দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বীমা সেবাকে জনবান্ধব ও কল্যাণমুখী করার জন্য বিভিন্ন বীমা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বীমা সেবাকে জনবান্ধব ও কল্যাণমুখী করার জন্য প্রবাসী বীমা, কৃষি বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, গবাদিপশু বীমা, হাওড় এলাকার জন্য শস্য বীমা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দারিদ্র নিরসনে ক্ষুদ্র বীমা চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র নারীদেরকে ক্ষুদ্র বীমারা আওতায় এনে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বীমা খাতে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিন্ন ‘নো ইওর কাস্টমার (কেওয়াইসি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

বীমা সেবাকে জনবান্ধব ও কল্যাণমুখী করছে সরকার: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বীমা সেবাকে জনবান্ধব ও কল্যাণমুখী করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, বীমা সেবাকে জনবান্ধব ও কল্যাণমুখী করার জন্য প্রবাসী বীমা, কৃষি বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, গবাদিপশু বীমা, হাওড় এলাকার জন্য শস্য বীমা প্রভৃতি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দারিদ্র্য নিরসনকল্পে ক্ষুদ্র বীমা চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

দরিদ্র নারীদেরকে ক্ষুদ্র বীমার আওতায় এনে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বীমা খাতে অটোমেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতােমধ্যে, অভিন্ন Know Your Customer (KYC) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারকে উজ্জীবিত করতে শীঘ্রই কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে: সরকার পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও কিছু পদক্ষেপ শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃত্বায় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু করা হবে। এছাড়া আধুনিক শেয়ারবাজারের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের মধ্যে সুকুক, ডেরিভেটিভস, অপশনসের লেনদেন চালু, ওটিসি বুলেটিন বোর্ড চালু, ইটিএফ চালু এবং ওপেন ইন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত করা হবে। এছাড়া কর্পোরেট কর হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমানোর প্রস্তাব: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির (ব্যাংক, বীমা,এনবিএফআই, টেলিকম ও তামাকজাত ব্যতিত) কর হার কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বিদ্যমান ২৫ শতাংশের কর হার কমিয়ে ২২.৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে তিনি এই প্রস্তাব করেছেন।

বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমানোরও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে গতবারের ৩২.৫০ শতাংশ কর হার কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এবারের বাজেটে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি ও মোবাইল ফোন কোম্পানির কর হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা: ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই থাকছে। আগামী বছর করমুক্ত আয়সীমা হবে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হলো কোন কর দিতে হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের যে বাজেট উপস্থাপন করেন, তাতে এই প্রস্তাব রয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথম বাজেটে (২০২০-২১) করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তারপর চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়।

বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজটে নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এবারও সেটাই রেখেছেন তিনি।

বিদায়ী বাজেট অনুযায়ী, ৩ লাখ টাকা আয়কর দিতে হয় না। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হয় ১০ শতাংশ হারে, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ১৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে। এর চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হচ্ছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। ‘ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ব্যবসা সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের করদায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার হ্রাস করে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’

লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা বাড়ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বর্তমানে ২৬ শতাংশ কর দিতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি করা হয়েছে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রস্তাব কার্যকর হলে আড়াই শতাংশ কর কমবে। ফলে কোম্পানির কর পরবর্তী আয় আগের তুলনায় বাড়বে। এতে করে লভ্যাংশ বাড়তি দেওয়ারও সক্ষমতা তৈরি হবে।

আইডিআরের লাইসেন্স ছাড়াই গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের এজেন্টস কাজ করছে: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) লাইসেন্স ছাড়াই গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের কিছু প্রতিনিধি (এজেন্টস) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২০ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ১১৫ জন এজেন্টস কাজ করছে। এরমধ্যে ১০৫ জনের নবায়নকৃত লাইসেন্স ছিল। বাকি ১০ জন এখনো নবায়নকৃত লাইসেন্স পাননি। এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর্মীদের গ্রাচ্যুইটি ফান্ড ও শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের জন্য কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য ১ জুন কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই লভ্যাংশ ঘোষণার পরে শেয়ারটি টানা দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে ১ টাকার লভ্যাংশের জন্য ১৭ টাকা দর বেড়েছে। কোম্পানিটির লভ্যাংশ ঘোষণার সময় শেয়ার দর ছিল ৫৬.১০ টাকা। যে শেয়ারটি আজ দুপুর ১২.৫২ টায় ৭৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

সাত কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রেতা শুন্য হয়ে গেছে।। আজ লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স এবং ফরচুন সুজ, ফেডারেল ইন্সুরেন্স ও গ্রীন ডেল্টা।

জানা গেছে, বুধবার সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮৯.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮৯.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৯০ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স : ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের বুধবার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮৬.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮৮.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৬০ টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স : বুধবার গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৬.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৬৫.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৩ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৬০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

রূপালী ইন্স্যুরেন্স: বুধবার রূপালী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৫.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫০.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৫০ টাকা বা ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

ফরচুন সুজ : বুধবার ফরচুন সুজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৬ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৩০ টাকা বা ৯.৭০ শতাংশ বেড়েছে।

রোববার তিন কোম্পানির লেনদেন বন্ধ থাকবে: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট রবিবার (৬ জুন) লেনদেন বন্ধ থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জান গেছে। কোম্পানি তিনটি হলো : ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। জানা গেছে, রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে কোম্পানি তিনটির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন রবিবার বন্ধ থাকবে। আর রেকর্ড ডেটের পর ০৭ জুন (সোমবার) কোম্পানিগুলোর লেনদেন আবার যথানিয়মে শুরু হবে।

যমুনা ব্যাংকের উদ্যোক্তার ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংকের এক উদ্যোক্তা ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, উদ্যোক্তা আরিফুর রহমানের কাছে কোম্পানিটির ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২টি শেয়ার রয়েছে। এখান থেকে তিনি ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবেন কোম্পানিটির এই উদ্যোক্তা।

বোনাস শেয়ার ইস্যুতে আসছে নতুন বিধিনিষেধ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৫ ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ার ইস্যুতে বিধিনিষেধ দিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শিগগিরই এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএসইসির একটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।

সূত্রমতে, যে ৫টি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আসছে তা হলো:

১. কোন কোম্পানি আইপিও থেকে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহৃত না হওয়া পর্যন্ত বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

২. কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে কোন বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

৩. রাইট শেয়ার ইস্যু করার পর পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে কোন বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

৪. কোন কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ থাকলে বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

৫. জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ও ওটিসি মার্কেটে বেচাকেনা হয় সেসব কোম্পানি, সেসব কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।