দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করছে। কোম্পানিগুলো এএফসি অ্যাগ্রো, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

এএফসি অ্যাগ্রো: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ৮ জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি ৩ পয়সা আয় করেছিল।

অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ৮ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি ১২ পয়সা আয় করেছিল।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ৮ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ৯ জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে।

একই সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। এর আগে কোম্পানিটি ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

রিজেন্ট টেক্সটাইলের তৃতীয় প্রান্তিকে বাড়ছে লোকসান: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি‘২১ -মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি‘২১ -মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৪ পয়সা। এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০২ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৭ টাকা ২৩ পয়সা।

পুঁজিবাজারে আসছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাধারণ জনগণের অনুকূলে গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার জন্য ইস্যু ম্যানেজার হিসাবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং লঙ্কাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস-কে নিয়োগ দিয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে বুধবার ০২ জুন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার রায়হান আলী, এফসিএ এবং লঙ্কাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইফতেখার আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এ সময়, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম সারোয়ার ও কাজী মশিউর রহমান জেহাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সামাদ, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হেড অব ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এইচ. এ. মামুন, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিস লিমিটেডের সিইও খন্দকার সাফ্ফাত রেজা, লঙ্কাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের হেড অব প্রাইমারী মার্কেট সার্ভিসেস্ মোঃ খালেদ হাসানসহ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুঁজিবাজারে ফের লেনদেন ছাড়াল ২৩’শ কোটি টাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উঠানামার মধ্যে দিয়ে লেনদেন চললেও দিনশেষে ব্যাংক খাতের উত্থানে সূচকের উর্ধ্বমুখী হয়েছে। মুলত সোয়া তিন বছর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করার পর সূচকের উঠানামা চলছেই।

আগের কার্যদিবসের মতো বুধবারও (০২ জুন) উত্থানে হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। এদিন উভয় শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছ আর দুই শেয়ারবাজার মিলে ২৩ শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯.০০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৪৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৮৪.৫১ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৯৫.৩৩ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ২ হাজার ২৮৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৩৮৪ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯০৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৬৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৬৪টির বা ৪৪.৬৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৪৬টির বা ৩৯.৭৮ শতাংশের এবং বাকি ৫৭টির বা ১৫.৫৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৩.২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৪৯.২০ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪২টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির আর ৩৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

১২৭ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ পেয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড স্বল সুদে ১৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ঋণ পেয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই ঋণ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরও ২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঋণ পেয়েছিলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি সুইজারেল্যান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্লু আর্কিড থেকে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ১৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ঋণ পেয়েছে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২৭ কোটি ২২ লাখা। সম্প্রতি এই খবর প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শাখার ম্যানেজারদেরকে জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি,২১-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্তিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১৩ পয়সা। এ হিসেবে আয় বেড়েছে ২৮ পয়সা বা ২১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে ‘ছয় হাজারের যুদ্ধ’, উত্থানে ফিরল ব্যাংক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উঠানামার মধ্যে দিয়ে লেনদেন চললেও দিনশেষে ব্যাংক খাতের উত্থানে সূচকের উর্ধ্বমুখী হয়েছে। মুলত সোয়া তিন বছর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করার পর সূচকের উঠানামা চলছেই।

গত রোববার সোয়া তিন বছর পর সূচক প্রথমবারের মতো ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছোঁয়ার পর দিনই ব্যাংক খাতে দর সংশোধনে যায়। পরের দিনই সূচক কমে পাঁচ হাজার নয়শ পয়েন্টের ঘরে নেমে আসে। সেদিন ১৮ পয়েন্ট কমে সূচক দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে।

মঙ্গলবার বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির পর সূচক আবার ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠে। তবে শেষ বেলায় ব্যাংক খাত ঢালাও দর হারানোর পরিপ্রেক্ষিতে আবার তা ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। দিন শেষে তিন পয়েন্ট বাড়লেও তা ছয় হাজারের কমই ছিল। বুধবার বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত সূচক ছিল উঠানামার মধ্যে। একবার ছয় হাজারের ওপরে উঠে তো পরে আবার নেমে যায়। এক পর্যায়ে আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।

তখনও ব্যাংক খাতে ছিল নেতিবাচক প্রবণতা। প্রায় সব ব্যাংকই সে সময় হারায় দর। এই অবস্থা পাল্টে যায় বেলা দেড়টার পর থেকে। এক পর্যায়ে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ে। আর সূচকও ছয় হাজারের ওপরে গিয়ে দিন শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ছয় হাজার ১৯ পয়েন্টে। লেনদেনও দুই কার্যদিবস শেষে ‍দুই হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে। দিন শেষে লেনদেন দাঁড়ায় দুই হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

এদিন সকাল থেকেই বিমা খাত যেন উড়ছিল। সর্বাধিক দর বৃদ্ধির শেয়ারে এই খাতের অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে দিনের শেষে বেশ কিছু বিমা কোম্পানির দর পতন ঘটে।
বুধবার ডিএসইতে দুই হাজার ২৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৩৮৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৯০৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার।

এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৯ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়েছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৬৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪টির, দর কমেছে ১৪৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টি কোম্পানির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭৭ পয়েন্ট। সূচকটি ১৭ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে মোট ৩০০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টির, দর কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।

বাটা সু কোম্পানি ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি বাটা সু সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে । ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ জুন।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৬ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩৬ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ২৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৬৪ টাকা ৬৫ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি নগদ কার্যকরি প্রবাহ ২ টাকা ২৬ পয়সা।

সোনালী লাইফের আইপিওতে আশানুরূপ সাড়া নেই: পুঁজিবাজার থেকে সম্প্রতি ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। বর্তমানে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন চলছে, যা চলবে ৩ জুন পর্যন্ত। তবে এ কোম্পানির আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ সাড়া নেই। মূলত এর আগে একই মালিকানাধীন কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার ও গোল্ডেন হারভেস্ট পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখকর ছিল না। ফলে এ কোম্পানিতে তাদের আগ্রহ কমে গেছে।

বিভিন্ন ব্রোকাজের হাউস সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ, একই মালিকানাধীন আরও দুটি কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি অনিয়মের কারণে শাস্তির কবলে পড়তে হয়েছে। এ কারণে এই কোম্পানির প্রতি এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্রোকাজের হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ড্রাগন সোয়েটার ও গোল্ডেন হারভেস্ট থেকে প্রতারিত হয়েছেন। ফলে একই মালিকানাধীন অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারছেন না তারা। এছাড়া নতুন নিয়মে আইপিও আবেদনের বিষয়টিও অনেকে বুঝতে পারছেন না। এ কারণে আবেদন কম পড়ছে। তবে এখনও দু’দিন সময় আছে, দেখা যাক কী হয়।

বিমা খাতের এ কোম্পানিটির পেছনে রয়েছেন জরিমানার কবলে পড়া সেই ড্রাগন সোয়েটারের পরিচালকরা এবং আইপিও অর্থ সংগ্রহের ব্যবসায় নি¤œমুখী হওয়া গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রাজিব সামদানি।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে সোনালী লাইফের পরিচালক ও উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারে আনে ড্রাগন সোয়েটার। এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল, যা ব্যবহারে অনিয়মের কারণে কোম্পানিটির প্রত্যেক পরিচালককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করে কমিশন। কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিরুদ্ধে কারসাজি করার অভিযোগ উঠেছিল। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা না দেয়ায় কিছুদিন আগে তুমুল শ্রমিক অসন্তোষ এবং আন্দোলন হয়েছিল, যা নিরসনে বিজিএমএ এবং সরকার পর্যন্ত গড়ায়।

অন্যদিকে ২০১৩ সালে উচ্চদরে (প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা) শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে সোনালী লাইফের পরিচালক ও গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রাজিব সামদানি। ব্যবসায় উন্নতি করতে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিলেও ক্রমান্বয়ে তলানিতে নামে কোম্পানিটির শেয়ারদর। আইপিওতে ২৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ার এখন পাওয়া যাচ্ছে ১৫ টাকার নিচে। এ কারণে সোনালী লাইফের আইপিওতে গতকাল পর্যন্ত তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

গোল্ডেন হার্ভেস্ট পুঁজিবাজার থেকে প্রথম দফায় ২০১৩ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে। আর দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে। এ অর্থ সংগ্রহের ১ বছর পার না হতেই কোম্পানিটির পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ডিভিডেন্ড না দেয়ার ঘোষণা দেয়।

এদিকে দফায় দফায় ঋণ পরিশোধ করতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা এ গোল্ডেন হার্ভেস্ট থেকে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে নিয়মিত বিনাসুদে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে পরিচালকদের কোম্পানির সুদজনিত ব্যয় না হলেও তালিকাভুক্ত গোল্ডেন হার্ভেস্টের হয়েছে। এর দায়ভার বহন করতে হচ্ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারদের তথা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের।

ড্রাগন সোয়েটার ও গোল্ডেন হার্ভেস্টের এমন ব্যর্থতার পরও কোম্পানি দুটির পরিচালকদের সোনালী লাইফকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন: ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিংয়ের পরিচালক সাফিয়া সোবহান চৌধুরী, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া ও গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রাজিব সামদানি।

এছাড়া শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়েছেন ড্রাগন সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, চেয়ারম্যান মোস্তফা কামরুস সোবহান ও পরিচালক তাসনিয়া কামরুন অনিকা। এমনকি ড্রাগন সোয়েটারের পরিচালক তাসনিয়া কামরুন অনিকার স্বামী মীর রাশেদ বিন আমান সোনালী লাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতে যাওয়া সোনালী লাইফে শেয়ারধারণেও এগিয়ে রয়েছে ড্রাগন সোয়েটারের পরিচালকরা। বিমা কোম্পানিটিতে ড্রাগন সোয়েটারের ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার শেয়ার রয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এছাড়া মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, সাফিয়া সোবহান চৌধুরীরর ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, তাসনিয়া কামরুন অনিকার ৪ দশমিক ২১ শতাংশ, আহমেদ রাজীব সামদানির ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ ও মোস্তফা কামরুস সোবহানের ১ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সোনালী লাইফের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ থেকে একবার কল রিসিভ করে বলা হয়, ‘আমাদের কোম্পানি সচিব এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করবেন।’ কিন্তু পরবর্তীকালে কোম্পানির পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘বেশিরভাগ কোম্পানির কর্তৃপক্ষ তাদের শেয়ার বিক্রি করার জন্য পুঁজিবাজারে আসেন। একই মালিকানাধীন অন্য দুটি কোম্পানির ইতিহাস যেহেতু ভালো নয়, এ ধরনের কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ারে তিন বছরের লকইন থাকা উচিত।

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণায় ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, বিএসইসির তদন্ত দাবি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ক্যাপিটালের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। কোম্পানিটির প্রকৃত ব্যবসায়িক অবস্থা ও আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার জন্য বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত দাবি করেছেন।

জানা যায়, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডের মুখ দেখিয়েছে। এর মধ্যে ধারাবাহিক স্টক ডিভিডেন্ড দিলেও ২০১৫ সালে ৭ শতাংশ স্টকের সাথে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। এছাড়া তালিকাভুক্তির পর থেকে ডিভিডেন্ডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছে কোম্পানিটি।

এতে কোম্পানির পরিচালকরা লাভবান হলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে ২০১৮ সালে পর থেকে কোম্পানিটির ব্যবসা ও আর্থিক অবস্থা সম্পর্কেও বিনিয়োগকারীদের অন্ধকারে রাখা হয়। এর পর নতুন করে সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করল ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড।

করোনার বছরে অর্থাৎ ২০২০ সালে ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ভালো হলেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডাদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সর্বশেষ দুই বছর ২০১৯ এবং ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা থেকে বঞ্চিত করল প্রতিষ্ঠানটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব তৌহিদুল আশরাফ। তিনি বলেন, করোনার বছর অর্থাৎ গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। তিনি বলেন, বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৮ পয়সা। এর আগের বছর সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ লাভ হয়নি, তবে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান কিছুটা কমেছে।

আশরাফ বলেন, ২০২০ সালে এককভাবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর এককভাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ৭৩ পয়সা। ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারহোল্ডারের সংখ্যা ১৭ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৩। এদিকে চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাতে দেখা গেছে, কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৯ পয়সা।

আগের বছর সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান আরও বাড়ছে। প্রথম প্রান্তিকে এককভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭২ পয়সা। আগের বছর এককভাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে সমন্বিতভাবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।

বাজার সংশ্লিদের মতে, কোম্পানিটির ধারাবাহিক লোকসানের কারণ খতিয়ে দেখা উচিত। বর্তমানে করোনার মধ্যেও আর্থিক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফায় রমরমা অবস্থা। কোম্পানিটির শেয়ারদর জানুয়ারী মাসের দিকে অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণও খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।