশেষ নিরীক্ষারও সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

এ কারণে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের আমানত ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তবে নতুন আমানত এলে তা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করা যাচ্ছে।
পুনর্গঠিত পর্ষদে নতুন ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন: সরকারের সাবেক সচিব ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল মকবুল,

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল আজিজ, সাংবাদিক শেখ নাজমুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সজীব হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্সির পরিচালক মোশাররফ হোসাইন ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট এ কে এম শহিদুজ্জামান। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান করা হয় মো. আশরাফুল মকবুলকে।

নতুন স্বতন্ত্র পরিচালকদের সঙ্গে পর্ষদে পরিচালক পদে রাখা হয়েছে তিনজন শেয়ারধারী পরিচালক। তারা হলেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভরসা, খাদিজা ওয়াহিদা জাহান ও রিমসা বিডির মনোনীত পরিচালক আসাদুজ্জামান। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি সম্পদ বিক্রি, বন্ধকি, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

জানা গেছে, ফারইস্টের পর্ষদ পুনর্গঠন করার পর গত ১ এপ্রিল আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে একটি মিটিং হয়। তবে বিএসইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামসুল ইসলাম ভরসা। রিটের শুনানি শেষে ৩০ দিনের জন্য স্থিতাবস্থা দেয় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের যৌথ বেঞ্চ।

গুজবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন: পুঁজিবাজারের কোন সিকিউরিটিজের ভবিষ্যতে দর বাড়বে বা কমবে ইত্যাদি বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্যভাবে (হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, লিঙ্কডিন) তথ্য ছড়ানো ব্যক্তি বা দলকে আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটি গুজবকারীদের সনাক্তে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য তদন্ত করবে। সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক জিয়াউর রহমান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

গুজবকারীদের সনাক্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। এই কমিটিতে রয়েছেন: বিএসইসির পরিচালক রাজিব আহমেদ, সিডিবিএলের এপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের প্রধান মো. মঈনুল হক, ডিএসইর সিস্টেম অ্যান্ড মার্কেট অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আবু নুর মুহাম্মদ হাসানুল করিম ও ডিএসইর সার্ভেইল্যান্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. মাহফুজুর রহমান। তদন্ত কমিটিকে আগামি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

গুজবকারীদের সনাক্তে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, বিএসইসি স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে অনৈতিক কার্যক্রম পরিলক্ষিত করেছে। যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিহত করা দরকার। তাই যেসব ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গুজব ছড়ানোর কাজ করেছে এবং করছে, তাদের বিরুদ্ধে কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এর আগে গুজবাকারীদেরকে এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় বিএসইসি। একইসঙ্গে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর নাম ও লোগো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। অন্যথায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে।

বিএসইসির ওই নির্দেশনায় বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর নাম ও লোগো ব্যক্তি ও দলীয় পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল বা পেজে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যত দর নিয়ে যেকোন ধরনের ভবিষ্যতবাণী, অপ্রকাশিত তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কিন্তু এরপরেও অনেকে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন শীর্ষে ৩ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৬টি কোম্পানির ৫৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৯২২টি শেয়ার ৭৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৫ কোটি ৪৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২২ কোটি ২৮ লাখ ৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার আইডিএলসির এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে পূবালী ব্যাংকের।

এছাড়া আমান ফিডের ১১ লাখ ১০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ লাখ ৭১ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৬৪ লাখ ৮১ হাজার টাকার, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২২ লাখ টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৬ লাখ ৩ হাজার টাকার, ঢাকা ব্যাংকের ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার,

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার টাকার, ইজেনারেশনের ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৮৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকার,

এলআর গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ২২ লাখ ৫১ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ১০ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকার,

পিএফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২১ লাখ ২২ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১ কোটি ২৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৮ লাখ ৩১ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৮৮ লাখ ৬ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৩৯ লাখ ৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

১৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কোম্পানি গুলো নিন্মে তুলে ধরা হলো: রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেড,রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড, হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়ার লিমিটেড, ডমিনেজ স্টিল ও নিটল ইন্সুরেন্স।

রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড (আরডি ফুড) গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১৩ পয়সা (ডাইলুটেড)। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা (ডাইলুটেড)। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৪ টাকা ৫৪ পয়সা।

সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৪ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৩৭ পয়সা।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ঈড়হংড়ষরফধঃবফ ঊচঝ) হয়েছে ৩৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৩৭ পয়সা।

অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ঝড়ষড় ঊচঝ) হয়েছে ৩১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির একক ইপিএস হয়েছিল ৩৭ পয়সা। আলোচিত সময়ে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১২ টাকা ৭০ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৬২ পয়সা।

ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১৬ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সময়ে কোম্পানিটির নেট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।

রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.১৫ টাকা।

নয় মাসে (জুলাই,২০-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৬ টাকা। গত বছরের এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) ছিল ১.৩৯ টাকা। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯.৬৩ টাকা। যা গত বছরের ৩১ মার্চ ছিল ৯.৩৯ টাকা।

হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেড: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি -মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি -মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১২ পয়সা।

এদিকে, তিন প্রান্তিক অর্থাৎ গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৭২ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৩৮ টাকা ২৪ পয়সা।

লিগ্যাসি ফুটওয়ার লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়ার লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১- মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১- মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১০ টাকা ৫১ পয়সা।

নিটল ইন্স্যুরেন্স: প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৪ পয়সা, যাগত বছর একই সময়ে ছিল ৮১ পয়সা। আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ ৯৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৭ টাকা ৮৭ পয়সা।

আমরা নেটওয়ার্কস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫০ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা।

সাফকো স্পিনিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৮৫ পয়সা। এদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ৮৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা।

আমরা টেকনোলজি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমরা টেকনোলজি লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । আজ সোমবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৩ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৭ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৩ আকা ৪২ পয়সা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৫৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৯৮ পয়সা।

এসিআই: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাডভান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৪ টাকা ৮১ পয়সা পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০১২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ৪০ পয়সা।

ডোমিনেজ স্টীল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডোমিনেজ স্টীল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৬ পয়সা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা।

এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ১৩ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৬ টাকা ৮৭ পয়সা।

 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড: এরই মধ্যে ১১টি ব্যাংকের মোট ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বা বে-মেয়াদি বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে করপোরেট বন্ড মার্কেট উন্নয়নের লক্ষ্যে সেই বন্ডগুলোকে ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এ লক্ষ্যে বন্ডগুলোকে ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের বিষয়ে গতকাল একটি নির্দেশনাও জারি করেছে বিএসইসি।

অনুমোদনকৃত ব্যাংকগুলোর মধ্যে যমুনা ব্যাংকের ৪০০ কোটি, দ্য সিটি ব্যাংকের ৪০০ কোটি, ওয়ান ব্যাংকের ৪০০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪০০ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৫০০ কোটি, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ৫০০ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৬০০ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪০০ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৪০০ কোটি ও এক্সিম ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বা বে-মেয়াদি বন্ড অনুমোদন হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ইস্যুয়ার পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই প্রস্তাবিত বন্ডের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অর্থ পাবলিক অফারের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি ইস্যুয়ারকে প্রতি বছর শেষে বন্ডের বিপরীতে লভ্যাংশ বা কুপন পরিশোধের বাইরে ২০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। যদি বছর শেষে ইস্যুয়ারের ফান্ডের ঘাটতি হয় এবং যদি ঘোষণাকৃত লভ্যাংশ বা কুপন পরিশোধের ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকে সেক্ষেত্রে প্রভিশনের ফান্ড থেকে ইস্যুয়ার অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান তথা মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং স্টক ডিলার তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওর কমপক্ষে ৩ শতাংশ ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডেট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। তাছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিওর কমপক্ষে ৩ শতাংশ ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডেট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে, সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি নিশ্চিত করবে।

এর আগে বিএসইসির ৭৭৪তম কমিশন সভা শেষে জানানো হয়, যে ১১টি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যু করা হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ডিরেস্ট লিস্টিংয়ের সরকারি কোম্পানি-সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা পরিপালন করতে হবে না। কমিশনের জারি করা নির্দেশনায় বিষয়টি উল্লেখ করা থাকবে। এ সুযোগ শুধু এ ১১টি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

করোনায় মুনাফায় চমক ওয়ালটনের: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভালো মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চে মুনাফা হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৬ টাকা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ।

সোমবার (২৪মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই ২০২০-মার্চ ২০২১) প্রথম ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৩৪ টাকা ১৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২৫ টাকা ৫৩ পয়সা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস ৮ টাকা ৬১ পয়সা বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯১ টাকা ৫৯ পয়সা।

সোমবার (২৪ মে) এই কোম্পানির শেয়ার ১ হাজার ২৬৪ টাকায় লেনদেন শুরু হয়। ৩০২ কোটি টাকার পেইড আপ ক্যাপিটালের কোম্পানির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৩২ কোটি ৭২ লাখ ৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালে তালিকাভুক্ত বড় মূলধনী দেশি এই কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত।

পাঁচ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির পাঁচ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করছে। কোম্পানিগুলো হলো: তৌফিকা ফুড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তৌফিকা ফুডের বার্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস বার্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৭ মে বিকাল ৪টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১ জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।এছাড়া একই সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

বিবিএস ক্যাবলস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৭ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।

কনফিডেন্ট সিমেন্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্ট সিমেন্ট বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ মে বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সভায় এ কোম্পানির (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা প্রকাশ করা হবে।