দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজার সূচক ও লেনদেনের নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে।ফলে বাজারের প্রতি আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। এর ফলে সরগরম হয়ে উঠছে পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে পাঁচ দিনে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের একই সময়ের চেয়ে ১৯.৫৪ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে বাজারে ১০ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে পুঁজিবাজারে শুধু লেনদেনই নয়, বাজার মূলধনও বেড়েছে। শনিবার (১২ জুন) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা ১৮.৮১ শতাংশ।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গেলো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৫২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৪৯ কোটি ১৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বা ৩৯.৪১ শতাংশ।

পুরো পুঁজিবাজারে বা দুই স্টক এক্সচেঞ্জে গেলো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৯.৫৪ শতাংশ। গেলো সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৩০ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গেলো সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৪৯৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। পুরো পুঁজিবাজারে বা দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা।

গত এক সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে গেলো সপ্তাহে মোট ৩৭১ টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বেড়েছে ২১১টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৫৯৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ১১৮ পয়েন্টে এবং সিএসই-৫০ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

একটিভ ফাইনকে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের নির্দেশ বিএসইসি’র: পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রাসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি একটিভ ফাইন কেমিক্যালসের (এএফসি) পরিচালনা পর্ষদকে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ করে কৌশলগত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে কোম্পানির বিদ্যমান স্বতন্ত্র পরিচালকদের পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ১১ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে তলব করে বিএসইসি। তলব করা ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটিভ ফাইন কেমিক্যাল ছিল। এরই ধরাবাহিকতায় গত ২৭ মে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসইসির আলোচনা হয়। ওই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ দিয়েছে।

২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের মোট পরিশোধিত মূলধনের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণের বিধান রয়েছে। তবে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালসের মোট পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে মাত্র ১২.০৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পরিচালকদের হাতে। ফলে এখনও ১৭.৯৬ শতাংশ শেয়ারধারণ করতে হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৭ মে বিকেল ৪টার দিকে একটিভ ফাইন কেমিক্যালের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী, বিদ্যমান স্বতন্ত্র পরিচালকদের পরিবর্তন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করার কারণে আদালতে দায়ের করা পিটিশনে সর্বশেষ অবস্থার তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশের চিঠি হাতে পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ সাপেক্ষে কৌশলগত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বিএসইসিতে জমা দিতে হবে। আর এজিএম সংক্রান্ত পিটিশনের সর্বশেষ অবস্থা এবং স্বতন্ত্র পরিচালক পরিবর্তনের বিষয়টি চিঠি হাতে পাওয়া পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে বিএসইসিকে অবহিত করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই নির্দেশনা পরিপালন করে প্রতিবেদন দাখিল না করলে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএসইসি। একটিভ ফাইন কেমিক্যালসের সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের এজিএম ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের এজিএম করেনি। ফলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এজিএম করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সেটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় একটিভ ফাইন কেমিক্যালস। ২৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১২.০৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮.৩২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩.১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৬.৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের জীবন বীমা কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত (সাসপেন্ড) করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ চার মাসের জন্য স্থগিত করে আইডিআরএ। এখন নতুন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) জারি করা আইডিআরএর এ সংক্রান্ত নির্দেশনায জারি করে।

নির্দেশনায় বলা হয়, চার মাসের জন্য ডেল্টা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি কারোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চিত লকডাউন ও সার্বিক চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপের ফলে সাসপেনশনের নির্ধারিত উদ্দেশ্যসমূহ এখন পর্যন্ত পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় ডেল্টা লাইফের আয়-ব্যয়, সরকারি রাজস্ব তথা ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকি, স্ট্যাম্প ডিউটি ফাঁকি এবং অন্যান্য গুরুতর অনিয়মের বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্পন্ন করতে আইডিআরএ কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সাসপেনশন অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটিতে মাসিক ৪ লাখ টাকা সম্মানীতে আইডিআরএ’র সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় আইডিআরএ।

এ বিষয়ে সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে পাঠানো চিঠিতে আইডিআরএ উল্লেখ করে, বীমা আইন ২০১০ এর ৯৬ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী প্রশাসক হিসেবে চূড়ান্তভাবে দায়িত্ব গ্রহণের ৪ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বাড়ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিকস খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সময়ের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৩ পয়সা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ৯৭ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা।

চলতি সপ্তাহে দুই ব্যাংক-বীমার ডিভিডেন্ড ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক ব্যাংক ও এক বীমা কোম্পানি চলতি সপ্তাহে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। এ লক্ষ্যে কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আহ্বান করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি দুটি হলো: ট্রাস্ট ব্যাংক ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।

ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা ১৪ জুন বিকাল ২ টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫৭ পয়সা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা ১৫ জুন বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে। সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

৯ কোম্পানির শেয়ার অভিহিত মূল্য অতিক্রম: গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (৩০ মে-৩ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে ছিল। এর মধ্যে গত সপ্তাহে (৬ মে-১০ মে) ৯টি কোম্পানির শেয়ার অভিহিত মূল্য ১০ টাকা অতিক্রম করেছে। অভিহিত মুল্য অতিক্রম করে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো: আলিফ, রিং শাইন, ইয়াকিন পলিমার, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ডেল্টা স্পিনিং, ফার কেমিক্যাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিইপইয়ার্ড, খান ব্রাদার্স ও মিথুন নিটিং।

আলিফ: সপ্তাহের শুরুতে আলিফের দর ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। ক্লোজিং দর হয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সায়। শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ও লেনদেন বেশ চাঙ্গা ছিল। এদিন ডিএসইর লেনদেন শীর্ষ তালিকায় কোম্পানিটি ১০ম স্থান দখল করেছে। সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির বড় লেনদেন হয়েছে। দরেও ছিল চাঙ্গাভাব।

রিং শাইন টেক্সটাইল: সপ্তাহের শুরুতে রিং শাইনের দর ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১১ টাকা ১০ পয়সা। ক্লোজিং দর হয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সায়। শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ও লেনদেন বেশ চাঙ্গা ছিল। এদিন ডিএসইর লেনদেন শীর্ষ তালিকায় কোম্পানিটির ৯ম স্থান দখল করেছে। সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির বড় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটি ট্রায়াল উৎপাদনের খবরে এর শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিইপইয়ার্ড: সপ্তাহের শুরুতে ওয়েস্টার্ন মেরিনের দর ছিল ৯ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। ক্লোজিং দর হয়েছে ১১ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের শেষদিন কোম্পানিটির দর ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল।

ইয়াকিন পলিমার: সপ্তাহের শুরুতে ইয়াকিন পলিমারের দর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। ক্লোজিং দর হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়। সপ্তাহের শেষদিন কোম্পানিটির দর ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল।

ফার কেমিক্যাল: সপ্তাহের শুরুতে ফার কেমিক্যালের দর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১০ টাকা ১০ পয়সায়। তবে সর্বশেষ ক্লোজিং দর হয়েছে ১০ টাকায়।

রিজেন্ট টেক্সটাইল: সপ্তাহের শুরুতে রিজেন্ট টেক্সটাইলের দর ছিল ৯ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১০ টাকা ৪০ পয়সায়। সর্বশেষ ক্লোজিং দরও হয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের শেষদিন কোম্পানিটির দর চাঙ্গা ছিল।

ডেল্টা স্পিনিং: গত সপ্তাহে ডেল্টা স্পিনিংয়ের সর্বনিম্ন দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। এ সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর উঠেছে ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। সর্বশেষ ক্লোজিং দরও হয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সায়। সপ্তাহের শেষদিন কোম্পানিটির দর ও লেনদেন চাঙ্গা ছিল।

খান ব্রাদার্স: সপ্তাহের শুরুতে খান ব্রাদার্সের সর্বনিম্ন দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর উঠেছে ১০ টাকা ৩০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষদিন কোম্পানিটির দর ও লেনদেন চাঙ্গা ছিল।

মিথুন নিটিং: সপ্তাহের শুরুতে মিথুন নিটিংয়ের দর ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দর ১০ টাকা ১০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা। সপ্তাহের শেষদিন কোম্পানিটির দর ও লেনদেন চাঙ্গা ছিল।

বর্তমানে অভিহিত মূল্যের নিচে আরও ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ফাস্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এবিবি ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অলটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ, অ্যাপেলো ইস্পাত, বিআইএফসি ফাইন্যান্স, সিএনএ টেক্সটাইল, ডিবিএইচ ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এক্সিম ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড,

ফ্যামিলি টেক্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, এফবিএফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, জেনারেশন নেক্সট, গ্রীনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি অগ্রণী মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়িজ ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি সোনালী মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআএল ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড,

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, কেয়া কসমেটিকস, এমবিএল ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, নূরানি ডাইং, অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, পিএইচপি ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পপুলার ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রিমিয়ার লিজিং,

প্রাইম ফাস্ট আইসিব মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আরএন স্পিনিং, এসইএমএলএফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, তাল্লু স্পিনিং, ট্রাস্ট ব্যাংক ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, তুং হাই নিটিং, ইউনিয়ন কেপিট্যাল, ভিএএমএলবিডি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ভিএএমএলআবিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, জাহিন স্পিনিং ও জাহিন টেক্সটাইল।

বাজেটে পরবর্তী ৩ খাতের শেয়ারে লন্ডভন্ড: আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রায় সব ধরনের কোম্পানিকে কর ছাড় সুবিধা দেয়া হয়েছে। বছর শেষে ছাড় পাওয়া খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফা আরও বাড়তে পারে। তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির শেয়ারের প্রতি ঝুঁকতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। অপরদিকে ব্যাংক, এনবিএফআই ও বিমা কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয়নি কোনো কর ছাড় সুবিধা।

তাই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই এসব খাতের শেয়ার বিক্রি শুরু করেছেন। পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারসংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় কিছুটা বিক্রয় চাপ বাড়ে পুঁজিবাজারে। এর ফলে পুরো সপ্তাহে বিক্রয় চাপ দেখা গেছে। এতে লেনদেন বৃদ্ধি পায় আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অবশ্য এই সময়ে বৃদ্ধি পায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। ফলে বাজার মূলধনও আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯৯০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পায়।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এমন চিত্র। গত ১০ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহটিতে বিক্রয় চাপে ছিল ব্যাংক, সিমেন্ট, পাট, টেলিকম, জ্বালানি ও খাদ্য খাতের শেয়ারদর, যা কমে যায় আগের সপ্তাহের চেয়ে।

অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধিতে গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সব মূল্য সূচকই বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএসইর তথ্য বলছে, গত সপ্তাহ শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে ১৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট, ডিএস৩০ সূচক এক দশমিক ৫১ পয়েন্ট ও শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ছয় দশমিক ৩১ পয়েন্ট। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৫টি কোম্পানি ও ইউনিট ফান্ড অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ২১১টির, কমে ১৪২টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির ও লেনদেন হয়নি চারটির।

বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারিতে কোম্পানিগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু বছরের শেষের দিকে মহামারি পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলে ব্যবসায় ফেরে কোম্পানিগুলো। বছর শেষে ব্যাংক, খাদ্য, ওষুধসহ কয়েকটি খাতের কোম্পানি আশাব্যঞ্জক লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত ছিল অন্যতম।

এ কারণে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি পেতে থাকে। অভিহিত দরের নিচে থাকা অনেক ব্যাংকেরই শেয়ারদর বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে অভিহিত দরকে ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে তালিকভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র তিনটি অভিহিত শেয়ার মূল্যের নিচে রয়েছে।

গত ৩ জুন আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেট প্রস্তাব করা হয়। এতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা খাতের কোম্পানির জন্য কোনো করছাড় সুবিধা দেওয়া হয়নি। এর ফলে হতাশ হয়ে যান বিনিয়োগকারীরা। ধীরে ধীরে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন অনেকেই। বিক্রয় চাপে কমে যায় শেয়ারদর। গত সপ্তাহ শেষে আগের চেয়ে ব্যাংক খাতের শেয়ারদর কমে যায় চার দশমিক ছয় শতাংশ। একইভাবে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায় পাট খাতে তিন দশমিক এক শতাংশ, সিমেন্টে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ, খাদ্যে এক দশমিক চার শতাংশ এবং টেলিকমে এক দশমিক তিন শতাংশ।

অপরদিকে আলোচিত সময়ে সর্বোচ্চ গেইনারে ছিল বস্ত্র খাত ১০ দশমিক তিন শতাংশ। এছাড়া ট্যানারিতে আট দশমিক পাঁচ শতাংশ, আইটিতে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ, সিরামিকে ছয় দশমিক আট শতাংশ, জীবন বিমা খাতে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ ও প্রকৌশল খাতে চার দশমিক সাত শতাংশ গেইনারে ছিল। ডিএসইর মোট লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক তিন শতাংশ অবদান রাখে সাধারণ বিমা খাত। এরপরই বস্ত্র খাত ১২ দশমিক ছয় শতাংশ, প্রকৌশল ১০ দশমিক চার শতাংশ, ব্যাংক আট দশমিক ছয় শতাংশ, এনবিএফআই ছয় দশমিক সাত শতাংশ ও জীবন বিমা খাত চার দশমিক আট শতাংশ অবদান রাখে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী একক কোম্পানি হিসেবে গত সপ্তাহ শেষে সর্বোচ্চ শেয়রদর বৃদ্ধি পায় ফরচুন শুজ লিমিটেডের। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ৫১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া শেয়ারদর বৃদ্ধিতে শীর্ষ দশে উঠে আসে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, রিং শাইন টেক্সটাইলস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিংস মিলস, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, নুরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, দেশ গার্মেন্টস, আনওয়ার গ্যালভানাইজিং ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

অপরদিকে এই সময়ে শেয়ারদর বিবেচনায় একক কোম্পানি হিসেবে সর্বোচ্চ লোকসান গুনে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া লোকসান গুনতে দেখা যায় সাউথইস্ট ব্যাংক, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বিডি, এক্সিম ব্যাংক, জনতা ইন্স্যুরেন্স, এবি ব্যাংক, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, জিবিবি পাওয়ার ও নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে।

বস্ত্র খাতের লোকসানি ১০ কোম্পানির শেয়ার ঝুঁকিতে: পুঁজিবাজারে বিমা খাতের মতো এবার বস্ত্র খাতেও যাচাই বাছাই ছাড়া ঢালাও দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। জুনে অর্থবছর শেষ হবে। এই পরিস্থিতিতে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে, এমন কোম্পানির দাম বাড়া অস্বাভাবিক না হলেও সেসব কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ আসবে না, বরং অস্তিত্ব সংকটে আছে, এমন কোম্পানির দামও বাড়ছে। এটির পেছনে কোনো কারসাজি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, আয় ভালো, শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য বেশ আকর্ষণীয়, এমন মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানিই অভিহিত মূল্যের আশেপাশে রয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এগুলোর বদলে শেয়ার সংখ্যা কম- এমন কোম্পানির প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। প্রায়ই দেখা যায়, এসব লোকসানি কোম্পানির দাম একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়ে সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে যাচ্ছে।

পুঁজিবাজারে কোনো শেয়ার এক দিনে কী পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে, তাকে বলে সার্কিট ব্রেকার। লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া, এই সার্কিট ব্রেকার থাকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। তবে ১০ পয়সা করে বাড়া বা কমার সুযোগ থাকায়, তখনও কখনও শতকরা হিসেবে কিছুটা কম বাড়তে বা কমতে পারে। গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে বন্ধ হয়ে যায় পুঁজিবাজারের লেনদেন। ৬৬ দিন পর জুলাইয়ে লেনদেন চালু হলে বিমা খাতে দেখা যায় ঢালাও দর বৃদ্ধির প্রবণতা।

চালু থাকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ৫ এপ্রিল লকডাউন থেকে বিমায় দ্বিতীয় দফা দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। গত এক বছরে একটি কোম্পানির শেয়ার দর ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। তিন থেকে আট গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বাকিগুলোর। বিমার শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত সপ্তাহের শেষে বস্ত্র খাতেও বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই খাতে মোট ৫৬টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করেছে, এমন ২০টি কোম্পানি ব্যাপক লোকসানে আছে। দ্বিতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করা আছে, এমন আরও দুটি কোম্পানিও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মুনাফায় থাকা কোম্পানির পাশাপাশি ঢালাও দাম বাড়ছে এসব লোকসানি কোম্পানিরও।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কিছু আইনি সংস্কার হয়েছে। কারসাজির অভিযোগে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের জরিমানাও করা হয়েছে। তবে বিমা খাতে অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে কোনো তদন্তের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সংস্থাটিকে।

সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম একাধিকবার বলেছেন, শেয়ারের দাম বাড়বে কি কমবে, এটা দেখা তাদের দায়িত্ব নয়। তারা কেবল দেখবেন, কোনো গুজব ছড়িয়ে বা অনিয়ম করে দাম বাড়ানো হয়েছে কি না, এমন কোনো অভিযোগ এখনও তারা পাননি। বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন, ভুল শেয়ারে বিনিয়োগ করলে সে দায়িত্ব বিএসইসি নেবে না।

গত ৩১ মে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘কমিশন কখনও নির্ধারণ করতে পারে না কোন শেয়ারের দর বাড়বে, কোনটির দর কমবে। তাই ভুলে শেয়ার কেনার দায় কমিশনের না।’ সবচেয়ে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে এই কোম্পানিটির । ২০১৫ সালের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটি ২০১৮ সালের পর আর কোনো হিসাবও দেয়নি। কিন্তু গত ১১ এপ্রিল থেকে আকাশে উঠে যেতে চাইছে দাম। সেদিন দাম ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা। এখন দাম ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১৩৩ শতাংশের বেশি।

জেনারেশন নেক্সট: সামান্য কিছু মুনাফা করার পর গত দুই বছর ধরে লভ্যাংশ দিতে না পারা চলতি বছর তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৩ পয়সা। গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩ টাকা। সেখান থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে বৃহস্পতিবার দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। এক দিনে বাড়া সম্ভব ছিল ৪০ পয়সা, তাই বেড়েছে বৃহস্পতিবার।

ইভেন্স টেক্সটাইল: তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির দাম গত ৪ মে ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে এক মাসে ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।

সাফকো স্পিনিং: গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে বাড়তে দাম পৌঁছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। এই দাম বাড়ার পেছনে দৃশ্যত কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। উল্টো যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, তাতে শেয়ার দামে এমন উত্থান হওয়ার কথা ছিল না।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৯ পয়সা আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই টাকা ৪৩ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি সাড়ে পাঁচ পয়সা মুনাফা করার পরেও জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে লোকসান দাঁড়িয়েছে চার টাকা ৪৩ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকে অভাবনীয় কিছু না ঘটলে এই কোম্পানি থেকে এবার মুনাফার আশা না করাই ভালো।

বৃহস্পতিবার এক লাফে ১০ শতাংশ দাম বাড়া জাহিন স্পিনিং মিলও বছরের তিন প্রান্তিক মিলিয়ে শেয়ার প্রতি লোকসানে আছে এক টাকা ৩৭ পয়সা। ডুবন্ত এই কোম্পানিতে আগ্রহ থাকার কথা ছিল না কারও। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল থেকে দাম বেড়ে প্রায় দেড়গুণ হয়ে গেছে। সেদিন দাম ছিল শেয়ার প্রতি ৫ টাকা। আর সেখান থেকে বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।

রিজেন্ট টেক্সটাইল: তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৯২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দরও গত বৃহস্পতিবার মূল্য বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।

গত ২৮ এপ্রিল শেয়ার দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা। এই কয় দিনে বেড়েছে ৪৪.৪৫ শতাংশ।
তাল্লু স্পিনিং মিলস: ২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ না দেয়া ২০১৯ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে হিসাব দেয়ার পর দুই বছর আর কোনো হিসাবও দিচ্ছে না। দাম বেড়েছে এই কোম্পানিটিরও।

গত ৪ মে থেকে কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ। ৪ মে শেয়ারের দাম ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ২০ পয়সা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৪০ পয়সা বেড়েছে। সেদিন এর চেয়ে বেশি বাড়ার সুযোগ ছিল না সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল: ২০১২ সালের পরে কেবল ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, বন্ধ থাকা কোম্পানিটি নয় মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে এক টাকা ২৯ পয়সা। কিন্তু গত ৬ মে থেকে এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২৫.৪৫ শতাংশ। ৬ মে শেয়ার মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা, আর বৃহস্পতিবার দাঁড়ায় ২১ টাকা ২০ পয়সা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

রিং সাইন টেক্সটাইল: ২০১৯ সালের পর আর্থিক হিসাব না দেয়া কোম্পানিটি বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়ে তাইওয়ানে চলে গেছে। তবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। আর নতুন করে উৎপাদন শুরুর পর্যায়ে চলে এসেছে সেটি। কিন্তু উৎপাদন শুরু হওয়ার আগেই শেয়ার দামে দিয়েছে লাফ। গত ১২ মে দাম ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে লাফ দিয়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে এক মাসে দাম বেড়েছে ৭৫.৮০ শতাংশ।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭৯ পয়সা। কিন্তু শেয়ার দামে হঠাৎ আগ্রহ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটির লভ্যাংশ অনিশ্চিত। গত ১ জুন কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে ২১.১৩ শতাংশ বেড়ে গেছে সাত কার্যদিবসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ: গত নয় মাসে এই কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। কিন্তু গত ৪ মের পর দাম বেড়েছে ১৮.৫১ শতাংশ। লোকসানি এই কোম্পানিটি সব শেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে।

মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং: সবশেষ ২০১৬ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানির মালিকরা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে চাইছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। বন্ধ থাকা কোম্পানিটি চলতি বছর তিন প্রান্তিক শেষে লোকসানে আছে এক টাকা ২৩ পয়সা। কিন্তু গত ২০ মে থেকে কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।

আর এন স্পিনিং মিল: ২০১৮ সালের পর লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটি চলতি বছরও লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা যায় এর ব্যালান্সি শিট দেখলে। বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১৬ পয়সা। ৪ মে শেয়ার মূল্য ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে ১৭ শতাংশ বেড়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সা।

জাহিন টেক্সটাইল: সর্বশেষ ২০১৮ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবারও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না, এটা বলাই যায়। বছরের তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি এখন লোকসান দুই টাকা ৫২ পয়সা।

কিন্তু শেয়ার মূল্যে যে লাফ তাতে এই অনিশ্চয়তার কোনো নমুনাই নেই। গত ১ জুন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। আর এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনেই বাড়ে প্রায় ১০ শতাংশ।

হামিদ ফেব্রিক্স: লোকসানি এই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইস ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হতো না বললেই চলে। গত ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের পর দাম কমতে কমতে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে। কিন্তু ২১ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দাম। গত বৃহস্পতিবার শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। এর মধ্যে কোম্পানিটির বছরের তিন প্রান্তিকের আয়ের তথ্য চলে এসেছে। নয় মাসে শেয়ার প্রতি এক টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দেয়া এই কোম্পানিটিরও লভ্যাংশ দেয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। তার পরেও বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কিছুটা কম দাম বাড়ে কোম্পানিটির।

স্টাইল ক্রাফট: বছর পাঁচেক আগে তুমুল আলোচিত কোম্পানিটি কয়েক গুণ শেয়ার বাড়িয়ে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে ফ্লোর প্রাইস ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সাতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হতো না বললেই চলে। কিন্তু গত ৩ জুন ফ্লোর প্রত্যাহারের পর এই কোম্পানির দাম প্রথম দুই কার্যদিবসে কমলেও পরের দুই দিনে বেড়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা। তিন প্রান্তিকে এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫৬ পয়সা।

প্রাইম টেক্সটাইল: শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির দাম গত দুই কার্যদিবসে বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল: ২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে একে বাঁচাতে চাইছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কিন্তু

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, এই কোম্পানিটি চালু করা যাবে না বলেই তারা ভাবছেন। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন। কিন্তু বস্ত্র খাতে সাম্প্রতিক উত্থানের মধ্যে দাম বেড়ে গেছে এই কোম্পানিরও। গত ৬ জুন থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে কোম্পানিটির। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেড়ে ছুঁয়েছে সার্কিট ব্রেকারও।

বিএসইসি চেয়ারম্যানের ম্যাজিকে পুঁজিবাজার মে মাসে বিশ্বসেরা: করোনাকালেও বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারগুলোকে পেছনে ফেলে ফের সেরা তালিকায় স্থান করে নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। রিটার্নের দিক দিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি ফ্রন্টিয়ার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে রিটার্ন পেয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তান ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ, চায়না ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ফিলিপাইনস ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, কাজাকিস্তান ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২ দশমিক ৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স মে মাসে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। ফলে বিশ্ব সেরা পারফর্মেন্স সূচকগুলোতে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ব্যাংক সুদের হার কম, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারার কারণে রিটার্নের দিক দিয়ে সেরা তালিকায় পৌঁছেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন। ফলে বাজারে সূচক ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছিল। আর এমন বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন পেয়েছেন। এছাড়া বর্তমান কমিশন বাজারের উন্নয়নে নানা ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বহুজাতিক, সরকারি ও দেশি-বিদেশি ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে কমিশন। এসব কাজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতেও সেরা তালিকায় স্থান ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে ও অক্টোবরে মাসে বিশ্বের সেরা স্থান দখল করেছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।

বাজেট পরবর্তী সপ্তাহে পুঁজি ফিরল হাজার কোটি টাকা: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর দরপতনের শঙ্কা কাটিয়ে উত্থানের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। ব্যাংক-বিমা, কোম্পানির পাশাপাশি বস্ত্র, মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম বেড়েছে বাজেট পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে। তাতে সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সবকিছুর দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন করে বাজার মূলধন প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বাড়ল। ফলে টানা পাঁচ সপ্তাহ বাজার মূলধন বেড়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, তিনদিন উত্থান আর দুদিন সূচকের সামান্য পতনের সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪৫ টাকা। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৯ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১১টির, কমেছে ১৪২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৯২টির, কমেছিল ১৩০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪৯ কোম্পানির শেয়ার দাম। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়েছে।

বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ও প্রধান সূচক বাড়ায় ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা বাজার মূলধন ৯৯০ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৫৮৭ টাকা বেড়ে ৫ লাখ ৯ হাজার ৯৩৭ কোটির ৭৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বাড়ার শীর্ষে ছিল : ফরচুন সু, করাপটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, রিং সাইন টেক্সটাইল,আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং মিলস, আলিম ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, দেশ গার্মেন্টস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে : বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সন্ধানী লাইফ, ইফাদ অটোস, এরআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৫২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৪ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১২৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে সিএসইর প্রধান সূচক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

পিই রেশিও নিয়ে পুঁজিবাজারে স্বরণকালের ঘটনা: বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৮.৮১ শতাংশ। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ২১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দর কমেছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইক্স ১৩.২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০৬৬.৬৪ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ১.৫১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০৫.১০ পয়েন্টে। ডিএসই শরীয়া সূচক ৬.৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৯.৪৮ পয়েন্টে। বাজার মূলধন ৯৯৩ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৭ কোটিতে।

কিন্তু আগের সপ্তাহের তুলনায় সব কিছুর পরিবর্তন হলেও মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) এর কোন পরিবর্তন হয়নি। এটি পুঁজিবাজারে স্বরণকালের মধ্যে বিরল ঘটনা। এর আগে সব সূচক ও মানদন্ডের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পিই রেশিও বদলায়নি এমন ঘটনা ঘটেনি।

বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৮.৪৮ পয়েন্ট। যা সপ্তাহ শেষেও ১৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সব কিছুর অগ্রগতি হলেও পিই রেশিওর কোন অগ্রগতি হয়নি। এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়েছে পিই রেশিও।  সপ্তাহশেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫৬ পয়েন্টে। যা পুঁজিবাজারে সার্বিক পিই রেশিওকে আলোকিত করছে।

এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পিই রেশিও ২২.০১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩.৯০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৩২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.১২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৬.৬৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৬০.২৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৯.৭৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৭১ শতাংশ, চামড়া খাতের ৮৪.৯০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১৪.৪৮ পয়েন্টে,

আর্থিক খাতের ৪২.৯৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৮০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৯৭.১৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.৫১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২০.৪৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৮.৪৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সপ্তাহজুড়ে ৫ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানি বিদায়ী সপ্তাহে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো: ঢাকা ইন্সুরেন্স, ফেডারেল ইন্সুরেন্স, ইউসিবি ব্যাংক, এম্বি ফার্মা ও ফনিক্স ইন্সুরেন্স লিমিটেড।

ঢাকা ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩১ টাকা ৬১ পয়সা (পুর্নমূল্যায়িত)।

আগের বছর একই সময়ে এনএভি ছিল ৩০ টাকা ১৩ পয়সা (পুর্নমূল্যায়িত)। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর এনওসিপি ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগামী ১০ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ০১ জুলাই।

ফেডারেল ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৬৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছর এনএভি ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনওসিপি ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। আগামী ০৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ০৭ জুলাই।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি): কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা (ডাইলুটেড)।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত এনএভি ছিল ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ৯ টাকা ৩১ পয়সা (নেগেটিভ)। আগের বছর এনওসিপি ছিল ২ টাকা ৪৮ পয়সা (ডাইলুটেড)।

আগামী ০৫ আগস্ট, বেলা আড়াইটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন।

এ্যাম্বি ফার্মা: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনএভি ছিল ২৪ টাকা ৯ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) হয়েছে ৪ টাকা ৯৯ পয়সা (নেগেটিভ)। আগের বছর একই সময়ে এনওসিপি ছিল ১৬ টাকা ৪২ পয়সা। আগামী ১৩ জুলাই বেলা আড়াইটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ জুন।

ফিনিক্স ইন্সুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর এনএভি ছিল ৩৪ টাকা ৮৮ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিপি) ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর এনওসিপি ছিল ৬৩ পয়সা। আগামী ১১ আগস্ট, বেলা আড়াইটায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন।