দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানি সপ্তাহজুড়ে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো: রিপাবলিক ইন্সুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স ও কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স লিমিটেড।

সমাপ্ত অর্থবছরে রিপাবলিক ইন্সুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স ও সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্সের ডিভিডেন্ড, আয়, সম্পদ মূল ও নগদ কার্যকরী প্রবাহ সবই বেড়েছে। তবে কর্ণফুলী ইন্সুরেন্সের ডিভিডেন্ড অপরিবর্তিত থাকলে কোম্পানিটির আয়, সম্পদ মূল ও নগদ কার্যকরী প্রবাহ বেড়েছে।

রিপাবলিক ইন্সুরেন্স: ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য রিপাবলিক ইন্সুরেন্স ১৪ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ ক্যাশ ও ৭ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। আগের বছরও কোম্পানিটি ১৪ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ৭ শতাংশ ক্যাশ ও ৭ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা (পুর্নমূল্যায়িত)।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরী প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২৪ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ২০ পয়সা। আগামী ২৭ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ জুন।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স: ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮৮ পয়সা।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরী প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৪৪ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ২ পয়সা। আগামী ৮ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ জুন।

মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স : সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরী প্রবাহ ১ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ২৭ পয়সা।

আগামী ৩০ জুন বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ জুন।

সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স : সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স ১৩.৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। আগের বছর কোম্পানিটি ১৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরী প্রবাহ ৩ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা।আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২ পয়সা। আগের বছর সম্পদমূল্য ছিল ২৪ টাকা ৬৮ পয়সা।

আগামী ২৯ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ জুন।

কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স : সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছরও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরী প্রবাহ ৫ টাকা ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৫৫ পয়সা। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছর সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ২২ পয়সা।

আগামী ২৬ আগস্ট বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ জুন।

বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ‌শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ১.৯৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৮.৬৫ টাকা।। আগামী ১৪ জুলাই সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ জুন।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী লিমিটেড: গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

সর্বশেষ হিসাববছরের সহযোগী কোম্পানির আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ১৯ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৮ টাকা ৯১ পয়সা। আগামী ৭ জুলাই, বুধবার সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ জুন ।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ৮৯ পয়সা। আগামী ৭ আগস্ট সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জুন ।

২৫ কোম্পানির শেয়ার RSI অনুযারি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উপযোগী শেয়ার কিংবা বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার অ্যানালাইসিসের জন্য বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন নির্দেশক (Indicator) ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে প্রধানত হল-ট্যাকনিক্যাল ইনডিকেটর (Technical Indicator) ও ফান্ডমেন্টাল ইনডিকেটর (Fundamental Indecator)।

টেকনিক্যাল ইনডিকেটরের মধ্যে Relative Strength index অথবা আরএসআই (RSI) ইনডিকেটর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আরএসআই-এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিনিয়োগ উপযোগী শেয়ার খুঁজে বের করা যায়। ঠিক তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারও সনাক্ত করা যায়।

আরএসআই-এর মাধমে বাজারের overbought ও oversold অবস্থান নির্দেশ করে। এর স্কেলমান শুন্য হতে ১০০ পর্যন্ত হয়। সাধারণত: ২০ এর নিচের শেয়ার oversold, ৮০ এর উপরে শেয়ার overbought নির্দেশ করে। সাধারণত, oversold অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার buy (কেনা) এবং overbought অবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের sell pressure (বিক্রির চাপ) নির্দেশ করে থাকে।

তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও হয়। যদি কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে আরএসআই অকার্যকর হয়ে পড়ে। মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের ভিত্তিতে শেয়ারের দর উঠা-নামা করে।

আবার যদি কোন শেয়ারের পেছনে বড় হাত থাকে বা স্মার্ট মানি থাকে, সেক্ষেত্রেও আরএসআই সাধারণত অকার্যকর হয়ে যায়। তবে সাধারণ নিয়মে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর যদি আরএসআই-এর নিচের পর্যায়ে থাকে, তাহলে সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করা হয়।

আবার যেসব কোম্পানির শেয়ার দর আরএসআই-এর উচ্চ পর্যায়ে থাকে, সেসব কোম্পানিতে আপাতত বিনিয়োগ না করে ওয়েট অ্যান্ড সি পলিসি অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে করে পুঁজি নিরাপদ থাকে। তবে শেয়ার দর যখন বাড়তে বা কমতে থাকে আরএসআই ইনডিকেটরের দরের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে পরিবর্তন হয়।

উল্লেখ্য, আরএসআই ইনডিকেটর অনুযায়ি শেয়ার কেনা-বেচা করতে হবে, এমন কোন স্বত:সিদ্ধ নিয়ম বা বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আরএসআই ইনিডিকেটর অনুসরণ করলে সমূহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমারস্টক-এর তথ্য অনুযায়ি, সর্বশেষ ২৭ মে, ২০২১ তারিখের দর অনুযায়ি বর্তমানে ২৫টি কোম্পানির আরএসআই সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর নাম, সর্বশেষ দর ও আরএসআই হিসাব নিচে তুলে দেয়া হল:

ডিএসইতে ১০ কোম্পানির কব্জায় লেনদেনের ২৪ শতাংশ: বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে চারদিন। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চার দিনে লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৬৮৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে শীর্ষ ১০ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৩২ কোটি ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩.৮৪ শতাংশ। কোম্পানিগুলো হল-বেক্সিমকো, প্রাইম ব্যাংক, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, ব্রিটিশ আ্যমেরিকান ট্যোবাকো, আইএফআইসি, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ও ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেনের প্রথম স্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫২৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অংশগ্রহণ ছিল ৬.৮১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭০১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিটির ৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২১৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অবদান ছিল ২.৭৯ শতাংশ।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লেনদেনের তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৬৫ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ২.১৫ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক। কোম্পানিটির ৪ কোটি ৮১ লাখ ৩১ হাজার ৭০৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৬৪ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অবদান ছিল ২.১৩ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা পাই্ওনিয়ার ইন্সুরেনেন্সের ১ কোটি ৩০ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৯ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৫৭ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অবদান ছিল ২.০৬ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। কোম্পানিটির ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭২২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ২.০৩ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ব্রিটিল আমেরিকান ট্যোবাকো। কোম্পানিটির ২১ লাখ ৭০ হাজার ৪২৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১২১ কোটি ৪৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ১,৫৮ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। কোম্পানিটির ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৭ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১১১ কোটি ৫২ লাখ ১২ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ১.৪৫ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিটির ৬০ লাখ ৮২ হাজার ১৩ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১১১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল ১.৪৫ শতাংশ।

লেনদেন তালিকায় দশম স্থানে থাকা ন্যাশনাল ফিড মিলের ৩ কোটি ৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৪৮ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ডিএসইর মোট লেনদেনে এই কোম্পানির অবদান ছিল ১.৩৯ শতাংশ।

৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ ১১ কোম্পানির পর্ষদকে বিএসইসিতে তলব: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ ১১টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে তলব করেছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ১১টি কোম্পানির মধ্যে ৯টি এখনও পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা বাকি রয়েছে। পর্ষদ পুনর্গঠনের কর্মপরিকল্পনা অংশ হিসেবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থতার জন্য ১১টি কোম্পানির কর্তাদের তলব করেছে বিএসইসি।

মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে ওই কোম্পানিগুলোর এ শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোম্পানিগুলোর এ শুনানি কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে ৯ জুন পর্যন্ত চলবে। শুনানি কার্যক্রমে কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে তলব করেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিব কেও (সিএস) ডাকা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের মোট পরিশোধিত মূলধনের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ করার বিধান রয়েছে। তবে ওই কোম্পানিগুলোর মোট পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে ৭.৩৩ শতাংশ রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির, ১২.০৪ শতাংশ রয়েছে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের,

১২.৭৮ শতাংশ রয়েছে আল-হাজ্জ টেক্সটাইল মিলসের, ১৮.০৭ শতাংশ রয়েছে ডেল্টা স্পিনার্সের, ৪.০১ শতাংশ রয়েছে ফ্যামিলিটেক্স বিডির, ৬.৩৮ শতাংশ রয়েছে ফাইন ফুডসের, ৭.৮৫ শতাংশ ফু-ওয়াং ফুডসের, ১৩.৮২ শতাংশ রয়েছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের, ১৭.২০ শতাংশ রয়েছে মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের, ২২.৪১ শতাংশ রয়েছে সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ও ১২.০১ শতাংশ রয়েছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের।

সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ না করায় ওই ১১টি কোম্পানি ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ২১ মে বিএসইসির জারি করা নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। এই অনিয়মের ব্যাখা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে ডেকেছে বিএসইসি। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত গুলো পরিচালনা পর্ষদকে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ধারা ১১(২) অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে এ নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। বিষয়টি দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার, ২৭ মে বিকেলে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির শুনানি হয়।

এছাড়া আল-হাজ্জ টেক্সটাইল মিলস, ডেল্টা স্পিনার্স, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজকে বিভিন্ন দিনে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে।

২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধস পরবর্তী বাজারকে গতিশীল করতে ২০১১ সালে সম্মিলিতভাবে ও ন্যূনতম শেয়ারধারণের নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু কোম্পানি বিএসইসির এ নির্দেশনা মানছিল না। এমন পরিস্থিতিতে গতবছর মে মাসে বিএসইসি তথা শেয়ারবাজারের হাল ধরা অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃতত্বাধীন কমিশন এ নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ২২টি কোম্পানি ওই নির্দেশনা পরিপালন করলেও ২১টি কোম্পানি তা মানেনি। ফলে গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিএসইসির ৭৫০তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে বিএসইসি।

ইতোমধ্যে ২১টি কোম্পানির মধ্যে ৪টির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাকি ১৭টি কোম্পানির পর্ষদ ধরাবাহিক ভাবে পুনর্গঠিত করা হবে। পর্ষদ পুনর্গঠন হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আল-হাজ্জ টেক্সটাইল মিলস, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, অগ্নি সিস্টেমস ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল।

পর্ষদ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াধীন কোম্পানিগুলো হলো- সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেল্টা স্পিনার্স, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিক, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, ফার্মা এইডস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘সম্মিলিতভাতে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ না করা কোম্পানিগুলোর ব্যর্থতার জন্য তাদের পর্ষদ পুনর্গঠন করছে বিএসইসি। ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করা বাকিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করার কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে ডাকা হয়েছে।’