দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ অর্থবছরের জন্য ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

২০২০ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৪৯ টাকা ৭৫ টাকা। আগের বছর যা ছিল ৪৪ টাকা ৯ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ৫ টাকা ৪৮ পয়সা। আগামী ২৫ আগস্ট কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ জুলাই।

পুঁজিবাজার কালো টাকা বিনিয়োগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মতি: নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখছে সরকার। তবে সেক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ করসহ প্রদেয় করের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

ফ্ল্যাট বাড়ির মতো অপ্রদর্শিত সম্পদ বৈধ করার সুযোগও দেবে সরকার। সেক্ষেত্রে জরিমানার পাশাপাশি ফ্ল্যাটের আকার এবং অবস্থান অনুযায়ী প্রতি বর্গমিটারের জন্য ২০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া, অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা ব্যাংক আমানত এবং সঞ্চয়পত্র বৈধকরণের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও অন্যান্য অংশীদারদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত মঙ্গলবার এই প্রস্তাবনা পাঠায়।

এছাড়া, এনবিআর অর্থবিল সংশোধনীতে কালো টাকার উৎস সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলা থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে বিরত রাখতে একটি আইনি দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এনবিআর-এর প্রস্তাব অনুসারে, অপ্রদর্শিত অর্থের ওপর প্রযোজ্য করহার হবে ২৫ শতাংশ। যা ব্যক্তিশ্রেণির আয়করের সর্বোচ্চ করহার। এছাড়া, নিয়মিত করদাতাদের প্রতি ন্যায় নিশ্চিত করতে করের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের এক বছরের মধ্যে কেউ অর্থ উত্তোলন করলে তাকে অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ জরিমানা প্রদান করতে হবে বলেও জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অর্থনীতির মূলধারায় অপ্রদর্শিত অর্থের ব্যবহার এবং বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকানোর লক্ষ্যেই সরকার অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

প্রস্তাবিত বিধান অনুসারে পুঁজিবাজার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ডের মতো সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে মোট ২৭.৫ শতাংশ কর (২৫ শতাংশ নিয়মিত কর এবং করের পরিমাণের ওপর ১০ শতাংশ জরিমানা) প্রদান করতে হবে। বিদায়ী অর্থবছরে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা হয়েছিল।

তবে, আসন্ন বাজেটে নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুসারে সিকিউরিটি বিনিয়োগ এবং অপ্রদর্শিত সম্পদ ও নগদ অর্থের জন্য বিশেষ কর ব্যবস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার বর্তমান বিধানগুলো বাদ পড়তে চলেছে।

এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিদ্যমান সুযোগের আওতায় ১০ হাজার ৩৪ জন ব্যক্তি ১৪২.৯৫ বিলিয়ন টাকা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও সম্পদ বৈধ করেন। এর বিপরীতে রাজস্ব বোর্ড এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা কর পায়।

এদের মধ্যে, মোট ৯ হাজার ৬৯৩ জন ব্যক্তি নগদ, ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট, সঞ্চয়পত্র সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য সম্পদ মিলিয়ে ১৩৮.৬০ বিলিয়ন টাকা সাদা করেন। বিপরীতে ১৩.৯০ বিলিয়ন টাকা কর প্রদান করেন। অন্যদিকে, ৩৪১ জন ব্যক্তি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে ৪.৩৫ বিলিয়ন টাকা বৈধ করেন এবং কর হিসেবে ৪৯০ মিলিয়ন টাকা প্রদান করেন।

সালভো কেমিক্যালের কর্ন ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সালভো কেমিক্যালের কর্ন স্ট্যার্চ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটি ডিএসইকে জানায়, গত ২২ জুন থেকে কোম্পানিটির এই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এক চিঠিতে কর্ন স্ট্যার্চ ইউনিট বন্ধের কারণ ব্যাখা করে কোম্পানিটি বলেছে, স্থানীয় পরামর্শদাতা এবং প্রকৌশলীরা যন্ত্রগুলোর ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করছেন। এছাড়া বিদেশী প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা ও প্রকৌশলীদেরও বিষয়টি অবহতি করা হয়েছে। লকডাউনের পর বিদেশী বিশেষজ্ঞরা তাদের কাজ শুরু করবেন। কোম্পানিটির যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্ন ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকবে বলে কোম্পানিটি জানায়।

ব্লক মার্কেটে ৪ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৭৯ লাখ ১৫ হাজার ২০৬টি শেয়ার ৬৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৭ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংকের ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ এনভয় টেক্সটাইলের ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ পদ্মা ওয়েলের ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

তাছাড়া, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৮২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউসিং ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার, রবি আজিয়াটার ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৮৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, কুইন সাউথের ৮৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ৬৫ লক্ষ টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ৫১ লক্ষ ৬ হাজার টাকার,

সালভো কেমিক্যালের ৪৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকসের ৩৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৩৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৩৬ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৩৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩২ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ২২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ১৮ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার,

বে-লিজিংয়ের ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার, ভিএফএস থ্রেডের ১৫ লক্ষ ০৩ হাজার টাকার, এবি ব্যাংকের ১০ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার, এস্কয়ার নিটিংয়ের ৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৮ লক্ষ টাকার,

কাট্টলী টেক্সটাইলের ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, মনোস পুলের ৫ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই আট কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা উধাও: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আট কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (২৪ জুন) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়ে হল্টেড হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ডাচবাংলা ব্যাংক, মনোস্পুল পেপার, পেপার প্রসেসিং, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, মালেক স্পিনিং এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স : বুধবার রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৫.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৯৩.৮০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৪.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৫০ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

ডাচবাংলা ব্যাংক : বুধবার ডাচবাংলা ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮৪.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৮৪.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৮০ টাকা বা ৯.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

মনোস্পুল পেপার : বুধবার মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১৭.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২৯.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৯.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৭০ টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

পেপার প্রসিসিং : বুধবার পেপার প্রসেসিংয়েরশেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৭.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪০.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৭০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স : বুধবার গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১০৭.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০৭.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৮.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০.৭০ টাকা বা ৯.৯২ শতাংশ বেড়েছে।

মুন্নু ফেব্রিক্স : বুধবার মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৫.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৩০ টাকা বা ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

মালেক স্পিনিং : বুধবার মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩১.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৪.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪.৭০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.১০ টাকা বা ৯.৮১ শতাংশ বেড়েছে।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল : বুধবার তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৭.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩০.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৭০ টাকা বা ৯.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন লিমিটেড চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯১ পয়সা।

এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৫৮ টাকা ৩৮ পয়সা।

ঢাকা ডাইংয়ের পর্ষদ সভা ৩০ জুন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ঢাকা ডাইং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ৩০ জুন বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

আরএকে সিরামিকসের উৎপাদন লাইন চালু: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের উৎপাদন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হয়েছে। আজ ২৪ জুন থেকে উৎপাদন লাইন-১ এর উৎপাদন চালু হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত ৬ জুন কোম্পানিটি উৎপাদন লাইন আরও ১ সপ্তাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।

এর আগে কোম্পানিটি জানায়, আরএকে সিরামিকসের টাইলস উৎপাদনের ৪টি লাইনের মধ্যে ২টি লাইনের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষনের কাজ করা হবে। গত ২১ মে থেকে ৫ জুন পরযন্ত এই কাজ চলবে। যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষনের সময় টাইলস উৎপাদনের ২টি লাইনের কাজ সাময়িক বন্ধ থাকবে।

জানা গেছে, এই সময়ে কোম্পানির স্যানিটারি প্লান্টের যন্ত্রপাতিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। তবে কোম্পানির অপর দুই টাইলস প্লান্টের (লাইন-৩ ও লাইন-৪) উৎপাদন চালু থাকবে। যেখানে স্যানিটারি ওয়্যার প্লান্ট উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সক্ষমতা রয়েছে।