দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। কঠোর লকডাউনের কারণে ব্যাংকের লেনদেন ১১ জুলাই (রোববার) বন্ধ থাকার কারণে আবেদনের সময় এক দিন বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গত ৫ জুলাই শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১১ জুলাই আবেদন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে ১১ জুলাই ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ওই দিন ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের আইপিও আবেদনও বন্ধ থাকবে। সে কারণে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন একদিন বাড়িয়ে ১২ জুলাই করা হয়েছে।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।

উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির পূর্বে ব্যাংকটি কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন ও বিতরন করতে পারবে না। গত ০৯ মে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৩তম সভায় কোম্পানিকে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

ডিএসই ১৬ কোম্পানির বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৬ কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা সংকট দেখা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো: পেপার প্রসেসিং, বিআইএফবি, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, আইএসএন লিমিটেড, সোনালী লাইফ, মতিন স্পিনিং, ফুয়াং সিরামিক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফার ইস্ট ফাইন্যান্স, সোনালী পেপার, ইনডেক্স এগ্রো, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, বীকন ফার্মা, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, একটিভ ফাইন, ফু-ওয়াং ফুড ও ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট।

পেপার প্রসেসিং: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার সর্বোচ্চ স্থানে ছিল পেপার খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭২। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৭৯ টাকা ২০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৭৯ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।

বিআইএফবি: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল আর্থিক খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬ টাকা । আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায় । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ তৃতীয় দর বাড়ার তালিকার সর্বোচ্চ স্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৫৯ টাকা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৯ টাকা । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৮৭ শতাংশ।

আইএসএন লিমিটেড: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার চতুর্থ স্থানে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সায় । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৭৯ শতাংশ।

সোনালী লাইফ: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল বিমা খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৭৭ শতাংশ।

মতিন স্পিনিং: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার ষষ্ঠ স্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৬ টাকা ২০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬১ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৬১ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৬০ শতাংশ।

ফুয়াং সিরামিক: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার সপ্তম স্থানে ছিল সিরামিক খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৬ টাকা ২০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৬ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৪৫ শতাংশ।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার অষ্টম স্থানে ছিল আর্থিক খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৮ টাকা ২০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৮ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭০ পয়সা বা ৯.৩৩ শতাংশ।

ফার ইস্ট ফাইন্যান্স: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার নবম স্থানে ছিল আর্থিক খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৬ টাকায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৬ টাকায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫০ পয়সা বা ৯.০৯ শতাংশ।

সোনালী পেপার: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার দশম স্থানে ছিল পেপার খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২১৯ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৩৯ টাকায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৩৯ টাকায় । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৯ টাকা ২০ পয়সা বা ৮.৭৩ শতাংশ।

ইনডেক্স এগ্রো: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার একাদশ স্থানে ছিল খাদ্য খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১০৩ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১১১ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৮.৪৪ শতাংশ।

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার দ্বাদশ স্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮৭৫ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৯৪১ টাকা ১০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৯৪৮ টাকা ৮০ পয়সায় । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৭.২৩ শতাংশ।

বীকন ফার্মা: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার ত্রয়োদশ স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩১ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৪১ টাকা ৮০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৪০ টাকা ৪০ পয়সায় । আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭.১৭ শতাংশ।

একটিভ ফাইন: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার পঞ্চদশ স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৯ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২১ টাকা ৪০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭.১০ শতাংশ।

ফু-ওয়াং ফুড: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার ১৬তম স্থানে ছিল খাদ্য খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৮ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৭.১০ শতাংশ।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস্: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার ১৯তম স্থানে ছিল জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২৪৫ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৩২৩ টাকা ৬০ পয়সায় এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ৬.২৪ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছর কালো টাকা সাদা হওয়ার রেকর্ড: ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ বা সাদা হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার করদাতা কালো টাকা বৈধ করেছেন। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের তুলনায় দেশের ইতিহাসে এক বছরের এত কালো টাকা এর আগে কখনও সাদা করা হয়নি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এই খাতে রাজস্ব পেয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। বুধবার (৭ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ দফতর সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কালো টাকা সাদা করার তালিকায় আছেন ডাক্তার, সরকারি চাকরিজীবী, তৈরি পোশাক রফতানিকারক, ব্যাংকের স্পন্সর ডিরেক্টর, সোনা ব্যবসায়ীসহ আরও অনেকে। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থের ঘোষণা দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে পুঁজিবাজার, নগদ টাকা কিংবা জমি-ফ্ল্যাট কিনে সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৮৫৯ জন কালো টাকা সাদা করেছেন। যারা প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করেছেন।

কালো টাকা বিনিয়োগকারীর মধ্যে ৭ হাজার ৫৫ জন ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করেছেন। তারা এক হাজার ৬৮৩ কোটি টাকার কর সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আইনগতভাবে বৈধ করেছেন।

তবে দেশের পুঁজিবাজারে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আসেনি কালো টাকা থেকে। বছর শেষে এই খাতে মাত্র ২৪৬ জন বিনিয়োগকারী ৪০০ কোটি টাকা অর্থ বৈধ বা সাদা করেছেন। অন্যদিকে ৪ হাজার ৫১৮ ব্যক্তি জমি-ফ্ল্যাট কিনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ২৫ মে পর্যন্ত ১০ হাজার ৪০৪ জন ব্যক্তি জমি, অ্যাপার্টমেন্ট, নগদ, ব্যাংক আমানত এবং অন্যান্য সম্পদকে বৈধ করেছেন। যার মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪৫৯ কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছে। কর হিসেবে এনবিআর পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৯৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৯৫ লাখ ২০ হাজার ৭০২টি শেয়ার ৭৩ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৯৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোনালী পেপারের ২৩ কোটি ৩০ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ সাফকো স্পিনিংয়ের ৬ কোটি টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ বেক্সিমকোর ৫ কোটি ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৪ কোটি ৬০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার, ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৪ কোটি ২০ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার, সপ্তম সর্বোচ্চ ফরচুন সুজের ৪ কোটি ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

তাছাড়া, জেনেক্স ইনফোসিসের ৩ কোটি ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, সিঙ্গার বিডির ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফের ১ কোটি ৯ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টার ৯৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৭৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৬৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের ৬৪ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার, ফুয়াং সিরামিকের ৫৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৫৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার,

সালভো কেমিক্যালের ৫৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ৪৬ লক্ষ টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৩৯ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৩৬ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ২৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, আমান ফিডের ২৭ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার,

সিলকো ফার্মার ২১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার, আইসিবিআই ব্যাংকের ২১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, ভিএফএস থ্রেডের ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, গ্রামীন টু-এর ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্সের ১০ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার,

জিবিবি পাওয়ারের ১০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, এস আলমের ৯ লক্ষ টাকার, সি-পার্লের ৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার, ইন্টার্নেশনাল লিজিংয়ের ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, নর্দান ইন্স্যুরেন্সের ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, এবি ব্যাংকের ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গ্রীণ বন্ডের অনুমোদন দিল বিএসইসি: দেশে প্রথম গ্রীণ বন্ড হিসাবে প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের ১৫০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল, আনসিকিউরড বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বুধবার (০৭ জুলাই) বিএসইসির ৭৮১তম সভায় বন্ডটির অনুমোদন দেয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই বন্ডের কুপন হার ৯% যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ফান্ড ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অনুকুলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে কোম্পানির তারল্য ও মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিট/লটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

৬ মাসে পাওয়ার গ্রিডের সাড়ে ৫ কোটি শেয়ার বিক্রি: গত ছয় মাসে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শেয়ার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর মালিকানার আরও কিছুটা জনগণের কাছে ছেড়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে এ শেয়ার বিক্রি করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশও (পিজিসিবি) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। এটি দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরারের একমাত্র কোম্পানি। এর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিপিডিবি।

সরকারের সিদ্ধান্তে শেয়ার বিক্রির আগে বিপিডিবির কাছে পাওয়ার গ্রিডের মোট শেয়ার ছিল ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৮টি, যা পাওয়ার গ্রিডের মোট শেয়ারের ৮৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বিপিডিবি দুই দফায় পাওয়ার গ্রিডের মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ০৬ হাজার ৮৮১টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল। জানা গেছে, বিপিডিবি গত ছয় মাসে সাড়ে পাঁচ কোটি শেয়ার প্রতিটি শেয়ার গড়ে ৪৭ টাকা দরে বিক্রি করেছে পেয়েছে আড়াইশ’ কোটি টাকারও বেশি।

এ প্রসঙ্গে পাওয়ার গ্রিডের কোম্পানি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আজাদ বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো মানের কোম্পানির শেয়ার সরবরাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সরকারি কোম্পানির আরও শেয়ার জনগণের মাঝে ছেড়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছে বিপিডিবি।

সরকারের সিদ্ধান্তে প্রথম দফায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪০টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় বিপিডিবি। এ জন্য তিন মাস সময় পেয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিপিডিবি ওই শেয়ার গড়ে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছিল। এর মধ্যে গত ৪ জানুয়ারি একদিনেই সোয়া কোটির বেশি শেয়ার বিক্রি হয়ে যায়।

এরপর গত ১৫ মার্চ ফের ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪১টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল বিপিডিবি। এবার সময় পেয়েছিল দেড় মাস। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পারায় গত এপ্রিলের শেষে আরো দুই মাস সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা গত ৩০ জুন শেষ হয়।

সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ৩ কোটি ৪৩ লাখ শেয়ারের মধ্যে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এখনও বাকি আছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ। এ শেয়ার বিক্রির জন্য আরো কিছুটা সময় চেয়ে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২/৩দিনের মধ্যে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি মিলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ এ কোম্পানির শেয়ার ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় শেয়ারটি ৪৭ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এ সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রায় ৩২ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

গত এক বছরে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা ৮০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি শেয়ারটি সর্বোচ্চ দরে এবং গত ১১ এপ্রিল সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়। বিপিডিবি শেয়ার বিক্রির শুরুর পর গত ৩০ জুন পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিডের প্রায় সোয়া ২১ কোটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ শেয়ারের বিক্রেতা ছিল বিপিডিবি।

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ‘বোর্ড অব গভর্নস’ প্রস্তাব অনুমোদন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবন্টিত ডিভিডেন্ড ব্যবহারে গঠিত মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ব্যবস্থাপনায় ‘বোর্ড অব গভর্নস’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বুধবার (০৭ জুলাই) বিএসইসির ৭৮১তম সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে শেয়ারহোল্ডারদের যে অবন্টিত ডিভিডেন্ড রয়েছে তা চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ‘মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ এ জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার ও নন রিফান্ডেড পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন এই তহবিল পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ প্রণয়ন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ওই রুলস অনুযায়ী এই তহবিল ব্যবস্থাপনায় ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস থাকবে। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য থাকবেন, যাদের মনোনীত করবে বিএসইসি।

এছাড়াও বোর্ড অব গভর্নসে বিএসইসি থেকে ৪ জন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) থেকে একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। একজন প্রফেশনাল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারি বা চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট এবং একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) থাকবেন।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে অবন্টিত ডিভিডেন্ড রয়েছে তাদেরকে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ এর হিসাবে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিভিডেন্ড বিতরণের রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারের বিস্তারিত তথ্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) দিতে হবে। একই সময়ে এসব তথ্যের একটি কপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিডিবিএল) জমা করতে বলা হয়েছে।

কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে তিন বছর হিসাবে পড়ে থাকা অর্থ তহবিলে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নগদ ডিভিডেন্ড বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে দিতে হবে। এই তহবিলের আকার ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে নগদ ডিভিডেন্ডের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

আর বোনাস স্টক ডিভিডেন্ডের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিলটি পরিচালনা করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

ডিএসই’র লেনদেনে পতন ঠেকাল সাত খাত: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবারও সংশোধন প্রবণতায় পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আগের দিনের তুলনায় কমেছে লেনদেনও। আজ ডিএসইর লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ২১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা কমেছে।

আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। কিন্তু ডিএসইর লেনদেন কমে গেলেও সাত খাতে আজ লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। খাতগুলো হলো-বিবিধ, মিউচুয়াল ফান্ড, জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, ওধুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং সিমেন্ট।

বিবিধ : বিবিধ খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ড : মিউচুয়াল ফান্ড খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

জ্বালানি : জ্বালানি খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

তথ্যপ্রযুক্তি : তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

ওধুধ ও রসায়ন: ওধুধ ও রসায়ন খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক : খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সিমেন্ট : সিমেন্ট খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ৯ কোটি টাকা ৫০ লাখ টাকা।