দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১৩ পয়সা।

বীমার পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “আইন অনুসারে বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আগে যে নির্দেশনা দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “এজন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আমরা এটা কঠোর ভাবে মনিটরিং করছি। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে যেহেতু সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে আইনে যেহেতু আছে, আইন তো মানতেই হবে।”
গতকাল ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বীমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আইআরএফ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো তদারকি করার জন্য ৪৫ জন নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ৪৫টি সাধারণ বীমা কোম্পানির কার্যক্রম নিরীক্ষা করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ বীমা কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। আইআরএফ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাওলা’র সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, একটি জীবন বীমা কোম্পানি যখন সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ না করে, তখন এক ধরনের বদনাম ছড়ায়। এ কারণে আমরা জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সুপারভাইজরি লেভেল এবং কমিশন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে’। এ সময় বীমা খাতের কিছু সমস্যাও তুলে ধরেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে জনবল সংকটকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রায় ২ কোটি গ্রাহক। এই বিপুল জনগোষ্ঠী যে সেক্টরে জড়িত, তার নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ মাত্র ৩১ জন জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গাও নেই। তবে আমাদের জনবল কাঠামো চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি এখন আমরা আরও কিছু জনবল নিয়োগ দিতে পারবো।

ব্লক মার্কেটে ৪ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২৪১ কোটি ৩০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৬টি শেয়ার ৯৮ বার হাত বদল হয়েছে।

এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৪১ কোটি ৩০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৬৯ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৬৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলের ২৩ কোটি ৪২ হাজার টাকার। চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার ১৯ কোটি ৭১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার। চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের ১০ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার।

এছাড়া রেনাটার ৬ কোটি ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৬০ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৫১ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টার ৪৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ৪৭ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার,

সালভো কেমিক্যালের ৩৫ লক্ষ ৯ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৩৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, মারিকোর ২৯ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ২৬ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার, ইউনিক হোটেলের ২৩ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৬ লক্ষ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, সাফকো স্পিনিংয়ের ১৩ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার,

রূপালী লাইফের ১২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১১ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, প্যাসিফিক ডেনিমের ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, ওয়ালটনের ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার, রেকিট বেনকিজারের ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৭ টাকার, শমরিতা হসপিটালের ৭ লক্ষ টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ৬ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, আরামিট সিমেন্টের ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মিশ্র প্রবণতা শেষে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার: তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে ছয় স্তরের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই খবরকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের পুঁজিবাজার প্রথম কার্যদিবসে সকালে লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ফলে দিনের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্য দিয়ে। তবে পরে বিভ্রান্তি কেটে যাওয়ায় দিন শেষে সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়।

দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। সূচক সামান্য বাড়লেও উভয় বাজারে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

এদিন ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৭টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির দাম। অপরদিকে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ারের।

ডিএসইর তথ্য মতে, ডিএসইতে মোট ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ১৬ লাখ ৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

কিছু বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন আগের দিনের চেয়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন এ বাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স। এরপর বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল ফিড মিলস, বেক্সিমকো ফার্মা, ফরচুন সুজ, সামিট পাওয়ার, কনফিডেন্স সিমেন্ট, লুব-রেফ এবং এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৫ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০৪ কোটি ৯৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৯ টাকা।

ওয়ালটন জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা প্রতিষ্ঠান: বিএসইসি চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ওয়ালটন টেকসই, ক্রমবর্ধমান ও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে নেক্সট ফেইজে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আইপিওতে আসা দরকার। এতে দেশের শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে। সর্বোপরি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নার্সিং করে যাবে।

গত শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। সে সময় বিএসইসি চেয়ারম্যান ওয়ালটনের তৈরি নতুন মডেলের একটি স্মার্ট টেলিভিশন উন্মোচন করেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান ওয়ালটনের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে হাই-ইফিশিয়েন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসরের প্রোটোটাইপ দেখে মুগ্ধ হন। খুব শিগগিরই ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওই ইনভার্টার কম্প্রেসর উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন। ফলে সাশ্রয়ী দামে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের, সবচেয়ে টেকসই কম্প্রেসর পাবেন গ্রাহক। ওই প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ওয়ালটনের কম্প্রেসর উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ওয়ালটন কারখানা একটি গ্রিন টেকনোলজি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। এখানে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কমপোনেন্ট তৈরি হচ্ছে। কাঁচামাল থেকে একটি সম্পূর্ণ পণ্য কিভাবে ওয়ালটন তৈরি করছে সেটা নিজ চোখে দেখলাম। আমি সত্যিই অভিভূত। ওয়ালটনকে দেখে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ওয়ালটন সবদিক থেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠান। উদ্যেক্তারা প্রত্যেকেই সৎ। ওয়ালটনের উন্নতিতে আমি কোনো বাধা দেখছি না।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরো বলেন, কৃষিনির্ভর পণ্য উৎপাদনে আমরা নির্ভরশীল ছিলাম। সেখান থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দ্বিতীয় ধাপে যেখানে আমাদের হাই টেক ও হেভি ইন্ডাস্ট্রিতে যেতে হবে, সেখানে ওয়ালটন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমরা যেসব পণ্য আমদানি করতাম এখন তা রপ্তানি করছি। ওয়ালটন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশও পারে।

বাংলাদেশে যে সব কিছুই সম্ভব, সেটা ওয়ালটনের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবো। দেশ ও জাতির মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ওয়ালটন উদ্যেক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারখানা পরিদর্শনকালে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের সিনিয়র লেকচারার শেনিন রুবাইয়াত।

এর আগে অতিথিরা কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, তানভীর রহমান, ইউসুফ আলী,

আনিসুর রহমান মল্লিক, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, নির্বাহী পরিচালক আমিন খান, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, শাহজাদা সেলিম, ইয়াসির আল-ইমরান, শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. রকিব উদ্দীন, রবিউল আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, কোম্পানি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম এফসিএস, বিএসইসি চেয়ারম্যানের পিএস রাশিদুল আলম প্রমুখ।

কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া, মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এসএমটি প্রোডাকশন, পিসিবি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং টেলিভিশন উৎপাদন, বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ণ (আরএন্ডডি) সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন।

পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি: ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নতুন সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নিয়ম চালু করার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজার উত্থান হয়েছে। তবে গতকাল লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন দেখা দিলেও শেষপর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে।

গত বছর দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ার বাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। তবে প্রায় এক বছর ধরে শেয়ার বাজার ভালো অবস্থানে থাকায় গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়।

এ নিয়ম আরোপের পর আজ ছিল পুঁজিবাজারের প্রথম লেনদেন কার্যদিবস। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়ার পর এক প্রকার আতঙ্ক দেখা দেয়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গতকাল লেনদেনের শুরুতে। প্রথম মিনিটের লেনদেনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটতে থাকে। ফলে পতন কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে শেয়ার বাজার।

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান শেয়ার দরের প্রান্তসীমা তথা ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হয়ে গতকাল প্রথম লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। করোনার মহামারিতে পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে ২০২০ সালের মার্চে বেঁধে দেয়া হয় প্রতিটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তৃতীয় পর্যায়ে পুঁজিবাজারের সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করে। ফলে রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ফ্লোর প্রাইসহীন লেনদেন হয়েছে।

ধারণা করা হয়েছিল, কোনো কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস না থাকায় কিছুটা ধাক্কা লাগবে পুঁজিবাজারে। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা আবারও আস্থার পরিচয় দিলেন। পতন নয়, বরং উত্থানে স্বাভাবিক ছিল পুঁজিবাজার। বেড়েছে সূচক। চলতি বছরের করোনা পরিস্থিতি যখন উদ্বেগ আকার ধারণ করে, তখন সরকারের লকডাউন কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারেও লেনদেন সময় কমিয়ে আনা হয়।

৫ এপ্রিল লকডাউনের আগে সংক্রামক পতনে ছিল পুঁজিবাজার। লকডাউনেও সেই পতন আরও ত্বরান্বিত হবে, এমন গুজব ছিল পুঁজিবাজারে। তবে ভরসা হিসেবে দেখা হচ্ছিল ফ্লোর প্রাইসকে। লকডাউনের মধ্যে যখন পুঁজিবাজারের লেনদেন ও সূচকের আস্থার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল, তখন ৭ এপ্রিল বাতিল করা হয় ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। তার পরদিন যে লেনদেন হয়েছিল, তখন ঢালাওভাবে কোম্পানির শেয়ার দর পতনের কমেছিল সূচক।

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে ভরসা ছিল, কোম্পানির শেয়ার যতই পতন হোক ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামবে না। হঠাৎ ফ্লোর প্রাইস বাতিল করার আতঙ্কে ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর আরও কমবে, এমন ভাবনায় বেড়ে যায় শেয়ার বিক্রি। যদিও এ আতঙ্ক বেশি দিন টেকেনি। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোম্পানিরগুলোর শেয়ার আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লেনদেন হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদের এমন আস্থার ৬৬ কোম্পানির বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর উঠে আসে ফ্লোর প্রাইসের ওপরে।

৩ জুন দ্বিতীয় দফায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করে। তবে এবার ফ্লোর প্রত্যাহারের ফলে ঢালাও শেয়ার বিক্রি দেখা যায়নি। কিছু কোম্পানির শেয়ার দর কমলেও পরবর্তী কয়েক দিনেই এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পাশাপাশি দরও বেড়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয় পুঁজিবাজারের সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা ছিল, পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস রোববার ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ফলে বড় ধরনের পতন হবে পুঁজিবাজারে। কিন্তু রোববার লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং আগের কার্যদিবসের মতো স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সূচকও বেড়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে বিনিয়োগকারীদের তারল্য এতদিন আটকে ছিল। এখন সেগুলো মুক্ত হয়েছে। যেসব কোম্পানির অনেক বেশি ফ্লোর প্রাইস ধরা হয়েছিল, সেগুলোর কোনো লেনদেন হতো না, এখন হবে। তিনি বলেন, যারা বেশি দামে শেয়ার কিনেছিল, তাদের জন্য ফ্লোর প্রাইস ভালো ছিল। কিন্তু যারা পুঁজিবাজারে নিয়মিত শেয়ার কেনাবেচা করেন, তারা লেনদেন হওয়া কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করেন। ফলে এখন আর কারো তারল্য আটকে থাকবে না। লেনদেনের মাধ্যমে যৌক্তিক দামে শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে।

ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ন্যাশনাল ফিড: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কোম্পানিটি ২ হাজার ৬৪২ বারে ১ কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তালিকায় ২য় স্থানে থাকা সালভো কেমিক্যালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ৫৪২ বারে ৩৮ লাখ ১১ হাজার ৫৯৬ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

তালিকার ৩য় স্থানে থাকা ইনডেক্স এগ্রোর দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ৬৯০ বারে ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৫ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে: ইউনিক হোটেলের ৯.৯৪ শতাংশ, আমান ফিডের ৯.৮৭ শতাংশ, ফরচুন সুজের ৯.৮১ শতাংশ, সাফসো স্পিনিংয়ের ৯.৬৩ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৯.২৫ শতাংশ, রানার অটোমোবাইলসের ৯.২৪ শতাংশ এবং এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর ৭.৭১ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে বিক্রেতা উধাও ১৩ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় বিক্রেতা সংকটে পড়েছে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের মোট ১৩ কোম্পানি। বিক্রেতা সংকটে হল্টেড হয়েছে এ ১৩ কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: মুন্নু ফেব্রিক্স, মনোস্পুল পেপার, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, খান ব্রাদার্স, ইউনিক হোটেল, আমান ফিড, মুন্নু সিরামিক, আরামিট সিমেন্ট, ফরচুন সুজ লিমিটেড, ন্যাশনাল ফীড মিল লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং সাফকো স্পিনিং মিলস্।
তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৭.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭.৬০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৬০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

মনোস্পুল পেপার : বৃহস্পতিবার মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮০.৪০ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮৮.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮.৪০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮ টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল : বৃহস্পতিবার তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ক্লোজিং দর ছিল ১৯.১০ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২১ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৯০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

ইনডেক্স অ্যাগ্রো: বৃহস্পতিবার ইনডেক্স অ্যাগ্রোর ক্লোজিং দর ছিল ১১৩.৬০ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১১৩.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৪.৯০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৩০ টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

খান ব্রাদার্স: বৃহস্পতিবার খান ব্রাদার্সের ক্লোজিং দর ছিল ১০.৮০ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১.৮০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ টাকা বা ৯.২৬ শতাংশ বেড়েছে।

ইউনিক হোটেল: বৃহস্পতিবার ইউনিক হোটেলের ক্লোজিং দর ছিল ৩৪.২০ টাকায়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৪.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭.৬০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৪০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া, আরামিট সিমেন্ট, ফরচুন সুজ লিমিটেড, ন্যাশনাল ফীড মিল লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং সাফকো স্পিনিং মিলসের অসংখ্যা ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতার ঘর শূণ্য ছিল।

পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সিএসই’র ছাড়: দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকে আরো উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বাল্ক ও ফরেন উইন্ডোর লেনদেনকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে সিএসই প্রোমোশনাল প্রোগ্রামের সময় বৃদ্ধি করেছে।

সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই প্রোগ্রামের আওতায় আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএসই’র ট্রেক হোল্ডারদের জন্য বাল্ক এবং ফরেন উইন্ডোতে ট্রেড করলে কমিশন চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।

অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে সিএসইর বাল্ক এবং ফরেন উইন্ডোর মাধ্যমে ট্রেড করলে এক্সচেঞ্জ ট্রেক হোল্ডারদের কাছ থেকে কোনো কমিশন চার্জ গ্রহণ করবে না। সিএসই বলছে, তারা বিশ্বাস করে, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ট্রেকরা তাদের লেনদেনের ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহী হবে এবং সিএসইসহ পুঁজিবাজারে লেনদেনের সুযোগ আরো বেড়ে যাবে। একইসঙ্গে ট্রেকদের ব্যবসা করার সুযোগ তরান্বিত হবে।

সোনালী লাইফের আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ ২১ জুন: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন সম্পন্ন হওয়া সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রো-রাটা (ঢ়ৎড়-ৎধঃধ) ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে সোমবার (২১ জুন)। আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর নিকুঞ্জের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইলেক্ট্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনালী লাইফের শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

ফলে প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা সর্বোচ্চ ১৭টি শেয়ার পাবেন। ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা পাবেন ৩৪টি শেয়ার, ৩০ ও ৪০ হাজার করে আবেদনকারীরা যথাক্রমে ৫১ ও ৬৮টি শেয়ার পাবেন। একইভাবে ৫০ হাজার টাকা আইপিওতে বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৮৫টি শেয়ার।

দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ শাখাওয়াত-ই-এলাহী। কোম্পানির তথ্যমতে, বিমা খাতের কোম্পানিটির আইপিওতে সাধারণ ও যোগ্য বিনিয়োগকারীদের এক কোটি ৯০ লাখ শেয়ারের জন্য ৭৩ কোটি ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ শেয়ারের জন্য আবেদন পড়েছে। যা বরাদ্দের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৪৫ গুণ বেশি।

সাধারণ বিনিয়োগকাীদের জন্য বরাদ্দকৃত এক কোটি ১৪ লাখ শেয়ার পেতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩৯ জন ৬২ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার শেয়ারের জন্য আবেদন পড়েছে। যা টাকার অংকে দাঁড়িয়েছে ৬২২ কোটি ৯০ লাখ ১ হাজার টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৬৪ গুণের বেশি।

তিন ক্যাটাগরির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রবাসী ক্যাটাগরিতে ১৮ হাজার ৬০৮ জন বিনিয়োগকারী ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৫ হাজার শেয়ারের জন্য আবেদন করেছেন। যা টাকার অংকে ৫৭ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকা করে আইপিওতে আবেদনকারীরা সোনালী লাইফের ২৩টি শেয়ার পাবেন।

একই হারে পরবর্তী ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আবেদনকারীরা সর্বোচ্চ ১১৩টি শেয়ার পাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৩ হাজার ৩৬৬ জন বিনিয়োগকারী ৮ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার শেয়ারের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন, যা টাকার অংকে ৮৯ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৯ গুণ বেশি। ফলে এই ক্যাটাগরিতে সর্বনিন্ম ১০ হাজার টাকার আবেদনকারী ৩৪টি করে শেয়ার পাবেন।

আইপিওতে সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগী হচ্ছে দেশি বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে। এই ক্যাটাগরিতে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৫ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ ২৯ হাজার শেয়ারের জন্য আবেদন করেছেন, যা টাকার অংকে ৪৭৫কোটি ৫২ রাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দের চেয়ে ৬২ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি।

ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা ১০ হাজার টাকা আইপিওতে আবেদন করেছেন, তারা সর্বোচ্চ ১৭টি শেয়ার পাবেন। ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা পাবেন ৩৪টি শেয়ার, ৩০ ও ৪০ হাজার করে আবেদনকারীরা যথাক্রমে ৫১ ও ৬৮টি শেয়ার পাবেন। একইভাবে ৫০ হাজার টাকা আইপিওতে বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৮৫টি শেয়ার।

গত ৩০ মে সকাল ৯টা থেকে ৩ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত সোনালী লাইফের আইপিওর সাবক্রিশনে ৭১১ প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে আবেদন গ্রহণ করে। তারা বরাদ্দকৃত ৭৬ লাখ শেয়ার ১০ কোটি ৭৫ লাখ ২৫ হাজার ৪০০টি শেয়ারের জন্য আবেদন করেছেন, যা টাকার অংকে ১০৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার। শতাংশের হিসাবে ১৪১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।

শর্ত অনুসারে, গত ১৯ মের মধ্যে যেসব বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ২০ হাজার টাকা ছিল, তারাই এই আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন। এই বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১০ হাজার টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন করতে হবে। বিমা খাতের এই কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য গত ৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে এক কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, বাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ২৫ টাকা ৪৭ পয়সা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইনস্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং অগ্রণী ইকুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

আইএফআইসি ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ব্যাংকটি ১ হাজার কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যু করবে। এরমধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকা এবং ১০০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে। ব্যাংকটি বন্ড ইস্যু করে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যাসেল-৩ এর এডিশনাল টায়ার-১ মূলধন শক্তিশালী করবে।

বন্ড ইস্যুর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির জন্য আগামী ২৬ আগস্ট বেলা ১১টায় বিশেষ সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৩ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলে এই বন্ড ইস্যু করবে আইএফআইসি ব্যাংক।

বানকো সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের সহযোগিতা করবে ডিএসই: বানকো সিকিউরিটিজ থেকে যেসব গ্রাহক লিঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্য কোনো ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিতে নিজের নামের শেয়ার নিতে চায় সেসব বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এজন্য ডিএসই তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএসইর ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-৬০৩) এর গ্রাহকদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বা ব্যবসা পরিচালনা এবং ডিপি সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিটির গ্রাহকরা চাইলে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ডিপিতে থাকা নিজ নিজ নামের শেয়ার অন্য কোনো ট্রেক হোল্ডার প্রতিষ্ঠানে লিঙ্ক একাউন্ট খুলে ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারবেন।

এক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ডিপোজিটেরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ফরম ১৬-১ ও ১৬-২ যথাযথভাবে পূরণ করে সিডিবিএল থেকে সংগৃহীত ডিপিএ ৬ রিপোর্টসহ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নিকুঞ্জে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। লিঙ্ক একাউন্টের বিষয়ে কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে ডিএসইর ইনভেস্টর কমপ্লেইন্টস, আরবিট্রেশন অ্যান্ড লিটিগেশন বিভাগে গ্রাহকদের যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে ডিএসই।

উল্লেখ্য, বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’ থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা ঘাটতি পাওয়ায় বানকো সিকিউরিটিজের লেনদেন ১৫ জুন থেকে স্থগিত করে দেয় ডিএসই। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে ডিএসইর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি চালু করার চেষ্টাও করছে বানকো সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তারা।