দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আট কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (০৭ জুন) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, আমান কটন ফাইবার্স, লুব-রেফ, আমান ফিড, ফরচুন সুজ, সালভো কেমিক্যাল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং রিংশাইন টেক্সটাইল।

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স: রোববার ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪১ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

লুব-রেফ : রোববার লুব-রেফের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৩.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৪ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৩০ টাকা বা ৯.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

আমান কটন ফাইবার্স : আমান কটন ফাইবার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর রোববার ছিল ৩৯.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৯.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৯০ টাকা বা ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

আমান ফিড : আমান ফিডের শেয়ারের ক্লোজিং দর রোববার ছিল ৩৯.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৯.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৯০ টাকা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।

ফরচুন সুজ : রোববার ফরচুন সুজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩১.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৮০ টাকা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।

সালভো কেমিক্যাল: রোববার সালভো কেমিক্যালের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৯.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৯.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৯০ টাকা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং : রোববার আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩৯.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৪০.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৩.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩.৯০ টাকা বা ৯.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

রিংশাইন টেক্সটাইল : রোববার রিংশাইন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৭০ টাকা বা ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

তিন সরকারি সংস্থার ৩৫৬ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেডের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সম্প্রতি ৩টি সরকারি সংস্থার কাছ থেকে মোট ৩৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। আজ রোববার (৬ জুন) দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও ডটগভ সল্যুশন্স এলএলসি, ইউএসএ-এর সঙ্গে যৌথভাবে বেক্সিমকো লিমিটেড ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’ এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় যৌথভাবে একটি আধুনিক পূর্ণাঙ্গ ইলেক্ট্রনিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম বা ই-পিএমআইএস তৈরি করবে এই তিন কোম্পানি।

এছাড়া ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড ও বাংলাদেশের টেক ভ্যালে নেটওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে ২৬১ কোটি টাকা মূল্যের অনলাইন খাদ্য ভান্ডার ও বাজার নজরদারি সিস্টেম প্রস্তুতের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো। বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে শিগগিরই উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

গত মাসে ৪৮ কোটি টাকা মূল্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের দুইটি প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড। প্রথম প্রকল্পের অংশ হিসেবে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) একটি সাইবার রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনে একটি তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব স্থাপন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সরকার দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যে যাত্রা শুরু করেছে, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখতে বেক্সিমকোর অঙ্গীকারকে সাম্প্রতিক এসব সাফল্য শক্তিশালী করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পুঁজিবাজারে ঝুঁকি যেমন বেশি, মুনাফায় সুযোগও অনেক বেশি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ডঃ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে ঝুঁকি যেমন বেশি, তেমনি রিটার্নের (মুনাফা) সুযোগও অনেক বেশি। জেনে বুঝে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি অনেক কমে আসে। মুনাফার সুযোগ বাড়ে। তিনি বলেন, ব্যাংকের আমানত ও সঞ্চপত্রের চেয়ে পুঁজিবাজারে রিটার্নের সম্ভাবনা বেশি। বিনিয়োগের জন্য তাই পুঁজিবাজার সবচেয়ে ভাল একটা বিকল্প।

আজ রোববার (৬ জুন) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) যৌথ উদ্যোগে আলোচিত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মলালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম ও পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমান।

ডঃ শামসুদ্দিন বলেন, মার্জিন ঋণ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক বিনিয়োগকারী না বুঝে লোভে পড়ে মার্জিন ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই মার্জিন ঋণ নেওয়ার আগে ভাল করে ভেবেচিন্তে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল ৮ মিলিয়ন ডলার যা এখন ৩৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের এ এক বিশাল অর্জন। এই অর্জনের ভিত্তি প্রতিথ হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক ত্যাগ আর তিতিক্ষা। আমাদের সর্বদাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করছি।

১৯৭২ সালে পার ক্যাপিটা জিডিপি ছিল মাত্র ৯৭ ইউএস ডলার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছরে ১৯৭৫-এ উন্নীত করেছেন ২৭৩ ইউএস ডলারে। এর পরে আমাদের অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। এখন আমাদের পার কাপিটাল জিডিপি ২২২৭ ডলার। বিশাল অর্জন। আমরা আখন আর তলাবিহিন ঝুড়ি অর্থনীতিতে নেই, বরং আমরা এখন অনেক দেশকে অর্থ ধার/বিনিয়োগ দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। ৫০ বছরে অর্জন কম নয় । জাতির জনকের সোনার বাংলা বিনির্মাণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, কাজের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নাই। যত প্রশিক্ষণ নিবেন তত নিজের মধ্যকার যোগ্যতা, দক্ষতা সুদৃঢ় হবে। বিএসইসি এ ক্ষেত্রে তাদের অবিরাম কর্ম সম্পাদন করে যাচ্ছে। বিএসইসি এর নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত দুটি প্রতিষ্ঠান বিআইসিএম, বিএসএএম এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে সিএসই এবং ডিএসই ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখছে । বিএসইসি এই করনাকালিন সময়ে অনলাইন, অফলাইন এর মাধ্যমে প্রশিক্ষন দিচ্ছে এবং অব্যাহত রাখবে। সামনে পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সে এর জন্য প্রশিক্ষনকে বাদ্ধতামুলক করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মামুন-উর-রশিদ বলেন, বর্তমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতেও ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা অনলাইনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনার এর আয়োজন করে যাচ্ছি । ২০১৭ সাল থেকে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের আয়োজন করা হচ্ছে, যা সাধারণত অক্টোবর এর প্রথম সপ্তাহে সংঘটিত হয়।

বিনিয়োগ শিক্ষা হল, ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান। সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষার ফলে আর্থিক জালিয়াতি থেকে রক্ষা পাওয়া এবং সুরক্ষিত আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দ্বৈত সুবিধা পাওয়া যায়। বিনিয়োগ শিক্ষা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্যের উপযুক্ততা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদান করে, তাদেরকে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

প্রথম দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিএসই এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উন্নিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন অত্যন্ত দক্ষ ও বলিষ্ঠ শক্তিশালী পুঁজিবাজার। সামনে সব ধরনের বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগের সিংহভাগ উৎস পুঁজিবাজার হতে হবে।

আমাদের বর্তমান জিডিপি ১২% ,সেই জিডিপির তুলনায় যে মার্কেট ক্যাপিটার অনুপাত তা বিশ্ব বেঞ্চমার্কের তুলনায় বেশ দুর্বল এবং আমরা আশানুরূপ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এখানে উল্লেখ্য, এখনও প্রাইভেট সেক্টর এর ইনভেস্টমেন্ট এর উৎস হচ্ছে ব্যাংক, যেখানে মূল উৎস হওয়া উচিত ছিল পুঁজিবাজার।

ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারকে উৎসে পরিণত করার জন্য কাজ করে যেতে হবে, বিশেষ করে ব্যাক্তি খাতে বিনিয়োগ,অবকাঠামোগত বিনিয়োগ এর ক্ষেত্রে। চট্টগ্রামেই অনেক কাজ হচ্ছে , শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, নতুন নতুন ইনভেস্টমেন্ট এর খাত তৈরি হচ্ছে, আরও হবে, আমরা আশা করছি সামনে এই কাজগুলোর জন্য বিনিয়োগের প্রধান উৎস হবে পুঁজিবাজার।

আরএকে সিরামিকের উৎপাদন আরও ৭ দিন বন্ধ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের উৎপাদন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ করতে আর ৭ দিন সময় লাগবে। আজ ৬ জুন থেকে আগামী ১২ জুন পরযন্ত একটি লাইনের রক্ষণাবেক্ষনের কাজ চলবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, কোম্পানিটি টাইলস উৎপাদনের একটি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ শেষে খুব দ্রত উৎপাদন চালুর ঘোষণা দেবে।

আএকে সিরামিকস এর আগে জানিয়েছিল, আরএকে সিরামিকসের টাইলস উৎপাদনের ৪টি লাইনের মধ্যে ২টি লাইনের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষনের কাজ করা হবে। গত ২১ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এই কাজ চলবে। যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষনের সময় টাইলস উৎপাদনের ২টি লাইনের কাজ সাময়িক বন্ধ থাকবে।

এই সময়ে কোম্পানির স্যানিটারি প্লান্টের যন্ত্রপাতিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। তবে কোম্পানির অপর দুই টাইলস প্লান্টের (লাইন-৩ ও লাইন-৪) উৎপাদন চালু থাকবে। যেখানে স্যানিটারি ওয়্যার প্লান্ট উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সক্ষমতা রয়েছে।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারে ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৯টির পতন: গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ৩০ কোম্পানির মধ্যে আজ ২৯টি দরই সর্বনিম্ন দুই শতাংশ কমেছে। বেড়েছে মাত্র ১টির। এর আগে ফ্লোর তুলে দেয়া ৬৬ কোম্পানির মতোই এই ৩০ কোম্পানির ক্ষেত্রেও অভিন্ন প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

আর তা হলো- ফ্লোর প্রাইসে থাকা অবস্থায় কোন কোন কোম্পানির লেনদেন না হলেও আজ সব কটি কোম্পানিরই লেনদেন হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। কোম্পানিগুলোর আজ (রোববার) মুক্ত অবস্থায় প্রথম লেনদেন হয়।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর শেয়ার মূল্যে দেখা দেয়া ধস ঠেকাতে এই ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয় সবগুলো শেয়ারের। কিন্তু শেয়ারের আয়, মৌলভিত্তি বিবেচনায় না এনে কেবল বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই সর্বনিম্ন দাম দেয়া হয়। পরে দেখা যায়, বহু কোম্পানি বিপুল পরিমাণ লোকসান দিচ্ছে। আর এ কারণে বেঁধে দেয়া সেই মূল্য অযৌক্তিক হয়ে যায় আর সেই দামে শেয়ার হাতবদল হচ্ছিল না বললেই চলে।

এই পরিস্থিতিতে প্রথমে ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়। সেই কোম্পানিগুলোর প্রায় অর্ধেক এখন বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে গেছে। আর প্রতিদিনই বেশ ভালো পরিমাণে লেনদেন হচ্ছে। এর পরে আরও বেশ কিছু কোম্পানি থেকে যায়, যেগুলো লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে তোলা হয় ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারে কোনো ফ্লোর প্রাইস রাখা হবে না। কিন্তু একদিনে সবগুলো তুলে দিলে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় তারা ধাপে ধাপে এই সিদ্ধান্ত নেবেন।

যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কমানো হয়েছে, সেগুলোর একটি বিশেষ সুবিধা আছে। তা হলো অন্যগুলোর মতোই এগুলোর দাম ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে, কিন্তু কমতে পারবে দুই শতাংশ। কিন্তু শতকরা হিসাবের কারণে কোনো কোনো কোম্পানির দাম কমতে পারে দুই শতাংশের কম।

কোন কোম্পানির দাম কত কমল: রেনউইক যগেশ্বর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯০০ টাকা। রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৮২ টাকায়। ফ্লোর উঠানোর আগে বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল আটটি। সেটি বেড়ে হয়েছে ২১টি।

মুন্নু এগ্রোর দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দুই শতাংশ কমে হয়েছে ৭৭৮ টাকা ৯০ পয়সা। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো শেয়ার হাতবদল না হলেও আজ লেনদেন হয়েছে ৩১টি।

নর্দার্ন জুট কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩২৪ টাকা ৯০ পয়সা। এটিও দর হারিয়েছে ২ শতাংশ। আজ ৩০৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩১৮ টাকা ৪০ পয়সায়। ফ্লোর উঠার আগে লেনদেন ছিল ১৮টি।

ইস্টার্ন কেবলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪০ টাকা ১০ পয়সা। দুই টাকা ৮০ পয়সা বা দুই শতাংশ কমে এখন দাম হয়েছে ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। ফ্লোর উঠার আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও সেটি এখন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৫৪৫টি

গত অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়া বাটা শুর ফ্লোর প্রাইস ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর মুক্ত দিনে ১.৯৯ শতাংশ কমে দাম হয়েছে ৬৭৯.৪০ পয়সা। লেনদেনও হয়েছে প্রায় তিন গুণ। বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছেল ৭৯৯টি। আর রোববার হয়েছে দুই হাজার ১৯৭টি।

কোহিনুর ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭২ টাকা ৮০ পয়সা। এর দরও ১.৯৯ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৬৩ টাকা ৪০ পয়সা।
ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির জট খুলেছে। ৫১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

ওয়াটা ক্যামিকেল ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩০৬ টাকা ৮০ পয়সা। ১.৯৯ শতাংশ কমে দাম হয়েছে ৩০০ টাকা ৭০ পয়সা। আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও এর লেনদেন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৫৪৮টি।

এপেক্স স্পিনিং এর দর ১৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১.৯৯ শতাংশ কমে হয়েছে ১২৮ টাকা ১০ পয়সা। ফ্লোরের শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটিরও জট খুলেছে। দাম কমার পর হাতবদল হয়েছে ৪০০টি।

সিভিও পেট্রো ক্যামিকেলের দাম ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১.৯৯ শতাংশ কমে হয়েছে ১১৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের দিন মাত্র তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও ফ্লোর থেকে মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে ৪১১টি।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর ৩০৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১.৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৩০১ টাকা ৮০ পয়সা। তবে এটির লেনদেন কমেছে। আগের দিন ১২০টি শেয়া হাতবদল হলেও আজ হয়েছে ৯২টি।

সোনালী পেপারের দাম ২৭৩ টাকা থেকে ১.৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬৭ টাকা ৬০ পয়সা। এটিরও লেনদেন কমেছে। আগের দিন ২০টি হাতবদল হলেও আজ হয়েছে দুটি।

কে অ্যান্ড এর দর ২০৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১.৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২০৩ টাকা ৩০ পয়সা। এটিরও লেনদেন কমেছে। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৬৯টি। আজ হয়েছে একটি।

স্টাইলক্রাফটের দর ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১.৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪৩ টাকা ৩০ পয়সা। আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে দুই হাজার ৯৩টি শেয়ার লেনদেন হলেও এটি আজ হাতবদল হয়েছে দ্বিগুণ। লেনদেন হয়েছে চার হাজার ২৯২টি।

বিডিঅটোকারের দর ১৪৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১.৯৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে ৩৩৫টি।

মুন্নু সিরামিকের দর ১২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১.৯৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১২৪ টাকা ৩০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন ৭৪ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে এক হাজার ২৫১টি।

বঙ্গজের দাম ফ্লোর প্রাইস ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১.৯৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১১৪ টাকা ৬০ পয়সা। এই কোম্পানিরও লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে এক হাজার ৭২৬টি শেয়ার লেনদেন হলেও এটি আজ হাতবদল হয়েছে দুই হাজার ৪০৬টি।

এপেক্স ট্যানারির দাম ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১.৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন ১০০টি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে দুই হাজার ২২৯টি।

সমতা লেদারের দর ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১.৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সা। আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে একটি শেয়ার লেনদেন হলেও এটি আজ হাতবদল হয়েছে ১৭টি।

এপেক্স ফুটওয়্যারের দর ফ্লোর প্রাইস ২১৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১.৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ২১৫ টাকা। এই কোম্পানির এটিরও লেনদেন কমেছে। আগের দিন তিন হাজার ৩৫১টি শেয়ার হাতবদল হলেও আজ হয়েছে দুই হাজার ৪৬৭টি।

আজিজ পাইপের দর ফ্লোর প্রাইস ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১.৯৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৫ টাকা ৬০ পয়সা। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ৭১০ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৯৫টি।

ন্যাশনাল টিউবের দর ১০৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১.৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ১০১ টাকা ১০ পয়সা। আগের দিন ১৪১টি শেয়ার হাতবদল হলেও আজ লেনদেন হয়েছে ৭০৮টি। ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭২ টাকা ১০ পয়সা থকে ১.৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৭০ টাকা ৭০ পয়সা। এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ১০ হাজার শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩৭৪টি।

ন্যাশনাল পলিমারের দর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১.৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন কমেছে এটিরও। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন হাতবদল হয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৫১টি। তবে আজ হাতবদল হয়েছে ৩৮ হাজার ১০৯টি।

জেমিনি সি ফুডের দর ফ্লোর প্রাইস ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১.৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সা। এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ৭১৮টি শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে ৪৪৭টি।

এসকে ট্রিমসের দর ৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১.৯৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১ টাকা। ফ্লোরের শেষ দিন একটি শেয়ারও লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির ১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৬২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১.৯১ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১ টাকা ৭০ পয়সা। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে আজ হাতবদল হয়েছে আট হাজার ১১৯টি।

সিপার্লের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১.৯০ শতাংশ কমে হয়েছে ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে আজ হাতবদল হয়েছে ১১টি।

হাক্কানি পাল্পের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৪ টাকা থেকে ১.৮৯ শতাংশ কমে হয়েছে ৭২ টাকা ৬০ পয়সা। এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন এক হাজার ১০১টি শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে ২২টি।

ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ফ্লোর প্রাইস ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১.৮৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ২৯ হাজার ৯০টি শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে ১৭ হাজার ২১টি।

একমাত্র শেয়ার হিসেবে এটলাসের দর সর্বনিম্ন সীমা থেকে কম কমেছে। কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা। দাম কমতে পারত ১০৭ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত। কিন্তু দিন শেষে দাম হয়েছে ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এর লেনদেন হয়েছে ন্যূনতম। আগের দিন দুটি শেয়ার হাতবদল হওয়া কোম্পানিটির তিনটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এটি।

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে কারখানা করতে বেজার সাথে ম্যারিকোর চুক্তি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড বড় ধরনের বিনিয়োগে যাচ্ছে। প্রায় ২২০ কোটি টাকা বিনিয়োগে চট্টগ্রামের মিরসরাইতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে নতুন কারখানা স্থাপন করবে কোম্পানিটি। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, নতুন কারখানা স্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ১০ একর জমি ইজারা নিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ। এই কারখানায় প্রসাধনী সামগ্রী ও পিইটি বোতল উৎপাদন করবে কোম্পানিটি। নতুন কারখানায় প্রায় ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

আজ রোববার (৬ জুন) জমি ইজারা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ম্যারিকো বাংলাদেশ। রাজধানীর ঢাকায় বেজার প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিতে সই করেন সংস্থার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আহসান ও ম্যারিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিষ গোপাল। এ সময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেজা জানায়, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের ১০ একর জমিতে কারখানা স্থাপন করবে ম্যারিকো, যা হবে এই দেশে বহুজাতিক কোম্পানিটির তৃতীয় কারখানা।

“এখানে প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার (২২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ) বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ৫০০লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।“ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আশীষ গোপাল জানান, তাদের কোম্পানির ৯৯ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। ১০টি ক্যাটাগরির ৩৬টি ব্র্যান্ড রয়েছে ম্যারিকোর এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে তারা পণ্য রপ্তানি করেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, মিরসরাইতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হচ্ছে এবং এর ফলে এদেশে শিল্পায়নের অভূতপূর্ব বিপ্লব সাধিত হবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যসমূহ পূরণ হবে।

প্যারাসুটসহ বেশ কয়েকটি সৌন্দর্য ও প্রসাধনীর ব্র্যান্ডের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা শুরু করে। কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ফিক্সডপ্রাইস পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ৮ গুণ প্রিমিয়াম নিয়ে তথা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারে ৮০ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে ৯০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।

ব্যবসায় ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি আর আকর্ষণীয় লভ্যাংশের কারণে পুঁজিবাজারে ম্যারিকো বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করে নেয় ব্যাপকভাবে। এর প্রভাব পড়ে শেয়ারের দাম। আইপিওতে ৯০ টাকা দরে বিক্রিত শেয়ার এখন ২ হাজার টাকার উপরে কেনাবেচা হয় স্টক এক্সচেঞ্জে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ম্যারিকো বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে, আজ বেজার সাথে চুক্তি করে প্রতিষ্ঠানটি।

ডিএসই’র সেরা ব্রোকার হাউজের শীর্ষে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চলতি বছরের মে মাসের শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউজের তালিকা প্রকাশ করেছে। লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এই ২০ ব্রোকারেজ হাউজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের তালিকায় মে মাসে শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ হাউজ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্রোকারেজ হাউজ।

শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি, শেলটেক ব্রোকারেজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ।

এছাড়া তালিকায় আরও রয়েছে এমটিবি সিকিউরিটিজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজ, ভারটেক্স স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

ডিএসইতে ৮ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আট কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (০৬ জুন) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। সর্বোচ্চ দরেও এই ৮ কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : সিমটেক্স, ফরচুন সুজ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, রানার অটোমোবাইল, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, কপারটেক, ওয়াইম্যাক্স এবং আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং।

সিমটেক্স: বৃহস্পতিবার সিমটেক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৬.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৬০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ফরচুন সুজ : বৃহস্পতিবার ফরচুন সুজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৬ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৮.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৬০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স : বৃহস্পতিবার ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৫ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০৪ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৪.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৫০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

রানার অটোমোবাইলস : বৃহস্পতিবার রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৫.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৭ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৫০ টাকা বা ৯.৯২ শতাংশ বেড়েছে।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা : বৃহস্পতিবার অ্যাডভেন্ট ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৩.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৩০ টাকা বা ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

কপারটেক : বৃহস্পতিবার কপারটেকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২০.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২০.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা বা ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

ওয়াইম্যাক্স : বৃহস্পতিবার ওয়াইম্যাক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২০.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২১.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা বা ৯.৭০ শতাংশ বেড়েছে।

আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং : বৃহস্পতিবার আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৯.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিজিআইসির মুনাফায় চমক, বেড়েছে ৭৩ শতাংশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিজিআইসি) চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে মুনাফা ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মাচ’২১) ইপিএস হয়েছে ০.৬৯ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.৪০ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.২৯ টাকা বা ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯.৪৩ টাকায়।

৭ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করছে। কোম্পানিগুলো হলো: সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, ফার কেমিক্যাল, আরএন স্পিনিং, এমএল ডায়িং, ইনটেক লিমিটেড, আর.এন স্পিনিং ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স।

সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ৮ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৯ পয়সা আয় করেছিল।

ফার কেমিক্যাল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ-রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আরএন স্পিনিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বেলা ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এমএল ডায়িং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডায়িং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বেলা সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ইনটেক লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ৯ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি ০৮ পয়সা আয় করেছিল।

আর.এন স্পিনিং: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আর.এন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ৯ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি ০.০৬ পয়সা লোকসান করেছিল।

সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১৫ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। একই সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। ​পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

পুঁজিবাজারে ২১ হাজার কোটি টাকা আসার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত: তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবন্ঠিত মুনাফার প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়া বর্তমানে চুড়ান্ত পর্যায়ে। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, ‘গেজেট প্রকাশের জন্য এটা বিজি প্রেসে চলে গেছে।’

এর আগে গত বছরের শেষ দিক থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের হতাশা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যখন আলোচনা, সে সময় অবণ্টিত ডিভিডেন্ডের এই বিষয়টি সামনে আসে। দীর্ঘদিন থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবন্ঠিত মুনাফার ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি পড়ে আছে দাবিহীন।

বিএসইসি প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, এই তহবিল ব্যবহার করে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করার চেষ্টা করবে তারা। কীভাবে কী করা যায়, তার জন্য গঠন করা হয় কমিটি। বাজারে তারল্য বাড়াতে এই অর্থে ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ নামে একটি তহবিল করার চিন্তা করা হয়। সেখানে জমা হবে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির অবণ্টিত ডিভিডেন্ড। অবন্ঠিত এই মুনাফা পুঁজিবাজারে ব্যবহারের জন্য খসড়া নীতিমালা উন্মুক্ত করে মতামত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়।

খসড়া নীতিমালার ওপর বিএসইসিতে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেট কোম্পানি-বিএপিএলসি। তাদের বেশ কিছু আপত্তি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এই অর্থ ব্যবহার করলে পুঁজিবাজারে তারল্যের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ২৫ মে আগেই এ-সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসের কাজের পরিধি কম থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

অবন্ঠিত এই মুনাফা কীভাবে ব্যবহ্নত হবে, এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, কোম্পানিগুলোর কাছে যে অবণ্টিত বোনাস ও ক্যাশ ডিভিডেন্ড আছে, সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে’ চলে আসবে। তারপর যখন কেউ তার বোনাস ডিভিডেন্ড দাবি করবে, তখন সেই বিনিয়োগকারীর আলাদা বিও হিসাবের মাধ্যমে তা স্থানান্তর করা হবে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কীভাবে বিনিয়োগ হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ধারণ করবে এ-সংক্রান্ত গঠিত বোর্ড। বোর্ডের প্রধান থাকবে একজন সিও।’ এই তহবিল পরিচালনা দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বিভাস সাহা বলেন, ‘গেজেট হাতে আসার পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।’‘আইসিবি তহবিলের ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে। এর আগে সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত তহবিল পরিচালনার জন্য আইসিবি যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছে, সেভাবে এই তহবিলেও আইসিবি থাকবে।’ সূত্র: নিউজবাংলা

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৬ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮১টি শেয়ার ৮৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে এলআর গ্লোবাল-১ম মিউচুয়াল ফান্ডের ৬ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের। পঞ্চম সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের।

এছাড়া সামিট পাওয়ারের ২ কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ১ কোটি ২০ লাখ টাকার, কাট্টালী টেক্সটাইলের ৮১ লাখ ৮১ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৮১ লাখ টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৭৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফের ৭২ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্সুরেন্সের ৬২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, সাফকো স্পিনিংয়ের ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, গ্লোবাল ইন্সুরেন্সের ৪৩ লাখ ৮ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ৪১ লাখ ৯০ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফের ৪১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, রূপালী লাইফের ৩২ লাখ টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ২৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার,

ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ২৮ লাখ ৬ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ২৬ লাখ ৭ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ২৬ লাখ ৫ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউসিংয়ের ২২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, রানার অটোর ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ঢাকা ডায়িংয়ের ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার,

প্রাইম ব্যাংকের ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ডেলটা ব্রাক হাউসিংয়ের ১৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকার, ফারইস্ট লাইফের ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার, রুপালী ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার, এমারেন্ড অয়েলের ৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, যমুনা ব্যাংকের ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকার,

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের ৭ লাখ ৪ হাজার টাকার, আর্গন ডেনিমের ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার,

সাইফ পাওয়ারের ৬ লাখ ২১ হাজার টাকার, ফিনিক্স ফাইন্যান্স-১ম মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফের ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, ফারইস্ট নিটিংয়ের ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছরে মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেনের রেকর্ড: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যাংক-আর্থিক খাত এবং বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে ধসে দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছরে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। তবে বাজেট উপস্থানের পরের দিন পুঁজিবাজারের সূচকের দরপতন বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমলেও অন্যান্য সূচক বেড়েছে। আজ কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।

তবে ডিএসইতে সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ২০১০ সালে মহাধসের আগে ৫ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আর আজ লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা।

আজ ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩৮ টাকা টাকার লেনদেন হয়েছে। যা ১০ বছর ৬ মাস বা ২ হাজার ৪৯১ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকার।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫.১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৮.২৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬.১৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৯৯.৩০ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২২২.৫৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৫টির বা ৩৯.৬২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২০১টির বা ৫৪.৯২ শতাংশের এবং ২০টির বা ৫.৪৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬.৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০৭.০২ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২৯২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৩টির আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই’র ৩ খাতের শেয়ারে ধস : ২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজারে আজ (রোবার) লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড লেনদেনের দিনেও আজ প্রধান তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা হঠাৎ আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায়। আতঙ্কের কারণে খাত তিনটির অনেক শেয়ার লেনদেনের এক পর্যায়ে ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। খাতগুলো হলো-ব্যাংক, বীমা, আর্থিক খাত।

আজ ডিএসইর লেনদেন সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছুঁই ছুঁই করেছে। এর আগে ২০১০ সালে মহাধসের আগে ৫ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। আজ লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা, যা প্রায় সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তারপরও প্রধান তিন খাতের শেয়ার দরে ছিল বড় বিপর্যয়। লেনদেনের শেষ দিকে খাত তিনটির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনা কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাতগুলোতে আজ বড় অঙ্কের বিক্রয় চাপ ছিল। যে কারণে লেনদেনের রেকর্ড দিনেও এমনটা বিপর্যয় হয়েছে। তারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক খাতে কোন দৃশ্যমান প্রণোদনা ছিল না। হয়তো এই কারণে খাত তিনটির বিনিয়োগকারীরা নাখোস ছিল। এর প্রভাব পড়েছে খাত তিন খাতের শেয়ারে। উপর্যপুরি সেল প্রেসারে খাত তিনটি নাজুক অবস্থায় পড়ে।

আজ সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হয়েছে ব্যাংক খাতের শেয়ারে। এখাতের কয়েকটি মৌলভিত্তির শেয়ার লেনদেনের এক পর্যায়ে ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। খাতটিতে লেনদেন হওয়া ২৮টি কোম্পানির মধ্যে আজ পতন হয়েছে ২৭টির বা ৯৬.৪৩ শতাংশ কোম্পানির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির বা ৩.৫৭ শতাংশ কোম্পানির। এখাতে আজ কোন ব্যাংকের দর বাড়েনি।

আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতের কোম্পানিই ছিল ৭টি। ব্যাংকগুলো হলো-এনসিসি ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, এবি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক। দর কমেছে এনসিসি ব্যাংকের ১৬.১১ শতাংশ। আজ ব্যাংকটির ডিভিডেন্ড অ্যাডজাস্টের কারণে ১০ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। এরপর দর কমেছে সাউথইস্ট ব্যাংকের ৯.৫৮ শতাংশ ও ডাচাবাংলা ব্যাংকের ৮.৩১ শতাংশ। এই দুটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেনের শেষভাগে ক্রেতাশুন্য ছিল। যদিও ক্লোজিং দর হয়েছে ক্রেতাশুন্য দরের উপরে। এখাতের প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারও এক পর্যায়ে ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়। তবে শেষদিকে বাই প্রেসার ছিল কোম্পানিটির শেয়ারে।

আজ সাধারণ বীমা খাতে লেনদেন হওয়া ৩৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩৪টির বা ৮৯.৪৭ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৩টির বা ৭.৮৯ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ১টির বা ২.৬৩ শতাংশ কোম্পানির।

বীমা খাতে আজ রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স, ফিনিক্স ইন্সুরেন্স, এশিয়া ইন্সুরেন্স, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্সুরেন্স ও গ্রীণডেল্টা ইন্সুরেন্সের বড় পতন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোর দর লেনদেনের শেষ ভাগে প্রায় ক্রেতাশুন্য থাকে। সকালের দিকে খাতটির শেয়ার দরে চাঙ্গাভাব থাকলেও শেষ ভাগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক ভর করে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেল করার ধুম পড়ে যায়। কার আগে কে সেল করবে-সেই প্রতিযোগিতা দেখা যায়।

আর্থিক খাতে লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৮টির বা ৮৯১.৮২ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৩টির বা ১৩.৬৪ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ১টির বা ৪.৫৪ শতাংশ কোম্পানির। এখাতে আজ সবচেয়ে বেশি দর পতনের কবলে পড়ে ইসলামিক ফাইন্যান্স ও ন্যাশনাল হাউজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানি দুটি আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম মৌলভিত্তির কোম্পানি। পিই রেশিওর দিক থেকেও কোম্পানি দুটির শেয়ার সবচেয়ে বিনিয়োগ উপযোগি। তারপরও আজ এই দুই কোম্পানির শেয়ারের উপর পতনের চাপ ছিল বেশি।

ডিএসই’র সেরা ডিলারের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চলতি বছরের মে মাসের শীর্ষ ডিলারের তালিকা প্রকাশ করেছে। লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মে মাসে শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

শীর্ষ ডিলারের তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, দোহা সিকিউরিটিজ, এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, এনবিএল সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ।

এছাড়া, তালিকায় আরও রয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, সার সিকিউরিটিজ, এম সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, শান্তা সিকিউরিটিজ ও হজরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজ।