দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের ৫০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট এবং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বুধবার (৩০ জুন) বিএসইসির ৭৮০তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডটির কুপন হার সর্বনিম্ন ৭.৫০%, সর্বোচ্চ সিলিং ১০.৫০%। যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অিনুকুলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

এই বন্ড ইস্যুার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে আইএফআইসি ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিট/লটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। বন্ডের ট্রাস্টি হিসাবে কাজ করছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা: আগামীকাল ১ জুলাই থেকে সারাদেশে শাটডাউনের ঘেষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। শাটডাউনে ব্যাংক সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ থাকার নির্দেশনা আসায় পুঁজিবাজারও একদিন অতিরিক্ত সময় বন্ধ থাকবে। ব্যাংকের সঙ্গে মিল রেখে লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে থাকার কারণে ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। এছাড়া শাটডাউনের বিধিনিষেধে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ফলে আগামী সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে নতুন সময়সূচি প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে লেনদেন শুরুর আগে ও পরে ১৫ মিনিট করে প্রি ও পোস্ট সেশন চালু থাকবে।

সপ্তাহে চার দিন পুঁজিবাজারের লেনদেন: সরকার ঘোষিত শাটডাউনের বিধিনিষেধের সময় সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সাথে প্রতি রোববারও ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন একদিন কমে সপ্তাহে চার দিন হবে।

জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে বিধিনিষেধ চলাকালে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সাথে প্রতি রোববার ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যেহেতু ব্যাংকিং কার্যক্রমে সাথে পুঁজিবাজারের লেনদেন জড়িত, তাই কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে প্রতি রোববার পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে। এতে করে কঠোর বিধিনিষেধের সময় সপ্তাহের চার দিন চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেন।

পুঁজিবাজারে আসছে মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ: এসএমই খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে পুঁজিরবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে।

বুধবার (৩০ জুন) বিএসইসির ৭৮০তম সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ কিউআইও এর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি ১০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
কোম্পানিটি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯০ পয়সা। এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট এবং স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট। কমিশন সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে যে সকল ইনডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর (রেসিডেন্ট অ্যান্ড নন-রেসিডেন্ট)এর বাজার মূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব সে সকল ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, এটি কোনো পাবলিক অফার নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার। (কিউআইও)।

ব্লক মার্কেটে ৭ কোম্পানির বিশাল লেনদেন: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৭২ কোটি ১৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৫টি শেয়ার ৮৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৭২ কোটি ১৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাইম ব্যাংকের ১১ কোটি ২১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ কোটি ৬০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কয়ার ফার্মার ৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ৫ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার, ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ফরচুন সুজের ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, সপ্তম সর্বোচ্চ সিলকো ফার্মার ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তাছাড়া, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, সি-পার্লের ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার,

বিডি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টার ৯৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৯৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ৯৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, কুইন সাউথের ৭২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৬৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৬৩ লক্ষ টাকার, নেশনাল হাউসিংয়ের ৫২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার,

গ্রামীণফোনের ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, মার্কেনটাইল ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লক্ষ টাকার, ব্যাংক এশিয়ার ২৯ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার, অ্যাডভেন্টের ২৪ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ২৩ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার, আইসিবিএএমসিএল দ্বিতীয় ২০ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১৯ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার,

কাট্টালী টেক্সটাইলের ১৮ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার, বিকনফার্মার ১৭ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, মোবিল যমুনার ১৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্সের ১৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ৯ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৯ লক্ষ ৩ হাজার টাকার,

লাফার্জ হোলসিমের ৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকার, রূপালী লাইফের ৬ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, আর ডি ফুডের ৫ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকস ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিএসইসিতে ৬৯ জনের পদোন্নতি: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৯জন পদোন্নতি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক জালাল উদ্দিন স্বাক্ষর করা চিঠিটি পদোন্নতি দেওয়া হয়।

বিএসইসি সূত্র মতে, বিএসইসির পরিচালক থেকে নির্বাহী পরিচালক হয়েছেন ৩ জন, যুগ্ম পরিচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক হয়েছেন ১৯ জন, সহকারি পরিচালক থেকে উপ পরিচালক হয়েছেন ২৬ জন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা থেকে সহকারি পরিচালক হয়েছেন ১৬জন, সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান হয়েছেন ১ জন, হিসাব রক্ষক অফিসার ১ জন, সহকারি হিসাব রক্ষক অফিসার ১ জন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হয়েছেন ১ জন এবং স্ট্যাপ রাইডার পদে পদোন্নতি হয়েছেন ১ জন।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আজকে বিএসইসির বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৯জন ব্যক্তিকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পরিচালক থেকে নির্বাহী পরিচালক ৩ জন হলো- মোহাম্মদ শফিউল আজম,রিপন কুমার দেবনাথ ও মীর মোশাররফ হোসাইন চোধুরী।

সোনালী লাইফের শেয়ার আছে ১ কোটি ৯০ লাখ ক্রেতা ৫ কোটি ৫৩ লাখ: পুঁজিবাজারে অভিষেক হয়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়েছে ১১ টাকায়। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করলেও লেনদেন শুরুর দিনই সেই শেয়ারের ক্রেতা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২ হাজার ৬০৬টি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, এন ক্যাটাগরিভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ডিএসইতে কোম্পানি কোড-“SONALILIFE” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে – ২৫৭৫১।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে আইপিওতে আবেদনকারীরা সর্বনিম্ন ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। কোম্পানির আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারী ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তারাই ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া যারা ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা ৩৪টি, ৩০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৫১টি, ৪০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তাদের ৮৫টি শেয়ার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যারা ৫০ হাজার টাকার বেশি আবেদন করেছে তারা গুণিতক হারে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। গত ২১ জুন সকাল ১১টায় ডিএসই টাওয়ারে ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সোনালী লাইফের আইপিওর শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

ওরিয়ন ফার্মার তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ‌ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৯৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৬১ পয়সা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৮ পয়সা।

গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৭৫ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭৮ টাকা ৭৮ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশনের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ‌ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ৩৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৪ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ৯৫ পয়সা।

এমএল ডাইংয়ের ডেনিম সুতার ইউনিট চালু: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডাইংয়ের স্পিনিং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। নতুন এই ইউনিটে ডেনিম ফেব্রিকসের সুতা উৎপাদন করা হবে। বুধবার (৩০ জুন) থেকে এর উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এমএল ডাইংয়ের স্পিনিং ইউনিটটি গাজীপুরের ভবানিপুরে অবস্থিত। ইউনিটটির বছরে উৎপাদন ক্ষমতা ২০ টন। প্রাথমিকভাবে ইউনিটটি দিনে ১০ টন উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

নতুন ইউনিটটি নিয়ে এমএল ডায়িংয়ের স্পিনিং ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২টি। অন্য ইউনিটটিতে কটন সুতা উৎপাদন করা হয়। প্রকল্পটির ৬২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে কোম্পানিটি বছরে ৮০ কোটি টাকা আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমএল ডাইংয়ের নতুন ইউনিট থেকে বছরে নিট প্রফিট ১৩ কোটি টাকা হবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি।