দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেড প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনপত্র ও চাঁদার অর্থ জমা নেওয়া শুরু হবে আগামী ৫ জুলাই থেকে এবং ১১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এসবিএসি ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

২০১৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করা সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক গত ৯ মে আইপিওর অনুমোদন পায়। ওইদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার ৭৭৩তম সভায় এ অনুমোদন দেয়।

সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

পুঁজিবাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চায় বিএমবিএ: পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো কাটা) বিনিয়োগের সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। রোববার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বিএমবিএ এসব সুপারিশ করে।

বিএমবিএ’র সভাপতি প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা রাখা, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করে ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করাসহ চারটি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছি অর্থমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধাসহ চারটি সুবিধা দেওয়া হলে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়া যাবে। বাজার গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে বাজেটে পুর্নবিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর নিকট যেসব বিষয়ে প্রস্তাব জানানো হয়েছে সেগুলো মধ্যে- তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করের পার্থক্য বাড়ানো। প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার ২.৫ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। আলোচ্য করের ব্যবধান আরও বাড়ানো হলে ভালো পারফরম্যান্সের কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহ পাবে। তাই তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব বিএমবিএ’র।

উৎস কর: কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের সময় তার উপর ২০ শতাংশ কর দেয়। অপরদিকে লভ্যাংশ বিতরণের সময় উৎস কর দেয় ১০ শতাংশ। এ দ্বৈত কর কমানোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ: গত বছর সরকার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। ফলে এসব অর্থ পুঁজিবাজারে প্রবাহিত হয়েছে। যার ফলে বাজারে লেনদেন বেড়েছে। এবারও যদি সরকার পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয় তাহলে বাজারে অর্থ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এতে বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে।

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো করের হার হ্রাস: পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য করহার ৩০ শতাংশ। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য করহার ৩৭.৫০ শতাংশ। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য করহার হ্রাস করে ৩০ শতাংশ করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অংশীদার করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএমবিএ।

ব্লক মার্কেটে ৪ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৭ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার ৬৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪০ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের, চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার।

এছাড়া জিবিবি পাওয়ারের ২ কোটি ২০ হাজার টাকার,এসএস স্টিলের ১ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকার,অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ১ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকার,পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৬৩ লাখ ২১ হাজার টাকার, বীকন ফার্মার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার,ন্যাশশনাল হাউজিংয়ের ১ কোটি ১২ লাখ ৯ হাজার টাকার,

সালভো কেমিক্যালের ১ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার,ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, সাবমেরিন ক্যাবলের ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩৬ লাখ ১৬ হাজার টাকার,এনআরবিসি ব্যাংকের ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার,এসকে ট্রিমসের ১৭ লাখ ৯১ হাজার টাকার,বিডি থাইয়ের ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার,ন্যাশনাল পলিমারের ১৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার,

পাওয়ার গ্রীডের ১২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার,মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ১০ লাখ ৭২ হাজার টাকার,স্কয়ার ফার্মার ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার,নর্দান ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকার,ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৮ লাখ ১৭ হাজার টাকার,ওয়ালটনের ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকার,সাউথইস্ট ব্যাংকের ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার,গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার,

প্রাইম টেক্সটাইলের ৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকার,কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার,বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৬ হাজার টাকার,মার্কেনটাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

পুঁজিবাজারে হঠাৎ সূচকের বড় সংশোধন: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে রেকর্ড লেনদেন পরিমান লেনদেন হলেও সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের বড় ধরনের কারেকশনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সাথে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর সাথে লেনদেন নেমেছে দুই হাজার কোটি টাকায়।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২.৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭৫.৮৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯.৮৮ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৭.৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৮৯.৪২ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৯৫.১২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ২ হাজার ৮৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৫৮৬ কোটি ১০ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯৮টির বা ২৬.৭০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৪২টির বা ৬৫.৯৪ শতাংশের এবং ২৭টির বা ৭.৩৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯১.২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩১৫.৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৮৭টির আর ২৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

দরপতন পুঁজিবাজারে আট কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আট কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (০৭ জুন) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, আমান কটন ফাইবার্স, লুব-রেফ, আমান ফিড, ফরচুন সুজ, সালভো কেমিক্যাল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং রিংশাইন টেক্সটাইল।

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স: রোববার ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪১ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

লুব-রেফ : রোববার লুব-রেফের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৩.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪৪ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৩০ টাকা বা ৯.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

আমান কটন ফাইবার্স : আমান কটন ফাইবার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর রোববার ছিল ৩৯.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৯.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৯০ টাকা বা ৯.৮২ শতাংশ বেড়েছে।

আমান ফিড : আমান ফিডের শেয়ারের ক্লোজিং দর রোববার ছিল ৩৯.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৯.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৯০ টাকা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।

ফরচুন সুজ : রোববার ফরচুন সুজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩১.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৮০ টাকা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।

সালভো কেমিক্যাল: রোববার সালভো কেমিক্যালের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৯.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৯.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১.৩০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৯০ টাকা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং : রোববার আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩৯.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৪০.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৩.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩.৯০ টাকা বা ৯.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

রিংশাইন টেক্সটাইল : রোববার রিংশাইন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭.৭০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৭.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮.৪০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৭০ টাকা বা ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

তিন সরকারি সংস্থার ৩৫৬ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেডের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সম্প্রতি ৩টি সরকারি সংস্থার কাছ থেকে মোট ৩৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। আজ রোববার (৬ জুন) দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও ডটগভ সল্যুশন্স এলএলসি, ইউএসএ-এর সঙ্গে যৌথভাবে বেক্সিমকো লিমিটেড ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’ এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় যৌথভাবে একটি আধুনিক পূর্ণাঙ্গ ইলেক্ট্রনিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম বা ই-পিএমআইএস তৈরি করবে এই তিন কোম্পানি।

এছাড়া ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড ও বাংলাদেশের টেক ভ্যালে নেটওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে ২৬১ কোটি টাকা মূল্যের অনলাইন খাদ্য ভান্ডার ও বাজার নজরদারি সিস্টেম প্রস্তুতের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো। বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে শিগগিরই উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

গত মাসে ৪৮ কোটি টাকা মূল্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের দুইটি প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড। প্রথম প্রকল্পের অংশ হিসেবে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) একটি সাইবার রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনে একটি তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব স্থাপন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সরকার দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যে যাত্রা শুরু করেছে, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখতে বেক্সিমকোর অঙ্গীকারকে সাম্প্রতিক এসব সাফল্য শক্তিশালী করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পুঁজিবাজারে ঝুঁকি যেমন বেশি, মুনাফায় সুযোগও অনেক বেশি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ডঃ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে ঝুঁকি যেমন বেশি, তেমনি রিটার্নের (মুনাফা) সুযোগও অনেক বেশি। জেনে বুঝে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি অনেক কমে আসে। মুনাফার সুযোগ বাড়ে। তিনি বলেন, ব্যাংকের আমানত ও সঞ্চপত্রের চেয়ে পুঁজিবাজারে রিটার্নের সম্ভাবনা বেশি। বিনিয়োগের জন্য তাই পুঁজিবাজার সবচেয়ে ভাল একটা বিকল্প।

আজ রোববার (৬ জুন) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) যৌথ উদ্যোগে আলোচিত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মলালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম ও পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমান।

ডঃ শামসুদ্দিন বলেন, মার্জিন ঋণ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক বিনিয়োগকারী না বুঝে লোভে পড়ে মার্জিন ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই মার্জিন ঋণ নেওয়ার আগে ভাল করে ভেবেচিন্তে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল ৮ মিলিয়ন ডলার যা এখন ৩৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের এ এক বিশাল অর্জন। এই অর্জনের ভিত্তি প্রতিথ হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক ত্যাগ আর তিতিক্ষা। আমাদের সর্বদাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করছি।

১৯৭২ সালে পার ক্যাপিটা জিডিপি ছিল মাত্র ৯৭ ইউএস ডলার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছরে ১৯৭৫-এ উন্নীত করেছেন ২৭৩ ইউএস ডলারে। এর পরে আমাদের অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। এখন আমাদের পার কাপিটাল জিডিপি ২২২৭ ডলার। বিশাল অর্জন। আমরা আখন আর তলাবিহিন ঝুড়ি অর্থনীতিতে নেই, বরং আমরা এখন অনেক দেশকে অর্থ ধার/বিনিয়োগ দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। ৫০ বছরে অর্জন কম নয় । জাতির জনকের সোনার বাংলা বিনির্মাণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, কাজের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নাই। যত প্রশিক্ষণ নিবেন তত নিজের মধ্যকার যোগ্যতা, দক্ষতা সুদৃঢ় হবে। বিএসইসি এ ক্ষেত্রে তাদের অবিরাম কর্ম সম্পাদন করে যাচ্ছে। বিএসইসি এর নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত দুটি প্রতিষ্ঠান বিআইসিএম, বিএসএএম এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে সিএসই এবং ডিএসই ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখছে । বিএসইসি এই করনাকালিন সময়ে অনলাইন, অফলাইন এর মাধ্যমে প্রশিক্ষন দিচ্ছে এবং অব্যাহত রাখবে। সামনে পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সে এর জন্য প্রশিক্ষনকে বাদ্ধতামুলক করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মামুন-উর-রশিদ বলেন, বর্তমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতেও ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা অনলাইনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনার এর আয়োজন করে যাচ্ছি । ২০১৭ সাল থেকে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের আয়োজন করা হচ্ছে, যা সাধারণত অক্টোবর এর প্রথম সপ্তাহে সংঘটিত হয়।

বিনিয়োগ শিক্ষা হল, ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান। সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষার ফলে আর্থিক জালিয়াতি থেকে রক্ষা পাওয়া এবং সুরক্ষিত আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দ্বৈত সুবিধা পাওয়া যায়। বিনিয়োগ শিক্ষা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্যের উপযুক্ততা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদান করে, তাদেরকে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

প্রথম দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিএসই এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উন্নিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন অত্যন্ত দক্ষ ও বলিষ্ঠ শক্তিশালী পুঁজিবাজার। সামনে সব ধরনের বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগের সিংহভাগ উৎস পুঁজিবাজার হতে হবে।

আমাদের বর্তমান জিডিপি ১২% ,সেই জিডিপির তুলনায় যে মার্কেট ক্যাপিটার অনুপাত তা বিশ্ব বেঞ্চমার্কের তুলনায় বেশ দুর্বল এবং আমরা আশানুরূপ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এখানে উল্লেখ্য, এখনও প্রাইভেট সেক্টর এর ইনভেস্টমেন্ট এর উৎস হচ্ছে ব্যাংক, যেখানে মূল উৎস হওয়া উচিত ছিল পুঁজিবাজার।

ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারকে উৎসে পরিণত করার জন্য কাজ করে যেতে হবে, বিশেষ করে ব্যাক্তি খাতে বিনিয়োগ,অবকাঠামোগত বিনিয়োগ এর ক্ষেত্রে। চট্টগ্রামেই অনেক কাজ হচ্ছে , শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, নতুন নতুন ইনভেস্টমেন্ট এর খাত তৈরি হচ্ছে, আরও হবে, আমরা আশা করছি সামনে এই কাজগুলোর জন্য বিনিয়োগের প্রধান উৎস হবে পুঁজিবাজার।