দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিমা খাতের কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ না করা সহ নানা আর্থিক অনিয়ম তদন্ত করার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গত ২৮ জুন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার আদেশটি ইস্যু করা হয় বলে জানা গেছে। কোম্পানিটির একজন উদ্যোক্তা পরিচালকসহ আরো বেশ কয়েকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যর হলেন- সহকারী পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ এবং মো. সিরাজুল ইসলাম। তদন্তের আদেশ জারির পর থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত কমিটিকে বিএসইসিতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পায় বিএসইসি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এক প্রভাবশালী পরিচালককে আর্থিক সুবিধা দিতে গিয়ে কোম্পানিটির স্থায়ী আমানত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কোম্পানির কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে কোম্পানির স্থায়ী আমানত ছিল ১ হাজার ৪৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর ২০১৮ সালে তা নেমে এমেছে ৪১৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক সক্ষমতা কমে যাওয়ায় গ্রাহকদের দাবি যথাযথভাবে পূরণ করতে পারছে না কোম্পানিটি। এতে করে কোম্পানিটির গ্রাহক হারারোর পাশপাশি জীবন বিমা পলিসিও কমে গেছে। একইসঙ্গে ফারইস্ট লাইফের বিনিয়োগের পরিমাণও কমেছে।

ফাইন ফুডসের তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ফাইন ফুডস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি -মার্চ’২১) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬০ পয়সা।

এদিকে গত ৯ মাসে (জুলাই,২০২০ -মার্চ’২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল (ইপিএস) ১ টাকা ৪৪ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১০ টাকা ৫৫ পয়সা।

পুঁজিবাজারে ‘কালো টাকা সাদা’ করার সুযোগ রেখে অর্থবিল ২০২১ পাস: উচ্চ হারে কর আরোপ করে আরও একবছর কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ রেখে অর্থবিল-২০২১ পাস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা নতুন বিনিয়োগ করবেন তাদের ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে এই বিল পাস হয়।

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য এই বিল পাস হয়। অর্থবিল পাসের সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ৩ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারসহ বেশ কয়েকটি খাতে কালো টাকা হিসেবে অধিক পরিচিত ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ বিনাপ্রশ্নে সাদা করার অবাধ সুযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। প্রস্তাবিত অর্থবিলেও তখন এই বিষয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলে কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ শেষ হচ্ছে বলে আলোচনা তৈরি হয়। তবে বাজেট প্রস্তাবের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রেখে তা বহাল রাখার ইঙ্গিত দেন।

মঙ্গলবার সংসদে শেষ পর্যন্ত কালো টাকা সাদা করার প্রচলিত নিয়মের বাইরেও বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে জরিমানা ও শর্ত বাড়িয়ে প্রশ্ন ছাড়া বিশেষ সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। পাস হওয়া অর্থবিলে আগামী অর্থবছরে পুঁজিবাজারে প্রশ্নাতীতভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। তালিকাভুক্ত শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ কর এবং মোট করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা গুণতে হবে

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ১০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার শর্তে। এই টাকা বিনিয়োগে বাধ্যবাধকতা ছিল শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্লাটসহ নির্ধারিত কিছু খাতে। এভাবে সাদা করা টাকা কীভাবে আয় করা হয়েছে সে প্রশ্ন করতে পারবে না সরকারের কোনো সংস্থা।

মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ দেওয়া হলেও প্রদর্শিত আয়ে করদাতারা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে গত প্রায় এক মাসে অনেক সমালোচনা চলেছে সংসদের ভেতরে ও বাইরে।কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বিচ হ্যাচারির শেয়ার কারসাজিতে ৫ জনকে ১ কোটি টাকা জরিমানা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিচ হ্যাচারির লিমিটেডের শেয়ার দর কারসাজির দায়ে ৫ জনকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বিএসইসি এই সংক্রান্ত চারটি পৃথক আদেশ জারি করেছে।

সূত্র মতে, বিএসইসি বিচ হ্যাচারির পরিচালক ফাহমিদা ইসলামকে ১২ লক্ষ টাকা, মেঘনা চিংড়ি লিমিটেডকে ২৫ লাখ টাকা, সৈয়দ নূর আহমেদকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। কারসাজির জন্য বিএসইসি সায়েফ উল্লাহকে ১০ লাখ টাকা এবং মফিদুল হককে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। তবে কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তাকে আর্থিক জরিমানা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এর আগে ২০১১ সালে বাজারে কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক উত্থান-পতন হয়। এই জন্য বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিএসইসি অধিকতর তদন্তের জন্য ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর আরও একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ার ব্যবসায়ীদের তথ্য / উপাত্ত পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও তদন্ত করেছে বলে সাম্প্রতিক আদেশে বলা হয়েছে।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর, ২০১০ এর মধ্যে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ঘোষণার পরে ২৩ মাসে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকা ১০ পয়সা বা ১৯৫৩ শতাংশ বেড়েছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ এ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল যে, পরিচালনা পর্ষদ বিদেশি বিনিয়োগ বা স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিলের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ৪ (চার) সমুদ্রগামী স্টীলের ট্রলার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য সংস্থাটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে আবেদন করেছিল বলে জানিয়েছে।

৭ মে, ২০০৯ এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের প্রস্তাব দেয়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সালের জন্য ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে এবং ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাথে ৩ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৩ টাকায় ২:১ রাইট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সময়ে কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম ৪১ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার, পরিচালক ফাহমিদা ইসলাম ৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করে, কর্পোরেট পরিচালক মেঘনা শ্রিম্প কালচার ৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার বিক্রয় করেছেন, নজরুল ইসলাম, পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত নয়) ১৮ লাখ ৪ হাজার ৮০০ শেয়ার, যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির কর্পোরেট পরিচালক ১২ লাখ ৩৩ হাজার শেয়ার এবং সৈয়দ নূর আহমেদ পরিচালক বিচ হ্যাচারির ৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন।

এই সময়ের মধ্যে কোম্পানির মোট ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ শেয়ার কোম্পানির পরিচালকরা বিক্রি করেছিলেন, যা ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯-এ মোট সংখ্যার ৩৩ শতাংশ। “শেয়ারের দাম বাড়াতে প্রভাবিত করে উল্লিখিত সংস্থার উদ্যোক্তা পরিচালকরা প্রচুর পরিমাণে শেয়ার বিক্রি করে এবং বেশি দাম থেকে সুবিধা পেয়েছে,” ।

শেয়ার বিক্রি শেষ হলে বিচ হ্যাচারি ৪(চার) সমুদ্রগামী স্টিলের ট্রলার নির্মান সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তবে, উল্লিখিত সংস্থাটি বাল্কের পরিমাণের বেশি পরিমাণে বিক্রয় করার সময় বাতিলকরণের বিষয়ে উল্লিখিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি।

কোম্পানির পরিচালকরা ৪(চার) সমুদ্রগামী স্টিলের ট্রলার জালিয়াতি বা প্রতারণা হিসাবে অর্জনে নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও, ফাহমিদার বিএসইসি (সাবস্টিটিভ শেয়ার অ্যাকুইজেশন) বিধি, ২০০২ লঙ্ঘন করেছে বলে কমিটি জানিয়েছে।

৫ জানুয়ারী, ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ১, ২০১০ পর্যন্ত বিচ হ্যাচারির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির সময় এনবিএল সিকিউরিটিজের গ্রাহক মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসের গ্রাহক এসএম মাফিদুল হক সৈকত হ্যাচারির শেয়ারের দাম নিয়েছিলেন এবং বিপুল পরিমাণে আয় করেছিলেন ।

উল্লেখ্য, বিচ হ্যাচারি লিমিটেড ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মুলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

মোট শেয়ারের ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৪৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে লেনদেন হতে যাওয়অর সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল ৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সময়ে কোম্পানিটির মোট ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। একই সময়ে কোম্পানিটির আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫ টাকা ৩৩ পয়সা।

ব্লক মার্কেটে ৬ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৯ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৫ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৭০ লাখ ৪০ হাজার ৫৬০টি শেয়ার ৬৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৫ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ফনিক্স ফাইন্যান্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেক্সিমকো ফার্মার ৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স ২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ রবি আজিয়াটার ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ বিডি ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ষষ্ঠ সর্বোচ্চ সাফকো স্পিনিংয়ের ২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তাছাড়া, নিউ লাইনের ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার, রূপালী ব্যাংকের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ২৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৯ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফের ৮৭ লক্ষ টাকার, রুপালী ইন্সুরেন্সের ৮৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার, প্যাসিফিক ডেনিমের ৫৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৪৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, আর ডি ফুডের ৪৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার,

ফরচুন সুজের ৩৭ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৩০ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ২৮ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ২০ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, কেমিক্যাল কে এন্ড কিউয়ের ২০ লক্ষ টাকার, কেডিএস লিমিটেডের ১৮ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ১৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, খুলনা পেপার এন্ড প্রিন্টিংয়ের ১৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার,

রেনাটা লিমিটেডের ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ১১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১০ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৯ লক্ষ টাকার, রেকিট বেনকিজার ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার,

নর্দান ইন্সুরেন্সের ৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, ইসলামী ফাইন্যান্সের ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার, পূরবী জেনারেলের ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই’র দুই খাতের শেয়ারে ভাটার টান: আগের দিনের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসাথে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে আজ লেনদেন কমেছে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ বস্ত্র ও বিমা খাতের কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেনে ধাক্কা লেগেছে। খাত দুটিতে আজ লেনদেন কমেছে প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা।

বস্ত্র খাতের চিত্র : আজ বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৫৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২৩.০৬ শতাংশ। আজ বস্ত্র খাতে লেনদেন যেমন কমেছে, শেয়ার দরও কমেছে। খাতটির ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪৬টির বা ৭৭.৯৭ শতাংশ কোম্পানির। বেড়েছে ১৩টির বা ২২.০৩ শতাংশ কোম্পানির।

বিমা খাতের চিত্র : আজ বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৭৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ৭৮.৮২ শতাংশ। আজ বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ২৮টির বা ৫৬ শতাংশ, বেড়েছে ২০টির বা ৪০ শতাংশ, অপরিবর্তিত রয়েছে ২টির।

বিমানবন্দরে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আটক: বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতকে দেশত্যাগের সময় আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। মুলত বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’ থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে তাকে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত। তবে বানকো সিকিউরিটিজের সব পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল বিএসইসি। তারই আলোকে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যানকে দেশত্যাগের সময় আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।’

এদিকে, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ‘ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতকে দেশত্যাগের সময় আটক করা হয়েছে। এখনও তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটকে রেখেছে। তবে, তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। তাকে আটকের বিষয়ে বিএসইসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে।’

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজের (ট্রেক- ৬৩) বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে। এটিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার আত্মসাত বলে মনে করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। তাই, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় বানকো সিকিউরিটিজ ও এর ৭ পরিচালকের বিরুদ্ধে সোমবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ডিএসই। পরের দিন মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে মতিঝিল থানা অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠায়। ডিএসই প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ১৮৬০ সালের আইনের ৪০৬ ও ৪০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে। অভিযোগটি থানায় দায়ের করা হলেও এর সব কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে দুদক।

এদিকে, অর্থ আত্মসাৎকারীরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য ডিএসইর অনুরোধে গত ১০ জুন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া, ব্রোকারেজ হাউজটি যেন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকেও (সিডিবিএল) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর পক্ষে দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ মে ও ৬ জুন বানকো সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। পরে গত ৭ জুন কোম্পানিটিতে বিশেষ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই। ওই সময় ব্রোকারেজ হাউজটির সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে গত ৬ জুনের হিসাবে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকার ঘাটতি পায় ডিএসই।

ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ডিএসই কোম্পানির কাছ থেকে ওই সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টের ঘাটতির ‘গ্রাহকের পরিশোধযোগ্য সমন্বয়সাধন বিবরণ’ গ্রহণ করে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বানকো সিকিউরিটিজ ও তাদের মালিকপক্ষ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার আত্মসাত করেছে। এ অর্থ সমন্বয় না করেই তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কোম্পানিটির এমন কর্মকাণ্ড শেয়ারবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। পাশাপাশি, সাধারণ বিনিয়োগকারীকে তাহাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত করে তুলেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করে বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীরা অপরাধ করেছেন।

এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ও শেয়ারবাজারের শৃঙ্খলার রক্ষায় ডিএসই বানকো সিকিউরিটিজসহ কোম্পানিটির চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত, পরিচালক মো. শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশাণ সাদাত, এ মুনিম চৌধুরী, জামিল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪০৯ ধারায় প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অপরাধ করার অভিযোগ আনে।

প্রগতি লাইফের ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের ১ টাকা ২০ পয়সা করে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭২২ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।সোমবার (২৮জুন) কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০ টাকা মূল্যের একটি শেয়ারের বিপরীতের ১ টাকা ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিতে ৩ কোটি ৭ লাখ ৩ হাজার ১০২টি শেয়ারহোল্ডার রয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করেছে আগামী ১২ আগস্ট। ওই দিন ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের লক্ষ্যে কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুলাই।

এর আগের বছর কোম্পানিটি শেয়াহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ আর ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। সোমবার (২৮ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা।

কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪১ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৫৯ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার।

ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা নগদ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচ্ছেন: মহামারি করোনার বছরেও ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা করেছে। সেই মুনাফা থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৯টি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা (বিনিয়োগকারী) লভ্যাংশ বাবদ সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচ্ছেন। ব্যাংকগুলোর ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের এ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র তথ্য মতে, সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে নগদ লভ্যাংশ হিসাবে বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন দুই হাজার ৪৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আর বোনাস লভ্যাংশ হিসাবে পাচ্ছেন ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১২৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৪টি শেয়ার। অর্থাৎ ১০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করলেও এ টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার ৭৪০টাকা। তবে বোনাস শেয়ারের টাকার পরিমাণ আরও বেশি হবে। কারণ, ১০ টাকা মূল্যের শেয়ার বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকায়। অর্থাৎ কেউ যদি বোনাস শেয়ার বিক্রি করেন তবে দ্বিগুণ মুনাফা পাবেন।

বিদায়ী বছরে (২০২০ সাল) ভালো লভ্যাংশের পর চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত) ব্যাংকগুলোর মুনাফা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এতে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বেড়েছে। ফলে এসব শেয়ারের দামও বাড়তি। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাত পুঁজিবাজারের গতি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা দিচ্ছে। এটা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো খবর। বিশেষ করে এ বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ট (নগদ লভ্যাংশ) দেওয়া হচ্ছে। এর মানে হচ্ছে ব্যাংকগুলোর হাতে ক্যাশ টাকা আছে। আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে পারবে। আর বিনিয়োগ করতে পারলে সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ক্যাশ ডিভিডেন্টের চেয়ে বোনাস দেয় বেশি। কারণ, দীর্ঘমেয়াদি গ্রোথে থাকা কোম্পানির জন্য ক্যাশ ডিভিডেন্ট দেওয়া ভালো নয়। নতুন করে বিনিয়োগ করতে হলে টাকার প্রয়োজন হয়, ফলে কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেয়। আমাদের দেশে এর ঠিক উল্টোটি হয়— এমনটি মনে করেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের এ চেয়ারম্যান ঢাকা পোস্টকে আরও বলেন, ২০২০ সালে ব্যাংকগুলোর মুনাফা খুব যে বেশি হয়েছে তা নয়। তারপরও ক্যাশ ডিভিডেন্ট বেশি দিয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের মনে একটু প্রশান্তি দিতে পারে। তবে এটি কোম্পানির গ্রোথের জন্য ভালো নয়। তার মানে, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ হচ্ছে কম।

তিনি আরও বলেন, গত বছর কিছু কিছু ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ভালো মুনাফা দিয়েছে। তার মানে কি আগামী বছরও ভালো দিতে পারবে? ভালো লভ্যাংশ দিতে হলে মুনাফা বাড়াতে হবে। মুনাফা বাড়াতে হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়লে পুঁজিবাজার, একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

নিয়ম অনুসারে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের দুই ধরনের লভ্যাংশ দেয়। নগদ লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ। বিদায়ী বছরে তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। একটি ব্যাংক আগামী ৩০ জুন লভ্যাংশের ঘোষণা দেবে। অর্থাৎ ২৯টি ব্যাংক এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ডিএসই’র তথ্য মতে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে ইস্টার্ন ব্যাংক। ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা করে মোট ১৪২ কোটি ছয় লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেবে। পাশাপাশি সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই হিসাবে ১৪ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার ৯২১টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেবে।

একইভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের দেড় টাকা করে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদ আর আট কোটি ২৫ লাখ শেয়ার বোনাস হিসাবে দেবে। সিটি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ১৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা নগদ এবং পাঁচ কোটি আট লাখ ১৯ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার দেবে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ১২১ কোটি ২৯ লাখ টাকার পাশাপাশি সাত কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৬টি শেয়ার বোনাস হিসাবে দেবে। তবে, যমুনা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের শুধুমাত্র নগদ ১৩১ কোটি ১১ লাখ টাকা দেবে। একইভাবে প্রাইম ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, আল-আরাফাহ ব্যাংক ১৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, ইসলামী ব্যাংক ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, পূবালী ব্যাংক ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংক ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ব্যাংক এশিয়া শেয়ারহোল্ডারদের ১১৬ কোটি ৫৯ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে।

এদিকে, ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শুধু বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চারটি ব্যাংক। এর মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংক ৫ শতাংশ হারে আট কোটি নয় লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩টি শেয়ার দেবে শেয়ারহোল্ডারদের। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক দেবে সাত কোটি ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১টি শেয়ার, রূপালী ব্যাংক দেবে চার কোটি ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৩টি শেয়ার এবং এবি ব্যাংক দেবে তিন কোটি ৯৮ লাখ এক হাজার ৮৪২টি শেয়ার।

এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বাবদ শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৩২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেবে। একইসঙ্গে পাঁচ শতাংশ বোনাস বাবদ ছয় কোটি ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৪টি শেয়ার দেবে। এক্সিম ব্যাংক পাঁচ কোটি ৯২ লাখ টাকা নগদ এবং তিন কোটি ৫৩ লাখ ছয় হাজার ২৭৭টি শেয়ার দেবে।

অন্যদিকে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লভ্যাংশ হিসাবে নগদ ৯৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার পাশাপাশি চার কোটি ৯২ লাখ ৮১১টি শেয়ারও দেবে। একইভাবে এনসিসি ব্যাংক ৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নগদ আর সাত কোটি নয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৬টি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেবে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা নগদের পাশাপাশি চার কোটি ৯০ লাখ চার হাজার ৬১৭টি শেয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা নগদ এবং ছয় কোটি ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৯৮টি শেয়ার, উত্তরা ব্যাংক ৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা নগদ আর ছয় কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯টি শেয়ার, ইউসিবি ব্যাংক ৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকার নগদ আর ছয় কোটি আট লাখ ৭৬ হাজার ৪৫টি শেয়ার, ঢাকা ব্যাংক তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ এবং পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের দেবে।

এছাড়া ওয়ান ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ৫৩ কোটি ১২ লাখ টাকা নগদ এবং চার কোটি ৮৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫২টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে দেবে। এনআরবিসি ব্যাংক ৫২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা নগদ আর তিন কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০টি শেয়ার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ৪৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা নগদ আর চার কোটি ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০টি শেয়ার, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৪৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা নগদ আর চার কোটি ৬৯ লাখ ৪২১টি শেয়ার এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ আর দুই কোটি ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭০টি শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের দেবে।

অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের ৩টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট ইস্যুর সিদ্ধান্ত: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি অগ্রণী ইনস্যুরেন্স এক তৃতীয়াংশ শেয়ার অর্থাৎ কোম্পানির প্রতি ৩টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করে টাকা উত্তোলন করতে চায়। পুঁজিবাজারে ভাষায় ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৩টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটির সর্বশেষ বোর্ড সভায় কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই রাইট শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি। রাইট শেয়ার ইস্যুর লক্ষ্যে তা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১১ আগস্ট কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুলাই।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালের সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স। এর ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। তাতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৮ টাকা ১১ পয়সা। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারধারীদের সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯২০ টাকা। সর্বশেষ সোমবার (২৮ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৭ টাকায়।

ডিএসই ১৫ কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা উধাও :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী নেই। আজ (২৯ জুন) লেনদেন চলাকালীন সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়ে হল্টেড হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্যজানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর হলো : জিলবাংলা সুগার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জুট স্পিনার্স, মনোস্পুল পেপার, সাভার রিফ্রাক্টরিজ, শ্যামপুর সুগার, পেপার প্রসেসিং, ইমাম বাটন, খুলনা পেপার, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মুন্নু ফেব্রিক্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, মেঘনা পেট, আইএলএফএসএল এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্স।

জানা গেছে, সোমবার জিলবাংলা সুগারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৯ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১০৮.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৮.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স : সোমবার ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২৯.১০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৪২ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪২ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২.৯০ টাকা বা ৯.৯৯ শতাংশ বেড়েছে।

জুট স্পিনার্স : সোমবার জুট স্পিনার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১০.২০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২১.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২১.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

মনোস্পুল পেপার : সোমবার মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫৬.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৭১.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭১.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫.৬০ টাকা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

সাভার রিফ্রাক্টরিজ : সোমবার সাভার রিফ্রাক্টরিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮৪.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২০৩.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৮.৪০ টাকা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

শ্যামপুর সুগার : সোমবার শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৮.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৮.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৩০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

পেপার প্রসেসিং : সোমবার পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৯.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৪.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৯০ টাকা বা ৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

ইমাম বাটন : সোমবার ইমাম বাটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৯.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯.২০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.৬০ টাকা বা ৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

খুলনা প্রিন্টিং : সোমবার খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৩.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

তজিমউদ্দিন টেক্সটাইল : সোমবার তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪০.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০.৫০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

মুন্নু ফেব্রিক্স : সোমবার মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা বা ৯.৭০ শতাংশ বেড়েছে।

অলিম্পিক এক্সেসরিজ : সোমবার অলিম্পিক এক্সেসরিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১২.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.২০ টাকা বা ৯.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

মেঘনা পেট : সোমবার মেঘনা পেটের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৪০ টাকা বা ৯.৫৮ শতাংশ বেড়েছে।

আইএলএফএসএল : সোমবার আইএলএফএসএলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫.৩০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৫০ টাকা বা ৯.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স : সোমবার ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৪.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৪০ টাকা বা ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসই তিন কোম্পানির বোনাস বিওতে প্রেরণ: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির ঘোষিত বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে পাঠানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি তিনটি হলো : মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। জানা গেছে, কোম্পানি তিনটির বোনাস শেয়ার মঙ্গলবার (২৯ জুন) শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংক ৫.৫০ শতাংশ এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যা কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়েছে।

যমুনা ব্যাংকের উদ্যোক্তার ১৯ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের যমুনা ব্যাংকের এক উদ্যোক্তা ১৯ লাখ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা আরিফুর রহমানের কাছে কোম্পানিটির ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২টি শেয়ার রয়েছে। এখান থেকে তিনি ১৯ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবে এই উদ্যোক্তা।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের আইপিও শেয়ার বিও হিসাবে: আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার মঙ্গলবার (২৯ জুন) শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

নতুন নিয়মে আইপিওতে আবেদনকারীরা সর্বনিম্ন ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। কোম্পানির আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারী ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তারাই ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা ৩৪টি, ৩০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৫১টি, ৪০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তাদের ৮৫টি শেয়ার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যারা ৫০ হাজার টাকার বেশি আবেদন করেছে তারা গুণিতক হারে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।

গত ২১ জুন সকাল ১১টায় ডিএসই টাওয়ারে ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সোনালী লাইফের আইপিওর শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

আগামী অর্থবছরে রপ্তানি খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশা: আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা পাঁচ বছর আগে নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন রপ্তানিকারকরা। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এ পরিমাণ রপ্তানি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা। করোনা সংক্রমণের কারণে গত অর্থবছর নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর চলতি অর্থবছর ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে ২০১৬ সালে নির্ধারিত লক্ষমাত্রা থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ‘চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮.৫ থেকে ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা রপ্তানি থেকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মত আয় হতে পারে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হতে পারে এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছি। ইপিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর নিটওয়্যার রপ্তানিতে ১১%, ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৯% প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত সময়ে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে ১৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছর এ খাতে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করেছে ইপিবি। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, আগামী বছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে সংস্থাটি।

মহামারির বছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি পরিস্থিতি সব সময় ইতিবাচক ছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা পূরণ করতে দেশীয় পাটকলগুলো কাঁচামাল সংকটে পড়েছে। পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে মে পর্যন্ত ৩৩ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন অর্থবছর খাতটিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে ইপিবি।

চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে লেদার এন্ড লেদার গুডস রপ্তানি থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪%, আগামী অর্থবছর এ খাত থেকে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন ইপিবির কর্মকর্তারা। করোনা মহামারিতে রপ্তানি বেড়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেরও। এখন পর্যন্ত এ খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ, আগামী অর্থবছর খাতটি থেকে ১৫% প্রবৃদ্ধি আশা করছে সরকার।