দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নারায়াণগঞ্জে বিজিবির নতুন ব্যাটালিয়নসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ২৪৯ কোটি ৯৩ লাখ ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার (১ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.শামসুল আলম, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশিদ, মোছাম্মৎ নাছিমা বেগম প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ঢাকার আশেপাশে দেশের সিংহভাগ শিল্প কারখান অবস্থিত। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই বিজিবির নতুন ব্যাটালিয়ন রাখা হচ্ছে। শিল্প পুলিশ থাকলেও মাঝে মধ্যে অন্য বাহিনীর সহায়তার প্রয়োজন হয়। সেই চিন্তা থেকেই এটি করা হচ্ছে।’

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে- কুষ্টিয়া-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কটির কুষ্টিয়া হতে মেহেরপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নবসৃজিত নারায়ণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ২৩৭ কোটি ২১ লাখ টাকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৮৮ কোটি টাকা।

দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প; এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদের পন্ডিতের হাট এলাকা ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ারড পাওয়ার প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৩০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।