দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৭ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। এগুলো হলো: এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, ফার্মা এইড লিমিটেড, ইন্দোবাংলা ফার্মাসিটিউক্যালস, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড :তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১৭ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে টাকা ১২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৮৯ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৯৭ পয়সা।

অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল :তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে এক টাকা ৮১ পয়সা।

অন্যদিকে, চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে টাকা ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৭৯ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ২ পয়সা।

ফার্মা এইড লিমিটেড :তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২২ পয়সা।

৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১২ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় ইপিএস হয়েছিল ১৪ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ টাকা ১৪ পয়সা। ৩১ মার্চ,২০২১ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির এনএভি হয়েছে ৮৯ টাকা ৪৫ পয়সা।

ইন্দোবাংলা ফার্মাসিটিউক্যালস: ইন্দোবাংলা ফার্মাসিটিউক্যালস তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি -মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৪২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩০ পয়সা। এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৪৫ পয়সা।

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল:তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২৬ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৬ পয়সা।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৫১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৯ পয়সা।

জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড :তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২৭ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২২ টাকা ৩২ পয়সা।

সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড :তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ২০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে এক পয়সা।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ পয়সা।

বাজেটে করহার কমানোর ফলে লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বাড়বে: ছায়েদুর রহমান: বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো হয়েছে। এটা ভালো সিদ্ধান্ত। এরফলে কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বাড়বে। এর বাহিরে বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য অন্যান্য প্রত্যাশিত বিষয়াদি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

শনিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে রয়েছেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসাইন ও এএমসি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

ছায়েদুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২.৫০% কমানো হয়েছে। এর মাধ্যমে উভয় ক্ষেত্রের মধ্যে করহারের ব্যবধান ৭.৫০%। কিন্তু একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিভিন্ন নিয়ম কানুন মেনে চলার কারনে ব্যয় অনেক বেশি হয়। যে কারনে ভালো মুনাফা করা বৃহৎ কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে চাইবে না। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।

এছাড়াও চূড়ান্ত বাজেটে লভ্যাংশে দ্বৈত করহার প্রত্যাহার, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে বিশেষ করহারের বাহিরে রাখার দাবি করেন বিএমবিএ সভাপতি। তিনি বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক বলে ডাকা হলেও এগুলো কোন ব্যাংক না। এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবসাও ভালো না। তারপরেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বিশেষ করহার দিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করহার স্বাভাবিক বা ৩০ শতাংশ করার দাবি করেন তিনি।

বিএমবিএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজার নেতিবাচক ছিল। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে বাজারে গতি ফিরেছে। তাদের নিরলস চেষ্টায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে।

অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ এর সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, বিশ্বের যেকোন দেশের অর্থনীতি ভাইব্রেন্ট হয়েছে শেয়ারবাজারের ভাইব্রেন্টের উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশেও এর বাহিরে সুযোগ নাই। তাই এই বাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তবে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার জন্য তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার বাড়ানো দরকার। যেটা উল্টো গত বাজেটে ১০% থেকে কমিয়ে ৭.৫০% কমিয়ে আনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম উপস্থিত রয়েছেন।

পুঁজিবাজারের প্রতি সবার আস্থা রাখা দরকার: শেখ সামসুদ্দিন: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা গত ২০ বছর ধরে যে শেয়ারবাজার দেখে আসছি, সেখানে পরিবর্তন আনা দরকার। এজন্য নতুন প্রোডাক্ট আনা ও স্ট্র্যাটেজি নিতে হবে। এছাড়া আগামি ২০ বছরের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে শেয়ারবাজারকে কাজে লাগাতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিএসইসির এই কমিশনার। এজন্য পুঁজিবাজারের প্রতি সবার আস্থা রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসাইন ও এএমসি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা আছে। যেখানে ইক্যুইটি মার্কেটের বাহিরে গিয়ে নতুন প্রোডাক্ট চালু করার কথা বলা হয়েছে। আমাদেরকে ইক্যুইটি মার্কেটের বাহিরে গিয়ে বিবর্তন আনতে হবে। এলক্ষ্যে কমিশন কাজ করছে। আমরা এখন মিউনিসিপাল বন্ড নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজ আনার জন্য গভীরভাবে চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত এটা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, কমিশন শেয়ারবাজারে ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এলক্ষ্যে এরইমধ্যে অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তনও এসেছে। সামনে আরও পরিবর্তন আসবে। অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিএমবিএর সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ এর সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি বিজনেস ফ্রেন্ডলি রেগুলেটর হিসেবে কাজ করছে: অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এবারের বাজেট ‘মেড ইন বাংলাদেশ বাজেট’। এই বাজেট পুঁজিবাজারের জন্যেও ইতিবাচক। বিএসইসি বিজনেস ফ্রেন্ডলি রেগুলেটর হিসেবে কাজ করছে। সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বর্তমান কমিশন।

শনিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কথা বলা আছে। যেখানে ইক্যুইটি মার্কেটের বাহিরে গিয়ে নতুন প্রোডাক্ট চালু করার কথাও বলা হয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি পুঁজির সংস্থান ও শিল্পায়নে। এক্ষেত্রে ব্যবসাবান্ধব রেগুলেটর হিসেবে কাজ করতে চাই। তবে ভালো সুশাসন থাকতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর যে অপ্রদর্শিত অর্থ থাকে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সেই অর্থ যেনো বৈধ পথে নিয়ে আসতে পারেন-বাজেটে সেই সুযোগটি রাখার জন্য বলেছি। তিনি বলেন, সরকার বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহার ২.৫০% কমিয়ে দিয়েছেন। আশা করতে পারি ভবিষ্যতে হয়তো আরও কমবে। সবমিলিয়ে এবারের বাজেট হচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বাজেট।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বন্ডগুলো নিয়ে আমরা কিছু প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। আশা করবো বন্ড এবং সুকুক নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, তা ফিসক্যাল পলিসির মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা করবে।’

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসাইন ও এএমসি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম। এতে আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিএমবিএর সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ এর সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।

পুঁজিবাজার যেভাবে আগাচ্ছে, তাতে বাজারের ভালো ভবিষ্যৎ আছে: সালমান এফ রহমান: প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, গত ১ বছর ধরে পুঁজিবাজারে নতুন ধরণ দেখছি। নতুন কমিশন অনেকগুলো ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে। এছাড়া লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়েছে। একইসঙ্গে বেসিক সমস্যা ইক্যুইটি ভিত্তিক মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত ভালো দেখছি।

আজ শনিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসাইন ও এএমসি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, শেয়ারবাজার ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের দায়িত্ব বাড়বে। এক্ষেত্রে দেশের ঊভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজমেন্টের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পুঁজিবাজার যেভাবে পরিচালিত হয় এবং সেখানে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলো আমাদেরকেও চালু করতে হবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, আজকের আলোচনায় চূড়ান্ত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান বাড়ানো, লভ্যাংশে দ্বৈত করহার প্রত্যাহার, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার কমানো, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগসহ যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে-সেগুলোর পেছনে যুক্তি আছে। এই প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করব। অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিএমবিএর সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ এর সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির রেকর্ড ডেট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির রেকর্ড ডেট চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো-তাকাফুল ইন্সুরেন্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, এশিয়া ইন্সুরেন্স, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, বাটা সু, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স ও রিপাবলিক ইন্সুরেন্স।  সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাকাফুল ইন্সুরেন্স: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ জুন, ২০২১। আগামী ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৯৭ পয়সা। আগেব বছর একই সময়ে যা ছিল ১৭ টাকা ২৩ পয়সা।

ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন, ২০২১। আগামী ২৮ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় লোকসান ৬ ছিল ১৩ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৪ টাকা ১২ পয়সা)। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ২১ পয়সা।

এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন, ২০২১। আগামী ২ আগস্ট সোমবার বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর ১ টাকা ৬০ পয়সা ছিল। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২০ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন, ২০২১। আগামী ২৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৯৬ পয়সা (রিস্টেটেড)। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১২ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১১ টাকা ৬৯ পয়সা (রিস্টেটেড)।

বাটা সু (বাংলাদেশ) লিমিটেড: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন, ২০২১। আগামী ১২ আগস্ট সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯৬ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ৩৬ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা।

নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ জুন, ২০২১। আগামী ৭ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৭২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২০ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১৯ টাকা ৪৯ পয়সা (রিস্টেটেড)।

রিপাবলিক ইন্সুরেন্স: কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৩ জুন, ২০২১। আগামী ২৭ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৪ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ ক্যাশ ও ৭ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা (পুর্নমূল্যায়িত)।
আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ২০ পয়সা।

চলতি সপ্তাহে আসছে ৬ কোম্পানির লভ্যাংশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানি চলতি সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। কোম্পানি ৬টি হলো- ঢাকা ডাইং, প্রাইম লাইফ, রূপালী ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স।

ঢাকা ডাইং: কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। এজন্য কোম্পানিটির বোর্ড সভা আহ্বান করেছে আগামীকাল রোববার, ২০ জুন বিকাল ২টা, ৪টা ও ৬টায়। ২০১৬ সালে ঢাকা ডাইং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৭ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৯৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। এর পরের বছরগুলোতে কোম্পানিটির কোন আয়ের তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই।

প্রাইম লাইফ ইন্সুরেন্স : কোম্পানিটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, ২১ জুন বিকাল ৩টায়। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে এবং ৩১ মার্চ, ২০২১ সময়ের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

রূপালী ব্যাংক : ব্যাংকটির বোর্ড সভা সোমবার, ২১ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। সমাপ্ত অর্থবছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির কারণে তা বিতরণ করতে পারেনি।

পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স : কোম্পানিটির বোর্ড সভা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে এবং ৩১ মার্চ, ২০২১ সময়ের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সমাপ্ত অর্থবছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ টাকা ০১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ফনিক্স ফাইন্যান্স : কোম্পানিটির বোর্ড সভা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে এবং ৩১ মার্চ, ২০২১ সময়ের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সমাপ্ত অর্থবছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ক্যাংশ ও ৬ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স : কোম্পানিটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন বিকাল ৩টায়। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে এবং ৩১ মার্চ, ২০২১ সময়ের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- নিটল ইন্স্যুরেন্স, বিএনআইসিএল, রেকিট বেনকিজার, ওয়ান ব্যাংক, ইসলামি ফাইন্যান্স, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিটল ইন্সুরেন্স: ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামীকাল ২০ জুন সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১৫ শতাংশ ক্যাশ।

সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২৫ টাকা ৮৯ পয়সা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানি (বিএনআইসিএল): ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ জুন দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১২ শতাংশ ক্যাশ।

সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২০ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১৯ টাকা ০৫ পয়সা।

রেকিট বেনকিজার: ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১২৫০ শতাংশ ক্যাশ।

সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১৩১ টাকা ০৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৭০ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১৪২ টাকা ৬৪ পয়সা।

ওয়ান ব্যাংক: ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৫.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক।

সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৮২ পয়সা (রিএস্টেটেড)। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১৮ টাকা ২১ পয়সা (রিএস্টেটেড)।

ইসলামি ফাইন্যান্স: ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছরও ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ।

সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ০৩ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২২ টাকা ০৫ পয়সা।

এনআরবিসি ব্যাংক: ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ জুন দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি চলতি বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটির শেয়ার বেসিক ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর বেসিক ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা (ডাইলুটেডে)।

৩০ জুন, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১২ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১২ টাকা ৫৪ পয়সা। ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৫ টাকা ৭৭ পয়সা (ডাইলুটেড)।

১০ বীমা কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণ খুঁজে পায়নি ডিএসই: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি বীমা কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ খুজেঁ পায়নি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে নেমে এমনটি হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ও গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।

এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। যার কারণ খুঁজতে অনুসন্ধান করে ডিএসই। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিগুলোর কাছে কারণ জানতে চায়। তবে সবগুলো কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। এরমধ্যে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে গত ৫ মে জানানো হয়েছে।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স ও কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৩ মে। আর গত ২২ মে জানানো হয়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ও গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে।