দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে বেশ চাঙা হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। গেলে সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৯৯০ কোটি টাকা বেড়েছে। এতে লকডাউনের নয় সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৯০ কোটি টাকা।

আগের আট সপ্তাহেও বড় অঙ্কের মূলধন বাড়ে বাজারটিতে। আগের আট সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৪৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে লকডাউনের নয় সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫০ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭৯৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা নয় সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ল ৮১১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ১ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ।

বিএসইসি চেয়ারম্যানের ম্যাজিকে পুঁজিবাজার মে মাসে বিশ্বসেরা: করোনাকালেও বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারগুলোকে পেছনে ফেলে ফের সেরা তালিকায় স্থান করে নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। রিটার্নের দিক দিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি ফ্রন্টিয়ার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে রিটার্ন পেয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তান ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ, চায়না ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ফিলিপাইনস ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, কাজাকিস্তান ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২ দশমিক ৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স মে মাসে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। ফলে বিশ্ব সেরা পারফর্মেন্স সূচকগুলোতে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ব্যাংক সুদের হার কম, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারার কারণে রিটার্নের দিক দিয়ে সেরা তালিকায় পৌঁছেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন। ফলে বাজারে সূচক ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছিল। আর এমন বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন পেয়েছেন। এছাড়া বর্তমান কমিশন বাজারের উন্নয়নে নানা ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বহুজাতিক, সরকারি ও দেশি-বিদেশি ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে কমিশন। এসব কাজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতেও সেরা তালিকায় স্থান ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে ও অক্টোবরে মাসে বিশ্বের সেরা স্থান দখল করেছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।

বাজেট পরবর্তী সপ্তাহে পুঁজি ফিরল হাজার কোটি টাকা: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর দরপতনের শঙ্কা কাটিয়ে উত্থানের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। ব্যাংক-বিমা, কোম্পানির পাশাপাশি বস্ত্র, মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম বেড়েছে বাজেট পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে। তাতে সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সবকিছুর দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন করে বাজার মূলধন প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বাড়ল। ফলে টানা পাঁচ সপ্তাহ বাজার মূলধন বেড়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, তিনদিন উত্থান আর দুদিন সূচকের সামান্য পতনের সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪৫ টাকা। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৯ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১১টির, কমেছে ১৪২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৯২টির, কমেছিল ১৩০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪৯ কোম্পানির শেয়ার দাম। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়েছে।

বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ও প্রধান সূচক বাড়ায় ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা বাজার মূলধন ৯৯০ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৫৮৭ টাকা বেড়ে ৫ লাখ ৯ হাজার ৯৩৭ কোটির ৭৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বাড়ার শীর্ষে ছিল : ফরচুন সু, করাপটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, রিং সাইন টেক্সটাইল,আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং মিলস, আলিম ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, দেশ গার্মেন্টস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে : বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সন্ধানী লাইফ, ইফাদ অটোস, এরআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৫২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৪ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১২৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে সিএসইর প্রধান সূচক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

পিই রেশিও নিয়ে পুঁজিবাজারে স্বরণকালের ঘটনা: বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৮.৮১ শতাংশ। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ২১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দর কমেছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইক্স ১৩.২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০৬৬.৬৪ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ১.৫১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০৫.১০ পয়েন্টে। ডিএসই শরীয়া সূচক ৬.৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৯.৪৮ পয়েন্টে। বাজার মূলধন ৯৯৩ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৭ কোটিতে।

কিন্তু আগের সপ্তাহের তুলনায় সব কিছুর পরিবর্তন হলেও মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) এর কোন পরিবর্তন হয়নি। এটি পুঁজিবাজারে স্বরণকালের মধ্যে বিরল ঘটনা। এর আগে সব সূচক ও মানদন্ডের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পিই রেশিও বদলায়নি এমন ঘটনা ঘটেনি।

বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৮.৪৮ পয়েন্ট। যা সপ্তাহ শেষেও ১৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সব কিছুর অগ্রগতি হলেও পিই রেশিওর কোন অগ্রগতি হয়নি। এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়েছে পিই রেশিও।  সপ্তাহশেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫৬ পয়েন্টে। যা পুঁজিবাজারে সার্বিক পিই রেশিওকে আলোকিত করছে।

এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পিই রেশিও ২২.০১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩.৯০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৩২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.১২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৬.৬৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৬০.২৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৯.৭৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৭১ শতাংশ, চামড়া খাতের ৮৪.৯০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১৪.৪৮ পয়েন্টে,

আর্থিক খাতের ৪২.৯৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৮০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৯৭.১৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.৫১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২০.৪৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৮.৪৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সপ্তাহজুড়ে ৫ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানি বিদায়ী সপ্তাহে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো: ঢাকা ইন্সুরেন্স, ফেডারেল ইন্সুরেন্স, ইউসিবি ব্যাংক, এম্বি ফার্মা ও ফনিক্স ইন্সুরেন্স লিমিটেড।

ঢাকা ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩১ টাকা ৬১ পয়সা (পুর্নমূল্যায়িত)।

আগের বছর একই সময়ে এনএভি ছিল ৩০ টাকা ১৩ পয়সা (পুর্নমূল্যায়িত)। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর এনওসিপি ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগামী ১০ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ০১ জুলাই।

ফেডারেল ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৬৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছর এনএভি ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনওসিপি ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। আগামী ০৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ০৭ জুলাই।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি): কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা (ডাইলুটেড)।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত এনএভি ছিল ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ৯ টাকা ৩১ পয়সা (নেগেটিভ)। আগের বছর এনওসিপি ছিল ২ টাকা ৪৮ পয়সা (ডাইলুটেড)।

আগামী ০৫ আগস্ট, বেলা আড়াইটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন।

এ্যাম্বি ফার্মা: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনএভি ছিল ২৪ টাকা ৯ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ৪ টাকা ৯৯ পয়সা (নেগেটিভ)। আগের বছর একই সময়ে এনওসিপি ছিল ১৬ টাকা ৪২ পয়সা। আগামী ১৩ জুলাই বেলা আড়াইটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ জুন।

ফিনিক্স ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর এনএভি ছিল ৩৪ টাকা ৮৮ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর এনওসিপি ছিল ৬৩ পয়সা। আগামী ১১ আগস্ট, বেলা আড়াইটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন।

বিএসইসি’র নতুন কমিশনের নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে আস্থা বেড়েছে: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অনেক কাজ করছেন। যা বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে প্রথম কোম্পানি হিসেবে নিয়ালকো এলয়েজের লেনদেনের উদ্ভোধনীতে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ, নিয়ালকো এলয়েজের পর্ষদ ও ইস্যু ম্যানেজার এমটিবি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ ইব্রাহিম বলেন, নতুন কমিশন তাদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। যার প্রভাব শেয়ারবাজারে দেখতে পাচ্ছি। তাদের নেতৃত্বে বাজারে গতিশীলতা তৈরী হয়েছে। ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারের প্রবৃদ্ধি আরও নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তাদের দক্ষতায় উন্নত শেয়ারবাজার গড়তে সক্ষম হবেন বলে যোগ করেন তিনি।

এসময় দেশের এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে বলে জানান সিএসইসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সরকার এই খাতকে উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আর সেই এসএমই খাতের কোম্পানি হিসেবে নিয়ালকো এলয়েজ সিএসইতে তথা পুরো দেশে প্রথমবারের মতো এসএমই বোর্ডে লেনদেন শুরু হল। যার সাক্ষী হয়ে রইল সিএসই।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিএসইসির ৭৭০তম সভায় প্রথম কোম্পানি হিসেবে নিয়ালকো এলয়েজ লিমিটেডকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজের (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ কোম্পানিটি কিউআইও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। ২০১৮ সালের রুলস অনুযায়ী কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকা করে ৭৫ লাখ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগাকারীদের নিকট ইস্যুর মাধ্যমে এই টাকা উত্তোলন করে।

এলক্ষ্যে কোম্পানিটির কিউআইওতে আবেদন গ্রহণ ১৬ মে শুরু হয়ে চলে ২০ মে পর্যন্ত। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিাটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ৭ কোম্পানি: সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিল, সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স, ইফাদ অটোস, সোনারবাংলা ইন্সুরেন্স, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও গ্লোবাল ইন্সুরেন্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে শীর্ষ লেনদেনের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সপ্তাহান্তে ৭টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তাই সাধারণভাবে মনে হয়, সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনেছেন। যে কারণে কোম্পানিগুলোর লেনদেন বৃদ্ধি ছিল যেমন চোখে পড়ার মতো, তেমনি দরেও ছিল ঊর্ধ্বমুখী ভাব। কিন্তু সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের যেমন চাহিদা বা কেনার ক্রেজ দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষদিন তেমনটা ছিল না। বরং এদিন কেনার চেয়ে বিক্রি করার প্রবণতাই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

এর মধ্যে বেক্সিমকো, ফরচুন সুজ ও ন্যাশনাল ফিড মিলের ক্ষেত্রে চিত্র কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। সপ্তাহের শেষদিনও কোম্পানি ৩টির দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। তারপরও কোম্পানি ৩টির দর সর্বোচ্চ দরে থাকায় শেষদিনে লেনদেনের শুরুতে যতটা শক্তি নিয়ে ঊর্ধ্বমখী হয়েছিল, শেষদিকে তারচেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে নিম্নমুখী হয়েছে। এতে ধারণা করা যায়, এই তিন কোম্পানির শেয়ারেও সেল প্রেসার হয়তো অনিবার্য হয়ে দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে, সপ্তাহের শেষদিন পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স, ইফাদ অটোস, সোনারবাংলা ইন্সুরেন্স ও গ্লোবাল ইন্সুরেন্সের শেয়ারে সেল প্রেসারের কারণে ছিল বড় আতঙ্ক। লেনদেনের শেষভাগে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ছিল প্রায় ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

বেক্সিমকো লিমিটেড: গেল সপ্তাহে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৮০ কোটি ৭৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো প্রথম। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৮৭ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৯৬ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর বেড়েছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৬৯ শতাংশ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল।

লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স: বিদায়ী সপ্তাহে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০০ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো ২য়। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৭ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৫৮ শতাংশ। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল।

ন্যাশনাল ফিড মিল: গেল সপ্তাহে লঙ্কাবাংলা ন্যাশনাল ফিডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭২ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো ৫ম। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৫ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর বেড়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮.৫৮ শতাংশ। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল।

পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স: গেল সপ্তাহে পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো তৃতীয়। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১৫৭ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৯৩ টাকা ৯০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৩৬ টাকা ৬০ পয়সা বা ২৩.২৬ শতাংশ। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড দরে লেনদেন হচ্ছে।

ফরচুন সুজ: গেল সপ্তাহে ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো চতুর্থ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ২৬ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর বেড়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৫১.১৫ শতাংশ।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। গত ১ জুন কোম্পানিটির দর ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর হয়েছে ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। ৮ কার্যদিবসে টানা দর বেড়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা বা ৮১.৯৪ শতাংশ।

সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স: গেল সপ্তাহে সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো ৬ষ্ট। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৪১ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৬ টাকা। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ১২.১৯ শতাংশ। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল।

সোনারবাংলা ইন্সুরেন্স: গেল সপ্তাহে সোনারবাংলা ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৬ কোটি ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো অষ্টমে। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৯৮ টাকা ১০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১১৪ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে দর বেড়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৬.৬১ শতাংশ। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে সাইফ পাওয়ারটেকের ২ কোটি টাকা অনুদান: প্রধানমন্ত্রীর করোনা সহায়তা তহবিল ও হাউজ কনস্ট্রাকশন ফান্ড বাই প্রাইভেট ফাইনান্সে ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর মেসার্স সাইফ পাওয়ারটেক।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের হাতে ২ কোটি টাকার চেক তুলে দেন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন। দেশের প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তরফদার মো. রুহুল আমিন।