দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ২৭ হাজার ৩৭০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১০৫ কোটি ৭৯ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার।

কোম্পানিটি ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। জেনেক্স ইনফোসিস ২২ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সিলকো ফার্মা ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স,বিডি ফিন্যান্স, বীকন ফার্মা, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডরিন পাওয়ার, দেশ গার্মেন্টস, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং ফুড,

গ্রামীণফোন, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামিক ফিন্যান্স, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, ম্যারিকো, মেট্রো স্পিনিং, ন্যাশনাল ফিড মিল, এনআরবিসি ব্যাংক, পেপার প্রোসেসিং, ফনিক্স ফিন্যান্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স,

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আরএকে সিরামিকস, রেনউক যজ্ঞেশ্বর, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্যালভো কেমিক্যাল, সী পার্ল বীচ, সিলকো ফার্মা, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা ও তাওফিকা ফুডস লিমিটেড।

ডিএসইর সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন নেই: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন। গত রাত ১২.৩০ এ ইন্তেকাল করেছেন তিনি। ইন্না. রাজিউন। জানা গেছে, রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় পোস্ট কোভিড জটিলতায় মারা যান তিনি। তার জানাযা বাদ জোহর কুমিল্লার বুড়িচং থানার রাজাপুর গ্রামে।

নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এতে বলা হয়, রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোস্ট কোভিড জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেছেন ডিএসই’র সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ। কুমিল্লার বুড়িচং থানার রাজাপুর গ্রামে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ইপিএস নিয়ে কারসাজি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ ব্যয় কম দেখানোর মাধ্যমে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেশি দেখিয়েছে। কোম্পানিটির ২০২০ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ কোম্পানিতে ৫ বছর চাকরী করা কর্মীদের জন্য গ্রাচ্যুইটি সঞ্চিতি গঠন করে। যে কোম্পানিতে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর গ্রাচ্যুইটি স্কিমের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ১ কোটি ৩০ হাজার টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর ছিল ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির গ্রাচ্যুইটি স্কিমের ওই ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মধ্যে যেসব কর্মীরা ৫ বছর চাকরী শেষে চলে গেছেন, তারা রয়েছেন। কিন্তু যারা ৫ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরী করছেন, তাদের জন্য সঞ্চিতি গঠন করা হয়নি।

এতে করে গ্রাচ্যুইটির পরিমাণ ও ব্যয় কম দেখানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। একইসঙ্গে শেয়ারপ্রতি মুনাফার (ইপিএস) বেশি দেখানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬১.৯০ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (২৭ জুন) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১০১.১০ টাকায়।

পুঁজিবাজারে শেষ পর্যন্ত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে: নানা জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটে অবশেষে আগামী অর্থবছরেও পুঁজিবাজার, ফ্ল্যাট, জমি, ব্যাংক ডিপোজিট ও সঞ্চয়পত্রেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখবে সরকার। তবে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে কর হার বাড়তে পারে। পহেলা জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া আগামী অর্থবছরে উৎপাদন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে বিশেষ প্যাকেজের প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার। সেক্ষেত্রে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা থাকলেও বিভিন্ন কারণে এ সুযোগ রাখা হচ্ছে। করোনার কারণে নতুন বিনিয়োগ অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। এছাড়া আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির পরিসর বাড়ানো সরকারের লক্ষ্য।
অন্যদিকে, রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ আছে সরকারের সামনে। সামগ্রিক বিবেচনায় কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ রাখার বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা সায় দিয়েছেন। অর্থ বিল পাসের সময় অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা যুক্ত হতে পারে। আগামী ২৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থ বিল পাস হবে।

উল্লেখ্য, সমাপ্য ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশেষ সুবিধায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয় সরকার। এজন্য অর্থ আইন-২০২০-এ দুটি ধারা সংযোজন করা হয়। অপ্রদর্শিত জমি ও ফ্ল্যাট কিনে বর্গমিটারপ্রতি কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। আর সঞ্চয়পত্র এবং যে কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে এমনকি নগদ টাকাও মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অর্থ প্রদর্শন করলে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না।

অন্যদিকে, একই হারে কর দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সাদা করা যাচ্ছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুযোগ রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ ধারায় শুধু কর হার বাড়িয়ে বাকিটা অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। কর হার ২৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে, কালো টাকা সাদা করার সুযোগের সমালোচনা করে আসছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, সরকার কালো টাকার মালিকদের প্রণোদনামূলক সুবিধা দিয়েছে। এসে সৎ করদাতারা কর দিতে নিরুৎসাহিত হন। আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কোনো কিছু বলেননি। এমনকি অর্থবিল-২০২১-এ কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

তবে গত মে মাসে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। যতদিন অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ থাকবে, ততদিন এ সুযোগ অব্যাহত রাখবে সরকার। মুস্তফা কামাল মনে করেন, দেশের কিছু ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কারণে অর্থ অপ্রদর্শিত হয়ে পড়ে।

এসব অপ্রদর্শিত অর্থ আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে আনতে এ সুযোগ রাখা দরকার। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরের গত মে পর্যন্ত ১০ হাজার ৪০৪ জন করদাতা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়েছেন। এসব ব্যক্তি মোট ১৪ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা সাদা করেছেন।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫-৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ১৫ বছর ধরে মোট ১৪ হাজার ৫৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সাদা করেছেন কালো টাকার মালিকরা। চলতি অর্থবছরে যে পরিমাণ কালো টাকা সাদা হয়েছে তার মধ্যে পুঁজিবাজারে ২৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও আবাসন খাতে দুই হাজার ৫১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা সাদা হয়েছে। বাকি ১১ হাজার ৬৬৩ কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা সাদা হয়েছে।

সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীরা প্রধানত নগদ টাকা সাদা করেছেন। এসব টাকা সাদা করায় এনবিআর এক হাজার ৪৪৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। বিপুল পরিমাণে কালো টাকা সাদা হওয়াকে এনবিআর করদাতাদের ‘অভূতপূর্ব’ সাড়া হিসেবে উল্লেখ করেছে।

পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করল হাইকোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুর্নগঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ডও গঠন করে দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে কোম্পানিটির বোর্ডে কারা থাকবেন আদালত আদেশে তা বলা হয়নি।

আদালত বলেছে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবসর নেয়া কোনো বিচারপতি বা সিনিয়র আইনজীবী। আর বোর্ডের সদস্য থাকবেন একজন আইনজীবী, আমানতকারীদের মধ্যে একজন, সরকারি উচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেড। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখিত রায়ে থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম। আর পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।

এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন করেন। পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ২০১ জন আমানতকারী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করতে বোর্ড গঠন করে দেয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তলব করে গত ২১ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় ঋণখেলাপিরা আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দাখিল করেন এবং ঋণপরিশোধের কথা জানান।

এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে হাজির না হওয়ায় ওই দিনই ১২২ জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

পুঁজিবাজারে আতঙ্ক কেটে উত্থানে ফিরছে: আগেরদিন কঠোর লকডাউন আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতন হয়েছিল। কিন্তু একদিন পরই আজ সোমবার উত্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসাথে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস থেকে চারশত কোটি টাকা কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৬.৬৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭.৩৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ২৯৪.৮০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৭৬.৬৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ হাজার ৩২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ৪১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকার। আজ ডিএসইতে ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৩১টির বা ৬২.১০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১০৮টির বা ২৯.০৩ শতাংশের এবং ৩৩টির বা ৮.৮৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৯.৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৩৯.৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩১১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৮টির আর ৩৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১০৫ কোটি ৭৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৭৩ লাখ ২৭ হাজার ৩৭০টি শেয়ার ৯৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১০৫ কোটি ৭৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেনেক্স ইনফোসিসের ২২ কোটি ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৮ কোটি ১৮ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৭ কোটি ৫৮ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ কোটি ২৭ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তাছাড়া, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৯০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ২ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৪৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ১ কোটি ৪৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার,

ইস্টার্ন ব্যাংকের ৯৫ লক্ষ টাকার, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব ৭১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৫১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩৫ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৩১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার, ই-স্কয়ার নিটের ৩০ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২৯ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং ফুডের ২৮ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার,

ইন্ডেক্স এগ্রোর ২৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার, দেশ গার্মেন্টসের ২৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ২৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ২০ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ১৯ লক্ষ ৯ হাজার টাকার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ১৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, মেরিকো লিমিটেডের ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৬ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার,

সী পার্লের ১২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১১ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, বিকনফার্মার ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৮ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরছর ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, ডোরিন পাওয়ারের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ৬ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফের ৬ লক্ষ টাকার, তৌফিকা ফুডের ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার,

রূপালি লাইফের ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, পেপার প্রসেসিংয়ের ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স ৫ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লক্ষ ১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বীচ হ্যাচারির উৎপাদন শুরু: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি বীচ হ্যাচারি লিমিটেড আজ সোমবার থেকে উৎপাদন কারযক্রম শুরু করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, হোয়াইট ফিস (তেলাপিয়া, কই, পাঙ্গাস এবং পাবদা) চাষ শুরু করেছে কোম্পানিটি। প্রাথমিকভাবে বছরে কোম্পানিটির ১০৫ টন উৎপাদন হবে। মাছের জন্য ১৫ নং কংক্রিট ট্যাংক ব্যাবহার করছে এ কোম্পানি, যেখানে পানি ধারন ক্ষমতা ৫৫ হাজার লিটার।

উৎপাদন প্রক্রিয়া গঠন করা হবে হ্যাচারি ইউনিট, নার্সারি ইউনিট, প্রি-গ্রোআউট, গ্রোআউট, হার্ভেস্টিং এবং বিক্রয় পদ্ধতিতে। কোম্পানিটি উৎপাদন প্রক্রিয়া ক্রমাগতভাবে বাড়াবে জৈবিকভাবে এবং অব্যবহৃত কাঠামো দিয়ে।

ডিএসইতে দরকমার শীর্ষে ৮ কোম্পানি: লকডাউনকে ঘিরে দেশের পুঁজিবাজারে ধসের মধ্যে দুর্বল কোম্পানি সর্বোচ্চ দরে দাপট দেখালেও বীমা কোম্পানির অবস্থা ছিল শোচনীয়। আজ রোববার (২৭ জুন) সর্বোচ্চ দর কমার তালিকায় ১০টির মধ্যে ৭টিই ছিল বীমা কোম্পানি। তবে টানা এগারো কার্যদিবস টানা বাড়ার পর দর কমতে শুরু করেছে সাফকো স্পিনিংয়ের।

আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমে সর্বোচ্চ দর কমার তালিকায় অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে সর্বোচ্চ কমার তালিকায় রয়েছে: রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সি পার্ল হোটেল, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এস আলম কোল্ড রোল্ড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স এবং সাফকো স্পিনিং। আজ এই কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ দর কমে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমায় অবস্থান করছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ৫৪ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৬ টাকা ১০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা বা ১২.০৬ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৭.২৭ শতাংশ।

সি পার্ল হোটেল : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ৪২ টাকা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৪২ টাকায়। আজ শেয়ারটির দর কমেছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৮৭ শতাংশ।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৭০ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ১৫২ টাকা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৫৪ টাকা ৩০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৬০ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ১২.৩০ শতাংশ।

সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৩ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ৮৪ টাকা ১০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৮৪ টাকা ৬০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৩২ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ১০.৯৩ শতাংশ।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬১ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ৫৫ টাকা ২০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৫ টাকা ৯০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮.৮০ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ১১.০৫ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২০৫ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ১৮ টাকা বা ৮.৭৪ শতাংশ।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৩ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৮ টাকা ১০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ৫ টাকা ২০ পয়সা বা ৮.২১ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ৫ টাকা ৮০ পয়সা বা ১০.০৫ শতাংশ।

এস আলম কোল্ড রোল্ড : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ৩০ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮.৩০ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১০.৮৫ শতাংশ।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স : আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ১১০ টাকা ১০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১০০ টাকা ১০ পয়সায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮.৫০ শতাংশ।

সাফকো স্পিনিং: আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৯ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সবনিম্ন দর ২৬ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৭ টাকায়। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে আজ শেয়ারটির দর কমেছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৭.৮৫ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ দর কমার ভিত্তিতে ২ টাকা ৯০ পয়সা বা ১০.৯৮ শতাংশ।

লকডাউন আতঙ্কে কেটে শেয়ার কিনছে বিনিয়োগকারীরা: শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর লকডাউন শুরুর কথা ছিল সোমবার থেকে। পরে তা পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করা হয়। আর এই ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকে বড় পতন হয়। আতঙ্কে কম দামে শেয়ার বিক্রি করেন বিনিয়োগকারীরা। পরের দিনই দেখা গেলো উল্টো চিত্র।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর চিত্রে কোনোভাবেই বলার ওপায় নেই লকডাউনের আতঙ্কে একদিন আগে রোববার ১০০ পয়েন্ট পতন হয়েছিল। আতঙ্ক কাটিয়ে শেয়ার কিনতে মনোযোগী হয়ে ওঠেছে বিনিয়োগকারীরা। ফলে সোমবার লেনদেনের শুরুতেই সূচক বাড়ে ৩৩ পয়েন্ট।

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর লকডাউন শুরুর কথা ছিল সোমবার থেকে। পরে তা পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করা হয়। আর এই ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকে বড় পতন হয়। আতঙ্কে কম দামে শেয়ার বিক্রি করেন বিনিয়োগকারীরা।

কিন্তু কেন বিক্র কনেছেন তার উত্তরে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, মূলত রোববার বেশি বিক্রি হয়েছে বিমা খাতের শেয়ার। আর এ খাতেই এখন বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ।

তিনি বলেন, সপ্তাহ আগে যারা বিমা খাতের বিনিয়োগ করেছে তাদের সিংহভাগই মুনাফা ওঠানোর যোগ্য। ফলে লকডাউনের পুঁজিবাজারের খারাপ অবস্থা হবে সে ভাবনা থেকেই বিনিয়োগকারীরা ঢালাও শেয়ার বিক্রি করেছেন।

দেবব্রত জানান, শুধু বিমা নয়, কয়েকদিনে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রায় সব খাতের শেয়ারের দর পতন হয়েছে সেদিন। সোমবার লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান পুঁজিবাজারের জন্য ভালো ইঙ্গিত, যা লকডাউনের আতঙ্ক কাটাতে সহায়ক হবে। সোম থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তাতে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়ে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা চলবে লেনদেন। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ লকডাউন নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকের লেনদেনের সময় পাল্টাচ্ছে না। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যেভাবে লেনদেন চলছে, সেভাবেই চলবে।

এরপর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংকের লেনদেনের সময় না পাল্টানোয় পুঁজিবাজারেও পাল্টাবে না। ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের প্রবেশেও কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন করোনায় পুঁজিবাজারে লেনদেন স্থগিত রাখার পক্ষে না। গত ৫ এপ্রিল লকডাউন দেয়ার আগেই জানানো হয়েছিল, ব্যাংক খোলা থাকলে লেনদেন চলবে পুঁজিবাজারেও।