দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দর বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। তবে দর বাড়ার কোনো ধরনের অপ্রকাশিত তথ্য কোম্পানির কাছে নেই বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর গত মে মাসের শেষ দিন থেকে টানা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এ কারণে কোম্পানিটিকে নোটিশ দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। নোটিশের জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দর বাড়ার কোনো ধরনের অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য তাদের কাছে নেই।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৩১ মে কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ২২.৯০ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার ৩৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে কোম্পানির শেয়ার দর ১৫.১০টাকা বা ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে করে নোটিশ দেয় ডিএসই। যার জবাবে কোম্পানি জানায়, দর বাড়ার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে নেই।

‘গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ’: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স করোনাকালীন সময়ে মুনাফা করলেও কর্মীদের জন্য কোনো ধরনের কার্যকর গ্রাচুইটি তহবিল গঠন করতে পারেনি। এই তহবিল গঠন না করে কর্মীদের ঠকানোর মাধ্যমে কোম্পানিটি শ্রম আইন লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, কোম্পানিতে যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে অবসরে যাচ্ছে বা চাকরি ছেড়ে যাচ্ছে তাদের নিরাশ হতে হয়েছে। যদি গ্রাচুইটি তহবিল কার্যকর থাকতো তাহলে এমনটি হতো না। এদিকে গ্রাচুইটি সুবিধা না থাকায় কোম্পানির নিরীক্ষকও আপত্তি জানিছেন। নিরীক্ষক বলেন, কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরেও কর্মীদের জন্য গ্রাচুইটি তহবিল চালু করতে পারেনি।

এছাড়া কোম্পানিটি ওয়ার্কাস প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডেও কোনো অর্থ জমা দেয়নি। এছাড়া কোম্পানিতে ১১৫ জন এজেন্ট কাজ করলেও ১০৫ জনের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। বাকি ১০ জনের লাইসেন্স বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছ থেকে নবায়ন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রাচুইটি হলো একজন চাকরিজীবীর কর্মের আর্থিক স্বীকৃতি। দীর্ঘসময় চাকরি করে একজন মানুষ আর্থিক স্বীকৃত চায়। সেটা যদি না পায় তার চেয়ে অসম্মানের আর কিছুই হতে পারে না। কোম্পানি এই সুবিধা কর্মীদের না দিয়ে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে শ্রম আইন লঙ্ঘন করছে।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব ফারুক হোসেন বলেন, কোম্পানির গ্রাচুইটি তহবিল করা হয়েছে। তবে এটি কার্যকর নয়। গিগগিরই কার্যকর করা হবে।

এ সম্পর্কে অ্যাডভোকেট সুমন ভূইয়া বলেন, শ্রম আইনে স্পষ্ট গ্রাচুইটি সুবিধা দেওয়ার কথা বলা আছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা গ্রাচুইটি তহবিল থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। কোনো কোম্পানি যদি এর ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে কর্মীদের বঞ্চিত করার মাধ্যমে শ্রম আইন লঙ্ঘন করলো প্রতিষ্ঠানটি।

২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২ (১০) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় কর্মরত কারও গ্রাচুইটি পাওয়ার যোগ্যতা হল এক বছর চাকরি। অর্থাৎ এক বছর চাকরি হলেই তা প্রাপ্য। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে গ্রাচুইটি চালু করতে বা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি বছরের জন্য প্রাপ্য গ্রাচুইটি হবে ৩০ দিনের মজুরির সম-পরিমাণ অর্থ। আর তা হিসাব হবে সর্বশেষ প্রাপ্ত মজুরি হিসেবে।

আর কারও চাকরি ১০ বছর পূর্ণ হলে প্রাপ্য হবে প্রতি পূর্ণ বছরের বিপরীতে ৪৫ দিন হারে মজুরির সম-পরিমাণ অর্থ। উভয়ক্ষেত্রে গ্রাচুইটির হিসাব হবে-সর্বশেষ প্রাপ্ত মাসিক মূল মজুরি এবং মহার্ঘ ভাতার যোগফল। আর হিসাবে প্রথম এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর ছয় মাসের বেশি হলেই তা এক বছর বলে ধরতে হবে। আর এক বছর ও ছয় মাসের হিসাব হবে-পূর্ববর্তী ১২ মাসে যথাক্রমে ২৪০ দিন এবং ১২০ দিন (শ্রম আইন, ধারা ১৪)। এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তির বিধানও রয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.০২ টাকা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১.০০ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে। তবুও কোম্পানি গ্রাচুইটি তহবিল না করে কর্মীদের বঞ্চিত করছে।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পুঁজিবাজারে ২০০৫ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৩টি। এর মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৫.৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.২১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩.১২ শতাংশ শেয়ার আছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩ কোম্পানির মুনাফায় রমরমা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে এ পর্যন্ত ১৯টি কোম্পানি ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। এরমধ্যে করোনাকালেও ১৩টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। বাকি ৬টির মধ্যে মুনাফা কমেছে ৫টির এবং ১টির লোকসান বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়া ১৩ কোম্পানি হলো- অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, বারাকা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, এনার্জিপ্যাক, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), এমজেএল (বাংলাদেশ), পাওয়ার গ্রিড, সামিট পাওয়ার, তিতাস গ্যাস, শাহাজীবাজার পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার।

অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় আয় কমেছে ৫টির। কোম্পানিগুলো হলো- ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, যমুনা ওয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং পদ্মা ওয়েল। আর লোকসানে রয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারির। কোম্পানিগুলোর মধ্যে নতুন কোম্পানি রয়েছে ৩টি-অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, লুব-রেফ ও এনার্জি প্যাক পাওয়ার।

নতুন তিন কোম্পানির মধ্যে আয়ে চমক দেখিয়েছে লুব-রেফ। কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের আয় ১৫ শতাংশ বাড়লেও এনার্জি প্যাক পাওয়ারের আয় কমেছে ৪৫ শতাংশ।

আয় বৃদ্ধির ১৩ কোম্পানি: ১. অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা,যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৭ পয়সা বা ১৪.৮৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা। গত বছর যা ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩৮ পয়সা।

২. বারাকা পাওয়ার লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৮ পয়সা। গত বছর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৪ পয়সা বা ২৫.৯২ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৮ পয়সা বা ২১.১১ শতাংশ।

৩. ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স এন্ড সিস্টেমস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৭৬ পয়সা। আয় বেড়েছে ৯৬ পয়সা বা ১২৬.৩১ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ০২ পয়সা। গত বছর একই শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩ টাকা ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ২ টাকা ২৫ পয়সা।

৪. ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩১ টাকা ৮৯ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ২৮ টাকা ১৮ পয়সা বা ৭৫৯.৫৬ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৭ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬ টাকা ০৯ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা।

৫. জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৭ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ১২ পয়সা বা ৪৮ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৮০ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৪ পয়সা।

৬. খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০৫ পয়সা। গত বছর যা ছিল ৬৭ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৮ পয়সা বা ৩৭.৯৯ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ০৩ পয়সা।

৭. লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা,যা গত বছর ছিল ৭৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ৬৩ পয়সা বা ৭৯.৭৪ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৬২ পয়সা।

৮. এমজেএল (বাংলাদেশ) লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ০৯ পয়সা। গত বছর যা ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৮ পয়সা বা ১৫,৪৬ শতাংশ।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৭৩ পয়সা। গত বছর যা ছিল ৪ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৮১ পয়সা।

৯. পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা। গত বছর এটা ছিল ৯৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪২ পয়সা বা ৪২.৪২ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। গত বছর যা ছিল ৪ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ বর্ণিত সময়ে আয় কমেছে ৪১ পয়সা।

১০. সামিট পাওয়ার লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয়) হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ১২ পয়সা বা ৯.৬৭ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৭ পয়সা, গত বছর আয় হয়েছিল ৪ টাকা ০৮ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ০৯ পয়সা।

১১. তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৯ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ২০ পয়সা বা ৪০.৮১ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা, যা গত বছর ছিল ২ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ০১ পয়সা।

১২. ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ২ টাকা ৬৬ পয়সা। আয় বেড়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা বা ১০০.৩৭ শতাংশ।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৪ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ৮ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।

১৩. শাহাজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫৬ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল এক টাকা ১৮ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৮ পয়সা বা ৩২.২০ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে এক টাকা এক পয়সা।

আয় কমার ৫ কোম্পানি: ১. ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৩ পয়সা। আয় কমেছে ১১ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৩ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৯৪ পয়সা।

২. এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৭ পয়সা,গত বছর যা ছিল ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৩৮ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা। গত বছর যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৫৫ পয়সা।

৩. যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ০১ পয়সা। গত বছর যা ছিল ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৭৮ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১২ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ১৩ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৪৯ পয়সা।

৪. মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৮২ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। গত বছর আয় ছিল ১৯ টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ২ টাকা ৮১ পয়সা।

৫. পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ০৩ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৭ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ২ টাকা ২৫ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৬ টাকা ২৩ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ২০ টাকা ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা।

লোকসান বেড়েছে: সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬৯ পয়সা। গত বছর লোকসান হয়েছিল ০৪ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে ৬৫ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৯৭ পয়সা। গত বছর লোকসান হয়েছিল ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের খামখেয়ালি, না কারসাজি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কার কাছে কী পরিমাণে আছে, তার হিসাব প্রকাশের ক্ষেত্রে চরম খামখেয়ালি ও উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। স্টক এক্সচেঞ্জটির খামখেয়ালিতে বড় ক্ষতিতে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এটি খামখেয়ালি নয়, কারসাজি।

প্রতি মাস শেষে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক, সরকার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কার কাছে কতো শেয়ারের আছে, তার হিসাব প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ কোম্পানির সর্বশেষ শেয়ার হোল্ডিং বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোম্পানির শেয়ার হোল্ডিংয়ের উপর নজর রাখেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ারে উৎসাহী হন। আবার প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগ কমলে সেই শেয়ারে নিরুৎসাহিত হন। গত ১৩ জুন রোববার বিকালে বীমা খাতের কোম্পানি ঢাকা ইন্সুরেন্স লিমিটেডের ৩১ মে, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত সর্বশেষ শেয়ার হোল্ডিং প্রকাশ করে সিএসই। তখন পর্যন্ত ডিএসই কোম্পানিটির শেয়ার হোল্ডিং আপডেট করেনি।

সিএসইতে ঢাকা ইন্সুরেন্সের প্রোপাইলে দেখানো হয়, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল ২২.১৯ শতাংশ। যা ৩১ মে, ২০২১ তারিখে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯২ শতাংশে। অন্যদিকে, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল ১৬.৩৬ শতাংশ। যা ৩১ মে, ২০২১ তারিখে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬১ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা শেয়ার ৬১.৩৬ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ০.১০ শতাংশ থেকে ০.১২ শতাংশে দাঁড়ায়।

সিএসই কর্তৃক ঢাকা ইন্সুরেন্সের শেয়ার হোল্ডিংয়ের আপডেটেড চার্টটি রাতের মধ্যেই পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে যায়। পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হয়, কোম্পানিটির সিংহভাগ শেয়ার কিনে নিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আর সাধারণ মানুষের হাতে আছে কেবল ১.৯২ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটির দর ২০০ টাকার উপরে নিয়ে যাবে।

পরের দিন সোমবার শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রচন্ড আগ্রহ তৈরি হয়। লেনদেনের শুরুতেই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দর ৯৭ টাকা ৯০ পয়সায় শেয়ারটির দর উঠে যায়। সর্বোচ্চ দরেই শেয়ারটি দিনভর লেনদেন হয়। যদিও যারা শেয়ারটি কিনতে চেয়েছিলেন, তারা সবাই শেয়ারটি কিনতে পারেননি। কারণ প্রথম থেকেই হল্টেড প্রাইসে শেয়ারটি ৩০ লাখের বেশি ক্রেতার শক্ত অবস্থান থাকে।

তার পরেরদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে প্রি-ওপেনিংয়ে শেয়ারটির ১০ শতাংশ সর্বোচ্চ দর ১০৭ টাকা ৬০ পয়সায় ২৭ লাখের বেশি ক্রেতা অবস্থান নেয়। দিনভর যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ারটি পেয়েছে, তারা সর্বোচ্চ দরেই অর্থাৎ ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা দরেই শেয়ার কিনেছে। সেদিনও আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা সবাই শেয়ারটি কিনতে পারেননি। কারণ লেনদেনের শেষ অবধি হল্টেড প্রাইসে ২০ লাখের বেশি শেয়ারের ক্রেতার সমাগম থাকে।

গত মঙ্গলাবার বিকালে লেনদেন শেষে ডিএসইতে ঢাকা ইন্সুরেন্সের মে মাসের শেয়ার হোল্ডিং পজিশন আপলোড করা হয়। এদিন বিকালে সিএসইতেও আগের শেয়ার হোল্ডিং সংশোধন করে ডিএসই প্রকাশিত শেয়ার হোল্ডিং প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল ১৬.৩৬ শতাংশ। যা ৩১ মে, ২০২১ তারিখে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.০৮ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ৮.২৬ শতাংশ।

অন্যদিকে, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল ২২.১৯ শতাংশ। যা ৩১ মে, ২০২১ তারিখে এসে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০.৪৫ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে ৮.২৬ শতাংশ। সেদিনও কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার হোল্ডিংয়ের চিত্র আগের মতো পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব ফেসবুকে সয়লাব হয়ে যায়। এবার ফেসবুকে বেশিরভাগ ব্যক্তির মতামত দেখা যায়, কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯০ টাকার নিচে নেমে যাবে। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি ছেড়ে দিচ্ছে।

আজ (বুধবার) ঠিকই কোম্পানিটির বড় পতন দেখা যায়। দিনের লেনদেন শুরু হয় ৯৭ টাকায়। তারপর কয়েকবার উঠার চেষ্টা করলেও সেল প্রেসারে উঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। দিনশেষে দর দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা ১০ পয়সায়। আজ মূলত ঢাকা ইন্সুরেন্সের শেয়ারের অস্থিরতা গোটা ইন্সুরেন্স খাতে প্রভাব ফেলেছে এবং দিনভর ইন্সুরেন্স খাতের শেয়ারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করেছে।

ব্র্যাক ইপিএল, ধানমন্ডি শাখায় লেনদেন করেন এক বিনিয়োগকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য বিশ্বাস করে আমি অন্য শেয়ার লোকসানে বিক্রি করে ঢাকা ইন্সুরেন্সের ১০ হাজার শেয়ার সর্বোচ্চ দর ১০৭ টাকা ৬০ পয়সায় কিনেছি। এখন যে শেয়ার বিক্রি করে ঢাকা ইন্সুরেন্স কিনেছি, সেই শেয়ারেও লস হয়েছে। আবার ঢাকা ইন্সুরেন্সেও লোকসানে রয়েছি।।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সিএসইর মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে এ ধরণের জালিয়াতি বিনিয়োগকারীরা আশা করে না। প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদের উচিত. অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।’

বিষটি নিয়ে আজ দিনভর মতিঝিল পাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্রোকারেজ হাউজগুলোও ছিল সরগরম। বিনিয়োগকারীরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বিষয়টিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থারও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পুঁজিবাজারে নতুন শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস না রাখার সিদ্ধান্ত: আগামীতে পুঁজিবাজারে লেনদেনে আসা নতুন কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস সুবিধা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এ বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে করোনাকালীন মহামারি সময়ে পুঁজিবাজারের ধস ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস বেধেঁ দেয় বিএসইসি।

এরপরে গত ৭ এপ্রিল প্রথম দফায় ৫০ টাকার নিচে থাকা এমন ৬৬ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। আর গত ৩ জুন ফ্লোরে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন।

উল্লেখ্য, করোনাকালীন সময়ে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে লেনদেনে আসা কোম্পানিগুলোর জন্য অভিহিত মূল্য বা ১০ টাকা ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হত। আর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইস ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হত। এছাড়া ওটিসি মার্কেট থেকে আসা কোম্পানিগুলোর ওই মার্কেটে সর্বশেষ লেনদেন হওয়া দরকে ফ্লোর প্রাইস হিসাবে বিবেচনা করা হতো।

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল ও বিমা খাতে শেয়ারে সুবাতাস: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় দিনভর সূচক ওঠা নামার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। মঙ্গলবারের মতোই এদিন ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ার বিক্রি করেছেন বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী। এই দুই খাত ছাড়াও আজ নতুন করে বস্ত্র খাতের শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। আর তাতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম কমেছে।

তবে এই সময়ে বিপরীত চিত্র ছিল প্রকৌশল ও বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ারের। এই দুই খাতের শেয়ার কেনায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কমতি ছিল না। ফলে বুধবার এই বাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ার দর।

আর প্রকৌশল খাতের ৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর সেই ধাক্কায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ৬৬ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সব চেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইফাদ অটোস, বিএসআরএম স্টিলসহ প্রায় সব কোম্পানি করপোরেট করের পাশাপাশি উৎসে কর এবং কর রেয়াত সুবিধা পেয়েছে। ফলে আগামী বছরের কোম্পানির মুনাফা বাড়বে। তাতে বিনিয়োগকারীরা ভালো লভ্যাংশ পাবেন।

এছাড়াও বিমা কোম্পানিগুলো গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও ভালো মুনাফা দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও মুনাফা ভালো হয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীরা প্রকৌশল ও বিমার তরীতে উঠছেন। এই খাতকে নিরাপদ মনে করছেন।

ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার (১৬ জুন) ডিএসইতে মোট ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮২টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩২ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে।

বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন আগের দিনের চেয়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর বেশি লেনদেন হয়েছে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে, বিবিএস ক্যাবলস, ওরিয়ন ফার্মা, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিএসআরএস লিমিটেড, গ্রিন ডেল্টা, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, লুব-রেফ এবং সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির শেয়ারের দাম। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ১৭ লাখ ১৭ হাজার ৪৫১ টাকা।

চারশ কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে তুলবে ঢাকা ব্যাংক: বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে চারশ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। সর্বশেষ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ ল্যভাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি কন্টিজেন্ট-কনভার্টেবল পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে এই অর্থ উত্তোলন করবে।

বুধবার (১৬ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। একই দিন প্রতিষ্ঠানটির জানুয়ারি-মার্চ অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরিক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির মূলধন বাড়াতে ব্যাংকটির ব্যাসেল-৩ এর শর্ত পরিচালনে টায়ার-১ অতিরিক্ত মূলধন বাড়াতে বন্ড ইস্যু পুঁজিবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পর এ বন্ড ইস্যু করবে ব্যাংকটি।

এদিকে আজ চলতি বছরের জানুয়ারি-৩১মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ পয়সা। আর তাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০০০ সালে পুঁজবাজারে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে বিদায়ী বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ জুন আয়োজন করা হয়েছে। আর ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিতরণের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে।

পুঁজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ১১ হাজার বিনিয়োগকারী: পুঁজিবাজারের সাড়ে ১১ হাজার বিনিয়োগকারী আবারও অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এরা সবাই বানকো সিকিউরিটিজের নামের ব্রোকারেজ হাউসের বিনিয়োগকারী। মঙ্গলবার (১৫ জুন) থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এ কারণে হাউসটির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসটির বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। তাই ডিএসই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি গত সোমবার রাতে ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডিএসইসির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) মালিকানার সঙ্গে যুক্ত মোট ছয় পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য গতকালই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও পুঁজিবাজারের পরিচিত মুখ অধ্যাপক আবু আহমেদ ব্রোকারেজ হাউসটির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে লেনদেন করতেন। ব্রোকারেজ হাউসটিতে আবু আহমেদের নিজের ও আত্মীয়স্বজনের মিলে একাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ছিল। প্রায় দেড় বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় তাঁকে। তাই আবু আহমেদ ও তাঁর নিকটজনের নামে থাকা একাধিক বিও হিসাবের থাকা নগদ টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠিত এ শিক্ষক।

এ অবস্থায় গতকালই তিনি নগদ টাকা ফেরত পেতে ডিএসইর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। আবু আহমেদ প্রশ্ন তুলেছেন, অনেক দিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ডিএসইও বিষয়টি আগে থেকে জানত। তাহলে শুরুতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে এত দিন দেরি করা হলো কেন?

অধ্যাপক আবু আহমেদের মতো এ প্রশ্নের উত্তর প্রতিষ্ঠানটির অনেক বিনিয়োগকারীর। যাঁদের প্রতিষ্ঠানটির বিও হিসাবে হয় শেয়ার কেনা আছে, নয়তো শেয়ার বিক্রির নগদ টাকা পড়ে আছে। জানা গেছে, বানকো সিকিউরিটিজের বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭৯ জন। গতকাল লেনদেন বন্ধের খবরে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ভিড় করেন। লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হলেও ব্রোকারেজ হাউসটির কার্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসই।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আবদুল মুহিত ও পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে) হিসেবে আছেন শফিউল আজম। সম্পর্কে এ দুজন মামা ভাগনে। এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসটির পরিচালক হিসেবে আছেন আরও চারজন। এঁদের মধ্যে আবদুল মুহিত যুক্তরাজ্য প্রবাসী, তবে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশে ব্রোকারেজ হাউসটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শফিউল আজম।

এদিকে ব্রোকারেজ হাউসটিতে থাকা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার যাতে স্থানান্তর করা না যায়, সে জন্য বানকো সিকিউরিটিজের ডিপি (ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট) কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লেনদেন ও ডিপি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্রোকারেজ হাউসটির কোনো বিনিয়োগকারী গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নিতে পারেননি।

সাধারণত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউসের (বর্তমানে ট্রেডিং রাইটস এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক হিসেবে পরিচিত) মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেন। শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পছন্দের বিও হিসাবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসে টাকা জমা দেন। একটি ব্রোকারেজ হাউসে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব থাকে।

এসব বিও হিসাবে জমা হওয়া টাকা সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস তাদের ব্যাংক হিসাবে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত অর্থ হিসেবে জমা করে। যেহেতু ওই ব্যাংক হিসাব ব্রোকারেজ হাউসের নামে থাকে, তাই সেখানে রাখা বিনিয়োগকারীদের অর্থ তছরুপের সুযোগ থাকে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারের।

দুই কোম্পানির লভ্যাংশ সংক্রান্ত বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির লভ্যাংশ সংক্রান্ত বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করছে। কোম্পানিটি দুটো হলো: পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ফনিক্স ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকরে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পরযালোচনা করা হবে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

ফনিক্স ফিন্যান্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফনিক্স ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৪ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। একই সভায় কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকরে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও পরযালোচনা করা হবে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৫২ লাখ ৫ হাজার ৫৩৮টি শেয়ার ৭৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলের ৪ কোটি ২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার। তৃতীয় সর্বোচ্চ বিডি ফাইন্যান্সের ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার।

এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১ কোটি ২২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফের ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬১ হাজার টাকার, এস কে ট্রিমসের ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৯৬ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, যমুনা অয়েলের ৮১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, এন্ট্রাকর ৬০ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৫৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার,

ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের ৫২ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টার ৫২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ৪৩ লক্ষ টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৩২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, এস এস স্টিলের ২৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, কেডিএস অ্যাকসেসরিজের ২৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, লুব-রেফের ২৮ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ২৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার, সী-পার্লের ২০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ার লিমিটেডের ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্সুরেন্সের ১৯ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকার,

ভিএফএস থ্রেডের ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, কপারটেকের ১৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ১২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, এবি ব্যাংকের ১০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার, সফকো স্পিনিংয়ের ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ লক্ষ ৪ হাজার টাকার,

লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার, ঢাকা ব্রাক হাউসিংয়ের ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার, এসইএম লেকচার মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফের ৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, কাট্টালী ইন্সুরেন্সের ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।