দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার মঙ্গলবার (২৯ জুন) শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

নতুন নিয়মে আইপিওতে আবেদনকারীরা সর্বনিম্ন ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। কোম্পানির আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারী ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তারাই ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা ৩৪টি, ৩০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৫১টি, ৪০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তাদের ৮৫টি শেয়ার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যারা ৫০ হাজার টাকার বেশি আবেদন করেছে তারা গুণিতক হারে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।

গত ২১ জুন সকাল ১১টায় ডিএসই টাওয়ারে ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সোনালী লাইফের আইপিওর শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রগতি লাইফের ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের ১ টাকা ২০ পয়সা করে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭২২ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।সোমবার (২৮জুন) কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০ টাকা মূল্যের একটি শেয়ারের বিপরীতের ১ টাকা ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিতে ৩ কোটি ৭ লাখ ৩ হাজার ১০২টি শেয়ারহোল্ডার রয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করেছে আগামী ১২ আগস্ট। ওই দিন ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের লক্ষ্যে কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুলাই।

এর আগের বছর কোম্পানিটি শেয়াহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ আর ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। সোমবার (২৮ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা।

কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪১ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৫৯ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার।

ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা নগদ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচ্ছেন: মহামারি করোনার বছরেও ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা করেছে। সেই মুনাফা থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৯টি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা (বিনিয়োগকারী) লভ্যাংশ বাবদ সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচ্ছেন। ব্যাংকগুলোর ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের এ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র তথ্য মতে, সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে নগদ লভ্যাংশ হিসাবে বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন দুই হাজার ৪৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আর বোনাস লভ্যাংশ হিসাবে পাচ্ছেন ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১২৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৪টি শেয়ার। অর্থাৎ ১০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করলেও এ টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার ৭৪০টাকা। তবে বোনাস শেয়ারের টাকার পরিমাণ আরও বেশি হবে। কারণ, ১০ টাকা মূল্যের শেয়ার বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকায়। অর্থাৎ কেউ যদি বোনাস শেয়ার বিক্রি করেন তবে দ্বিগুণ মুনাফা পাবেন।

বিদায়ী বছরে (২০২০ সাল) ভালো লভ্যাংশের পর চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত) ব্যাংকগুলোর মুনাফা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এতে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বেড়েছে। ফলে এসব শেয়ারের দামও বাড়তি। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাত পুঁজিবাজারের গতি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা দিচ্ছে। এটা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো খবর। বিশেষ করে এ বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ট (নগদ লভ্যাংশ) দেওয়া হচ্ছে। এর মানে হচ্ছে ব্যাংকগুলোর হাতে ক্যাশ টাকা আছে। আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে পারবে। আর বিনিয়োগ করতে পারলে সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ক্যাশ ডিভিডেন্টের চেয়ে বোনাস দেয় বেশি। কারণ, দীর্ঘমেয়াদি গ্রোথে থাকা কোম্পানির জন্য ক্যাশ ডিভিডেন্ট দেওয়া ভালো নয়। নতুন করে বিনিয়োগ করতে হলে টাকার প্রয়োজন হয়, ফলে কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেয়। আমাদের দেশে এর ঠিক উল্টোটি হয়— এমনটি মনে করেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের এ চেয়ারম্যান ঢাকা পোস্টকে আরও বলেন, ২০২০ সালে ব্যাংকগুলোর মুনাফা খুব যে বেশি হয়েছে তা নয়। তারপরও ক্যাশ ডিভিডেন্ট বেশি দিয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের মনে একটু প্রশান্তি দিতে পারে। তবে এটি কোম্পানির গ্রোথের জন্য ভালো নয়। তার মানে, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ হচ্ছে কম।

তিনি আরও বলেন, গত বছর কিছু কিছু ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ভালো মুনাফা দিয়েছে। তার মানে কি আগামী বছরও ভালো দিতে পারবে? ভালো লভ্যাংশ দিতে হলে মুনাফা বাড়াতে হবে। মুনাফা বাড়াতে হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়লে পুঁজিবাজার, একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

নিয়ম অনুসারে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের দুই ধরনের লভ্যাংশ দেয়। নগদ লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ। বিদায়ী বছরে তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। একটি ব্যাংক আগামী ৩০ জুন লভ্যাংশের ঘোষণা দেবে। অর্থাৎ ২৯টি ব্যাংক এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ডিএসই’র তথ্য মতে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে ইস্টার্ন ব্যাংক। ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা করে মোট ১৪২ কোটি ছয় লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেবে। পাশাপাশি সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই হিসাবে ১৪ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার ৯২১টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেবে।

একইভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের দেড় টাকা করে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদ আর আট কোটি ২৫ লাখ শেয়ার বোনাস হিসাবে দেবে। সিটি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ১৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা নগদ এবং পাঁচ কোটি আট লাখ ১৯ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার দেবে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ১২১ কোটি ২৯ লাখ টাকার পাশাপাশি সাত কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৬টি শেয়ার বোনাস হিসাবে দেবে। তবে, যমুনা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের শুধুমাত্র নগদ ১৩১ কোটি ১১ লাখ টাকা দেবে। একইভাবে প্রাইম ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, আল-আরাফাহ ব্যাংক ১৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, ইসলামী ব্যাংক ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, পূবালী ব্যাংক ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংক ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ব্যাংক এশিয়া শেয়ারহোল্ডারদের ১১৬ কোটি ৫৯ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে।

এদিকে, ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শুধু বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চারটি ব্যাংক। এর মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংক ৫ শতাংশ হারে আট কোটি নয় লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩টি শেয়ার দেবে শেয়ারহোল্ডারদের। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক দেবে সাত কোটি ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১টি শেয়ার, রূপালী ব্যাংক দেবে চার কোটি ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৩টি শেয়ার এবং এবি ব্যাংক দেবে তিন কোটি ৯৮ লাখ এক হাজার ৮৪২টি শেয়ার।

এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বাবদ শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৩২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেবে। একইসঙ্গে পাঁচ শতাংশ বোনাস বাবদ ছয় কোটি ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৪টি শেয়ার দেবে। এক্সিম ব্যাংক পাঁচ কোটি ৯২ লাখ টাকা নগদ এবং তিন কোটি ৫৩ লাখ ছয় হাজার ২৭৭টি শেয়ার দেবে।

অন্যদিকে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লভ্যাংশ হিসাবে নগদ ৯৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার পাশাপাশি চার কোটি ৯২ লাখ ৮১১টি শেয়ারও দেবে। একইভাবে এনসিসি ব্যাংক ৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নগদ আর সাত কোটি নয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৬টি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেবে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা নগদের পাশাপাশি চার কোটি ৯০ লাখ চার হাজার ৬১৭টি শেয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা নগদ এবং ছয় কোটি ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৯৮টি শেয়ার, উত্তরা ব্যাংক ৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা নগদ আর ছয় কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯টি শেয়ার, ইউসিবি ব্যাংক ৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকার নগদ আর ছয় কোটি আট লাখ ৭৬ হাজার ৪৫টি শেয়ার, ঢাকা ব্যাংক তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ এবং পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের দেবে।

এছাড়া ওয়ান ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ৫৩ কোটি ১২ লাখ টাকা নগদ এবং চার কোটি ৮৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫২টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেবে। এনআরবিসি ব্যাংক ৫২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা নগদ আর তিন কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০টি শেয়ার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ৪৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা নগদ আর চার কোটি ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০টি শেয়ার, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৪৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা নগদ আর চার কোটি ৬৯ লাখ ৪২১টি শেয়ার এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ আর দুই কোটি ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭০টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের দেবে।

অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের ৩টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট ইস্যুর সিদ্ধান্ত: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি অগ্রণী ইনস্যুরেন্স এক তৃতীয়াংশ শেয়ার অর্থাৎ কোম্পানির প্রতি ৩টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করে টাকা উত্তোলন করতে চায়। পুঁজিবাজারে ভাষায় ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৩টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটির সর্বশেষ বোর্ড সভায় কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই রাইট শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি। রাইট শেয়ার ইস্যুর লক্ষ্যে তা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১১ আগস্ট কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুলাই।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালের সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স। এর ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। তাতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৮ টাকা ১১ পয়সা। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারধারীদের সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯২০ টাকা। সর্বশেষ সোমবার (২৮ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৭ টাকায়।

ডিএসই ১৫ কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা উধাও :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (২৯ জুন) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়ে হল্টেড হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর হলো : জিলবাংলা সুগার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জুট স্পিনার্স, মনোস্পুল পেপার, সাভার রিফ্রাক্টরিজ, শ্যামপুর সুগার, পেপার প্রসেসিং, ইমাম বাটন, খুলনা পেপার, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মুন্নু ফেব্রিক্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, মেঘনা পেট, আইএলএফএসএল এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্স।

জানা গেছে, সোমবার জিলবাংলা সুগারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৯ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০৮.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৮.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স : সোমবার ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২৯.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৪২ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪২ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২.৯০ টাকা বা ৯.৯৯ শতাংশ বেড়েছে।

জুট স্পিনার্স : সোমবার জুট স্পিনার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১০.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২১.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২১.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

মনোস্পুল পেপার : সোমবার মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫৬.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৭১.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭১.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫.৬০ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

সাভার রিফ্রাক্টরিজ : সোমবার সাভার রিফ্রাক্টরিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮৪.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২০৩.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৮.৪০ টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

শ্যামপুর সুগার : সোমবার শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৮.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৮.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৩০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

পেপার প্রসেসিং : সোমবার পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৯.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৪.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৯০ টাকা বা ৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

ইমাম বাটন : সোমবার ইমাম বাটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৯.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৬০ টাকা বা ৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

খুলনা প্রিন্টিং : সোমবার খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৩.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

তজিমউদ্দিন টেক্সটাইল : সোমবার তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪০.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

মুন্নু ফেব্রিক্স : সোমবার মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা বা ৯.৭০ শতাংশ বেড়েছে।

অলিম্পিক এক্সেসরিজ : সোমবার অলিম্পিক এক্সেসরিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.২০ টাকা বা ৯.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

মেঘনা পেট : সোমবার মেঘনা পেটের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৪০ টাকা বা ৯.৫৮ শতাংশ বেড়েছে।

আইএলএফএসএল : সোমবার আইএলএফএসএলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৫০ টাকা বা ৯.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স : সোমবার ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৪০ টাকা বা ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসই তিন কোম্পানির বোনাস বিওতে প্রেরণ: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির ঘোষিত বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে পাঠানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি তিনটি হলো : মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। জানা গেছে, কোম্পানি তিনটির বোনাস শেয়ার মঙ্গলবার (২৯ জুন) শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংক ৫.৫০ শতাংশ এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যা কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়েছে।

যমুনা ব্যাংকের উদ্যোক্তার ১৯ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের যমুনা ব্যাংকের এক উদ্যোক্তা ১৯ লাখ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা আরিফুর রহমানের কাছে কোম্পানিটির ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২টি শেয়ার রয়েছে। এখান থেকে তিনি ১৯ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবে এই উদ্যোক্তা।

আগামী অর্থবছরে রপ্তানি খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশা: আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা পাঁচ বছর আগে নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন রপ্তানিকারকরা। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এ পরিমাণ রপ্তানি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা। করোনা সংক্রমণের কারণে গত অর্থবছর নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর চলতি অর্থবছর ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে ২০১৬ সালে নির্ধারিত লক্ষমাত্রা থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ‘চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮.৫ থেকে ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা রপ্তানি থেকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মত আয় হতে পারে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হতে পারে এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছি। ইপিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর নিটওয়্যার রপ্তানিতে ১১%, ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৯% প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত সময়ে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে ১৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছর এ খাতে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করেছে ইপিবি। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, আগামী বছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে সংস্থাটি।

মহামারির বছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি পরিস্থিতি সব সময় ইতিবাচক ছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা পূরণ করতে দেশীয় পাটকলগুলো কাঁচামাল সংকটে পড়েছে। পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে মে পর্যন্ত ৩৩ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন অর্থবছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে ইপিবি।

চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে লেদার এন্ড লেদার গুডস রপ্তানি থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪%, আগামী অর্থবছর এ খাত থেকে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন ইপিবির কর্মকর্তারা। করোনা মহামারিতে রপ্তানি বেড়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেরও। এখন পর্যন্ত এ খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ, আগামী অর্থবছর খাতটি থেকে ১৫% প্রবৃদ্ধি আশা করছে সরকার।

প্রগতি লাইফের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ: বীমা খাতের কোম্পানি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সোমবার কোম্পানির বোর্ড সভায় (জানুয়ারি-মার্চ,২১) সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ২ কোটি ১৪ লাখ টাকার প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল ১ কোটি ২১ লাখ হাজার টাকা। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৫৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।