দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। সভায় কোম্পানিগুলোর অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৩ জুন বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৩০ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৫ পয়সা।

বঙ্গজ লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৩১ মে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১৮ পয়সা।

মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৩ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছিল ৫৯ পয়সা।

ছয় কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয় কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। এর মধ্যে ৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন দেশ প্রতিক্ষণের হাতে এসেছে। কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো:

ইস্টার্ন হাউজিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা।

গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৫২ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।

নাহি অ্যালুমিনিয়াম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড চলতি অর্থবছরেরতৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ১৯ পয়সা।

আলোচিত সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬ টাকা ৮৭ পয়সা।

বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি -মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিলো ২ পয়সা। এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ৯২ পয়সা।

ডেল্টা স্পিনার্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ পয়সা, গত বছর একই সময়েও ছিল ৪ পয়সা। অন্যদিকে, চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১১ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১৬ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৩ টাকা ৭৩ পয়সা।

বিবিএস ক্যাবলস : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ৯৩ পয়সা।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৫ টাকা ২২ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩২ টাকা ৭৫ পয়সা।

ডেল্টা স্পিনার্সের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ পয়সা, গত বছর একই সময়েও ছিল ৪ পয়সা। অন্যদিকে, চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১১ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১৬ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৩ টাকা ৭৩ পয়সা।

নাহি অ্যালুমিনিয়ামের তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড চলতি অর্থবছরেরতৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ১৯ পয়সা।

আলোচিত সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬ টাকা ৮৭ পয়সা।

আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য চার সুখবর: আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য চার সুসংবাদ আসছে। সুসুখবর চারটি হলো: কালো টাকা সাদা, করপোরেট কর হ্রাস, লেনদেনের ওপর আরোপিত অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) হ্রাস এবং ট্রেজারি বন্ডের ওপরও কর হার হ্রাস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নন-লিস্টেড অর্থাৎ পুঁজিবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করা হচ্ছে।

অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারে অবদান বাড়াতে কমিশনের পক্ষ থেকে বন্ডের ওপর আরোপিত কর হার কমানোসহ বিশেষ সুবিধা চেয়েছি। আশা করছি, অর্থমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। আগামী অর্থবছরেও কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা থাকবে। থাকবে ব্রোকার হাউজের লেনদেনের ওপর আরোপিত এআইটি কর কমানোর সুবিধা এবং পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেটকে বিকশিত করতে বিশেষ ছাড়া দেওয়া হচ্ছে।

আগামী বাজেটে থাকলে তারপর পুঁজিবাজার আরও চাঙা হবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাতে বাজারে লেনদেন আরও বাড়বে, ব্রোকার হাউজগুলোর ব্যবসাও জমজমাট হবে বলে মনে করেন তারা।

এদিকে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার করদাতা কালো টাকা সাদা করেছেন; যা স্বাধীনতার পর থেকে এক বছরের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মধ্যে পুঁজিবাজার, নগদ টাকা কিংবা জমি-ফ্ল্যাট কিনে সব মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৯৩৪ জন কালো টাকা সাদা করেছেন। এদের মধ্যে শুধু জমি-ফ্ল্যাট কিনে কিংবা নগদ টাকা সাদা করেছেন ৯ হাজার ৬২৩ জন।

আর পুঁজিবাজারে ৩১১ জন বিনিয়োগকারী ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে ৪৩০ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন। সব মিলে কালো টাকা সাদা করা বাবদ এনবিআর রাজস্ব পেয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৯৮ লাখ ৭২ হাজার ৬০২টি শেয়ার ১২৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের শেয়ার, চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল পলিমারের এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ প্রগতি ইন্সুরেন্সের ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ২ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্সের ২ কোটি ১৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, গ্রীন ডেলটা ইন্সুরেন্সের ৮৩ লাখ টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৮১ লাখ ২১ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইন্সুরেন্সের ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, ইর্স্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৬৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইনান্স ৬০ লাখ ৫২ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকার,

মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের ৫১ লাখ টাকার, লুবরেফের ৪৮ লাখ ২৬ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্সুরেন্সের ৪০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, কাট্টালী টেক্সটাইলের ৩৮ লাখ ৩ হাজার টাকার, আমান কটনের ৩৬ লাখ টাকার, এসকে ট্রিমসের ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৩৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার,

ই-জেনারেশনের ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, স্টানডার্ড ইন্সুরেন্সের ২৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার, বীকন ফার্মার ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকার, রূপালী লাইফর ২০ লাখ ১৯ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফের ২০ লাখ ১০ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিফ লাইফের ১৭ লাখ ২৮ হাজার টাকার, আমান ফিডের ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার,

এফবিএফআইএফ মিউচুয়াল ফান্ডের ১২ লাখ টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ৮ লাখ ৬ হাজার টাকার, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের ৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, গ্লোবাল ইন্সুরেন্সের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার, গ্রামীন ফোনের ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার,

এসইএমলেকচার মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, এবি ব্যাংকের ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, এপোলো ইস্পাতের ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার,

ডিবিএইচের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার, ন্যাশনাল টিউবসের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, হাক্কানী পাল্পের ৫ লাখ টাকার, কে এন্ড কিউয়ের ৫ লাখ টাকার, ওরিয়ন ইনফিউসনের ৫ লাখ টাকার, ওয়াটা কেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডিএসই মার্কেট লিডারে নতুন ৬ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ) বৃহস্পতিবার মার্কেট লিডার বা লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো, প্রাইম ব্যাংক, আইএএফআইসি ব্যাংক, লঙ্কাবা্ংলা ফাইন্যান্স, নর্দান ইন্সুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি, গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স ও পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেক্সিমকো, প্রাইম ব্যাংক, আইএএফআইসি ব্যাংক, লঙ্কাবা্ংলা ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ঘুরেফিরে মার্কেট লিডারের তালিকায় থাকলেও নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স ও পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স মার্কেট লিডারে নতুন কোম্পানি হিসাবে উঠে এসেছে।

নর্দান ইন্সুরেন্স: আজ নর্দার্ন ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৫ লাখ ১৯ হাজার ৫৫২টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৫১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৫ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৯৮ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫৫ টাকা ১০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ৬০ টাকা ৬০ পয়সায়। কোম্পানিটির শেয়ার আজ সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে হল্টেড ছিল।

সাউথইস্ট ব্যাংক: আজ সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬১১টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৫১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৬ষ্ট স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৬৭ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১৭ টাকা।

এনসিসি ব্যাংক: আজ এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার ৮২০টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৭ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ১ টাকা বা ৬.৪৫ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা।

গ্রীণডেল্টা ইন্সুরেন্স: আজ গ্রীণডেল্টা ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার আজ সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে হল্টেড ছিল।

পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স: আজ পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ লাখ ১১ হাজার ৯১০টি। যার বাজার মুল্য ছিলো ৩৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ডিএসইর মার্কেট লিডারের ১০ম স্থানে উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি দর বেড়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৯৩ শতাংশ। আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সা। আজ ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩৬ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার আজ সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে হল্টেড ছিল।

বিবিএস ক্যাবলসের তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় ধস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ৯৩ পয়সা।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৫ টাকা ২২ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩২ টাকা ৭৫ পয়সা।