দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। আগের বছর ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।

এদিকে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মাচ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ১ টাকা২৫ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৮ টাকা ৯৮ পয়সা।

‘বিদেশি প্রতিষ্ঠান গ্যারান্টার হলে বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হবে’: প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক গ্যারান্টার ও অর্থসংস্থানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে দেশের বন্ড মার্কেট আরও শক্তিশালী হবে। সোমবার দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পগ্রুপ ‘প্রাণ‘ এর দেশের বন্ড মার্কেট থেকে অর্থ উত্তোলনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ‘গ্যারান্টকোর’ গ্যারান্টার হওয়া উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী পুঁজি সংগ্রহে ব্যাংকের বাইরে বিকল্প উৎস হিসেবে বন্ড মার্কেট অত্যন্ত শক্তিশালী একটি খাত।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গ্যারান্টার ও অর্থসংস্থানকারী প্রতিষ্ঠান আসলে এ মার্কেট শক্তিশালী হবে। অন্যরাও বন্ড মার্কেটে আসতে উৎসাহ পাবে।’

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সবসময় বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বন্ড মাকের্টের উন্নয়ন প্রয়োজন। এ মার্কেট বড় হলে আমাদের বিনিয়োগকারীরা আরও আগ্রহী হবে।’

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাণ এগ্রোর বন্ড ইস্যু অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। এটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী পুঁজি সংগ্রহে উৎসাহ দেবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘প্রাণের এই বন্ড অনুমোদন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি, অন্যরা প্রাণকে অনুসরণ করবে।’

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘বন্ড মার্কেট দেশে এখনও সেভাবে গড়ে উঠতে পারেনি। তবে আমাদের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এটি নিয়ে কাজ করছে। আমি আশা করি বন্ড মার্কেট বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং কোম্পানিগুলো এখান থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান পাবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামাল, গ্যারান্টকোর অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমিলি বুশবি, এশিয়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিশাত কুমার, মেটলাইফ বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার আলাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্প্রতি প্রাণ এগ্রো লিমিটেড দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ২১০ কোটি টাকা অরূপান্তরযোগ্য ও রিডেমবল বন্ডের লেনদেন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

এটি প্রথম ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স স্ট্রাকচারড বন্ড এবং আন্তজার্তিক গ্যারান্টেড প্রথম বাংলাদেশি বন্ড। এ বন্ডে বিনিয়োগ করেছে মেট লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং গ্যারান্টার হয়েছে যুক্তরাজ্যের ‘গ্যারান্টকো’। বন্ডের অর্থ কৃষির সাপ্লাই চেইন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের হিসাব নিয়ে কারসাজি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কার কাছে কী পরিমাণে আছে, তার হিসাব প্রকাশ নিয়ে নজিরবিহীন একটি ঘটনা ঘটেছে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেজে গত দুই দিনে ছড়িয়ে দেয়া হয় যে, এই কোম্পানির শেয়ারের সিংহভাগ কিনে নিয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আর সাধারণ মানুষের হাতে আছে কেবল ১.৩২ শতাংশ।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত দুই দিনে শেয়ারটি নিয়ে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়। তবে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যে হিসাব প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যায়, গত এক মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আসলে শেয়ার বিক্রি করেছেন বেশি, ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার কিনেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে এমন এক সময়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি বন্ধে কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এই কমিটি শতাধিক ব্যক্তির ওপর নজর রাখছে বলে খবরও এসেছে। পুঁজিবাজারে প্রতি মাস শেষে উদ্যোক্তা পরিচালক, সরকার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ারের কত শতাংশ আছে তার হিসাব প্রকাশ করতে হয়।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই হিসাবে নজর রাখেন বহু বিনিয়োগকারী। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে অনেক সময় ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ারে উৎসাহী হন।

পুঁজিবাজারে গত বছরের জুন থেকেই, বিশেষ করে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। শেয়ারের দামও কোনোটির তিন গুণ, কোনোটির ছয় গুণ, কোনোটির ১০ গুণ বা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। অনেক বেশি দাম বাড়া একটি কোম্পানি হলো ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, যেটির দাম গত কয়েকদিনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে মে মাস শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের হিস্যা নিয়ে হিসাব প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার। তবে তার আগে কয়েকদিন ধরেই একটি চার্ট ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের হিস্যা নিয়ে কারসাজির স্কিনশট

সেখানে দেখানো হয়, ৩০ এপ্রিলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ২২.১৯ শতাংশ শেয়ার। আর ৩১ মে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯২ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এপ্রিল শেষে শেয়ার ছিল ১৬.৩৫ শতাংশ। আর মে শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬২ শতাংশ।

বলা হয়েছে, এক মাসে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের কাছে থাকা মোট শেয়ারের ২০.২৭ শতাংশ বিক্রি করেছেন, যার পুরোটাই কিনেছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে উল্টো কথা। এখানে বলা আছে, ৩১ মে শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে মোট শেয়ারের ৩০.৪৫ শতাংশ, যেখানে এপ্রিলে ছিল ২২.১৯ শতাংশ।

একইভাবে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে মে মাস শেষে ছিল ৮.০৮ শতাংশ, আর এপ্রিলে ছিল ১৬.৩৬ শতাংশ। ছড়িয়ে পড়া স্কিনশটে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার কিনে নিচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

এক মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিক্রি করেছেন ৮.২৮ শতাংশ শেয়ার, যার ৮.২৬ শতাংশ কিনেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বাকিটা কিনেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এটা বোঝা যায় যে, অপপ্রচারের উদ্দেশ্য ছিল এটা প্রমাণ করা যে, কোম্পানিটি আগামীতে আরও ভালো করবে। এর মাধ্যমে একটি কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করা হয়।

গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫২ শতাংশের বেশি। গত দুই দিনে কোম্পানির শেয়ারের দর ১৭ টাকা ১০ পয়সা বেড়েছে। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১০৭ টাকা ৬০ পয়সায়। অবশ্য গত ৮ জুন সর্বোচ্চ দাম উঠে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর তা সংশোধন হয়ে ৯০ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা এখন জানলাম। যাচাই-বাছাই করে দেখব।’

বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কমিশনের মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা কিছুই আসুক না কেন, ডিএসইর ওয়েবসাইট সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে যে কেউ এসব গুজব যাচাই করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের বলব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য দেখেই বিনিয়োগ না করে, সঠিক তথ্য যাচাই করে বিনিয়োগ করুন।’

তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্য তথ্য প্রচার করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্তি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। সময় সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। মোট চার কোটি এক লাখ ২৫ হাজার শেয়ার আছে কোম্পানিটির। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে আছে মোট শেয়ারের ৬১.৩৫ শতাংশ বা ২ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৭টি।

এই শেয়ার বিক্রি করতে হলে উদ্যোক্তা পরিচালকদের আগাম ঘোষণা দিতে হবে। বাকি শেয়ার যে কেউ ঘোষণা ছাড়াই বিক্রি করতে পারেন। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রিতে ঘোষণা দিতে হয় না। সুত্র: নিউজ বাংলা

বীমা ও বস্ত্র খাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা: দাম কমার একদিন পর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বস্ত্র খাত। বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ওপর ভর করে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। ফলে রবি ও সোমবার টানা দুই কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে উত্থান হলো।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা খাতের শেয়ারের পাশাপাশি অন্যান্য খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শুরু হয়। তাতে সকাল ১০টা ২০মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ২৬ পয়েন্ট।

এরপর ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচকের উঠানামা যা অব্যাহত ছিল দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এরপরে এক ঘণ্টা লেনদেনে ব্যাংকের শেয়ারের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারের বিক্রির চাপ বাড়ে। তাতে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। তবে আগের দিনের মতোই পুঁজিবাজারে উত্থান ধরে রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে বিমাখাত।

এদিনও বাজারে তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ার দর। বস্ত্র খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ছয়টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এছাড়া মিশ্রপ্রবণতায় লেনদেন হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের।

মূলত বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ওপর ভর করে দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ১ পয়েন্ট।

ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার (১৫ জুন) ডিএসইতে মোট ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩২ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৩৭ কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি।

বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমলেও বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন আগের দিনের চেয়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর বেশি লেনদেন হয়েছে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে, ন্যাশনাল পলিমার, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, লুব-রেফ, গ্রিন ডেল্টা, এনার্জি প্যাক পাওয়ার, মীর আখতার হোসেন, নর্দার্ন ইনস্যুরেন্স এবং ফরচুন সুজ লিমিটেড।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ কমে ১৭ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ারের দাম।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ১৮৫টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৯ কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৯ টাকা।

৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: বিএসআরএম স্টিলস, বিএসআরএম লিমিটেড ও ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড।

বিএসআরএম স্টিলস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ‌বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ৬ টাকা ৮৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৯১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৭ টাকা ৬২ পয়সা।

বিএসআরএম লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ‌বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬১ পয়সা।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১০ টাআ ৯৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩ টাকা ১৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ১৪ পয়সা।

ঢাকা ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মাচ’২১) ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৬৭ পয়সা। আগের বছর সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৫ পয়সা ।

অন্যদিকে আলোচিত প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৬৬ পয়সা। আগের বছর এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৩৩ পয়সা।

বানকো সিকিউরিটিজের ৬৬ কোটি টাকার গরমিল, লেনদেন বন্ধ: ডিএসই তালিকাভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজের ৬৬ কোটি টাকার গরমিল অভিযোগে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুলত গ্রাহকের ৬৬ কোটি টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড। ফলে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা অর্থের গরমিল পেয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। গুরুতর এ অনিয়মের দায়ে মঙ্গলবার (১৫ জুন) থেকে হাউজটির লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসই’র একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, ব্রোকারেজ হাউজটিতে থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার গরমিল পেয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ব্রোকারেজ হাউজটিতে তদন্ত করে বিনিয়োগকারীদের রাখা অর্থ গরমিলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটিতে শেয়ার লেনদেন সাময়িক স্থগিতের আদেশ দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতের বক্তব্য জানতে তার নম্বরে বেশ কয়েকবার কল করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ডিএসই সূত্র জানায়, স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বানকো সিকিউরিটিজে থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য খতিয়ে দেখে। তখন স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিং বিভাগ তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি দেখতে পায়। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে একাধিকবার গ্রাহক হিসাবে রাখা অর্থ সমন্বয়ের জন্য সময় দেওয়া হলেও ব্রোকারেজ হাউজটি ব্যর্থ হয়।

গত বছরের জুনে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান ডিএসই’র আরেক সদস্য প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ব্রোকারেজ হাউজের মালিকরা। পরে ওই প্রতিষ্ঠানটি এবং এর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এদিকে, গত বছরের নভেম্বর মাসে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজকে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন নিষিদ্ধ করা হয়। রবির আইপিও আবেদন শুরুর আগেই অবৈধভাবে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

এরপর ইস্যু ম্যানেজার বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের আনা থ্রি অ্যাঙেল মেরিন লিমিটেডের আইপিওর আবেদন বাতিল করে বিএসইসি। রাজধানীর মতিঝিলের ইস্পাহানি ভবনের চতুর্থ তলায় বানকো সিকিউরিটিজ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ডিএসই ছয় খাতের শেয়ারে লন্ডভন্ড: টানা দুই দিন সংশোধনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৫ জুন) ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট এবং বেড়েছে লেনদেনও। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কিন্তু ইতিবাচক বাজারেও ৬ খাতের শেয়ারে বিপর্যয় হয়েছে। এসব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। দর বিপর্যয়ের খাতগুলো হলো-মিউচুয়াল ফান্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ব্যাংক, আর্থিক, জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে।

মিউচুয়াল ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আজ ইউনিট দর কমেছে ২৯টির বা ৮০.৫৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। দর বেড়েছে ২টির বা ৫.৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির বা ১৩.৫১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। দর বেশি কমেছে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আইএফআইসি মিউচুয়াল ফান্ডের ৩.০৩ শতাংশ, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৮৫ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৩৮ শতাংশ, ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্সের ২ শতাংশ।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৫টির বা ৭৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৪টির বা ২০ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির বা ৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে- শ্যামপুর সুগারের ২.৪৩ শতাংশ, ফাইন ফুডের ১.১০ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ০.৬৪ শতাংশ, ফুয়াং ফুডের ১.২৮ শতাংশ, গোল্ডেন হারভেস্টের ১.৯৪ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ১.৬৯ শতাংশ, মেঘনাপেটের ৩.৩১ শতাংশ।

ব্যাংক: ব্যাংক খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে আজ দর কমেছে ২১টির বা ৬৭.৭৪ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৫টির বা ১৬.১৩ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির বা ১৫.১২ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে- এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.২৩ শতাংশ, ডাচবাংলা ব্যাংকের ৩.৭০ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩.৬৭ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৩.৬৫ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২.৩৮ শতাংশ, স্টান্ডার্ড ব্যাংকের ২.২২ শতাংশ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ২.১৪ শতাংশ।

আর্থিক: আর্থিক খাতে লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৪টির বা ৬৩.৬৪ শতাংশ কোম্পানির। বেড়েছে ৬টির বা ২৭.২৭ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২টির বা ৯.০৯ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে- ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৪.১০ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৩.৭৭ শতাংশ, ৩.৪৪ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ২.৯৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৩.৫০ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ২.০১ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ১.৮৮ শতাংশ।

জ্বালানি: জ্বালানি খাতে লেনদেন হওয়া ২১টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৪টির বা ৬৩.৬৪ শতাংশ কোম্পানির। বেড়েছে ৬টির বা ৩১.৮২ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টি কোম্পানির দর। দর কমে পাওয়া প্রধান কোম্পানিগুলো হলো- জিবিবি পাওয়ার ৩.৬৭ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিং ২.৭৯ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ১.৯৯ শতাংশ, ডেসকো ১.১৭ শতাংশ, ডরিন পাওয়ার ১.৪১, যমুনা অয়েল ০.৮০ শতাংশ, খুলনা পাওয়ারের ১.৪৮ শতাংশ অন্যতম।

ওষুধ ও রসায়ন: ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হওয়া ৩০টির কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৯টির বা ৬৩.৬৩ শতাংশ কোম্পানির, বেড়েছে মাত্র ১০টির বা ৩৩.৩৩ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির। দর বেশি কমেছে- ওয়াটা কেমিক্যালের ১.৯৮ শতাংশ, অ্যাক্টিভ ফাইনের ১.৭১ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ১.৫২ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ১.৬৫ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ১.৮৪ শতাংশ, কোহিনুর কেমিক্যালের ২ শতাংশ।

চার কোম্পানির শেয়ার দরবৃদ্ধির কারন অজানা: কোনো কারণ ছাড়াই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কপারটেক, লুব-রেফ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল এবং সাফকো স্পিনিং।

জানা গেছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গত ১৪ জুন জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে

কপারটেকের শেয়ার দর গত ২৩ মে ছিল ১৯.৪০ টাকায়। আর ১৪ জুন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ টাকায়। অর্থাৎ এই ১৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৬.৬০ টাকা বা ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

লুব-রেফের শেয়ার দর গত ১ জুন ছিল ৪১.৩০ টাকায়। আর ১৪ জুন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬.৫০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫.২০ টাকা বা ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার দর গত ২ জুন ছিল ২২.৬০ টাকায়। আর ১৪ জুন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.১০ টাকায়। অর্থাৎ এই ৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০.৫০ টাকা বা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে।

সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর গত ২৪ মে ছিল ১১.৭০ টাকায়। আর ১৪ জুন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৮.৯০ টাকায়। অর্থাৎ এই ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.২০ টাকা বা ৬১ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে বিক্রেতা উধাও ২০ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২০ কোম্পানি সর্বোচ্চ দরে দাপট দেখালো। কোম্পানিগুলোর শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে উঠে হল্টেড হয়ে গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো- সালভো কেমিক্যাল, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, এস আলম কোল্ড রোল্ড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ইনডেক্স এগ্রো, মীর আক্তার হোসেন, মুন্নু ফেব্রিক্স, মুন্নু স্পুল, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, রানার অটো, পেপার প্রসেসিং, আরামিট সিমেন্ট, তুংহাই নিটিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ডমিনেজ স্টিল, সাফকো স্পিনিং, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স এবং তৌফিকা। কোম্পানিগুলো আজ সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শসহ হল্টেড হয়েছে। এ তালিকায় মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির সংখ্যা ছিল কম। আজ এসব কোম্পানির মোট ৩ কোট ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৫টি শেয়ার ২৯ হাজার ৮০৬বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ২২২ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সালভো কেমিক্যাল : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৫ টাকা ৩০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১০.০০ শতাংশ।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৪ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৫৯ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৯ টাকা ৪০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ১০.০০ শতাংশ।

এসোসিয়েটেড অক্সিজেন : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫০ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৫ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ।

এস আলম কোল্ড রোল্ড : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৯৭ শতাংশ।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১৬ টাকা ৪০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১২৮ টাকা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১২৮ টাকায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৯৬ শতাংশ।

ইনডেক্স এগ্রো : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২১ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩৩ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ।

মীর আক্তার হোসেন : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯২ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১০১ টাকা ৮০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১০১ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৯৩ শতাংশ।

মুন্নু ফেব্রিক্স : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৯১ শতাংশ।

মনোস্পুল : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬৬ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৭ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১০৭ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১০৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৯০ শতাংশ।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬০ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৬০ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ টাকা বা ৯.৯০ শতাংশ।

রানার অটো : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬১ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬৮ টাকা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৮ টাকা। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৮৫ শতাংশ।

পেপার প্রসেসিং : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৯ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২১ টাকা ২০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৯০ পয়সা বা ৯.৮৪ শতাংশ।

আরামিট সিমেন্ট : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৭৯ শতাংশ।

তুংহাই নিটিং : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ৯.৭৫ শতাংশ।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৫ টাকা ৯০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৫ টাকা ৯০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৬৫ শতাংশ।

ডমিনেজ স্টিল : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৫ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৬৫ শতাংশ।

সাফকো স্পিনিং : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২০ টাকা ৭০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৫২ শতাংশ।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১২৭ টাকা ৯০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১১ টাকা বা ৯.৪১ শতাংশ।

তৌফিকা ফুডস : আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৯ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩২ টাকায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩১ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.২৭ শতাংশ।

১০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সিটি ব্যাংকের এক উদ্যোক্তা ১০ লাখ শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যাংকটির উদ্যোক্তা মিসেস হোসনে আরা আজিজের কাছে কোম্পানিটির ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার আছে। সে শেয়ার থেকে তিনি ১০ লাখ শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার পাবলিক মার্কেটে তিনি বিক্রি সম্পন্ন করবেন।

‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারে হঠাৎ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন শেয়ারে অর্থাৎ ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারে হঠাৎ করে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রবল আগ্রহের কারণে আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) নতুন শেয়ারের দর ও লেনদেনে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, ডিএসইতে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে বর্তমানে ১১টি কোম্পানি অবস্থান করছে। কোম্পানিগুলো হলো-ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, ই-জেনারেশন, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স, এনার্জিপ্যাক, ইনডেক্স এগ্রো, লুব-রেফ, মীর আখতার, এনআরবিসি ব্যাংক, রবি আজিয়াটা ও তৌফিকা ফুড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯টির শেয়ার দরে আজ বড় ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়ে হল্টেড হয়ে গেছে। নতুন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজ ডিএসই লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে লুব-রেফ, এনার্জি প্যাক ও মীর আখতার। শীর্ষ তালিকায় এই তিন কোম্পানির অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৫ম ষষ্ট ও অষ্টম স্থানে।

আজ লুব-রেফের লেনদেন হয়েছে ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫২টি, এনার্জি প্যাকের ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭৩টি এবং মীর আখতারের ৩৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৪টি। কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে প্রায় সর্বোচ্চ। এছাড়া, লেনদেন বেড়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের, ইনডেক্স এগ্রোর, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের, তৌফিকা ফুডের ও ই-জেনারেশনের। ডিএসইর লেনদেন তালিকায় কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক ছিল ১১তম স্থানে এবং ইনডেক্স এগ্রো ছিল ১৮তম স্থানে। অন্যান্য কোম্পানিগুলোর লেনদেনও আজ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে আজ ৮১ লাখ ৬১ হাজার ৭০১টি, ইনডেক্স এগ্রোর ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩৮টি, তৌফিকা ফুডের ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪১৭টি। ডিএসইর লেনদেন বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল এনার্জি প্যাক, ইনডেক্স এগ্রো ও মীর আখতার। কোম্পানিগুলোর শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে উঠে হল্টেড ছিল। এছাড়া, দর বেড়েছে ই-জেনারেশনের ৭.৪৭ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের ৫.৬১ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের ৩.১৮ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্সের ২.৩৩ শতাংশ, রুপ-রেফের ১.২৪ শতাংশ।